ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাকিব-হৃদয়ের নৈপুণ্যে আইরিশদের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের পূর্ণাঙ্গ সফর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ পর টস ভাগ্য সহায় হয়নি তামিম ইকবালদের। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ডকে ৩৩৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মনপূত হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। করেন মাত্র ৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে নিয়ে লিটন দাস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে বেশিদূর টানতে পারেন নি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে স্টারলিংয়ের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

এ ম্যাচে আবার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। আইরিশদের বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এদিন ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। 

এই মাইলফলকের থেকে হাত ছোঁয়া দুরত্বে ছিলেন সাকিব। প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২৪ রানের। ম্যাচের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কার্টিস ক্যাম্ফারের বল মিড অফে ঢেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট পাওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার এখন তিনি। সাকিবের আগে একদিনের ক্রিকেটে এই কীতিত্ব দেখিয়েছেন মাত্র দুজন, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তবে এ কীর্তির ক্ষেত্রে সাকিবই দ্রুততম।

তবে দলীয় ৮১ রানে শান্ত বিদায় নিলে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের বলটি টার্ন করবে ভেবেছিলেন শান্ত। তবে বল লাইন ধরে রেখে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৫ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে জুটি গড়ার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা।

আগের তিনটি জুটি পঞ্চাশের আগে থামেলেও দলকে এগিয়ে নিয়েছে সাকিব-হৃদয় জুটি। ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সছল রাখেন সাকিব। ৬০ বল থেকে ৫০ রান পূর্ণ করেন দুজনে। ক্যারিয়ারের ৫৩তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরের উপর রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন সাকিব। ৫ চারে সে ওভার থেকে ২২ রান তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগান এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের পর ক্যারিয়ারের প্রথম একদিনের ম্যাচেই অর্ধশতকের দেখা পান তৌহিদ হৃদয়। ২০০৬ সালে ফরহাদ রেজা ও ২০১১ সালে নাসির হোসেনের পর ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন তিনি। সিনিয়র সাকিবের সাথে বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট করতে থাকেন এই তরুণ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাঠের চারদিকে শট খেলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। সেই সাথে রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটেও বেশ তৎপরতা দেখিয়েছেন হৃদয়।

তবে সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৭ রান দূরে, তখনই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব। গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে ব্যাট চালিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তা সহজ ক্যাচে পরিণত হয় উইকেটের পেছনে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৩০ বলে ১৩৫ রানের জুটি। ২১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ক্রিজে এসেই এদিন মারমুখী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগ্রাসী মেজাজে মোকাবেলা করেন আইরিশ বোলারদের। স্লগ সুইপে ছয় মেরে শুরুর পর সেটি ধরে রাখেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেলেও আইরিশদের বিপক্ষে তা হাতছাড়া হয়েছে ৬ রানের জন্য। ৪৬তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের জোড়া আঘাতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে বাংলাদেশের। এক বলের ব্যবধানে মুশফিক ও হৃদয়ের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।

অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তবে সাকিবের মতো হতাশ হতে হয়েছে তাকেও। ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হতাশা সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৪৪ ও হৃদয় আউট হন ৯২ রানে। টেল এন্ডারদের নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দেন ইয়াসির রাব্বি। নির্ধারতি ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। ৪টি উইকেট নেন হিউমে।


বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড   ওয়ানডে   সিলেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন