ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে অলআউট করে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং তাণ্ডব

প্রকাশ: ০৮:৫৩ এএম, ২৫ জুন, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশকে অলআউট করে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং তাণ্ডব

সেন্ট লুসিয়া টেস্টে যে উইকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের দেখা গেছে খারাপ খেলতে, সেই একই উইকেটে ভয়ডরহীন ব্যাটিং করছেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার। আগের টেস্টে ধীরগতিতে ইনিংস সাজানোর চেষ্টা ছিল স্বাগতিকদের। তবে এবার বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর মারকুটে চেহারায় হাজির হন তারা। প্রথম দিন শেষে ১৬ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে ফেলেছে বিনা উইকেটে ৬৭ রান। 

বাংলাদেশের পাঁচ বোলার বল করেও একটি উইকেটের পতন ঘটাতে পারেননি। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৫৫ বলে ৩৩ আর জন ক্যাম্পবেল ৪১ রানে অপরাজিত আছেন ৩২ রানে।

এর আগে লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরি আর টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পৌঁছাতে পেরেছে ২৩৪ রান পর্যন্ত। ৬৪.২ ওভার খেলে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।

অ্যান্টিগা টেস্টের সঙ্গে সেন্ট লুসিয়ায় কিছুটা পার্থক্য অন্তত তৈরি করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে সেটা সন্তোষজনক নয়। কোনো ম্যাচে দ্রুত একটা-দুটা উইকেট পড়তেই পারে। তবে, নিয়মিত বিরতিতে যখন উইকেট পড়তে শুরু করে তখনই বিপদ।

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম সেশনে ২টি এবং দ্বিতীয় সেশনে পড়লো ৪টি উইকেট। এরপর শেষ সেশনের শুরুতে পড়লো বাকি ৪ উইকেটও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার কারণে অলআউট হতে হলো ২৩৪ রানে।

লিটন দাস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন। ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তামিম ইকবাল, ২৬ রান করেছেন শরিফুল ইসলাম এবং এবাদত হোসেন করেন ২১ রান।

৭ বছরেরও বেশি সময় পর দলে ফিরে এসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচের পর ম্যাচ যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন, সেন্ট লুসিয়ায় তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। বরং, দলকে হতাশা উপহার দিয়ে ফিরে গেলেন মাত্র ২৩ রান করে।

ক্যারিবিয়ান অভিষিক পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে উইকেট হারিয়েছিলেন টপ অর্ডারের ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৬৮ রানে দুই উইকেট পড়ার পর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে জুটি গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত; কিন্তু দলকে ১০৫ রানে বসিয়ে রেখে পরপর আউট হয়ে গেলেন বিজয় এবং শান্ত। বিজয় আউট হয়েছেন কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

এনামুল হক বিজয় আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে মনে করা হচ্ছিল, বাংলাদেশ বুঝি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। হয়তো উইকেটে জমিয়ে বসে যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার। কিন্তু অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে প্রথমে বিজয় হলেন এলবিডব্লিউর শিকার। পরের ওভারে কাইল মায়ার্সের বলে হলেন এলবিডব্লিউ। বিজয় ৩৩ বল খেলে করেছেন ২৩ রান এবং শান্ত খেলেছেন ৭৩ বল। করেছেন ২৬ রান।

শান্ত বিজয়ের পর জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস। কিন্তু এই জুটিও বেশিদুর এগুতে পারেননি। মাত্র ২০ রানের জুটি গড়ার পর তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেন জাইডেন সিলস। মাত্র ৮ রান করে সিলসের বলে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

৬ নম্বর ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। অ্যালজারি জোসেফের লেগ স্ট্যাম্পের ওপর উঠে আসা একটি বাউন্সারকে ঠিকমত সামলাতে পারেননি। ঘাড়ের ওপর থাকা বলটাকে শেষ মুহূর্তে গ্লাভসে লাগিয়ে জমা দিলেন উইকেটের পেছনে জসুয়া ডা সিলভার হাতে। ৭ রান করে ফিরে যান সোহান।

মেহেদী হাসান মিরাজ স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন লিটনের সঙ্গে। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য। দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হলেন। কাইল মায়ার্সের বলে বদলি ফিল্ডার থমাসের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। পয়েন্ট দাঁড়িয়ে তিনি ঝাঁপ দেন লং থার্ডম্যানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি ধরেন। মাত্র ৯ রান করে আউট হন মিরাজ।

শরিফুল ইসলাম আর খালেদ আহমেদ মিলে দারুণ জুটি গড়েন। মাত্র ১৭ বল খেলে ২৬ রান করে আউট হন শরিফুল। ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন এবাদত হোসেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারালেও হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু মাত্র ৪ রানের জন্য ক্যারিয়ারে ৩২তম ফিফটিটি মিস করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

ইনিংসের ২৩তম ওভারে আলজেরি জোসেফের বলে টাইমিং গড়বড় করে কভার পয়েন্টে ক্যাচ হয়েছেন তামিম। ৬৭ বলে গড়া তার ৪৬ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারির মার। ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন।

প্রথম ওভারেই বিপদে পড়তে পারতো বাংলাদেশ। কেমার রোচের ওভারের পঞ্চম বলে জোরালো আবেদন হয়েছিল। তামিম ইকবালের প্যাডে বল লাগায় রিভিউও নিয়েছি ক্যারিবীয়রা। কিন্তু বল লেগ স্ট্যাম্প হালকা ছুঁয়ে গেলেও আউট পায়নি স্বাগতিকরা। বরং ওভারের শেষ বলটি ফ্লিক করে সীমানাছাড়া করেন তামিম।

রোচের পরের ওভারের প্রথম বলে আরেকটি বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। এবার হাঁটু গেড়ে চমৎকার কভার ড্রাইভে। এমন শুরু করা তামিম এখন পর্যন্ত খেলছেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।

তবে প্রথম টেস্টের মতো বিপজ্জনক জায়গায় বল ফেলে ইনিংসের যাচ্ছেন কেমার রোচ। উইকেট পাওয়ার খুব কাছাকাছিই চলে এসেছিলেন ক্যারিবীয় পেসার। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি।

ইনিংসের সপ্তম ওভারের ঘটনা। ওভারের চতুর্থ বলটি মাহমুদুল হাসান জয়ের প্যাডে লাগলে আবেদন করেন রোচ। আউট দেন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা যায়, বল জয়ের লেগ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে ছিলো।

পরের বলটি নিচু হয়ে লেগেছিল জয়ের প্যাডে। এবারও আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ নেয় রিভিউ। এবারও দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যেতো। সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে। টানা দুই বলে বেঁচে যান জয়।

তারপরও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি না ডানহাতি এই ওপেনার। এবার আর রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। ব্যক্তিগত ১০ রানে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে সরাসরি বোল্ডই হয়েছেন অভিষিক্ত পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে। ১২.২ ওভারে জয়-তামিমের জুটিটি ছিল ৪১ রানের।

সেন্ট লুসিয়া টেস্ট   বাংলাদেশ   ক্যারিবীয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন