সরকার প্রতিবছর যে বাজেট ঘোষণা করে, তার পুরোটা দেশীয় উৎস থেকে মেটানো সম্ভব হয় না। নির্ভরশীল হতে হয় বৈদেশিক ঋণের বাজেট সহায়তার জন্য। অভ্যন্তরীণ উৎসে সম্পদ অর্জন ও রাজস্ব আয় কম হওয়ায় বিদেশি ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ নেয় সরকার। চলতি অর্থবছরের বাজেটে শেষের দিকে এসেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ অর্থবছরে বাজেট সহায়তায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইআরডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বাজেট সহায়তার ঋণচুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমান্বয়ে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তহবিল বাড়াতে সহায়তা করবে এডিবির বাজেট সহায়তা।
গত ২৪ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের এ অর্থ সাড়ে ৩ মাসের আমদানি সুরক্ষিত করার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বব্যাংকের দেওয়া বাজেট সহায়তা যোগ হওয়ার পর এ রিজার্ভ বেড়েছিল বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ অর্থবছরে (২০২২-২৩) ক্রমাগত ভঙ্গুর অর্থনীতি সামাল দিতে এ বাজেট সহায়তা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দাতা সংস্থা ও দেশগুলো সাধারণত উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে অর্থ দেয়। এ ধরনের অর্থসহায়তা পেতে নির্দিষ্ট একটি প্রকল্প তৈরি করতে হয়। এরপর ওই প্রকল্প ধরে দাতাদের সঙ্গে দর-কষাকষি চলে। কিন্তু বাজেট সহায়তার অর্থ দিয়ে সরকার নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। বাজেট সহায়তার অর্থ সরকার যেকোনো খাতে খরচ করতে পারে। তাই অর্থনীতির চাপ সামলাতে বাজেট সহায়তার অর্থ নেওয়া সরকারের জন্য বেশি সুবিধাজনক। তবে এ জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
এডিবির সঙ্গে এখন বাজেট সহায়তার যে দর-কষাকষি হয়েছে, তাতে বেশকিছু শর্ত রয়েছে। যেমন ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, জ্বালানির দাম নির্ধারণ, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন খাতে নীতি সংস্কার আনতে হবে। এসব শর্ত কতটা বাস্তবায়িত হলো, তা নিয়মিত নজরে রাখবে এডিবি। বাজেট সহায়তার জন্য কোনো খাত দেখাতে না হলেও এডিবিকে বাজেট সহায়তার অর্থের খরচের খাত জানাতে হয়। এবার যে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তা সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে খরচ করতে চায় বলে জানা গেছে।
এর আগে এডিবির নেতৃত্বে কো-ফান্ডিং উদ্যোগের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পেয়েছে। এ বাজেট সহায়তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাবে। দুই ধাপে এই তহবিল বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে এপ্রিলে এক দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে দেশে। আগামী জুনে আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আসার কথা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সরকারকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে এডিবি। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, পানিসম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, সুশাসন, আর্থিক ও বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়।
মন্তব্য করুন
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত
বাজেট অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের
বাধ্যবাধকতা আছে এমন করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও বা বার্ষিক আয় তিন
লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে হলেও আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে ন্যূনতম করের পরিমাণ দুই হাজার
টাকা হবে।
সে ক্ষেত্রে ৪৪ ধরনের সেবা
নিতে হলে করদাতাকে দুই
হাজার টাকা ন্যূনতম আয়কর
দিয়ে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এখন
পর্যন্ত এই ৩৮ ধরণের
সেবা নিতে হলে আয়কর
রিটার্ন রসিদ জমা দিতে
হয়।
বর্তমানে
যে ৩৮ ধরনের সেবা নেওয়ার জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়, সেগুলো হলো:
১. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
পাঁচ লাখ টাকা বা
তার বেশি অঙ্কের ঋণের
আবেদন করলে;
২. কোম্পানির পরিচালক বা উদ্যোক্তা পরিচালক
হলে;
৩. আমদানি ও রপ্তানি নিবন্ধন
প্রত্যয়নপত্র পেতে;
৪. সিটি করপোরেশন বা
পৌরসভার অধীনে ট্রেড লাইসেন্স লাভ বা নবায়ন;
৫. সমবায় সমিতির নিবন্ধন লাভের ক্ষেত্রে;
৬. সাধারণ বীমা কোম্পানির সার্ভেয়ার
হিসেবে লাইসেন্স পেতে বা তালিকাভুক্ত
হতে;
৭. নিবন্ধন, স্থানান্তর চুক্তি, বায়নানামা, আমমোক্তারনামা, জমি বিক্রয়, সিটি
করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা সদরে
অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, যেখানে চুক্তি মূল্য ১০ লাখ টাকার
বেশি;
৮. ক্রেডিট কার্ড নেওয়া বা ধারাবাহিক ব্যবহারের
ক্ষেত্রে (শিক্ষার্থীদের জন্য দুই লাখ
টাকা পর্যন্ত ছাড়);
৯. চিকিৎসক, ডেন্টিস্ট, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
অ্যাকাউনট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার বা অন্যান্য সমজাতীয়
পেশাদারদের পেশাদার সংগঠনের সদস্যপদ লাভ বা টিকিয়ে
রাখতে;
১০.
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন)
আইনের অধীনে লাইসেন্স লাভ ও টিকিয়ে
রাখতে;
১১.
বাণিজ্য ও পেশাদার সংগঠনের
সদস্যপদ লাভ ও টিকিয়ে
রাখতে;
১২.
ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স পাওয়া ও টিকিয়ে রাখা,
ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ক্লিয়ারেন্স পেতে;
১৩.
যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ
এবং সিটি করপোরেশন এলাকায়
গ্যাসের আবাসিক সংযোগ;
১৪.
ভাড়ায় চালিত লঞ্চ, স্টিমার, ফিশিং ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, ডাম্ব বার্জ ইত্যাদিসহ যেকোনো জলযানের জরিপ সার্টিফিকেট লাভ
বা তার মেয়াদ অব্যাহত
রাখার চালিয়ে যাওয়া;
১৫.
জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
বা পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্বারা ইট তৈরির অনুমতি
প্রাপ্তি বা অনুমতি নবায়ন
করা, যেখানে যেটা প্রযোজ্য;
১৬.
সিটি করপোরেশন, জেলা সদর দপ্তর
ও পৌরসভা এলাকায় আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের
ইংরেজি সংস্করণের অধীনে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে সন্তান বা পোষ্যের ভর্তির
ক্ষেত্রে;
১৭.
সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড
এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ পাওয়া;
১৮.
কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাওয়া
ও অব্যাহত রাখা;
১৯.
অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া বা অব্যাহত রাখা;
২০.
আমদানির উদ্দেশ্যে একটি ঋণপত্র খোলা;
২১.
পাঁচ লাখ টাকার বেশি
অঙ্কের পোস্টাল সঞ্চয়ী হিসাব খোলা;
২২.
১০ লাখ টাকার বেশি
ক্রেডিট ব্যাল্যান্স যেকোনো ধরনের ব্যাংক হিসাব খোলা ও অব্যাহত
রাখা;
২৩.
পাঁচ লাখ টাকার বেশি
সঞ্চয়পত্র ক্রয়;
২৪.
যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যেমন, উপজেলা,
পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি
করপোরেশন বা জাতীয় সংসদ;
২৫.
মোটর গাড়ি, স্থান, বাসস্থান বা অন্য কোনো
সম্পদ দিয়ে অভিন্ন অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা;
২৬.
ব্যবস্থাপক বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে
নিযুক্ত বা উৎপাদন কার্যক্রমের
তত্ত্বাবধায়ক পদে নিযুক্ত যেকোনো
ব্যক্তির ‘বেতন’ হিসেবে অর্থ গ্রহণ;
২৭.
বছরের যেকোনো সময় ১৬ হাজার
টাকা বা তার বেশি
মূল বেতন গ্রহণ করলে,
সরকারি বা কর্তৃপক্ষের, করপোরেশনের,
আইন দ্বারা সৃষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য;
২৮.
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর বা
মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টের রিচার্জের
ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে
কোনো কমিশন, ফি বা অন্য
ন্যূনতম প্রাপ্তির ক্ষেত্রে;
২৯.
কোনো উপদেষ্টা বা পরামর্শ পরিষেবা,
ক্যাটারিং পরিষেবা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পরিষেবা, জনবল সরবরাহ বা
নিরাপত্তা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোনো সংস্থার
কাছ থেকে কোনো নিবাসীর
অর্থ গ্রহণ;
৩০.
