ইনসাইড ইকোনমি

শিল্প খাতে সিআইপি সম্মাননা পেলেন ৪৪ শিল্পোদ্যোক্তা

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ২২ মে, ২০২৩


Thumbnail শিল্প খাতে সিআইপি সম্মাননা পেলেন ৪৪ শিল্পোদ্যোক্তা।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪ জন শিল্পোদ্যোক্তাকে ২০২১ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তথা সিআইপি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ‘সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা ২০১৪’- অনুযায়ী বাংলাদেশের বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রতিবছর এ সম্মাননা প্রদানের কথা থাকলেও করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন কারণে সিআইপি (শিল্প) ২০১৭ সম্মাননা প্রদানের তিন বছর পর এবার সিআইপি ২০২১ সম্মাননা প্রদান করা হলো। 

সোমবার (২২ মে) রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব মো. মাহবুর হোসেন, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জনাব মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব জনাব জাকিয়া সুলতানা।

অুনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে দেশ ক্রমশ শিল্প ও সেবাখাতমুখী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সঠিক দিক ও নীতি-নির্দেশনায় বাংলাদেশে ইতোমধ্যে নীরব শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। শিল্পখাতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। শিল্প-কারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান  কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বিগত এক দশকে শিল্প মন্ত্রণালয় গৃহিত নানামুখী পদক্ষেপের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানাগুলোর কর্মক্ষমতা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে শিল্প মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঢেউ বাংলাদেশে এসে লেগেছে। এর ফলে দেশে জ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। এ ধারা গতিশীল করতে শিল্প মন্ত্রণালয় বেসরকারিখাতকে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের অনেক আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’  

তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে  প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। বিশ্ব-বাণিজ্যে আমরা প্রতিদিনই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কাজ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় অতীতেও বেসরকারি শিল্পখাতের বিকাশে ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করেছে। শিল্পায়নের স্বার্থে ভবিষ্যতেও আমরা এ দায়িত্ব পালন করে যাব। শিল্পখাতের অগ্রযাত্রায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতি আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে।’ 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, তাঁর দর্শন ছিল ‘বাংলার মানুষের মুক্তি’। সেই মুক্তি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। করোনা মহামারীতে সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সৃজনশীল নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং মধ্যম আয়ের দেশ। মধ্যম আয়ের এই বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগাতে হবে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রাখতে হবে।’

সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তিদের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে তাঁরা আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

২০২১ সালের জন্য এনসিআইডি কোটায় ৬ জন এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ৩৮ জনকে সিআইপি (শিল্প) সম্মাননা প্রদান করা হয়।  

এনসিআইডি ক্যাটাগরি: জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ বা এনসিআইডি ক্যাটাগরিতে সিআইপি হচ্ছেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম; বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এবং বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী।

বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন): এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হচ্ছেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি: এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস. চৌধুরী; বিএসআরএম স্টিলস লি: এর চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরি লি: এর চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এর.............., জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লি: এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআই লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্স লি: এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টেস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলস এর উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিক লি: এর পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিক লি: এর পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলস্ লি: এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলস লি: এর চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলস লি: এর চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এনভয় টেক্সটাইলস লি: এর চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লি: এর ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।

বৃহৎ শিল্প (সেবা): এ বিভাগে সিআইপি হচ্ছেন এসটিএস হোল্ডিংস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ, দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লি: এর চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন এবং ইস্টার্ন হাউজিং লি: এর চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।

মাঝারি শিল্প (উৎপাদন):  এ বিভাগে সিআইপি হচ্ছেন বিশ্বাস পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডস লি: এর চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি: এর ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসমিন মুক্তাদির, অকো-টেক্স লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার, রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, প্রমি এগ্রো ফুডস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসো লি: এর পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মূহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত এ্যাপারেলস লি: এর চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ এবং মেসার্স সিটাডেল এ্যাপারেলস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম।

ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে সিআইপি হচ্ছেন রংপুর ফাউন্ড্রি লি: এর পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান এবং এরফান এগ্রো ফুড লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এমএ সবুর।      


শিল্পখাত   সিআইপি   সম্মাননা   শিল্পোদ্যোক্তা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের সংস্কার কর্মসূচি

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের সংস্কার কর্মসূচি।

অর্থনৈতিক সংকট ও রিজার্ভ বাড়াতে মধ্য মেয়াদে (২০২৪-২৬) ৫টি খাতে বড় ধরনের সংস্কার কর্মসূচি নিচ্ছে অর্থ বিভাগ। যার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক ঋণের সুদ হারে করিডোর বা বাজারভিত্তিক চালু ও একক মুদ্রা বিনিময় হার বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া।

এছাড়া অস্বাভাবিক ভর্তুকির অঙ্ক ও সরকারের ঋণ ব্যয় পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে কম ঋণ নেওয়া। পাশাপাশি আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংক কোম্পানি এবং ফাইন্যান্সিয়াল আইন সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে। সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে আগামীতে রাজস্ব আয় (বর্তমান পর্যায় থেকে ১.৭ শতাংশ) বাড়ানো এবং তিন মাস অন্তর জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার প্রকাশ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। শিগগিরই এই সংস্কার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ এম কে মুজেরি জানান, ডলারের মূল্য এখন অনেক বেশি। মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হলে ধারণা করা হচ্ছে ডলারের মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদ হারে করিডোর চালু করা দরকার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারভিত্তিক সুদহার চালু করা যেতে পারে।

সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমানো প্রসঙ্গে সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ জানান, সঞ্চয়পত্র এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হিসেবে কাজ করছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল। কারণ এখানে বিনিয়োগ করে মুনাফা বা সুদ অন্য ক্ষেত্র থেকে বেশি পাওয়া যায়। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অনেকে সঞ্চয়পত্র বেছে নিচ্ছেন। সরকার এ খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমালে এর বিক্রি কমবে। এতে অনেকেই কিনতে পারবে না। এখানে খুব বেশি কড়াকড়ি না করাই ভালোই। জানা গেছে, চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। সেখানে ব্যাংক ঋণের সুদহার এবং একক মুদ্রানীতি হার বাজারভিত্তিক চালুর ঘোষণা আসতে পারে।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সুদ হারে করিডোর এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সুদহারের বেঁধে দেওয়া সীমা ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। তবে ব্যাংক ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার কত হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক তা প্রতি মাসে নির্ধারণ করে ঘোষণা করবে। এ হার ঠিক করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নির্ধারিত সূত্র অনুসরণ করবে। নতুন এ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা আগামী জুলাই থেকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি ভোক্তা ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার কত হবে, তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমান ব্যাংক ঋণের সুদ হারের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাপ আরোপ করে রেখেছে। যে কারণে আমানত ও ঋণের সুদ ৬-৯ শতাংশের মধ্যে বিরাজ করছে। অপরদিকে ডলারের মূল্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঠিক করে দিয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সংস্কারের আওতায় সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কাজ হবে ভর্তুকি ব্যয় কমিয়ে আনা বা যৌক্তিককরণ। টাকার অবমূল্যায়ন ও বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ, সার, প্রাকৃতিক গ্যাস ও জ্বালানি তেলে সরকারের অস্বাভাবিক ভর্তুকি ব্যয় বেড়েছে। এ ব্যয় সরকারের দায়কে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রস্তাবিত (২০২৩-২৪) বাজেটে ভর্তুকিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৬ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ৫০ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। 

ভর্তুকি ব্যয় কমানো প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগ সংস্কার কর্মসূচির প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা এবং ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে গত আগষ্টে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় একটি ফর্মুলাভিত্তিক নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে। যা পেট্রোলিয়াম পণ্যের ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা দূর করবে।

ভর্তুকি কমানো ছাড়াও সংস্কার কর্মসূচিতে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কম নেওয়া, নগদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রেজারির সঙ্গে অ্যাকাউন্ট আওতা বৃদ্ধি এবং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ব্যবহার বাড়ানো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মধ্যমেয়াদি এই সংস্কার কর্মসূচির পরিকল্পনায় প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ লাখ কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং ৯ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, মধ্যমেয়াদে সরকার সতর্ক রাজস্বনীতি অনুসরণ করবে। এর মধ্যে বাজেটের ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে রাখা হবে। যা প্রস্তাবিত বাজেটে আছে জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। সেখানে আরও বলা হয়, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করনীতি এবং রাজস্ব প্রশাসনের সংস্কার করা হবে।

অর্থ বিভাগ সংস্কার কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেছে, বৈশ্বিক ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালী এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা দরকার। এ উদ্দেশ্যে মধ্যে মেয়াদে বেশ কিছু সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।


অর্থনৈতিক   সঙ্কট   সরকার   সংস্কার   কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সোনার দা‌ম বেড়ে ভরি ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা

প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail সোনার দা‌ম বেড়ে ভরি ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা।

সোনার দা‌ম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এই ক্যাটগরির স্বর্ণের নতুন মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা (ভরি)।

বুধবার (৭ জুন) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম হবে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 সোনার বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভ‌রি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

গত ২৮ মে সবশেষ সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ২৯ মে  থেকে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ পর্যন্ত ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 


সোনার দা‌ম   ভরি   টাকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে কমনওয়েলথভুক্ত মন্ত্রীদের আহবান বাণিজ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) থেকে বের হওয়ার পরবর্তী ছয় বছর বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার আওতায় রাখতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সমর্থন চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আগামী বছরের শুরুতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৩তম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশকে দেয়া এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান মন্ত্রী।  

লন্ডনের মার্লবোরো হাউসে ৫-৬ জুন অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি এ আহবান জানান। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মহামারী কোভিড-১৯ এবং তার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ লাভ করেছে। এই সংকটময়কালে সদ্য এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রাপ্ত দেশসমূহ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার বাহিরে গেলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই উত্তরণ পর্যায়ে থাকা স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অন্তত ছয় বছর অগ্রাধিকারমূলক বাজারের প্রবেশ সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ গতবছরগুলোতে কমনওয়েলথের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন আমরা কমনওয়েলথের "বিজনেস-টু-বিজনেস কানেক্টিভিটি ক্লাস্টার" লিড কান্ট্রি হিসাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। এছাড়া ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তঃ-কমনওয়েলথ বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছি। 

অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই বাণিজ্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় এবং কোভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও উদ্ভূত বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। 

টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশ এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের সুবিধার্থে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি অনুমোদনকারী প্রথম এশিয়ান দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে একটি কাগজবিহীন বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার জাতীয় রোডম্যাপ তৈরি করছে।  

এসময় অংশ নেয়া কমনওয়েলথ মন্ত্রীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ করে উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত দেশ এবং ক্ষুদ্র ও দুর্বল অর্থনীতিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অবদান রাখে তা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন।  

কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ গভীর করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কমনওয়েলথ মন্ত্রীরা ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য দুই ট্রিলিয়ন-এ উন্নীত করার জন্য আরও উচ্চাকাঙ্খী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। 


বাণিজ্যমন্ত্রী   টিপু মুনশি   কমনওয়েলথ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দেশে এলো ১২৮৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৩


Thumbnail

দুই দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর মধ্যেই দেশে এসেছে ১ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

সোমবার (০৬ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল রোববার থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে এসেছে। আর গতকাল সোমবার থেকে আজ পর্যন্ত দুই দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

পেঁয়াজ   কৃষি মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি: কৃষি মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

আগামীকাল সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দিবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

রোববার (৪ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য, সব সময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সকলের স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির  সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’

পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূরণতা অর্জনে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করছে রোডম্যাপ। এতে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে।  গত ২ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দুবছরে আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো। 

পেঁয়াজের উৎপাদন ও বিপণনের বর্তমান চিত্র: 

২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লক্ষ মে. টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এবছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০% বাদে গত বছর  নীট উৎপাদন হয়েছে ২৪.৫৩ লক্ষ মে.টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮-৩০ লক্ষ মে.টন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬.৬৫ লক্ষ মে.টন।

এদিকে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। মাস দেড়েক আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বর্তমানে তা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


সোমবার   পেঁয়াজ   আমদানি   অনুমতি   কৃষি মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন