ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সোনালী ব্যাংক বিডিবিএল একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক আব্দুর রউফ তালুকদার
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
(ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার
মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায়
ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে
অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে
১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার
ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার (১২ মে) এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে
২২১টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।
এরআগে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ২০
পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর
সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে
সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম
স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান
করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ে ২৭টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানি শেয়ারের দর।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।