নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২১
দেশের মাথাপিছু আয়ের সাথে সাথে বেড়েছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি। বাংলাদেশের মোট জিডিপির পরিমাণ এখন ৩৪ হাজার ৮৪০ টাকা বা ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই সাথে দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) শেরে বাংলানগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া মাথাপিছু আয় ও মোট জিডিপিসহ সব তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়।
এম এ মান্নান বলেন, অর্থনীতির ভিত্তি বছর সংশোধন করেছি। আমরা ছিলাম ২০০৫-০৬ সালে। এখন ভিত্তি বছর ২০১৫-১৬ বছরে নিয়ে এসেছি। এতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। মোট জিডিপির আকার ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। যা টাকার অংকে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন, স্বাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৮ বছর হয়েছে। অন্যদিকে, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’
মন্তব্য করুন
চলতি (২০২২-২৩)
অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রেকর্ড ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি
করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২
বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার
(২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এক সংবাদ
সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,
দীর্ঘদিন ধরে চলমান ডলার সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরও
সংকট কাটছে না। ফলে জরুরি আমদানির দায় মেটাতেই রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা দিতে হচ্ছে।
তবুও আটকে থাকছে কোটি কোটি টাকার পণ্য।
তিনি বলেন,
ডলার সংকটে আমদানিকারকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না অনেক ব্যাংক। এসব সমস্যার সমাধান
দিতে ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে বৈদেশিক
মুদ্রার মজুত থেকে ডলার সহায়তা দেওয়ার কারণে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স
বাড়ার পরও রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে
ডলার বিক্রি করেছে। ফলে দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে অবস্থান
করছে।
অন্যদিকে ব্যাংক
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিতে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে
রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭৬২ কোটি বা ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের
২০২০-২১ অর্থবছরে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে উল্টো প্রায় ৮০০ কোটি বা ৮
বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের
সাত মাসেই ৯২০ কোটি ডলার বা ৯.২০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তবে রেমিট্যান্স ব্যাংকিং
চ্যানেলে আরও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি রপ্তানিও বাড়াতে পারলে দেশের ডলার সংকট কমে আসবে।
অন্যদিকে সদ্যবিদায়ী মাস জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
ডলার বিক্রি রিজার্ভ বাংলাদেশ অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনারোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিদর্শনকৃত যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ২৫ শতাংশের কম স্কোর করেছে, তাদেরকে আগামী তিন মাস সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। এরমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নয়ন না ঘটলে সেসব কোম্পানিকে সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এছাড়াও, আরও ২০৬টি প্রতিষ্ঠান মানদণ্ডের ৫০ শতাংশ স্কোর করায় সেসব কোম্পানিকে আগামী ছয় মাস সুযোগ দেয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ে পরিবেশের উন্নয়ন না ঘটলে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
পরিদর্শনকৃত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তাদের বিদ্যমান ত্রুটিসমূহ অবগত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সংশোধন করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ, বিভাগীয় কমিশনার/জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণসহ সংশ্লিষ্ট সকল এসোসিয়েশনকে পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং প্রদত্ত নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ’-এর লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি’র দ্বিতীয় সভা শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কলকারখানা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। আরও ১০ হাজার শিল্প-কলকারখানা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের জনবল ও কার্য অধিক্ষেত্র বৃদ্ধির মাধ্যমে এটিকে একটি কর্তৃপক্ষে রূপান্তরিত করার বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জানান, ২০২০ সালে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ প্রণীত হয়েছে এবং এর কার্যকর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ) গঠনের আবশ্যকতার বিষয়টি সভায় আলোচিত হয়। ‘বিবিআরএ’ এর আওতায় ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত সকল নকশা অনুমোদন ও ভবন নির্মাণ তদারকি কাজ সম্পন্ন হলে বর্তমানে বিদ্যমান পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হবে বলে সকলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এ সময় সভার সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা স্বল্পতম সময়ে সংস্থা গঠন ও এর কাযক্রম শুরুর জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানালে উপস্থিত পূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব) জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুত পূর্বক ‘বিবিআরএ’ গঠন ও কার্যকর করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সেই সাথে এ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ধন্যবাদ জানান তারা।
শিল্প প্রতিষ্ঠান নিরাপদ কর্মপরিবেশ সরকার বদ্ধ পরিকর সালমান এফ রহমান
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের
প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায়
(প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) এর মুল্য ২০ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বেশি। এর আগের মাস
ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে
এ তথ্য জানা গেছে।
রেমিট্যান্সের
ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে
জানান, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য
রেমিট্যান্সে প্রণোদনাও বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগ কাজে আসছে।
এখন বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে।
তিনি বলেন,
আমাদের সামনে দুইটি ধর্মীয় উৎসব (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) রয়েছে। এ দুই উৎসবকে কেন্দ্র
করে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে। কারণ প্রবাসীরা নিজ পরিবারের কেনাকাটায় এ সময়ে বেশি
অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। এতে দেশের ডলার সংকটও কিছুটা কেটে যাবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও
ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
প্রতিবেদন বলছেন, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের
মাস ডিসেম্বরে এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মাসের চেয়ে জানুয়ারিতে ২৫
কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি এসেছে ২৫
কোটি ৪৩ লাখ ডলার। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার মিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনারোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিদর্শনকৃত যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ২৫ শতাংশের কম স্কোর করেছে, তাদেরকে আগামী তিন মাস সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। এরমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নয়ন না ঘটলে সেসব কোম্পানিকে সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
একাধিক ধাক্কা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে এবং জীবনযাত্রার মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতিতে অবিচল অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারি এবং পরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এই দীর্ঘসময়ের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।