মন্তব্য করুন
বিদেশিদের
কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে
আব্দুল মোমেন।
সোমবার
(২৭ মার্চ) রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক’
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন
তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী,
‘সাম্প্রতিককালে কিছু নালিশ পার্টি আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা বলে বেড়ায় আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বলে যে, শেখ হাসিনার সরকার নাকি গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’
এসব
অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘যারা নালিশ পার্টি তাদের সময়ে এক কোটি ভুয়া
ভোটার হয়েছিল। আর শেখ হাসিনার
সরকার ভুয়া ভোটার হওয়ার সব পথ বন্ধ
করে বায়োমেট্রিক ফটো আইডি করে দিয়েছেন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করেছেন, আর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন
কমিশন করে দিয়েছেন। আর গত ১৪
বছরে দেশে শত শত ইলেকশন
হয়েছে- এই তথ্যগুলো পৃথিবীকে
জানানো দরকার। আর শেখ হাসিনার
সরকারের স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৪ বছরে
আমাদের যে অভাবনীয় সাফল্য
সেটাও জানানো দরকার।’
নালিশ
পার্টি মিথ্যা প্রচারণা করে অনেক জায়গায় পার পেয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন,‘আমাদের রক্তে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে ন্যায়বিচার, আমাদের রক্তে মানবাধিকার। তাই যারা নালিশ পার্টি- তারা যেন অপপ্রচার করে পার না পায় সেজন্য
আপনারা সোচ্চার থাকবেন।’
বঙ্গবন্ধু
ফাউন্ডেশনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. মোমেন বলেন,
সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হয়, গণতন্ত্রের নিয়মে তখন আওয়ামী লীগেরই সরকার গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু তখন তারা (পশ্চিম পাকিস্তানিরা) আওয়ামী লীগের সরকার গঠন প্রক্রিয়া বানচাল করে দেয় এবং তারপর তারা গণহত্যা শুরু করে। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তখন, মুক্তিযুদ্ধে, বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষ
গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা জন্য প্রাণ দিয়েছিল।
ড.
মোমেন বলেন,‘পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এতো মানুষ প্রাণ দেয় নাই। আমরা বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছি, সংগ্রাম করেছি, বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।’
১৯৭১
সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে যে, মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা হয়েছে। আমেরিকা আমাদের বন্ধুদেশ, আমি আশা করবো- আমেরিকা ৭১ সালে বাংলাদেশে
যে গণহত্যা হয়েছে সেটাও স্বীকার করবে।’
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রবীণ সদস্য, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেকসহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৫ জন ও
সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫ জনসহ ২০
কর্মকর্তাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।
বদলি হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা হলেন সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত এ.কে.এম মনিরুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরে, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত মো. শাহরিয়ার আলমকে সিলেটের এসএমপিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের মির্জা তারেক আহমেদ বেগকে নৌ পুলিশে, এসপিবিনের মো. হাসান মোস্তফা স্বপনকে দিনাজপুর জেলায়, মুক্তাগাছা এপিবিএন-২ এর মোহাম্মদ বদিউজ্জামানকে ডিএমপিতে, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত সাহাদত হোসেনকে ডিএমপিতে, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীওকে বান্দরবান জেলায়, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত তানিয়া সুলতানাকে পুলিশ সদর সদপ্তরে ও ডিএমপির মো. আহসান খানকে মেহেরপুর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়াও ডিএমপির মো. সাইফুর রহমান আজাদকে খাগড়াছড়ি জেলায়, মঠবাড়ীয়া সার্কেলের মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে নোয়াখালী জেলায়, গৌরনদী সার্কেলের এস. এম আল-বেরুনীকে খুলনা জেলায়, মালি মিশন থেকে প্রত্যাগত মো. মুনাদির ইসলাম চৌধুরীকে গোপালপুর সার্কেলে, ডিএমপির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গাইবান্ধার বি সার্কেলে ও কুমিল্লা ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে মাগুরা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া সহকারী পুলিশ সুপাররা হলেন এসএএফের ফারহানা আফরোজ জেমিকে মধুপুর সার্কেলে, বরিশাল এপিবিএন-১০ এর সাবিহা মেহেবুবাকে নেছারাবাদ সার্কেলে, এপিবিএন-১১ এর জাকিয়া সুলতানাওকে দামুড়হুদা সার্কেলে, এসপিবিএনের হুসাইন মুহাম্মদ ফারাবীকে কেন্দুয়া সার্কেলে ও নেছারাবাদ সার্কেলের মো. রিয়াজ হোসেনকে বিএমপিতে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নালিশ পার্টি মিথ্যা প্রচারণা করে অনেক জায়গায় পার পেয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন,‘আমাদের রক্তে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে ন্যায়বিচার, আমাদের রক্তে মানবাধিকার। তাই যারা নালিশ পার্টি- তারা যেন অপপ্রচার করে পার না পায় সেজন্য আপনারা সোচ্চার থাকবেন।’
বদলি হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা হলেন সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত এ.কে.এম মনিরুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরে, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত মো. শাহরিয়ার আলমকে সিলেটের এসএমপিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের মির্জা তারেক আহমেদ বেগকে নৌ পুলিশে, এসপিবিনের মো. হাসান মোস্তফা স্বপনকে দিনাজপুর জেলায়, মুক্তাগাছা এপিবিএন-২ এর মোহাম্মদ বদিউজ্জামানকে ডিএমপিতে, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত সাহাদত হোসেনকে ডিএমপিতে, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীওকে বান্দরবান জেলায়, সাউথ সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত তানিয়া সুলতানাকে পুলিশ সদর সদপ্তরে ও ডিএমপির মো. আহসান খানকে মেহেরপুর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।