এ বারের
বিশ্বকাপ আয়োজন করার দায়িত্ব পাওয়ার পর নানা রকম
প্রশ্ন উঠেছে। কাতারের দিকে আঙুল তুলতেও পিছপা হয়নি ফুটবল বিশ্বের অনেকেই। সব কিছুর মধ্যেই
কাতারে চলছে এ বারের ফুটবলের
মহাযুদ্ধ। আয়োজক দেশ কাতার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীর দিন ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচে নেমেছিল। কাতারের কাপ যাত্রার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ইকুয়েডরের কাছে ২-০ ব্যবধানে
হেরে বিশ্বকাপ সফর শুরু হয়েছে কাতারের। আজ গ্রুপ-এ
এর ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে কাতার এবং সেনেগাল.
গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে কাতারের প্রতিপক্ষ সেনেগাল যে খুব ভালো জায়গায় রয়েছে তাও নয়। নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-০ গোলে হেরে কাপ যাত্রা শুরু করেছে সেনেগাল। ফলে দুই দলই গ্রুপ পর্বে তাদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে। আজকের ম্যাচ যতটা গুরুত্বপূর্ণ কাতারের জন্য, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ সেনেগালের জন্যও। ডাচদের বিরুদ্ধে সেনেগাল শেষ মুহূর্ত অবধি লড়াই করেছিল। যদিও শেষ অবধি ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের। শেষ অবধি ২ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছিল সেনেগাল। তাই কাতারের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট তুলে মাঠ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে সেনেগাল।
ডাচদের বিরুদ্ধে হারার পর সেনেগাল কোচ অ্যালিউ সিসে বলেন, “আমরা অত্যন্ত হতাশ। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে আমরা বেশ কয়েকটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। মানের না থাকাটা সত্যিই আমাদের কাছে সমস্যার। আমাদের অ্যাটাকাররা সত্যিই ভালো। কার্পিনের কাছ থেকে আমরা অনেক প্রত্যাশা রেখেছি। আমাদের একাধিক জায়গায় উন্নতি করতে হবে।”
আয়োজক দেশ কাতার প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপে ভুগছিল। কাতার আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে। যা ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফুটে উঠেছিল। তাই কাতারও চেষ্টা করবে সেনেগালের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে, নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে। কারণ, আজ সেনেগালের বিরুদ্ধে কাতার হেরে গেলে বেশ চাপে পড়তে হবে আয়োজক দেশকে। এ বার দেখার আল থুমামা স্টেডিয়ামে বাজিমাত করে কোন দল।
ফিফা কাতার বিশকাপ সেনেগাল কাতার
মন্তব্য করুন
ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত কোয়ালিফাই করতে পারেনি ওয়েস্ট-ইন্ডিজ। হয়তো
ক্যারিবীয়দের মনের ভেতর এক অব্যক্ত ক্ষোভ ছিল। তাইতো সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে
পেয়েই জ্বলে উঠলো তারা। অধিনায়ক শাই হোপের অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে
ক্যারিবিয়ানরা।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম
ম্যাচে দূর্দান্ত এক জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত
নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন
দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট এবং উইল জ্যাকস। মারমুখি ব্যাটিংয়ে রান তুলতে থাকেন দুজন।
তাদের সামনে দিশেহারা মনে হচ্ছিল ক্যারিবিয়ান বোলারদের।
নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৩২৫ রানের মাথায় অলআউট হয় ইংল্যান্ড। দলের
পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ বলে ৭১ রান করেন ব্রুক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন গুডাকেশ মোটি, রোমারিও শেফার্ড এবং
ওশান থমাস। এছাড়া ইয়ানিক কারিয়াহ এবং আলজারি জোসেফ শিকার করেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজও। দুই ওপেনার আলিক আথানাজে
এবং ব্রেন্ডন কিং শুরু থেকে ছিলেন বেশ সাবলীল। অযথা তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ না করে ধীরেসুস্থে
দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দুজন। উদ্বোধনী জুটি থেকে রান আসে ১০৪। ফিফটি হাঁকানো
আথানাজে আউট হন ৬৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। পরের ওভারেই আউট হন কিং। ৪৪ বলে ৩৫ রানের
ইনিংস খেলেন তিনি।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন দলের হাল ধরেন
অধিনায়ক শাই হোপ। এক প্রান্তে থিতু দারুণ ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেন হোপ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে
দলের রান বাড়াতে থাকেন হোপ, নিজেও ছুঁয়ে ফেলেন দারুণ এক ফিফটি। আরেক প্রান্তে শিমরন
হেটমায়ার ৩০ বলে ৩২ রানের কার্যকরী একটি ইনিংস খেলে বিদায় নেন।
এরপর রোমারিও শেফার্ড নেমে জুটি বাঁধেন হোপের সাথে। এই দুজনের জুটিতে ভর
করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাট হাতে বেশ মারমুখি ছিলেন শেফার্ড,
অন্যদিকে হোপও সময়ের সাথে সাথে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। দুজনের জুটি থেকে ৫১ বলে আসে
৮৯ রান।
ফিফটির খুব কাছে গিয়ে আউট হন শেফার্ড, সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ২৮ বলে ৪৮
রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস।অন্যদিকে হোপ চলে গিয়েছিলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের খুব
কাছে। শেষমেশ সেঞ্চুরিটা ছুঁয়েছেন হোপ। শেষ দিকে টানা দুই ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে
এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়ও। অ্যান্টিগার ভেন্যুতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার
রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সব মিলিয়ে এটি ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৭ বল এবং
৪ উইকেট হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন হোপ। ৮৩ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী এক
ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত টিকে ছিলেন হোপ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রেহান আহমেদ এবং গাস আটকিনসন। এছাড়া
ব্রাইডন কার্স এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ১টি করে উইকেট শিকার করেন। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০
ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ক্রিকেট ওয়ানডে শাই হোপ
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) অ্যানফিল্ডে জমজমাট ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতেছে লিভারপুল। লিভারপুল ও ফুলহ্যামের ওই ম্যাচে দারুণ উত্তেজনা তৈরি হয়।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে যেতে থাকে লিভারপুল। ফলও পায় হাতেনাতে। ম্যাচের ২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের নেওয়া ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফুলহ্যাম গোলরক্ষক বার্নড লেনোর গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
যদিও পাল্টা আক্রমণে চার মিনিট বাদেই ম্যাচে ফিরে ফুলহ্যাম। দারুণ এক গোলে সমতা টানেন হ্যারি উইলসন। তবে সমতায় ফিরেও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি তারা। ৩৮তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে ফের লিভারপুলকে লিড এনে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
এগিয়ে থেকে যখন বিরতিতে যাওয়ার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে লিভারপুল। ঠিক তখনি আবার আক্রমণ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে ক্ষীর বানিয়ে ফেলে ফুলহ্যাম। স্কোরলাইন ২-২ করেন কেনি টেটে। সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমানে আক্রমণ করতে থাকে দুই দল। তাতে কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি। পুরো ম্যাচে তখন দারুণ উত্তাপ। এভাবেই কেটে গেল ৭৯ মিনিট। ঠিক এক মিনিট পর লিভারপুল সমর্থকদের গর্জন পানসে করে দেন জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড ববি ডি করডোভা-রেইড। ৮০তম মিনিটে ফুলহ্যামকে এগিয়ে নেন তিনি।
ম্যাচের তখন বাকি আর ১০ মিনিট। এদিকে গোল পেয়ে নিজেদের রক্ষণ আগলে খেলতে থাকে ফুলহ্যাম। জয়ের ঘ্রাণ তখন ছড়িয়ে পড়েছে তাদের ডাগআউটে। তবে ম্যাচের নাটকীয়তার যে তখনও অনেক বাকি। এরপর দুই মিনিটের ঝড়ে ফুলহ্যামের জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দেয় লিভারপুল।
দুর্দান্ত এক গোলে ৮৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান জাপানিজ ফরোয়ার্ড ওয়াটারু এন্দো। প্রিমিয়ার লিগে এই জাপানি মিডফিল্ডার প্রথম গোল পেলেন। পরের মিনিটেই ডান পায়ের শটে ফুলহ্যামের জালে বল পাঠিয়ে লিভারপুলকে উল্লাসে ভাসান আলেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড।
এই জয়ে নিজেদের মাঠে লিগে ১৩ মাস ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল লিভারপুল। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে ক্লপের দল। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৩। ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে আছে ফুলহ্যাম।
লিভারপুল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুলহ্যাম আর্জেন্টিনা ফুটবল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের লেগ স্পিনার স্বর্ণা আক্তারের জন্যই ম্যাচটি জেতা সহজ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নিলেন স্বর্ণা আক্তার।
এই লেগির মায়াবী ঘূর্ণিপাকে পড়ে খেই হারিয়েছে স্বাগতিকরা। কারণ, প্রোটিয়াদের
উদ্বোধনী জুটিই ভাঙে ৬৭ রানে। সেখান থেকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া সত্যিই
অনন্য ঘটনা।
জ্যোতিরা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৫০ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল
প্রোটিয়া নারীদের। শেষ পর্যন্ত বাঘিনীরিা ৮ উইকেটে ১৩৬ রানেই আটকে দেয় তাদের।
দ. আফ্রিকার বেনোনির উইলোমুর পার্কে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি
ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেলো ১৩ রানের ব্যবধানে।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন স্বর্ণা আক্তার।
দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে যেকোনো সংস্করণে এটাই বাংলাদেশের
প্রথম জয়। তবে, টি-টোয়েন্টিতে ১১ বছর আগে একবার প্রোটিয়াদের হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেবার
সেই জয়ের স্বাদ নিয়েছিলো মিরপুরে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেই জয় পেয়েছিলো সেই ২০১২ সালে। এরপর গত
১১ বছরে ১০ বার মুখোমুখি হয়ে একবারও জেতেনি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। এবার ১২তম
ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল তারা।
এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই প্রথমে ব্যাট হাতে মুর্শিদা খাতুন এরপর বল
হাতে স্বর্ণা আক্তার বিধ্বংসী বোলিং করে অসাধারণ জয়টি উপহার দিলেন। চলতি বছরেই অভিষেক
ঘটেছিলো স্বর্ণা আক্তারের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মুর্শিদা এবং অধিনায়ক
নিগার সুলতানা জ্যোতি। মুর্শিদা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে সংগ্রহ করেন ৬২ রান। ঝোড়ো ব্যাটিং
করে অধিনায়ক জ্যোতি সংগ্রহ করেন ২১ বলে ৩৪ রান। এ দু’জনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের
সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৯।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই প্রোটিয়া ওপেনার আনিকা বোস এবং টাজমিন
ব্রিটসের উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ফেলে ৬৯ রান। অধিনায়ক টাজমিস ব্রিটস
২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন রাবেয়া খাতুনের বলে। এরপর অ্যানেরি ডার্কসেন ৫ বলে ১ রান
করে আউট হয়ে যান ফাহিমা খাতুনের বলে বোল্ড হয়ে।
১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আনিকা বোসকে ৬৭ রানের মাথায় ফিরিয়ে
দেন স্বর্ণা আক্তার। আনিকা বোস আউট হওয়ার পরই বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
সান লুইস করেন ১৮ রান এবং ডেলমি টাকার ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্বর্ণা আক্তারের ৫ উইকেট ছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার, ফাহিমা
খাতুন এবং রাবেয়া খান।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে
কোচিং বিষয়ক নানা অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন সময়ে। হাথুরু বদমেজাজি। কড়া কোচ। দলে তার কথাই
চূড়ান্ত। খারাপ ব্যবহারও করেন। এবার সবকিছুকে ছাড়িয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো বিশ্বকাপ
চলাকালীন অবস্থায় ১২ অক্টোবর তিনি নাকি বামহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে চড় মেরে বসেছিলেন।
দেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসিবির দায়িত্বশীল এক পরিচালক বলেছেন বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারের গালে চড় দিয়েছেন প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে।
বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে পানি বিরতিতে নাসুম আহম্মেদকে পানি নিয়ে মাঠে যেতে বলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে যেতে ৩০ সেকেন্ড দেরি করে ফেলেন নাসুম। যার ফলে মাঠ থেকে বের হবার পর সবার সামনে কষে একটা চড় মারেন প্রধান কোচ।
হাথুরুসিংহের এমন ব্যবহারে সেদিন নাসুম আহমেদ কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বলেও
জানানো হয় প্রতিবেদনে।
প্রধান কোচের এমন ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দলের ট্রেইনার এবং বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশের বোলিং কোচ ডোনাল্ড সঙ্গে সঙ্গে নাকি এর বিরোধিতা করে চড় মারার কারন জিজ্ঞেস করেন।
তরুণ এই ক্রিকেটার বিনা কারণে মার খাওয়ায় উত্তেজিত হলে, পরে সেখানে থাকা সিনিয়র ক্রিকেটাররা তাকে আশ্বাস দেন ব্যাপারটা বোর্ড দেখবে। পরবর্তীতে বোর্ড হাথুরুকে সতর্ক করলেও, ক্রিকেটারদের মাঝে এখনো বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রত্যেকেই ক্ষুব্ধ হাথুরুর এমন আচরণে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবির জন্য কারা দায়ী, কেন এমন ভরাডুবি এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কতটা উঠে আসবে লঙ্কান হাথুরুসিংহের এমন ন্যাক্কারজনক লঙ্কা কাণ্ড!
ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার ডাকযোগে ও ইমেইলে আইনজীবী নাহিদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশ অনুযায়ী, দোষ প্রমাণ হলে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে বিসিবিকে আইনগত ব্যবস্থা
নিতে বলা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও
বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে
১২ অক্টোবর ভারতে অবস্থানকালে জাতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হাথুরুসিংহে ক্রিকেটার নাসুমকে
চড় মারেন। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা এ তথ্য জানতে পারলেও বিসিবিকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত
কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ তাই বিসিবি সভাপতিকে একটি
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে যেন এ ঘটনার সত্যতার প্রেক্ষিতে
হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নাসুম কিন্তু হঠাৎ করেই ফর্মে নেই। একজন প্লেয়ার সব সময় ফর্মে থাকবেন
ব্যাপারটি এরকমও নয়। ভারত বিশ্বকাপের তিনটা ম্যাচে সুযোগ পেয়ে খুব ভালো কিছু করে দেখাতে
পারেননি নাসুম। এছাড়া অন্য কোনও প্রেসার নাসিমের উপর আছে কিনা এই বিষয়টি ভালো করে
খুঁজে দেখা উচিত। ক্রিকেটের ব্যাখ্যার বাইরে যদি অন্য কোনও কারণ থাকে তারও তদন্ত হওয়া
উচিত। এমনও হতে পারে এমন কাণ্ডে একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারও হুমকির মুখে পড়ে যায়।
হাথুরুসিংহে নাসুম আহমেদ চড় বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি ক্রিকেট লিগ্যাল নোটিশ
মন্তব্য করুন
গত বছর কাতার
বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে নিজের জীবনের সব চাওয়া পূর্ণ করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার
লিওলেন মেসি। তবে বরাবরই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। আর সেটি হল- মেসি
তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন কবে?
মেসিও জানিয়েছেন,
যত দিন ফিট আছেন ততোদিন তার খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
এবার প্রশ্ন
উঠছে আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপেও মেসি খেলবেন কি না? এ বিষয়ে মেসি জানান, প্রায় ৩ বছর দূরের
বিশ্বকাপ আপাতত তার ভাবনায় নেই। মেসি এখন শুধু আসন্ন ২০২৪ কোপা আমেরিকা নিয়েই ভাবছেন।
চলতি বছরে এমএলএস
ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। দলটির হয়ে ইতোমধ্যে একটি শিরোপাও জিতেছেন তিনি।
আগামী বছরের কোপা আমেরিকাও অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই। তারপর ২০২৬ সালের
বিশ্বকাপও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন বিশ্বকাপের সময় ৩৬
বছরের মেসি পা দিবেন ৩৯ বছর বয়সে। ৩৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপে খেলার মত ফিটনেস মেসি ধরে
রাখতে পারবেন কিনা সেটাও একটি প্রশ্ন।
ইদানিং প্রায়ই
ফিটনেস নিয়ে ছোট খাটো সমস্যায় পরছেন মেসি। তাই আগামী বিশ্বকাপে মেসির খেলতে পারার সম্ভাবনা
নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে মেসির মতামত জানা গেল।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে
দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, বিশ্বকাপ নিয়ে আমার আপাতত কোনো ভাবনা নেই। তাই নিশ্চয়তা
দিয়েও বলতে পারছি না যে আগামী বিশ্বকাপে আমি খেলবো কি না। এর অন্যতম কারণ আমার বয়স।
সামনে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে।
কোপা আমেরিকা
নিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই মনে করছে, কোপা আমেরিকায় আমরা খুব ভালো করবো। কিন্তু বাস্তবতা
আসলে অনেক কঠিন। সাফল্য পেতে আমাদের পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। আপাতত আমি শুধু কোপা
আমেরিকা নিয়েই ভাবছি। কোপা শেষে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
মন্তব্য করুন