নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২০ অক্টোবর, ২০২১
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিয়োগের ১৫টি পরীক্ষার তারিখ আবারো পড়েছে একই দিনে। আগামী শুক্রবার ( ২২ অক্টোবর) ১৫ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে চাকরিপ্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। একাধিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করেছেন কেউ কেউ। প্রবেশপত্রও পেয়েছেন। কিন্তু একই দিন পরীক্ষা হওয়ায় স্বভাবতই অংশ নিতে পারবেন না।
গত মাস থেকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এর আগে অনেক প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ পরীক্ষা বিলম্বিত হয়েছিল। এখন সপ্তাহের ছুটির দিনে একসঙ্গে অনেক পরীক্ষা হচ্ছে। এর আগে ৮ অক্টোবর ১৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার দিন ছিল।
আগামী শুক্রবার যে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার সূচি ঠিক হয়েছে তা হলো, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়, পদ্মা অয়েল কোম্পানি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অবশ্য সংস্থা ভেদে পদ ভিন্ন। এর মধ্যে পদ্মা অয়েল কোম্পানির পরীক্ষা হবে চট্টগ্রামে। বাকিগুলোর পরীক্ষা হবে ঢাকায়। এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টির লিখিত পরীক্ষা হবে। একটির হবে মৌখিক পরীক্ষা।
সূচি অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংক, স্থাপত্য অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হবে। সেতু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টায়। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়, বেবিচক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরীক্ষা বেলা ৩টায় শুরু হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিপ্রার্থী জানান, আগামী শুক্রবার তার চারটি চাকরির পরীক্ষার দিন পড়েছে। গত সেপ্টেম্বরে একই দিনে একাধিক পরীক্ষা থাকার কারণে তিনি ১০টির মতো নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
বেবিচকের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান চাকরির পরীক্ষাগুলো সকালে নেয়। চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সিনিয়র অফিসার পদের পরীক্ষা বিকেলে নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে আগের ঘোষিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি শাখা খুলে পরীক্ষার তারিখ যাতে এক দিনে বেশি না পড়ে, তা তদারক করতে পারে।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ঢাকা
ও চট্টগ্রাম (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) বিভাগের ২১ জেলায় পরীক্ষা শুরু আজ (শুক্রবার)।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯
হাজার ২৯৩ জন। এ পরীক্ষায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪১৪টি।
এদিকে এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, এ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি
হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে
নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
৪১তম বিসিএস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসি
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ হবে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে এ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক। যা এসডিজি অর্জনের পথে অনেক ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সচিব জানান, স্বাধীনতা পর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের ধারাবাহিকা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক নিয়োগের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ করার এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই আমরা পূরণ করতে পারবো।
ফরিদ আহাম্মদ জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যমান ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো/পরিবর্তন উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়া উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, তারমধ্যে ৪৩টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান।
এর আগে, ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানিয়েছেন, গেল এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন