ইনসাইড ইকোনমি

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে এক বছরে আয় বেড়ে ৫২৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বিদেশি জাহাজ থেকে আয় বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। বছরজুড়ে বিদেশি জাহাজ ভিড়িয়ে এ খাতে গতবছরের চেয়ে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব বেড়েছে চট্টগ্রাম  বন্দরের।

 চলতি বছর এ খাতে বন্দরের আয় ৫২৬ কোটি। যদিও মার্কিন ডলারের দাম বাড়ার কারণে গতবছরের শেষদিকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে স্থবিরতা নেমেছিল।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মূলত রাজস্ব আয় বৃদ্ধিটা নির্ভর করে কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের ওপর। বিভিন্ন কৌশল ও যুগোপযুগী সিদ্ধান্ত ও বৈদেশিক জাহাজের আগমনের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ার কারণে রাজস্ব আয় বাড়ছে বলে দাবি তাদের। 

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে জাহাজের মোট পরিচালনা আয়ের মধ্যে শুধু বৈদেশিক জাহাজ থেকে রাজস্ব এসেছে ৫২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বিপরীতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব আসে বিদেশি জাহাজ পরিচালনা করে। 

তাছাড়া বিদেশি জাহাজ পরিচালনা করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৮৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, অপরদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৩৬ কোটি টাকা আয় আসে বন্দরের। এছাড়া প্রতিটি বিদেশি জাহাজ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতি জাহাজ থেকে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে পণ্য উঠানামা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমেও রাজস্ব আয় করে বন্দর। সে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বছরের ব্যবধানে বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য উঠানামা করে ২ হাজার ৪৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় করে বন্দর। তাছাড়া পণ্য উঠানামা বাবদ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৩০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পণ্য উঠানামা বাবদ আয় করে বন্দর। পাশাপাশি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি টন পণ্যে রাজস্ব এসেছিল ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৪৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। 

বন্দর সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, গতবছর সার্বিকভাবে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৮০ জাহাজ এসেছিল বন্দরের জেটিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৬৯৩টি জাহাজ, তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৭০টি জাহাজ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৮৬৮টি জাহাজ এসেছিল। অপরদিকে জাহাজ বহির্গমনের সংখ্যা বছরের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৯৫০টি বহির্গমন হয়েছিল। তাছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯০টি জাহাজ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৬০ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বহির্গমন হয়েছিল ২ হাজার ৮৫০টি জাহাজ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কমেছে আমদানি ও রপ্তানি মালামাল খালাসের পরিমাণ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৪২ লাখ টন আমদানি করা মালামাল খালাস করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৩৯ লাখ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৯১ লাখ টন ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮২৯ লাখ টন আমদানি করা পণ্য খালাস করা হয়েছে। অপরদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১২৫ লাখ টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৮১ লাখ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৬৯ লাখ টন ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৫২ লাখ টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, দু’বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ অবস্থানের জন্য বার্থ ও মুরিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ অবস্থানের জন্য ১৭টি বার্থ ও ১৯টি মুরিং ছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে সে সংখ্যা বেড়ে ১৯টি বার্থ ও ৩৫টি মুরিং রয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টিইইউস কন্টেইনার। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৩০ লাখ ২০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। তার আগের অর্থবছরেও একই ধারা বজায় ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৯ লাখ ১৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল।

জজানা গেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১৮৬ মিটার লম্বা এবং ৯ দশমিক ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো যেত। এরপর আরও বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা চালু করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো যেত। সাতবছর পর চলতি বছরের শুরুতে আরো বড় জাহাজ ভিড়িয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করে চট্টগ্রাম বন্দর। বছরের শুরুতে অর্থাৎ গত ১৬ জানুয়ারি বন্দরের সিসিটি-১ নম্বর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছিল ১০মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ ‘কমন এটলাস’। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের আগেই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে প্রথমবারের মত ভিড়েছে ২০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার গভীরতার বড় জাহাজ। বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘মেঘনা ভিক্টোরি’র মাধ্যমে নবনির্মিত এ টার্মিনালে উদ্বোধনের আগেই বড় জাহাজ ভেড়ানোর রেকর্ড গড়লো। 

বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দর জেটিতে এখন বড় জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব। তাই ভবিষ্যতে বন্দর জেটিতে বিদেশি জাহাজ আগমনের সংখ্যা আরো বাড়বে। এতে করে পণ্যর আমদানি-রপ্তানি বাড়ার পাশাপাশি বন্দরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও অনেক বাড়বে। 

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ উমর ফারুক  বলেন,  প্রতিকূলতার মাঝেও গতবছর বন্দরে জাহাজ আগমন, কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। একদিকে জাহাজ আগমন বেড়েছে, অপরদিকে কনটেইনার পরিবহনে তিন মিলিয়নের ক্লাব থেকেও আমরা ছিটকে পড়িনি। গতবছর জাহাজ আগমনের পরিমাণ বাড়ায় জাহাজ থেকে আয়টা বেড়েছে। এখন আমাদের জেটিতে ২০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার গভীরতার বড় জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তাই আশা করছি সামনে জাহাজ আগমন এবং এটা থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা দিনে দিনে বাড়ছে। বন্দর এখন ১০ মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ ভেড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। তখন জাহাজ আগমনের সংখ্যাও বাড়বে।

চট্টগ্রাম বন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তারল্য সংকটে ব্যাংক, এক দিনে ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।

কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে। তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।

এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।

এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে। ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।

এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।

এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।


তারল্য সংকট   ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একদিন পরই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিয়ম কড়াকড়ি

প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ জন্ম নেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তবে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো?

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

জানা গেছে, মূলত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। তাদের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো কিনা সেটি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার। এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসা ইত্যাদি এর কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে আসার একটি বড় কারণ ছিল নিজস্বতা। স্বাধীনভাবে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন পরিদর্শনসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আবার অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুযোগ-সুবিধাও কিছুটা বেশি পেতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা। ধীরে ধীরে তা কমিয়ে অন্য চাকরির মতোই করা হচ্ছে। 

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস   বিসিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ ঘণ্টার কম সময় ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
  
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন