নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী মেফতাহুল আলম সিয়াম এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বুয়েটের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে দেখা যায় যে, বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইউআরপি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন মেফতাহুল আলম সিয়াম। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ৫০৬১৫। তাছাড়া আর্কিটেকচার বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে নাবিলা তাবাসসুম নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ৯০৩১৯।
জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণিতে মেফতাউল আলমের রোল নম্বর ছিল ২৫২। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উঠে এক লাফে সেটি হলো ২০। তবে মাধ্যমিক স্তরে ওঠার পর থেকেই পড়াশোনায় মন দিয়েছিলেন মেফতাউল। ফলও পেয়েছিলেন হাতেনাতে। অষ্টম শ্রেণিতে ক্লাসের সেরা হয়েছিলেন মেফতাউল। এরপর আর সেরার অবস্থান হাতছাড়া হয়নি তার। সবশেষ এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও সবাইকে তাক লাগিয়েছেন তিনি।
বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকার বাসিন্দা মেফতাউলের বাবা খোরশেদ আলম অবসরপ্রাপ্ত এনজিও কর্মকর্তা আর মা মুনজিলা আলম গৃহিণী। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন। এ ছাড়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম আর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৯তম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ার এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
মেফতাউল বলেন, ঢাবি আর আইইউটিতে প্রথম হলেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হতে পারব কি না, সেটি নিয়ে সংশয় ছিল। জেলা শহরের কলেজ থেকে পাস করে দেশের নামকরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে। তবে আমি সব সময় আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, কেউ মেধাবী হয়ে জন্মায় না। সবার ভেতরেই মেধা সুপ্ত ও ঘুমন্ত থাকে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিজের সুপ্ত মেধাকে জাগানোর জন্য সাধনা করতে হবে। স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে। আর পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পৃথিবীকে জানতে হবে। তাহলেই সাফল্য মিলবে বলে বিশ্বাস করেন মেফতাউল।
বুয়েটে প্রথম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে পড়তে চান তিনি। এ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে তার।
মেফতাউল জানান, এ সাফল্যের পেছনে মায়ের পরিশ্রম আর বাবার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। তবে চিকিৎসক-প্রকৌশলী হতেই হবে, পরিবার থেকে এমন কোনো চাপ ছিল না। মা-বাবা পড়াশোনার ব্যাপারে সব সময় স্বাধীনতা দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চার মতো সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলা অলিম্পিয়াড এর মতো আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে। সেজন্য তারা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাবার যোগ্য।’
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ আয়োজিত '১২তম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড-২০২৩' এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও জাতি বৈচিত্র্যময় এদেশে কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ শিক্ষক, কেউ সরকারি কর্মকর্তা, কেউ গবেষক হবে বা তাদের পছন্দনীয় পেশা বেছে নেবে। কিন্তু সকলের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। সেটি হলো উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সে আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো। যে কোনো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই মুখ্য।’
তিনি বলেন, বিজয়ী ও বিজিতদের মধ্যে ব্যবধান সামান্য। প্রতিমন্ত্রী এসময় ১২তম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীসহ অংশগ্রহণকারীকে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল এর চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ জলদোশভ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. হাকিম আরিফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ এর অধ্যক্ষ রোকসানা জারিন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মতো এবারও ইংরেজি মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন স্কুলের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মহা আড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড। সারা দেশের প্রায় একশ'টি স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এবারের দ্বাদশ আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড ২০২৩ ছিল অত্যন্ত জমজমাট। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত উত্তরায় স্কুল প্রাঙ্গণে দ্বাদশ আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। ৭০টি স্কুলের ৯০টি শাখা এ বছর বাংলা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলা অলিম্পিয়াডের যুগপূর্তিতে এসে এ বছরই প্রথমবারের মতো সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পদ্মা হলে ‘হোয়াইট বাংলা’ কর্তৃক আয়োজিত ‘৩য় প্রিয় বাসিণী বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক
বৃত্তি পরীক্ষার ফল তৈরিতে গাফিলতির
দায়ে ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক, প্রশাসন, প্রশিক্ষণ এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) পরিচালক ও আইএমডির প্রকৌশলী।
বুধবার (১৫ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিন দুপুরে এ সংক্রান্ত ফাইলের নথি অনুমোদন করেছেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ডিপিই মহাপরিচালক ও তিন পরিচালককে শোকজ করা হচ্ছে। আর প্রকৌশলী অনুজ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে ক্রটির হওয়ার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের অপরাধ প্রমাণিত করে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ বিভাগীয় মামলা করা হবে।
সূত্র জানায়, দুই কমিটি প্রতিবেদনে বৃত্তির ফলাফল তৈরির কাজের সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রমাণ পেয়েছে। তার মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন ও ফলাফল তৈরি কার্যক্রমের প্রধান ডিপিই’র পরিচালক (প্রশাসন) এস এম আনছারুজ্জামানসহ আইএমডি বিভাগের দুই জন এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের একজন আছেন। মহাপরিচালকও দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ দিয়েছেন বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।
জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে, সে জন্য সর্তকতামূলক কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী
বছর থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের
একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষা হবে। জাতীয় মেধা
তালিকা হবে, সেই তালিকা
অনুসারে ভর্তি হবে।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দৌলতপুর কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধনের পরে
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
এ কথা বলেন।
তিনি
বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং একেবারেই
নিষিদ্ধ, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
থেকে র্যাগিং বন্ধ
করার চেষ্টা করছি। অন্যান্য সামাজিক সমস্যার মতই একটি সমস্যা
র্যাগিং। শুধু আইন করে
কিংবা শিক্ষকদের দিয়ে হবে না।
র্যাগিং বন্ধে মানসিকতা ও একটি সংস্কৃতি
গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, আইন থাকার পরও
বিশ্বের অনেক জায়গায় এখনো র্যাগিং হয়।
এতে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন
ধ্বংস হয়ে যায়। এটি
কারো কাম্য নয়। এটি বন্ধে
সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে,
এতে গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে।
এ সময় তিনি আরো
বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে হয়রানি ও ব্যয় কমেছে।
তবে নতুন কোনো সিস্টেম
চালু করতে গেলে সেখানে
কিছু সমস্যা হতে পারে, এ
ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হচ্ছে।
এর আগে তিনি জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন করেন
এবং মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর
রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল
কবির, স্থানীয় দৌলতপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আ.ক.ম সরওয়ার
জাহান বাদশা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে।
এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনও প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট
নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
অধিদপ্তর। বরং এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের
গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে
পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনও পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনও রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ‘সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চার মতো সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলা অলিম্পিয়াড এর মতো আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে। সেজন্য তারা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাবার যোগ্য।’
সূত্র জানায়, দুই কমিটি প্রতিবেদনে বৃত্তির ফলাফল তৈরির কাজের সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রমাণ পেয়েছে। তার মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন ও ফলাফল তৈরি কার্যক্রমের প্রধান ডিপিই’র পরিচালক (প্রশাসন) এস এম আনছারুজ্জামানসহ আইএমডি বিভাগের দুই জন এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের একজন আছেন। মহাপরিচালকও দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ দিয়েছেন বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষা হবে। জাতীয় মেধা তালিকা হবে, সেই তালিকা অনুসারে ভর্তি হবে। আজ বুধবার (১৫ মার্চ) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দৌলতপুর কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনও রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।