ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা’ শীর্ষক
প্রকল্পের আওতায় জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। প্রতি উপজেলায় গড়ে দুটি করে (উপজেলা/জোন/সার্কেলসহ) মোট ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ অস্থায়ীভিত্তিতে প্রকল্পের মেয়াদকালীন (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
পর্যন্ত) পরিচালনা করা হবে। এই প্রকল্পে দুই
ক্যাটাগরির পদে ১ হাজার ১৪৮
জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ডাকযোগে/সরাসরি আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
১. পদের নাম: শিক্ষক
পদসংখ্যা: ১৩৮
যোগ্যতা: বিষয়ভিত্তিক/চাহিত বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি অথবা সম্মানসহ সমমানের সিজিপিএ–প্রাপ্ত স্নাতক ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি দ্বিতীয় শ্রেণির/সমমানের সিজিপিএ-প্রাপ্ত সম্মান ডিগ্রি অথবা সমমানের মাদ্রাসা ডিগ্রি/কওমি মাদ্রাসার সমমানের ডিগ্রি/ সনদধারী দাওরায়ে হাদিস। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ বা সমপর্যায়ের গ্রেড/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীদের/শিক্ষায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কারিকুলাম এবং পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ে পাঠদানে সক্ষম হতে হবে এবং দৈনিক দুই শিফটে শ্রেণি পাঠদান পরিচালনা করতে বাধ্য থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলার যে উপজেলা/জোন/সার্কেলে পদ শূন্য আছে, প্রার্থীকে ওই উপজেলা/জোন/সার্কেলের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে (সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য এ শর্ত শিথিলযোগ্য)। শূন্য পদের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/জেলা কার্যালয় থেকে তথ্য পাওয়া যাবে।
বয়স: ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ১৮
থেকে ৩০ বছর। বিভাগীয়
প্রার্থীদের বয়স শিথিলযোগ্য।
বেতন ও সুযোগ–সুবিধা:
মাসিক সম্মানি ১২,৫০০ টাকা।
বছরে দুটি উৎসব ভাতা/ইনসেনটিভের সুবিধা আছে।
২. পদের নাম: সহায়ক কর্মী কাম পরিচ্ছন্নতাকারী
পদসংখ্যা: ১০১০
যোগ্যতা: এসএসসি/দাখিল/ শরহে বেকায়া/সমমানের অন্য যেকোনো মাদ্রাসা শিক্ষার দ্বিতীয় শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার সনদধারী অথবা সমমানের মাদ্রাসার সনদধারী/কওমি সনদধারী। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ বা সমপর্যায়ের গ্রেড/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। আবেদনকারীকে মাদ্রাসা ক্যাচমেন্ট এলাকার এক কিলোমিটার এলাকার
মধ্যে প্রার্থী হতে হবে (সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য এ শর্ত শিথিলযোগ্য)। অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার
দেওয়া যেতে পারে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর। বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স শিথিলযোগ্য। বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: মাসিক সম্মানি ৮,০০০ টাকা। বছরে দুটি উৎসব ভাতা/ইনসেনটিভের সুবিধা আছে।
আবেদন যেভাবে আগ্রহী প্রার্থীদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত ফরম ডাউনলোডের পর তা পূরণ করে পাঠাতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, চারিত্রিক সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ ইত্যাদির সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। খামের ওপরে পদের নাম ও আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা (নিজ জেলাসহ) স্পট করে লিখতে হবে। উপজেলা/জোন/সার্কেলের কোন মাদ্রাসায় চাকরি করতে ইচ্ছুক তা উল্লেখ করতে হবে। পত্র যোগাযোগের ঠিকানাসংবলিত ১০ টাকা মূল্যের ডাকটিকিট যুক্ত সাড়ে ৯ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৪ ইঞ্চি সাইজের একটি ফেরত খাম আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র ডাকযোগে/সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জেলা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
আবেদন ফি
আবেদনকারীকে প্রকল্প পরিচালক, ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রকল্প’–এর অনুকূলে সোনালী ব্যাংকের পিএসসি শাখা, ঢাকায় (চলতি হিসাব নম্বর: ০১১০৭০২০০০৪৮৬) ১ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও ২ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তার সীলমোহরসহ স্বাক্ষরিত জমা ভাউচার আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে যেসব মেধাবী নেতারা অংশ নিয়েছিলেন তারা বিসিএস পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। আর সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে সবার নাম ও রাজনৈতিক পরিচয়ের আমলনামা। এতে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীদের যারা বিসিএসে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের অধিকাংশই এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। বিসিএসে অংশ নেওয়া ২০১৮ সাল থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের একটি তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো-
১। নুরুল হক নুর, আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি বিভাগ, তৎকালীন রাজনৈতিক মতাদর্শ: ছাত্রলীগ।
২। আখতার হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইন বিভাগ, আহ্বায়ক, তৎকালীন রাজনৈতিক মতাদর্শ: গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।
৩। তারেক রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইন বিভাগ, তৎকালীন রাজনৈতিক মতাদর্শ: অরাজনৈতিক।
৪। হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক স্টাডিজ (২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ), সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগ মহসিন হল, শাখা।
৫। ফারুখ হাসান, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ (২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, এসএম হল শাখা ছাত্রলীগ।
৬। মো. রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি, সূর্যসেন হল, ঢাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংকিং বিভাগ (২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ), ছাত্র অধিকার পরিষদ।
৭। ফাহাদ তানভীর নাঈম, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ (২০১২-২০১৩ শিক্ষাবষ), উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, জহুরুল হক শাখা, ছাত্রলীগ।
৮। এ টি এম সোহেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি, ১০তম ব্যাচ, ছাত্রলীগ।
৯। মো. রাইসুল ইসলাম নয়ন, সমন্বয়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবস্থাপনা, ৯ম ব্যাচ, ছাত্রলীগ।
১০। সাদ্দাম হোসেন পাটোয়ারী, সদস্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন, কবি নজরুল হল, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ। তৎকালীন রাজনৈতিক মতদর্শ: অরাজনৈতিক।
১১। মাসুদ মোন্নাফ রাবি, আব্দুল লতিফ হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী স্টাডিজ বিভাগ, মাস্টার্স, তৎকালীন রাজনৈতিক মতাদর্শ: ছাত্রলীগ।
১২। মো. আরেফিন রাবি, বঙ্গবন্ধু হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ৩য় বর্ষ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ রাবি।
১৩। রেজাউল আলম রাজ রুয়েট, শহীদ শহিদুল ইসলাম হল, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জি. বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ। ছাত্রলীগ।
১৪। আরিফুল ইসলাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক) ফুড টেকনোলজি বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। ছাত্রদল।
১৫। মোরশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। কৃষি (২০০৯-২০১০)। ছাত্রলীগ।
১৬। মো. আনোয়ার হোসেন, আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ (২০১৩-২০১৪) ইসলামী ছাত্র শিবির।
১৭। মো. আরজু, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ (২০১১-২০১২) অরাজনৈতিক।
১৮। আনিসুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী স্টাডিজ বিভাগ, ২০০৮-২০০৯। ছাত্রদল।
১৯। ফাহাদ ইসলাম, সদস্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগ, ৩য় বর্ষ। অরাজনৈতিক।
২০। জুয়েল আহম্মেদ আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ৪র্থ বর্ষ, ছাত্রলীগ।
২১। মো. মুশফিকুর রহমান যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ, ছাত্র অধিকার পরিষদ।
২২। ওয়াদুদ সাদমান সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপর, বাংলা ৪র্থ বর্ষ, ছাত্রলীগ।
২৩। মো. রোকনুজ্জামান রবিউল, আহ্বায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ, ছাত্র অধিকার পরিষদ।
২৪। মো. জামান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, (কুয়েট), মেকানিক্যাল বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ, অরাজনৈতিক।
২৫। নাসির তুহিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ, অরাজনৈতিক।
২৬। মো. মাজহারুল ইসলাম হানিফ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি বিভাগ, এমএ, ১ম বর্ষ, অরাজনৈতিক।
২৭। মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি বিভাগ, ৩য় ব্যাচ, সাংগঠনিক সম্পাদক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
২৮ মো. আবুল বাশার, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ, ৭ম ব্যাচ, প্রচার সম্পাদক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
২৯। নাসির আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন (২০১২-২০১৩), আহ্বায়ক, ছাত্র ইউনিয়ন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৩০। জান্নাতি নাঈম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন (২০১২-২০১৩), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছাত্র ইউনিয়ন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৩১। আরিফুল ইসলাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল, মাস্টার্স, গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সাথে জড়িত।
মন্তব্য করুন
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি
কারণে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত
পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি
হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে
মেসেজ করছেন। অনেকেই বলছেন বন্যার কারণে পরীক্ষা পেছাতে পারে। তবে এনটিআরসিএ সূত্রে
জানা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
জানা
গেছে, আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই স্কুল, স্কুল-২ ও কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যুগ্মসচিব (সদস্য,
শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী।
দেশের
বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে পরীক্ষা পেছাতে পারে কিনা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে
তিনি বলেন,‘পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি রাখা
হয়েছে। পরীক্ষা পেছালে নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। তাই আমরা নির্ধারিত দিনেই
পরীক্ষা নিতে চাই। তবে সরকারি কোন নির্দেশনা থাকলে সেটা পরে বিবেচনা করা যেতে
পারে। তবে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত থাকতে পারেন পরীক্ষা হবে।’
ইতিমধ্যে
লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইনে ছেড়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ মে ১৮তম নিবন্ধনের
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার
৯৮১ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬
জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ
মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড়
হার ৩৫ দশমিক ৮০। তবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী
উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
১৮তম শিক্ষক
নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী
আবেদন করেছিলেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩
প্রার্থী।
মন্তব্য করুন
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করেছেন প্রথম পরীক্ষক। সেগুলো পরীক্ষা করে তা দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি জানিয়েছে, দ্রুত ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
খাতা দেখার কার্যক্রমের বিষয়ে এবার কিছুটা কঠোর হয়েছে পিএসসি। পরীক্ষকদের সময়ের মধ্যেই খাতা জমা দেওয়ার বিষয়ে জোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ব্যত্যয় হলে পিএসসি আর তাঁদের খাতা দেবে না। ৪৫তম বিসিএসের খাতা যথাসময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী পিএসসি। পিএসসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত বছরের ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। লিখিত পরীক্ষা শুরু হয় চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি, শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি।
৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গত ১৫ মে। কৃতকার্যদের মধ্যে এখন একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে
তা হলো লিখিত পরীক্ষা হবে করে। আর এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, জুলাই মাসের দুটি তারিখ প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করে ফেলা হবে।
এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান জানান, ‘আমরা ভেবেছি জুলাই মাসের ১২ বা ১৩ তারিখ লিখিত পরীক্ষা নেব। নির্বাচন, বাজেট এগুলোকে সামনে রেখে তারিখ ঠিক করা নিয়ে আমরা বসব। দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ১৫ মার্চ শিক্ষক
নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। এরমধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৯ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন। এ পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে যেসব মেধাবী নেতারা অংশ নিয়েছিলেন তারা বিসিএস পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। আর সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে সবার নাম ও রাজনৈতিক পরিচয়ের আমলনামা। এতে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীদের যারা বিসিএসে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের অধিকাংশই এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। বিসিএসে অংশ নেওয়া ২০১৮ সাল থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের একটি তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো-
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি কারণে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে মেসেজ করছেন। অনেকেই বলছেন বন্যার কারণে পরীক্ষা পেছাতে পারে। তবে এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গত ১৫ মে। কৃতকার্যদের মধ্যে এখন একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তা হলো লিখিত পরীক্ষা হবে করে। আর এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, জুলাই মাসের দুটি তারিখ প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করে ফেলা হবে।