নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪২ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২১
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই ১৫ কোটি ৩০ লাখ কালো টাকা সাদা করেছেন ১২৩ ব্যক্তি। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সাদা করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাতে সাদা করা হয়েছে বাকি ১৫ কোটি টাকা। এ পরিমাণ অর্থ সাদা করার জন্য সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। শেয়ারবাজারে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সাদা করায় সরকার কর পেয়েছে ১ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা সাদা করায় সরকার কর পেয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে শেয়ার বাজার ও অন্যান্য খাতে প্রযোজ্য হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গেল ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে সংকুচিত বা কঠোর করা হয়েছে।
চলতি অর্থ বছরে সংশ্লিষ্টখাতে প্রযোজ্য হারে করের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের অর্থবছরে গড় ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
২০২০-২১ অর্থবছরে ১১ হাজার ৮৫৯ ব্যক্তি ২০৬ বিলিয়ন কালো টাকা সাদা করেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কালো টাকা সাদা করা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কালো টাকা সাদা করার গড় ট্যাক্স ১০ শতাংশ হিসেবে মোট ২০ বিলিয়ন টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য মতে, সাদা করা অর্থ শেয়ার বাজার, নগদ, ব্যাংক আমানত, বন্ড, ফ্ল্যাট, জমি ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে।
সাদা করা মোট অর্থের মধ্যে নগদ, ব্যাংক আমানত এবং অন্যান্য সিকিউরিটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমিতে বিনিয়োগ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কাঁঠালের বার্গার ইউরোপ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন
মন্তব্য করুন
চলতি ২০২৩-২৪
অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ছয় শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস
দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যদিও গেল এপ্রিলে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৩
অক্টোবর) রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এমন তথ্য
জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ নাজমুস
সাকিব খান।
প্রতিবেদনে
উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে
৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি
ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রবৃদ্ধি
হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক
বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, আর্থিক খাতের ঝুঁকি আর অনিয়শ্চয়তা
জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে আগামী অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি
আবার বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। তবে সেজন্য আর্থিক খাতে নীতি সংস্কারের
তাগিদ গিয়েছে সংস্থাটি। সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রকৃত অর্থে বাজার নির্ভর
করারর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্রাজিল, রাশিয়া,
ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) থেকে এই প্রথমবারের মতো ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশুদ্ধ
পানি সরবরাহের একটি প্রকল্পে ব্যাংকটি সাড়ে ৩২
কোটি ডলার দেবে। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার
কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক
সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, এই
ঋণপ্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শিগগিরই এনডিবির
বোর্ড সভায় উঠবে। অনুমোদন
হলে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ
ব্যাংকের (এআইআইবি) পরে নতুন আরেকটি
বহুজাতিক ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ
পাবে বাংলাদেশ।
ব্রাজিল,
রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ
আফ্রিকার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে জোটটির নামকরণ
হয়েছে ব্রিকস। এই জোটের নেতৃত্বে
২০১৪ সালে নিউ ডেভেলপমেন্ট
ব্যাংক (এনডিবি) গঠিত হয়। শুরুতে
ওই পাঁচ দেশই এনডিবির
সদস্য ছিল।
২০২১
সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিউ ডেভেলপমেন্ট
ব্যাংক-এর (এনডিবি) সদস্য হয় বাংলাদেশ। এনডিবি সদস্য হওয়ার দুই বছরের মাথায়
প্রথমবারের মতো ঋণ পেতে
যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সরকারি
কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী
মাসের মধ্যেই ঋণ অনুমোদন করা
হবে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
(এডিবি), ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ
ব্যাংক (এআইআইবি)—এই চার বহুপক্ষীয়
ঋণদাতা ব্যাংকের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে
প্রতিবছর ঋণ নেয় বাংলাদেশ।
ইআরডি
সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা
পানি সরবরাহ প্রকল্পে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের
কাছ থেকে ৩২ কোটি
ডলার ঋণ নিতে পারবে
বাংলাদেশ। এই প্রকল্পের মোট
খরচ ৪ হাজার ১১০
কোটি টাকা। ঢাকা ওয়াসা প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করবে। গত ২৯ আগস্ট
এই প্রকল্পের ধারণাটি অনুমোদন করেছে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
এখন ঋণপ্রস্তাবটি এনডিবি বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
ইআরডি
কর্মকর্তারা জানান, এই ঋণের সুদের
হার দুই থেকে আড়াই
শতাংশের মধ্যে থাকবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে
নতুন যুক্ত হওয়া ১৬টি ইউনিয়নে
পানি সরবরাহ–ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। গ্রাহকদের
জন্য নতুন লাইন বসিয়ে
পানির সংযোগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে
প্রকল্পটির মাধ্যমে পানির সরবরাহে ৭০ হাজার নতুন
সংযোগ দেওয়া হবে।
ইআরডির
অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন
বলেন, ঋণ নেওয়ার নতুন
আরেকটি উৎস হলো নিউ
ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এই ব্যাংকের ঋণে
কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।
এনডিবি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ ঋণ
মন্তব্য করুন