মাসিক পেমেন্ট অর্ডারের (এমপিও) অধীনে সরকারের কাছ থেকে কোনো
পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা,
যদি তার পরিমাণ প্রতি
মাসে ১৬ হাজার টাকার
বেশি হয়;
৩১.
বিমা কোম্পানির এজেন্সি প্রত্যয়নপত্রের নিবন্ধন বা নবায়ন;
৩২.
দুই-তিন চাকার গাড়ি
ব্যতীত যেকোনো ধরনের মোটর গাড়ির ফিটনেস
নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা নবায়নের ক্ষেত্রে;
৩৩.
এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে নিবন্ধিত বেসরকারি সংস্থাকে বা মাইক্রো ক্রেডিট
রেগুলেটরি অথরিটির লাইসেন্সধারী ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থার
বিদেশি অনুদান দেওয়া;
৩৪.
বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে যেকোনো ডিজিটাল
প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা
সেবা বিক্রি করা;
৩৫.
কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪
সনের ১৮ নং আইন)
ও সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ (১৮৬০ সালের আইন
নং XXI) এর অধীনে নিবন্ধিত
ক্লাবের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন জমা
দেওয়ার ক্ষেত্রে;
৩৬.
পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা পরিষেবা প্রদানের
উদ্দেশ্যে একজন নির্বাহীর দরপত্র
নথি জমা দেওয়া;
৩৭.
আমদানি বা রপ্তানির জন্য
বিল অব এন্ট্রি জমা
দেওয়া;
৩৮.
রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ বা সিটি করপোরেশন
ও পৌরসভা এলাকায় যেকোনো ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা
জমা দেওয়া।
আয়কর আইন অনুযায়ী আগে থেকে এই ৩৮ ধরণের সেবা নিতে আয়কর রিটার্নের নমুনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রদর্শন করা প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে ব্যক্তির বাৎসরিক আয় করমুক্ত সীমার নীচে হলে কোনো কর দিতে হতো না। প্রস্তাবিত বাজেটে শূন্য (০) আয়কর হলেও তাকে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
শ্রমিক কল্যাণবান্ধব চা শিল্প গড়ে তোলার জন্য চা বাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার (৩ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ টি বোর্ড আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর ঢাকায় চা দিবসের অনুষ্ঠান করলেও এবছর চা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট চা বাগান মালিক-শ্রমিকসহ প্রত্যক্ষ অংশীজনদের নিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।’
এ সময় দেশে প্রথমবারের মত চালুকৃত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিতরণ করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়) (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান (৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি: (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি: (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)- উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রেখে চা পাতা উত্তোলন, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চা উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব চা বাগান রয়েছে সেগুলোতে আগের তুলনায় চা উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এছাড়া, দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে পঞ্চগড়ে মোট উৎপাদনের প্রায় ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। যে কারণে দেশে দিন দিন চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে ৯০-৯৫ মিলিয়ন কেজি চায়ের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা দেশে উৎপাদিত চায়ের মাধ্যমেই পূরণ করা যাচ্ছে। এ বছর দেশে ১০০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দাম শুধু বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা নয়। সারাবিশ্বে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশ থেকে আমরা ভালো আছি। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার সাবসিডি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এক কোটি পরিবারের নিকট নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই- এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন। এর আগে দুপুর ৩ টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
এই প্রস্তাব পাস হলে করমুক্ত আয়সীমার নিচে আয় থাকলেও নির্ধারিত সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) ধারীদের রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম ২ হাজার কর দিতে হবে।
এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
রিটার্ন দাখিল আয়কর অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব
মন্তব্য করুন
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে টিআইএনের বিপরীতে ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর আদায়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘অংশীদারিত্বমূলক অংশগ্রহণ দেশের জনসাধারণের মাঝে সঞ্চারণের লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে রয়েছে, অথচ সরকার হতে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে- এমন সব করদাতার ন্যূনতম কর ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।’ কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য গুজব ছড়ানো হচ্ছে এমনভাবে যে ১৭ কোটি মানুষকেই কর দিতে হবে বা যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তাদের কর দিতে হবে। যা অসত্য এবং এটি সম্পূর্ণ একটি গুজব।
আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই- এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন। এর আগে দুপুর ৩ টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।