ইনসাইড ইকোনমি

তিনমাসে কালো থেকে সাদা হয়েছে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪২ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই ১৫ কোটি ৩০ লাখ কালো টাকা সাদা করেছেন ১২৩ ব্যক্তি। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সাদা করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাতে সাদা করা হয়েছে বাকি ১৫ কোটি টাকা। এ পরিমাণ অর্থ সাদা করার জন্য সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। শেয়ারবাজারে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সাদা করায় সরকার কর পেয়েছে ১ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা সাদা করায় সরকার কর পেয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে শেয়ার বাজার ও অন্যান্য খাতে প্রযোজ্য হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গেল ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে সংকুচিত বা কঠোর করা হয়েছে।

চলতি অর্থ বছরে সংশ্লিষ্টখাতে প্রযোজ্য হারে করের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের অর্থবছরে গড় ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

২০২০-২১ অর্থবছরে ১১ হাজার ৮৫৯ ব্যক্তি ২০৬ বিলিয়ন কালো টাকা সাদা করেছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কালো টাকা সাদা করা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কালো টাকা সাদা করার গড় ট্যাক্স ১০ শতাংশ হিসেবে মোট ২০ বিলিয়ন টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করেছে।  

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য মতে, সাদা করা অর্থ শেয়ার বাজার, নগদ, ব্যাংক আমানত, বন্ড, ফ্ল্যাট, জমি ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে।

সাদা করা মোট অর্থের মধ্যে নগদ, ব্যাংক আমানত এবং অন্যান্য সিকিউরিটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমিতে বিনিয়োগ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের এখন বৈদেশিক মুদ্রার নিট মজুত কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং যা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার প্রকৃত হিসাব মিলছে না। ব্যালান্স অব পেমেন্টে বা লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে এ তথ্য দেন এই অর্থনীতিবিদ। 

দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার একটি কারণ বহিস্থ বলে উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন। বলেন, এই বহিস্থ কারণের বড় দিক হচ্ছে ডলারের দাম। ইউএস ডলার ইনডেক্সের মান ২০২১ সালেও ১০০-এর নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা ১০০-এর ওপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমলেও এখনো তা ১০০-এর ওপরে রয়েছে।

দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং কত মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব রিজার্ভ দিয়ে মিলছে না বলে অভিযোগ করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ধনাত্মক, আবার কখনো ঋণাত্মক। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই হিসাব বেশ কিছুদিন ধরে ঋণাত্মক। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো, আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে।’

বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। জাহিদ হোসেন মনে করেন, সে কারণে অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, এতে যেমন বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার কমছে, তেমনি রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এসব কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬-এর সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

অনুষ্ঠানে জাহিদ হোসেন আরও বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে বৈশ্বিক কারণের সঙ্গে দেশীয় কারণও আছে। সেটা হলো সরকারের নীতি পরিবর্তন। সরকারের অগতানুগতিক নীতির কারণে গত ২৪ মাস বা ২ বছরে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২ সাল থেকে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহও কমছে। ২০২২ সালে যেখানে মাসে ২০০ কোটি ডলার আসত, সেখানে ২০২৩ সালের প্রথম ৩ ত্রৈমাসিকে দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির সভাপতি ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ।


নিট রিজার্ভ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ কাঁঠালের বার্গার যাচ্ছে ইউরোপে

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ০৩ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

অবাস্তব শোনালেও এটি এখন বংলাদেশের একটি রপ্তানি আইটেম। আইসল্যান্ডের চেইন সুপারশপ আইসল্যান্ড সুপারস্টোরে রপ্তানি হচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ পিস কাঁঠালের বার্গার অর্ডার করেছে সুপারশপটি। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঁঠাল খাওয়ার একাধিক উপায় তুলে ধরেন। তিনি তুলে ধরেন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাঁঠালের গুরুত্ব। তারপর থেকেই আলোচনার সৃষ্টি কাঠলের বার্গার নিয়ে। এবার শুধু আলোচনায় নয় বাংলাদেশের রপ্তানির ঝুড়িতে যোগ হওয়া নতুন আইটেম এখন কাঁঠালের বার্গার।

খাদ্য পরীক্ষাগারে গবেষকদের সাফল্যের পর বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয় পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।

জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে কাঁঠালের বার্গার অন্যতম।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিওটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ করা হয়েছে ১.৮৯ কোটি টাকা; এরমধ্যে পিকেএসএফ দিয়েছে ১.৪৪ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দিচ্ছে সিডিআইপি।

সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, কাঁঠালের বার্গার উৎপাদন কারখানায় পিকেএসফ শুধু অর্থায়নই করছে না, আইসল্যান্ড থেকে যে রপ্তানি অর্ডার এসেছে, তাতেও পিকেএসএস সহায়তা করছে। আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি পিকেএসএফের মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি‍ বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এ ইতোমধ্যেই কাঁঠালের বার্গারের খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে। বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের পেটিতে ৯.৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮.৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯.৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে বলে জানা যায়।

পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালো ভাবের দিক দিয়ে মাংসের পেটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের পেটি। বিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।

ইতোমধ্যে আইসল্যান্ড সুপারস্টোর বাংলাদেশকে এই কাঁঠাল আমদানির অর্ডারও দিয়েছে। বিশ্ববাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও এটি জনপ্রিয় করার উদ্যোগ রয়েছে, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ১৮,৯৩,৩০৩ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে এ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, পণ্য বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে সারাবছর কাঁঠালের পণ্য বিপণন সম্ভব হবে। এতে কাঁঠালের ভ্যালু অ্যাডিশন বা মূল্য সংযোজন কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাণিজ্য এবং মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রক্রিয়াজাত ফলের রেসিপিতে উদ্যোক্তা তৈরির মিশন রয়েছে পিকেএসএফের। এমন অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খাদ্য প্রযুক্তিবিদ ড. মো. গোলাম ফেরদৌস দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা যেকোনো ফল বা সবজি প্রক্রিয়াজাত করলে তাতে কমপক্ষে দ্বিগুণ ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। কিন্তু, কাঁঠালের ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডিশন বহুগুণ হতে পারে।"

তিনি বলেন, কাঁঠাল সর্বগুণে গুণান্বিত একটি ফল। আমরা শুধু পাকা কাঁঠালই খাই। কিন্তু কাঁচা কাঁঠালের যে অনেক ব্যবহার আছে এবং এটি দিয়ে অনেক ধরনের পণ্য তৈরি করা যায়, তা আমাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা। এতে আমাদের দেশের প্রচুর কাঁঠাল অপচয় হচ্ছে। এই অপচয় রোধ করতে হলে কাঁচা থাকা অবস্থায়ই এর ব্যবহার শুরু করতে হবে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, কাঁঠালে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। যে পুষ্টি অন্য ফলে পাওয়া যায় না সেটি কাঁঠালে পাওয়া যায়। কাঁঠালের ক্যালোরি ভ্যালু অনেক বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে।

পিকেএসএফ ও সিডিআইপির কর্মকর্তারা জানান, বার্গারের পেটি তৈরিতে শতকরা ৫৮ ভাগ কাঁঠাল এবং ২০ ভাগ ময়দা/কর্ণ ফ্লাওয়ারের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২২ ভাগ উপকরণ হিসেবে পিঁয়াজ, আদা, ধনে পাতা, কারি পাউডার, চিলি পাউডার ইত্যাদির ব্যবহার হয়েছে।

মো. ফজলুল কাদের জানান, কাঁঠারের শুধু বার্গার নয়, ফলটি দিয়ে আরও কিছু পণ্য উৎপাদের পরীক্ষামূলক কাজ চলছে।

কাঁঠালের জুসকে ম্যাঙ্গো জুসের মতো জনপ্রিয় করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কাঁঠালের জুস তৈরি করেছে পিকেএসএফ। এছাড়া মিয়ানমারে কাঁঠালের বিরিয়ানি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি, কাঁঠালের বিচি ক্যান্সার প্রতিরোধক, যা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত।

কাঁঠালের বার্গার   ইউরোপ   পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ০৩ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ছয় শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যদিও গেল এপ্রিলে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এমন তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাকিব খান।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, আর্থিক খাতের ঝুঁকি আর অনিয়শ্চয়তা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে আগামী অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। তবে সেজন্য আর্থিক খাতে নীতি সংস্কারের তাগিদ গিয়েছে সংস্থাটি। সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রকৃত অর্থে বাজার নির্ভর করারর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।


জিডিপি   প্রবৃদ্ধি   বিশ্বব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

৪১ মাসের মধ্যে রেমিট্যান্স সর্বনিম্ন

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে বড় ধরনের ধস নেমেছে। গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশের প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এর চেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। 

রোববার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত বছরের একই মাসে যা ছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।

এর আগে গত জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগস্টে যা ছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুনে রেকর্ড ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসে। একক মাস হিসেবে তা ছিল প্রায় ৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি। ফলে কিছু লাভের আশায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাহ কমেছে। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। যার হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর অনেকটাই রিজার্ভের উত্থান-পতন নির্ভর করে।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এনডিবি থেকে প্রথম ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:১৬ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) থেকে এই প্রথমবারের মতো ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের একটি প্রকল্পে ব্যাংকটি সাড়ে ৩২ কোটি ডলার দেবে। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, এই ঋণপ্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শিগগিরই এনডিবির বোর্ড সভায় উঠবে। অনুমোদন হলে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) পরে নতুন আরেকটি বহুজাতিক ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ পাবে বাংলাদেশ।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে জোটটির নামকরণ হয়েছে ব্রিকস। এই জোটের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) গঠিত হয়। শুরুতে ওই পাঁচ দেশই এনডিবির সদস্য ছিল।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এর (এনডিবি) সদস্য হয় বাংলাদেশ। এনডিবি সদস্য হওয়ার দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী মাসের মধ্যেই ঋণ অনুমোদন করা হবে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)—এই চার বহুপক্ষীয় ঋণদাতা ব্যাংকের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর ঋণ নেয় বাংলাদেশ।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা পানি সরবরাহ প্রকল্পে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছ থেকে ৩২ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পের মোট খরচ ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা। ঢাকা ওয়াসা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। গত ২৯ আগস্ট এই প্রকল্পের ধারণাটি অনুমোদন করেছে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এখন ঋণপ্রস্তাবটি এনডিবি বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায়।

ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, এই ঋণের সুদের হার দুই থেকে আড়াই শতাংশের মধ্যে থাকবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৬টি ইউনিয়নে পানি সরবরাহ–ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। গ্রাহকদের জন্য নতুন লাইন বসিয়ে পানির সংযোগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে প্রকল্পটির মাধ্যমে পানির সরবরাহে ৭০ হাজার নতুন সংযোগ দেওয়া হবে।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, ঋণ নেওয়ার নতুন আরেকটি উৎস হলো নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এই ব্যাংকের ঋণে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।


এনডিবি   নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক   বাংলাদেশ   ঋণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন