নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন। আগামী ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ প্রক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এ বছরও বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ হচ্ছে না। ফলে এ gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন ফি ১১০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি ১৫ ডিসেম্বর এবং বেসরকারি স্কুলের লটারি হবে ১৯ ডিসেম্বর।
গত ১৬ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২২ সালের স্কুলে ভর্তি বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ ও ফি প্রদান সংক্রান্ত কাজ করতে হবে।
ভর্তিতে মানতে হবে যেসব শর্ত—
সরকারি বিদ্যালয়
ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি শাখা থাকবে। এবার জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজ হয়। এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজ হবে।
আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীর আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
বেসরকারি বিদ্যালয়
ঢাকা মহানগরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। এছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
মন্তব্য করুন
নতুন বই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
মন্তব্য করুন
নতুন
শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধনে বিশেষজ্ঞদের
নিয়ে একটি এবং জাতীয়
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের
(এনসিটিবি) কেউ ইচ্ছাকৃত বা
অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল করেছে কিনা
তার তদন্ত করতে আরেকটি কমিটি
গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
২০২৩
সালের নতুন পাঠ্যবইয়ে নানা
ভুল ও অসঙ্গতি নিয়ে
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ক’
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা
দেন।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, কোনো ধরনের ধর্মীয়
ও লিঙ্গ বিদ্বেষ যাতে না থাকে
আমরা সেই চেষ্টা করেছি।
আওয়ামী লীগ ধর্মীবিরোধী কিছু
করেনি। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে
আঘাত হানার ইচ্ছা আমাদের নেই।
তিনি
বলেন, আমরা দুটি কমিটি
তৈরি করেছি। একটি কমিটি বিশেষজ্ঞদের
নিয়ে। সেখানে স্বাস্থ্য, ধর্মীয়, পেশাগত বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যে কেউ যেকোনো
জায়গা থেকে যে কোনো
মতামত দিতে পারবেন। বিশেষজ্ঞ
কমিটি তা যাচাই-বাছাই
করে সংশোধন করবে। কোথাও ভুল থাকলে নিশ্চয়ই
সংশোধন করা হবে। কারো
কোনো অস্বস্তি থাকলে তা বিবেচনায় নেব।
দীপু
মনি জানান, আরেকটি কমিটি…। এনসিটিবিতে কেউ
ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু
করে থাকলে তা তদন্ত করে
কারো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই কঠোর
ব্যবস্থা নেব।
আগামী
রোববারের মধ্যে কমিটি দুটির বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান
শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
সচিবরা।
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেছেন, কোনো ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সরাতে কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম
ও পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভর করার চেষ্টা করছেন। তাদের নিয়ে করুণা করা যায়। পাঠ্যপুস্তক
নিয়ে তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার, সেটি মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন,
পাঠ্যবইয়ে যেসব ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো
হয়েছে। বাকি বইগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত আছে। সবাই মতামত দিন। যেসব মতামত যৌক্তিক হবে
সেগুলো গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (২৩
জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণ
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, আমি সবার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত যে, শুধু শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় বা
শিক্ষা বোর্ড নয়, দেশের সব মানুষ পাঠ্যবই পড়ছেন। আমি চাই, এটি তারা আরও সূক্ষ্মভাবে
দেখুন। যত গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ রয়েছে আমাদের দিক, আমরা খোলা মনে সব পরামর্শ
বিবেচনা করবো। যৌক্তিক মনে হলে পরিমার্জন, পরিশোধন, পরিশীলন করা হবে। এটি আমি দায়িত্ব
নিয়ে বলছি।
তিনি বলেন,
কেউ কেউ বই না পড়ে, না দেখে শোনা কথায় কান দিয়ে অপরাজনৈতিক হিংসা ও বিদ্বেষের বশে সমালোচনা
করছেন। তারা এ সরকারকে চায় না। স্মার্ট বাংলাদেশ নয়, তারা চায় পাকিস্তান। এরকম একটি
গোষ্ঠী বলছে, নতুন বইয়ে ইসলাম নেই, যা আছে ওটা নাকি ইসলামবিরোধী। আমি তাদের উদ্দেশে
বলতে চাই, আপনার আশপাশে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে
বই আছে, ভালো করে দেখে নিন। চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে চিলের পেছনে না ছুটে নিজের চোখে
আগে দেখুন।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, আমাদের এবারের বইগুলো শিক্ষক, অভিভাবক-শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানীর
পরামর্শ নিয়ে করা হয়েছে। আমরা তো মানুষ, আমাদের ভুল হতে পারে। ৩৫ কোটি বই ছাপা হয়,
এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর বিদ্যুতের সমস্যা, কাগজের সংকট ছিল। প্রকাশকদের নিয়েও
নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। যেখানে ভুল থাকবে, যেখানে ধরা পড়বে আমরা সব যৌক্তিক
ভুল সংশোধন করব। কিন্তু যারা মিথ্যাচার করছেন, তা মেনে নেওয়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গের
বাতিল করা একটি বইয়ের বর্ণপরিচয় থাকা একটি পৃষ্ঠার সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে যে
আমি পৌত্তলিকতা শেখাচ্ছি। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে জীবনের হুমকি দেওয়া
হলে সেটি সামাজিকতা নয়।
যেসব শিক্ষক
সামান্য সম্মানীর বিনিময়ে দিনের পর দিন কষ্ট করে বইগুলো সম্পাদনা করেন তাদের যদি হুমকি
দেওয়া হয় তাদের আমি কি বলব— প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার সহ্য করা
হবে না। যা যৌক্তিক, সঠিক আমরা তা নিশ্চয়ই গ্রহণ করব। কোনো ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনা
সরকারকে সরাতে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপরে ভর করার চেষ্টা যারা করছেন তাদের
নিয়ে করুণা করা ছাড়া সাধ্য নেই। কারণ তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার। যেসব ভুল এখন পর্যন্ত
পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
নবম-দশম শ্রেণির
বই নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, এটি গত ১০ বছর পরে ধরা পড়ছে। এটি দেশের একজন
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সংশোধন করেছেন। তিন দফায় সংশোধন করা হলেও সেই ভুল রয়ে গেছে। সেটি
এবার সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার করার আহ্বান
জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
এমবিবিএস ও বিডিএস ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ২৯ জানুয়ারি একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২২-২৩ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে বা হতে পারে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একটি সভা স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের মিনি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা সভা জানুয়ারি
মন্তব্য করুন
কুয়াশায় ছাওয়া
সকাল। স্কুল মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ ঠিকঠাক ঠাহরে আসে না। মাঠের ভেতর শুধু একটা আবছা
অবয়বের নড়াচড়া। কিছু শিশু গোল হয়ে ঘুরছে। দূর থেকে কেউ ডাকছে- ‘মালা, ও মালা...’।
কাছে যেতেই
উজ্জ্বল হয়ে উঠলো মুখগুলো। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালেও ওদের মুখাবয়বে যেনো আলোকিত দিনের আভা।
মুন্সীগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে যেনো আলোর মেলায় পরিণত করেছে
ওরা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক নিলুফা আফরোজ হেসে বললেন- ‘বছরের এই শুরুতে, এমন
শীতের দিনেও সব বাচ্চা স্কুলে এসেছে। উপস্থিতির হার এখন প্রায় একশ ভাগ।’
এই চিত্র কেবল
মাঠপাড়া স্কুলের নয়। পুরো মুন্সীগঞ্জ শহরই জানান দিচ্ছে, প্রতিটা সরকারি স্কুল কয়েক
বছর আগের চেয়ে এখন অনেক জমজমাট। আজকাল শিশুদের ঝরে পড়া আর অনুপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে সরকারি স্কুলগুলো। আর এ জন্য সরকারের
উপবৃত্তি কার্যক্রমকে অন্যতম সহায়ক হিসেব চিহ্নিত করলেন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা।
সম্প্রতি বরিশাল
ও ঢাকার কিছু সরকারি স্কুল ঘুরে এই অভিজ্ঞতাই পাওয়া গেলো।
শিল্প কারখানার
শ্রমিক ও আলু চাষের কৃষক হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুন্সীগঞ্জে এসে বসত গড়েছেন
লাখো মানুষ। একটা সময় তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতো না। তার চেয়ে ছেলে বা মেয়েটিকে
কাজে দেওয়াই লাভজনক মনে করতো।
ওই মানসিকতার
বিপুল পরিবর্তন এনেছে উপবৃত্তি। মুন্সীগঞ্জ সদরের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ
নাসিমা খানম বলছিলেন- ‘এটা মূলত একটা শিল্প এলাকা। এখানে এ ছাড়া প্রচুর আলু চাষ হয়।
ফলে বাইরে থেকে অনেক শ্রমিক ও কৃষক আসে। তাদের পরিবারগুলো থেকে আগে শিশুরা বিদ্যালয়ে
আসতে কম আগ্রহ পেতো। এখন আমরা জরিপ করে দেখতে পাই, এসব পরিবারের সব শিশু বিদ্যালয়ে
আসছে। এর কারণ অবশ্যই উপবৃত্তি।’
এরকমই একটি
পরিবার আক্কাস আলীর পরিবার। তার আদি বাড়ি যশোর। তিনি এখানে একটি কারখানায় চাকরি করেন।
একমাত্র সন্তান আয়েশা সিদ্দিকী বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। এই মেয়েকে স্কুলে দেওয়ার
কথা তিনি ভাবতেও পারতেন না। কিন্তু সরকার থেকে উপবৃত্তি পাওয়ায় আক্কাস এখন তার মেয়েকে
স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
আয়েশার মা সুলতানা
বলছিলেন, ‘আগে তো মাইয়াডারে স্কুলে পাঠানির কথা ভাবতাম না। আমাগো সেই সামর্থও ছিলো
না। কিন্তু এহন সরকার আরও অনেক সুবিধা দিচ্ছে আমার প্রতিবন্ধী মাইয়ারে। আর স্কুলেও
এহন উপবৃত্তি দিতেছে। সরকাররে আমার ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নাই। নগদ-রেও অনেক ধন্যবাদ।’
আয়েশার মতো
উপকারভোগীরা উপবৃত্তি কার্যক্রম ঠিকঠাক চালিয়ে নেওয়ার জন্য নগদ-কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।
নগদ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উপবৃত্তি বিতরণ করছে। তারা ব্যাপারটা শুধু যে পুরোপুরি ডিজিটাল
করেছে, তাই নয়। এখন উপবৃত্তি না পাওয়ার অভিযোগ নেই বললেই চলে।
এ কারণেই নগদ
নিয়ে বলতে গিয়ে মোসাম্মাৎ নাসিমা খানম বলছিলেন, ‘মোবাইল সেবা ‘নগদ’ এই সেবাটা দিচ্ছে।
তারা খুব ভালোভাবে কাজটা করছে। আমার এই উপজেলায় খুব স্বচ্ছতার সঙ্গে উপবৃত্তি বিতরণ
হচ্ছে। অনিয়ম দেখছি না। এখানে শিশুরা খুব ভালোভাবে টাকা পাচ্ছে। ফলে আমি নগদ-কে ধন্যবাদ
দেবো। আশা করবো, এভাবেই তারা দেশের শিক্ষার জন্য কাজ করে যাবে।’
মন্তব্য করুন