ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারাইন তাণ্ডবে ফাইনালে কুমিল্লা

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail নারাইন তাণ্ডবে ফাইনালে কুমিল্লা

আইপিএলের আসন্ন মৌসুমকে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে ওপেনিংয়ে জায়গা পেয়েই রুন্দ্রমূর্তি ধারণ করলেন সুনীল নারাইন। ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করে যেন এই বার্তাই দিলেন যে, তিনি ফুরিয়ে যাননি।

বিপিএলে রেকর্ডের পাতা তছনছ করেছেন তিনি। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৩ বলে অর্ধশতক করে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে পঞ্চাশ করার রেকর্ড গড়েন এই ক্যারিবীয়। নারাইনের ব্যাটিং ঝড়ে লণ্ডভণ্ড চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করে ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায় অধিনায়ক আফিফ হোসেনের দল। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নারাইনের ১৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

৪৩ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ের ফলে ফাইনালের টিকিট পেল কুমিল্লা। যেখানে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মেগা ফাইনালে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লড়বে ইমরুল কায়সের দল।

লক্ষ্য তেমন বড় ছিল না। ফাইনালের টিকিট পেতে কুমিল্লার ১২০ বলে দরকার ছিল ১৪৯ রান। চট্টগ্রামের পেসার শরিফুল ইসলাম ইনিসের প্রথম বলে লিটন দাসকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর নারাইন ব্যাট হাতে যে তাণ্ডব চালালেন, তা রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে নেমে আসে চট্টগ্রাম শিবিরে। শরিফুলকে ছক্কায় উড়িয়ে শুরু তার তাণ্ডব। ওই ওভারেই চলে আসে আরো দুই চার। 

দ্বিতীয় ওভারে নারাইনের তোপের মুখে পড়েন মিরাজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ডিপ কভার দিয়ে দুই ছক্কা হাঁকান তিনি। চতুর্থ বলে ওই একই জায়গা দিয়ে চার। পঞ্চম বলে মিরাজকে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটার। ২ ওভারেই কুমিল্লার রান ৪৩। নারাইন যতক্ষণে থামলেন, ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে চট্টগ্রাম। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৩ বলে অর্ধশতক করে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সবচেয়ে বলে পঞ্চাশ করার রেকর্ড গড়েন এই ক্যারিবীয়।

পরে ৫টি চার ও ৬ ছক্কায় মাত্র ১৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন নারাইন। ইমরুল কায়েস ২৪ বলে ২২ রান করে হাওয়েলের শিকার হলেও বড় জয় আটকানো যায়নি কুমিল্লার। ফাফ ডু প্লেসির ২৩ বলে অপরাজিত ৩০ রানের সঙ্গে মঈন আলীর শেষদিকে ১৩ বলে ৩০ রানের তাণ্ডবে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কুমিল্লা। এই জয়ের ফলে ফাইনালের টিকিট পেল কুমিল্লা। যেখানে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে বরিশালের বিপক্ষে লড়বে কুমিল্লা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকস আর জাকির হাসানের ব্যাটে ভালো শুরু পায় চট্টগ্রাম। তবে সেই তালটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি দুই জন। ২২ বলে তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩১ রান। শহিদুলের বলে ৯ বলে ১৬ রান করা জ্যাকস আউট হলে ভাঙে এই জুটি। জাকির অবশ্য দেখে শুনে খেলতে গিয়েই ফেরেন সাজঘরে। মঈনের প্রথম শিকারে যখন পরিণত হন তিনি, তখন নামের পাশে ১৯ বলে ২০ রান।

দুই ওপেনারের মাঝে আরো একটি বড় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচটি জেতানোর নায়ক চ্যাডউইক ওয়ালটন ফেরেন মাত্র ২ রান করে। এরপর আফিফ হোসেন (১০), শামীম পাটোয়ারীও (০) সুবিধা করতে পারেননি মঈনের সামনে। এতে দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছুঁতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। এতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবশ্য দলকে টেনে তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর আকবর আলি। ৪০ বলের জুটিতে দুই জন যোগ করেন ৬১ রান। দারুণ ব্যাট করতে থাকা আকবর রনিকে তুলে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ২০ বলে ৩৩ রান করে। যেখানে সমান ২টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। আকবরের আউটের পর বেনি হাওয়েল রান আউটে কাটা পড়েন ৩ রান করে।

শেষদিকে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে মিরাজের ৩৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের ৯ বলে ১৫ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট চট্টগ্রাম ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায়। কুমিল্লার হয়ে তিন ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেন নেন মঈন। শহিদুল ৩ উইকেট নিতে খরচ করেন ৩৩ রান।

ফাইনাল   চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স   কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স   সুনীল নারাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে স্প্যানিশদের শুভ সূচনা

প্রকাশ: ১২:৩৭ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

উয়েফা ইউরোর গ্রুপ বি’এর ম্যাচে নিজেদের প্রথম লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে স্পেন ও ক্রোয়েশিয়া। এ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর এবারের আসরে শুভ সূচনা করেছে তিন বারের ইউরো চ্যাম্পিয়ানরা। 

শনিবার (১৫ জুন) জার্মানির অলিম্পিয়াস্টেডিয়ন বার্লিনে মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল।  

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে দুই দলই। শুরু থেকেই চলে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। তবে, কাঙ্খিত ফলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২৯ মিনিট পর্যন্ত। স্পেনের হয়ে প্রথম গোলটি করেন আলভারো মোরাতা। এর ঠিক তিন মিনিট পর পেড্রির বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাবিয়ান রুইজ। 

প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্পেনের ওয়ান্ডার কিড খ্যাত তরুণ তুর্কি লামিল ইয়ামালের অসাধারণ এক ক্রস থেকে গোল দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার ডেনি কার্ভাহাল। 

এরপর বিরতির পর ফিরে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। একের পর এক চালাতে থাকে আক্রমণ। কিন্তু স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোনের দৃঢ়তায় গোলের দেখা আর পায়নি ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭৮ তম মিনিটে রদ্রির করা ভুলে স্পট কিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রুনো পেটকোভিচ। সিমোনের হাত থেকে ফিরে আসা বলটি পরে জালে জড়ালেও অফসাইডের ফাঁদে তা বাতিল করে রেফারি। 

ম্যাচের বাকি সময় ক্রোয়েশিয়া মরিয়া চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ হয়। ফলে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশরা।


ইউরো   স্পেন   স্প্যানিশ   ক্রোয়েশিয়া   লুকা মদ্রিচ   লামিল ইয়ামিল   শুভ সূচনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এই আসর শুরুর পূর্বে বাজে পারফরম্যান্স আর একের পর এক সিরিজ হারের কারণে সমালোচনা যেভাবে জেঁকে বসেছিল দলটিকে নিয়ে, মনে হয়েছিল বিশ্বকাপে সবার আগেই বাদ পড়ে যাবে হৃদয়-সাকিবরা। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে নিজেদের শুরুর ম্যাচেই চমক দেখিয়েছিল টাইগাররা। লঙ্কানদের নাস্তানাবুদ করে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ।

তবে পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্ভাগ্যবশত হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের মধ্য দিয়ে সুপার এইটের দৌঁড়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে রয়েছে রিশাদ-মুস্তাফিজরা।

কিন্তু এমন স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থেকেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে। আর তার কারণ হচ্ছে টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার- এই তিনজনই একটা লম্বা সময় ধরে অফ ফর্মে। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন লিটন। তবুও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না এই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারদের।

এমন পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে একটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর তা হচ্ছে চলমান বিশ্বকাপ শেষে লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার আর নাজমুল হোসেন শান্ত  দলের বোঝা না হয়ে গেলেই হয়। যদিও লিটন-সৌম্য-শান্তর হাতে এখনও কিছুটা সময় বাকি আছে নিজেদের শুধরে নেয়ার, ফর্মে ফিরে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করার।

নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন কে যে প্রতিদিনই ভালো খেলতে হবে, এটা কথা না।’ শান্তর এই কথার সূত্র ধরে বলতে গেলে, কোন ক্রিকেটারেরই টানা ফর্ম থাকে না। কোন ব্যাটারই প্রতিদিন রান করে না। কিন্তু গড়ে ১০ ম্যাচ খেলে অবশ্যই একজন বিশ্বমানের ব্যাটার অন্তত ৫ ম্যাচে ভালো খেলবে। এটাই তো প্রত্যাশা থাকে সকলের। আর সেটাই তো হওয়ার কথা, তাই নয় কি?

নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। অপরদিকে লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার প্রতিভাবাবন ও স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। ব্যাস! এই ট্যাগ নিয়েই খেলে যাচ্ছেন টাইগারদের এই তিন টপ অর্ডার। এছাড়া একটা লম্বা সময় ধরে পারফরম্যান্স বা অর্জন বলতে তেমন কিছুই নেই এই তিন ব্যাটারের।

গত বছর ব্যাটিংয়ে দারুণ ঝলক দেখিয়েছিলেন লিটন; কিংবা অধিনায়ক শান্ত খেলাটা খুব ভালো বোঝেন, এই তো ক’দিন আগেও রানে ছিলেন। এমন যুক্তির প্রসঙ্গটি যেসব ভক্ত-সমর্থকরা কিছুদিন পূর্বেও তর্কে জড়াতেন তারাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কারণ বর্তমানে যেখানে একটি দলের হারা-জেতা নির্ভর করে প্রতিটা বলের স্কোরের উপর ডিপেন্ড করে, সেখানে ছয় মাস কিংবা এক বছর আগের সাফল্য গাঁথার মূল্য খুব কম। বর্তমানে যে ম্যাচের পারফরম্যান্স সেই ম্যাচেই ডেলিভার করতে হবে আপনাকে।

শান্ত-লিটন কি সেটা করতে পারছেন? উত্তর হবে না! কেন পারছে না সেটাও কি তারা জানেন? হয়তো এই প্রশ্নেরও উত্তর হবে, না! কারণটা খুবই সোজা। আমেরিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে বিষয়টা আরও বেশি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

বৈশ্বিক এই আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠার সমীকরণ সহজের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচটি যারা দেখেছেন তারা খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন, লিটন-শান্ত এই দুইজনের আউট হওয়ার ধরনটা কেমন ছিল। সমর্থকদের অনেকেই এই সিনিয়র ক্রিকেটারের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। 

বিপদে যখন দলের দায়িত্ব নিতে হয় অধিনায়ককে, সেখানে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত এমনভাবে আউট হয়ে গেলেন- যেন মনে হতেই পারে তিনি বিপক্ষ দলের ফিল্ডারদেরকে ক্যাচ প্রাকটিস করাচ্ছেন। এমন কান্ড জ্ঞানহীন আউট হওয়ায় ক্যাপ্টেন দলের দায়িত্ব নেয়ার চেয়ে আরও বেশি বিপাকে ফেলছেন! বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে শান্ত’র রান মোটে ২২। বল খেলেছেন ৩৯টি। আর এই সংখ্যার দিকে তাকালে যে কেউই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হবেন যে, আচ্ছা তিনি কি টেস্ট খেলতে গেছেন?

অপরদিকে লিটন ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতিভাবান আর স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছেন। কিন্তু চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স জাস্ট একবার দেখলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবগুলো ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন তিনি। কিন্তু পারফরম্যান্স কি দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন তাহলে তো জানারই কথা! আর যদি না দেখে থাকেন, তাহলে দেখে নেওয়া যাক- 

শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস- এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে এই তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের মূল কান্ডারি লিটনের তিন ইনিংসে সর্ব সাকুল্যে রান এসেছে মাত্র ৪৬। তিনটি ম্যাচের একটিতেও প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক ছু’তে পারেননি ১০০ তে। এই ৪৬ রান করতে বল খেলেছেন ৫৩ টি।

আমেরিকার মন্থর উইকেটে টাইগারদের যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল টপ অর্ডারের ভূমিকার, সেখানে টপ অর্ডার জাস্ট যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এরপর আমেরিকা ঘুরে বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ খেলে ফেলল, ওয়স্ট ইন্ডিজে সেখানেও এই প্রতিভাবানের বিচিত্র কিছুই দেখা যায়নি। বরং একই চিত্র।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তৃতীয় ওভারে ১৮ রান আসার পর সুযোগ ছিল একটু সময় নিয়ে উইকেটটা বোঝার, একটু নির্ভার হয়ে জুটি গড়ে তোলার। কিন্তু লিটন সেটা পারেননি। নাকি বোঝার চেষ্টাটাই করেননি, কি জানি সেটাও হতে পারে?

তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে লিটন কিছু করে দেখাতে না পারলেও শেষ বলে লিটনের স্টাম্পিংটা, দর্শকরা মনে রাখবেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়েও বড় ভূমিকা ছিল লিটনের দুর্দান্ত কিপিংয়ের। এদিন যে স্টাম্পিং করেছেন, এককথায় তা ওয়ার্ল্ড ক্লাস।

তবে এত কিছুর পরও শান্ত কিংবা লিটনের উপর থেকে সমালোচনার তীর যেন সরছে না। ভক্ত-সমর্থকসহ সকলেরই প্রশ্ন, আসলে তাদের কিসের এত তাড়া থাকে? এত প্রতিভা নিয়ে কিইবা লাভ তাহলে। লিটন-শান্ত নিজেরাও কি জানেন তারা প্রতিভাবান? নাকি শুধু সাবেক ক্রিকেটার ও দর্শকদের মুখে মুখেই? আর কবে পারফরম্যান্স করবেন তারা?

টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   টাইগার   নাজমুল হোসেন শান্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির বিশেষ একাদশে টাইগারদের বাজিমাত

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। আর এতে করে ইতোমধ্যেই সুপার এইটে এক পা দিয়ে রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বিশ্বকাপ চলতে চলতেই আইসিসি তাদের ফেসবুক পেজে আজ চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেট-৩ (১০ ম্যাচ নিয়ে এক সেট) এর সেরা ফ্যান্টাসি একাদশ ঘোষণা করেছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। এক দেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩ জন থাকতে পারেন একাদশে, তাই সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশিরাই।

এমনকি অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন তানজিম সাকিব। এই একাদশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪২ পয়েন্ট বাংলাদেশের এই পেসারের। তাসকিন ও হৃদয়ের পয়েন্ট যথাক্রমে ১৩১ ও ৬৪।

এছাড়া আইসিসির ফ্যান্টাসি একাদশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শারফেন রাদারফোর্ড ও আলজারি জোসেফ। এদিকে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এই ছয় দল থেকে একজন করে ক্রিকেটার আছেন।

আইসিসির ফ্যান্টাসি একাদশ-

মোহাম্মদ রিজওয়ান, অ্যারন জোনস, তাওহিদ হৃদয়, শারেফানে রাদারফোর্ড, কেশব মহারাজ, তানজিম সাকিব (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, অ্যাডাম জাম্পা, আদিল রশিদ, আলজারি জোসেফ, আর্শদীপ সিং।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাঙ্গেরিকে উড়িয়ে ইউরো মিশন শুরু সুইজারল্যান্ডের

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মাঠে গড়িয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে আজ মুখোমুখি হয়েছিল হাঙ্গেরি ও সুইজারল্যান্ড। ম্যাচটিতে হাঙ্গেরিকে হারিয়ে নিজেদের ইউরো মিশন শুরু করেছে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচটিতে ৩-১ ব্যবধানে জয়ে পেয়েছে সুইসরা।

শনিবার জার্মানির কোলনের রেইন এনার্জি স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সুইজারল্যান্ড ও হাঙ্গেরি। সুইসদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন কয়াদয়ো দুয়াহ, মিশেল এইবিশার ও ব্রেল এমবোলো। আর হাঙ্গেরির হয়ে একটি গোল করেছেন বারনাবাসা ভারগা।

বল দখল ও আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকেই হাঙ্গেরির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে সুইডেন। এদিন ৫১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ১৫টি শট নেয় সুইসরা। যার মধ্যে ৭টি লক্ষ্যে ছিল। অপরদিকে ৪৯ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখে ৬টি শট নেয় হাঙ্গেরি, যার দুটি ছিল লক্ষ্যে।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে কয়াদয়ো দুয়াহ গোলে লিড নেয় সুইডেন। মিশেল এইবিশারের পাস থেকে হাঙ্গেরির জাল কাঁপিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। তবে গোলের নিশ্চয়তা দিতে ভিএআরের সহায়তা নেন ফিল্ড রেফারি। সেখানে কোনো জটিলতা না পাওয়ায় গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন এইবিশার। ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন এই ফুটবলার। অন্যদিকে একটি সুযোগ পেয়েও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় হাঙ্গেরি। এতে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মধ্য ইউরোপের দেশটি।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে হাঙ্গেরি। এতে ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান কমান ভারগা। ডমিনিক জোবোস্লাইয়ের লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সুইসদের জালে বল জড়ান তিনি। এরপর অবশ্য আর কোনো গোল পায়নি তারা।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+৩) সুইসদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ব্রেল। তার গোলেই দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা।


কোপা আমেরিকা   ইউরো কাপ   ফুটবল   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসি-ডি মারিয়াকে রেখেই কোপার চূড়ান্ত দল ঘোষণা করল আর্জেন্টিনা

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। ফুটবলের সবচেয়ে পুরোনো এই আসরকে সামনে রেখে প্রায় তিন সপ্তাহ পূর্বেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছিল প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কিন্তু ২৬ সদস্যের সেই দল অবশ্য চূড়ান্ত ছিল না।

কারণ জুনেই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে  আলবিসেলেস্তেরা। আর এই প্রীতি ম্যাচ শেষেই চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা ছিল কোচ লিওনেল স্কালোনির।

আর এবার সেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবশেষে আর্জেন্টিনার ভক্তদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোপার চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন স্কালোনি। প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়েছেন লিও বালের্দি, ভ্যালেন্টিন বার্কো ও অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। তবে মূল স্কোয়াডে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন ভ্যালেন্টিন কার্বোনি ও আলেহান্দ্রো গার্নাচো।

মূলত কোপার আগে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ও ফিটনেস দেখতে দুটি প্রীতি ম্যাচে সতর্ক নজর রেখেছিলেন স্কালোনি। গত সোমবার ইকুয়েডর এবং আজ (শুক্রবার) কোপার আগে শেষ প্রীতি ম্যাচে গুয়াতেমালার বিপক্ষে খেলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছিল, স্কালোনি কোপার স্কোয়াডে ২৩ ফুটবলারের থাকা একরকম নিশ্চিত করেছেন। বাকি ছয়জন থেকে বেছে নেওয়া হবে তিনজনকে। সেই কাজটাই সারলেন আজ।

আগামী ২১ জুন শুরু হয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে কোপা আমেরিকার আসর চলবে। যেখানে উদ্বোধনী দিনেই ম্যাচ রয়েছে লিওনেল মেসি–ডি মারিয়াদের। তাদের গ্রুপ ‘এ’—তে বাকি তিন সঙ্গী কানাডা, চিলি ও পেরু। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা কানাডার বিপক্ষে খেলবে ২১ জুন, আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে। ২৬ জুন নিউজার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ চিলি। আর ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ প্রতিপক্ষ পেরু।

সেন্টার ব্যাক পজিশনে আগেই দলে থাকা নিশ্চিত ছিল নিকোলাস ওটামেন্দি, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, লিসান্দ্রো মার্তিনেজ ও জার্মান পেজ্জেয়ার। তাদের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ফিওরেন্টিনার লিওনার্দো বালের্দি ও মার্সেইয়ের লুকাস মার্টিনেজ কুয়ার্তা। সেখান থেকে কুয়ার্তা টিকে গেলেও বাদ পড়েছেন বালের্দি। এখন পর্যন্ত ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার আর্জেন্টিনার হয়ে ১২ ম্যাচ খেলেছেন। ডিফেন্সের আরেক পজিশন লেফট-ব্যাকে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর সঙ্গে মার্কাস আকুনা নাকি ভ্যালেন্তিন বার্কো থাকবেন তা নিয়ে সংশয় ছিল। আকুনাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরিতে থাকায়। তবে প্রীতি ম্যাচে তাকে স্বাভাবিক মনে হওয়া বার্কো দল থেকে ছিটকে গেছেন।

এ ছাড়া আক্রমণভাগেও প্রতিযোগিতা ছিল দুজনের মধ্যে। যেখানে অধিনায়ক মেসির সঙ্গে রয়েছেন ডি মারিয়া, জুলিয়ান আলভারেজ, লাউতারো মার্টিনেজ, আলেজান্দ্রো গার্নাচো ও নিকোলাস গঞ্জালেজের মতো অভিজ্ঞ তারকারা। চূড়ান্ত তালিকায় থাকতে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে ভ্যালেন্টিন কারবোনি ও আনহেল কোরেয়াকে। যেখানে উৎরে গেছেন কার্বোনি এবং কোরেয়া বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া পাউলো দিবালার জায়গা মেলেনি প্রাথমিক দলেও।

আর্জেন্টিনার কোপা স্কোয়াড

গোলরক্ষক : ফ্রাঙ্কো আরমানি, জেরোনিমো রুল্লি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

ডিফেন্ডার : গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জার্মান পেজ্জেয়া, লুকাস এম কুয়ার্তা, নিকোলাস ওটামেন্ডি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস অ্যাকুনা, নিকোলাস তালিয়াফিকো।

মিডফিল্ডার : গুইদো রদ্রিগেজ, লিয়ান্দ্রো প্যারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক এলিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, অ্যাজাকুয়েল প্যালাসিওস, এনজো ফার্নান্দেজ, জিওভানি লো সেলসো।

ফরোয়ার্ড : লিওনেল মেসি, আলেসান্দ্রো গার্নাচো, লাউতারো মার্টিনেজ, জুলিয়ান আলভারেজ, আনহেল ডি মারিয়া, ভ্যালেন্টিন কার্বোনি, নিকোলাস গঞ্জালেস।



মেসি   ডি মারিয়া   কোপা আমেরিকা   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন