চলতি অর্থবছর
প্রায় শেষের দিকে। এর আগেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ধারণা করা
হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃত্তি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক
৮২ শতাংশ হবে। আর দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন
ডলার।
সোমবার (২০ মে)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
বিবিএস আরও জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার।
প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার। যা
এ বছর ৩৫ মার্কিন ডলার বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। বর্তমান টাকার হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা।
মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি
মন্তব্য করুন
ঈদ রেমিট্যান্স বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ ডলার
মন্তব্য করুন
নতুন বাজেটে প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও মা-বাবা ছাড়া অন্য কেউ কোনো উপহার দিলে তার ওপর কর বসবে। এমনকি নগদ অর্থ দিলেও কর আরোপ হবে। উপহার পেলে বছর শেষে আয়কর রিটার্নে করদাতাকে তা দেখাতে হবে। এমনকি উপহারদাতাকেও তাঁর রিটার্নে উপহার দেওয়ার বিষয়টি জানাতে হবে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স উপহার হিসেবে এলে তাও করের আওতায় পড়বে।
সৌদি আরব, মালয়েশিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আসে। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও রেমিট্যান্স আসে। দেখা গেছে, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী বা মা-বাবার ব্যাংক হিসাব ছাড়াও অনেক প্রবাসী ভাই-বোন, শ্যালক-শ্যালিকাসহ আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের ব্যাংক হিসাবেও বিপুল অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়ে থাকেন।
গ্রামগঞ্জে অনেক বয়স্ক মা-বাবার ব্যাংক হিসাব থাকে না, ছেলে-মেয়ে নাবালক হলে কিংবা স্ত্রীও ব্যাংক হিসাব খোলেন না অনেক সময়। ফলে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ভাইবোন-বন্ধুবান্ধবসহ আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক হিসাব। এ অর্থ বৈধ চ্যানেলেই আসে।
কিন্তু ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী বা মা-বাবার বাইরে ভাইবোন-বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক হিসাবে প্রবাসী আয় এলে তা ওই ব্যক্তির (প্রাপক) মূলধনি আয় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং নতুন বাজেটে অনুযায়ী তা করযোগ্য হবে। তবে ওই ব্যক্তিকে করের আওতায় থাকতে হবে। এই আয়কে উপহার হিসেবে ধরা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবে এ কথা বলা আছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকেরা তাঁদের ভাই-বোন, বন্ধুবান্ধবের কাছে রেমিট্যান্স পাঠান। এটি আমাদের বাস্তবতা। রেমিট্যান্সের অর্থে কর নেই। কিন্তু এনবিআরের নতুন প্রস্তাবে উপহারের যে মারপ্যাঁচ, তা রেমিট্যান্স নিয়ে সরকারের সার্বিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এনবিআরের এই উদ্যোগ পরিস্থিতি জটিল করবে।’
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর কোনো কর আরোপ নেই। তাই নতুন বাজেটে রেমিট্যান্সের অর্থের ওপর করারোপের বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে এনবিআর থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, করের পরিপত্র জারির সময় বিষয়টি পরিষ্কার করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রতিবছর বৈধ চ্যানেলে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে আসে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে বা অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে দেশে আসে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঈদ সরকারি ছুটি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নতুন বাজেটে প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও মা-বাবা ছাড়া অন্য কেউ কোনো উপহার দিলে তার ওপর কর বসবে। এমনকি নগদ অর্থ দিলেও কর আরোপ হবে। উপহার পেলে বছর শেষে আয়কর রিটার্নে করদাতাকে তা দেখাতে হবে। এমনকি উপহারদাতাকেও তাঁর রিটার্নে উপহার দেওয়ার বিষয়টি জানাতে হবে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স উপহার হিসেবে এলে তাও করের আওতায় পড়বে।