মন্তব্য করুন
আধুনিক বাংলা
সাহিত্যের অন্যতম
বিখ্যাত ও
বিপ্লবী কবি
নবারুণ ভট্টাচার্য।
১৯৮৩ সালে প্রকাশিত
‘এই মৃত্যু
উপত্যকা আমার
দেশ না’
তাঁর লেখা
অন্যতম জনপ্রিয়
কাব্যগ্রন্থ। এই
কাব্যগ্রন্থের নাম
কবিতাটিতে মূলত
কবি নবারুণ
ভট্টাচার্য তৎকালীন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে
ঘটে যাওয়া
অরাজক পরিস্থিতিকে
তুলে ধরেছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে
ঘটে যাওয়া
বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ
যেন মনে
করিয়ে দেয়
কবিতার একটি
লাইন, আর
লাইনটি হলো,
'এই জল্লাদের
উল্লাস মঞ্চ
আমার দেশ
না।'
১৯৭১
সালে দীর্ঘ
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী
যুদ্ধ এবং
৩০ লাখ শহীদের
রক্তের বিনিময়ে
আমরা পেয়েছি
স্বাধীন সার্বভৌম
বাংলাদেশ। কিন্তু
স্বাধীনতার শুরু
থেকেই একদল
কুচক্রী এই
দেশের অগ্রযাত্রায়
ঈর্ষান্বিত ।
বরাবরই দেশকে
পেছনের দিকে
টেনে নিতে
অগ্রগামী তারা।
বিশ্ববাসীর কাছে
দেশকে ছোট
করেই যেন
এই মহল
আনন্দিত হয়।
এইসব স্বাধীনতা
বিরোধীরা দেশের
উন্নয়নকে কখনোই
ভালো চোখে
দেখেনি। তাই
বারবার আঘাত
হেনেছে। সবশেষ
গেল ১৭ থেকে
১৯ জুলাই দেশের
ভাবমূর্তি আরও
একবার বিশ্ব
দরবারে ক্ষুণ্ণ
করতে এবং
দেশের উন্নয়ন
অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত
করতে তারা
হামলা চালায়
মেট্রোরেল, এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ে এবং
বিভিন্ন সরকারি
দপ্তরে। এছাড়াও,
রাস্তাঘাটে সহিংসতা
করে জনমনে
তৈরি করা
হয় ভীতি।
চলতি মাসের
শুরু থেকেই
‘টক অব
দ্য কান্ট্রি’
ছিলো এই
কোটা সংস্কার
আন্দোলন। গত
৫ জুন হাইকোর্টের
একটি বেঞ্চ
কোটা সংক্রান্ত
বিষয়ে ২০১৮ সালের
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
একটি পরিপত্র
বাতিল করে।
যার ফলে
সরকারি চাকরিতে
২০১৮ সালের পর
পুনরায় কোটা
ব্যবস্থা ফিরে
আসে। কিন্তু
হাইকোর্টের দেয়া
এই রায়
দেশের সাধারণ
শিক্ষার্থীরা মেনে
নিতে পারেনি।
তারা এই
রায়ের বিরুদ্ধে
আন্দোলন শুরু
করে। শুরুতে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছোট
ছোট মানববন্ধনের
মাধ্যমে এই
আন্দোলন শুরু
হলেও পরবর্তীতে
দেশব্যাপী তা
ছড়িয়ে পড়ে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে
চলতি মাসের
শুরু থেকেই
শিক্ষার্থীদের এই
আন্দোলন রূপ
নেয় বৃহত্তর
এক আন্দোলনে।
যেখানে অংশ
নেন দেশের
প্রায় সব
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। রাজধানী
ও রাজধানীর
বাইরে একাধিক
সড়ক-মহাসড়ক
ও রেলপথ
অবরোধ করে
চলে আন্দোলন।
এরমধ্যেই সরকার
এই রায়ের
বিরুদ্ধে আপিল
করলে মহামান্য
সুপ্রিম কোর্টের
আপিল বিভাগ
এ বিষয়ে
শুনানির জন্য
৭ আগস্ট দিন
ধার্য করেন।
এই আন্দোলনটি হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্যহীনতার পরিচয় দেন এবং দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কার্যক্রমের ঘোষণা দেয়। আর এই সুযোগটি লুফে নেয় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। ১৪ জুলাই (রোববার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া একটি বিবৃতি বিকৃত করে শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয় তারা। ফলে সেদিন দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সয়লাব হয় ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানে। এতে ক্ষোভে ফেটে পরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রগতিশীলরা। পরদিন (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ ও ছাত্রলীগ। স্বাধীনতা বিরোধীরা এই সমাবেশেরও ফয়দা লুটে। ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থী উভয়পক্ষকে লেলিয়ে দেয় একের অপরের বিরুদ্ধে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে পরদিন ১৬ জুলাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হল ছাড়া হয় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: সোনালী অতীত থেকে বিতর্কিত ছাত্রলীগ, নেপথ্যে কী?
‘জল্লাদদের উল্লাস’
শুরু হয়
এরপর থেকেই।
১৭ থেকে ১৯ জুলাই
দেশজুড়ে তাণ্ডবলীলা
চালায় তারা।
আবারও শুরু
হয় আগুন
সন্ত্রস। একের
পর এক
বিনষ্ট করতে
থাকে দেশের
উন্নয়নের স্মারকচিহ্নগুলো।
মেট্রোস্টেশন, এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ে, সরকারি
বিভিন্ন দপ্তর,
সড়ক-মহাসড়ক,
তাণ্ডবের লেলিহান
শিখা থেকে
বাদ যায়নি
কোনকিছুই। ব্যাপক
ধ্বংসযজ্ঞ চালানো
হয় দেশের
একমাত্র সরকারি
টেলিভিশন চ্যানেল
বিটিভি ভবনে।
সেখানে আগুন
ধরিয়ে দেয়
জল্লাদরূপী সন্ত্রাসীরা।
ফায়ার সার্ভিস
আগুন নেভাতে
গেলেও তাদের
বাধা দেয়
তারা। এমনকি
ফায়ার সার্ভিসের
গাড়ি যাতে
এগোতে না
পারে সেজন্য
হামলা করা
হয় ফায়ার
সার্ভিস কর্মী
ও পুলিশের
ওপর। এছাড়াও
রাজধানীর উত্তরা,
মেরুল বাড্ডা,
সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি,
মোহাম্মদপুর মিরপুর
এলাকায়ও চলে
ধ্বংসলীলা।
১৭
জুলাই (বুধবার)
রাতে সন্ত্রাসীরা
তাণ্ডবলীলা চালায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের মেয়র
হানিফ ফ্লাইওভারের
টোল প্লাজায়।
আগুন দিয়ে
জ্বালিয়ে দেয়া
হয় টোল
প্লাজা। পরদিনও
অব্যাহত থাকে
সন্ত্রাসীদের ধ্বংসযজ্ঞ।
আবারো শুরু
হয় জঙ্গিপনা।
কোটা আন্দোলনের
অন্তরালে দেশবিরোধীরা
জ্বালিয়ে দেয়
মহাখালীর দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের
ভবন এবং
বনানীতে অবস্থিত
সেতু ভবন।
এতে আগুনে
ভস্মীভূত হয়
ডেটা সেন্টার।
স্থবির হয়
পড়ে দেশের
ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
১৯ জুলাই (শুক্রবার)
মেট্রোরেল এবং
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে
হামলা চালিয়ে
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের
‘ষোলকলা পূর্ণ’
করে দুর্বৃত্তরা।
গত কয়েকদিনে
কোটা আন্দোলনকে
ঘিরে ঘটে
যাওয়া এসব
ঘটনায় দুই
ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একটি
আর্থিক ক্ষতি,
আর অন্যটি
হলো কতগুলো
তাজা প্রাণ
অকালে ঝরে
যাওয়া। স্বাধীনতার
বিরোধীদের উস্কানিতে
সাধারণ শিক্ষার্থীদের
একটি অরাজনৈতিক
আন্দোলন রূপ
নেয় সরকার
বিরোধী আন্দোলনে।
সহিংসতায় সাধারণ
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি
স্বাধীনতা বিরোধী
বর্বরদের হামলায়
প্রাণ হারিয়েছে
বহু পুলিশ,
সাংবাদিক। এই
সব প্রাণ
আর কখনোই
ফিরে আসবে
না। এই
হারানোর ক্ষতি
নিরূপণও সম্ভব
না।
এ সহিংসতার
ঘটনায় রাষ্ট্রীয়
সম্পদের সামগ্রিক
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
এখনো নিরূপণ
করা যায়নি।
তবে, ‘জুলাই
তাণ্ডব’র
সহিংসতা ও
ধ্বংসযজ্ঞ এবং
এর পরবর্তী
দেশজুড়ে চলমান
কারফিউ প্রভাব
ফেলেছে দেশের
প্রতিটি অর্থনৈতিক
খাতে। এছাড়াও
দেশের জিডিপি-তেও এই ধ্বংসযজ্ঞের
নেতিবাচক প্রভাবের
আশঙ্কা করছেন
বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের
জিডিপির প্রবৃদ্ধি
আসে মূলত,
পাইকারি ও
খুচরা ব্যবসা,
পরিবহণ, নির্মাণ
ও কৃষি
এই পাঁচটি
খাত থেকে।
আর এই
সংঘাতের কারণে
এই ৫টি
খাতেই নেতিবাচক
প্রভাব পড়বে
এবং তা
কাটিয়ে উঠতে
সময় লাগবে
বলেও আশঙ্কা
বিশ্লেষকদের। এছাড়াও
চলতি অর্থবছরের
বাজেটে জিডিপি
প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য
ধরা হয়েছে
৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এ সংঘাত
দেশের জিডিপি
প্রবৃদ্ধি কমিয়ে
দিতে পারে
বলে মনে
করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৬ থেকে ২৩ জুলাই সারাদেশে বন্ধ ছিলো যানবাহন। ঘোরেনি কলকারখানার চাকাও। কৃষি ছাড়া বন্ধ ছিলো সব ধরনের উৎপাদনমুখী খাত। তবে কৃষি উৎপাদন চলমান থাকলেও পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সেখানেও লক্ষ্য করা গেছে স্থবিরতা। এই আন্দোলন সহিংসতাকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোন সামগ্রিক ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব প্রস্তুত হয়নি। তবে, সীমিত পরিসরে খাত ভিত্তিক ক্ষয়-ক্ষতির এক চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের সহিংসতায় বাংলাদেশের আর্থনীতির ৫টি খাতে ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এই ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সহিংসতা জল্লাদ কোটা আন্দোলন জঙ্গিবাদ
মন্তব্য করুন
কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় স্থানীয়
আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মেহেদী হাসান জিকুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫
জুলাই) সন্ধ্যাং র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জিকু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিয়ার রহমানের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বিকেলে সংঘটিত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস ফুলতলা মোড় এলাকায় কোটা আন্দোলন চলাকালে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত জখম মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, ‘গত ১৭ জুলাই চৌড়হাস ফুলতলা মোড় এলাকায় কোটা আন্দোলন চলাকালে নাশকতার ঘটনায় জড়িত ছিল। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এ ঘটনায় ১৮ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা হলে ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় তাকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
নাশকতা গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
মন্তব্য করুন
জুনের প্রথম সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আসার পরদিন থেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। জুলাইয়ে এসে সেই বিক্ষোভের মাত্রা বেড়ে যায়।
এক পর্যায়ে অচল হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী। সংঘাত ছড়ায় সারা দেশে। রাজধানী ঢাকার যেসব এলাকায় বেশি সংঘাত হয় তার মধ্যে অন্যতম যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া। মৃত্যু হয় বেশ কজনের। হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী কাজলা পাড়ের দুটি টোল প্লাজা পুড়িয়ে দেয় দুবৃত্তরা।
ভয়ে-আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ পুরো এক সপ্তাহ ছিলেন ঘরবন্দী। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন।
সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী,কাজলা ও শনির আখড়া এলাকা ঘুরে ও এসব এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
শনির আখড়ার আতিকুর রহমান বলেন, ৮ দিন পরে দোকান খুলেছি। গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে ভয়ে ৮ দিন ঘর থেকে বের হইনি। খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখনও ৫টায় পুলিশ দোকান বন্ধ করতে বলে। আমরা নির্ভয়ে ব্যবসা করতে চাই।
একই এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী রুবেল মিয়া বলেন, কয়েকদিন যে কী আতঙ্কে দিন পার করেছি বলে বোঝাতে পারব না। ১৯ ও ২০ জুলাই এক মুহূর্তের জন্যও নিচে নামিনি। এই দুইদিন শুধু বিস্কুট ও পানি খেয়ে থেকেছি। সহিংসতার কথা মনে হলে এখনও ভয় করে। তবে সেনাবাহিনী থাকার ফলে আতঙ্ক কেটে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করছে।
স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া
মন্তব্য করুন
ঢাকাসহ চার জেলায় আজ শনিবার কারফিউ চলমান থাকবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রবিবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে
দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই দেশজুড়ে সহিংসতা চলানো হয়েছে বলে মন্তব্য
করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল
ও পুনর্বাসন
প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু
হাসপাতাল) সাম্প্রতিক
সহিসংতায় আহতদের
খোঁজখবর নিতে
গিয়ে
এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও এঘটনায়
দেশবাসীর কাছে
নাশকতাকারীদের বিচার
চাইলেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘অর্থনীতিকে পঙ্গু
করতেই ষড়যন্ত্র
করে দেশকে
অস্থিতিশীল করা
হচ্ছে। আন্দোলনের
নামে এতগুলো
পরিবারের ক্ষতি
হলো এর
দায়িত্ব কার?
দেশবাসীর কাছে
নাশকতাকারীদের বিচার
চাই।’
এছাড়াও সরকার
আহতদের চিকিৎসার
সব ধরনের
ব্যবস্থা করবে
বলেও জানান
শেখ হাসিনা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬
জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি চিকিৎসক এবং নার্সদের সাথে কথা বলেন এবং আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ
দেন
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা
সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে
বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়।
এছাড়া গত
১৯ জুলাই
(শুক্রবার) দিবাগত
রাত ১২টা
থেকে রোববার
(২১ জুলাই)
সকাল ১০টা
পর্যন্ত সারা
দেশে কারফিউ
জারি করে
সরকার। এরপর
অনির্দিষ্টকালের জন্য
কারফিউ জারি
করা হয়।
যদিও প্রতিদিন
এর মাঝে
কয়েক ঘণ্টা
করে শিথিল
করা হয়।
পরিস্থিতি উন্নতির
দিকে যাওয়ায়
ধীরে ধীরে
কারফিউ শিথিলের
সময় বাড়ানো
হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সহিংসতা ভিক্ষুকের জাতি অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত ও বিপ্লবী কবি নবারুণ ভট্টাচার্য। ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ তাঁর লেখা অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতাটিতে মূলত কবি নবারুণ ভট্টাচার্য তৎকালীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া অরাজক পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ যেন মনে করিয়ে দেয় কবিতার একটি লাইন, আর লাইনটি হলো, 'এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না।'