ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশে খেলতে চায় পাকিস্তান

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ১২ মে, ২০২৩


Thumbnail

ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না গেলে পাকিস্তানও বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও খেলতে চায়। গতকাল ভারতের একটি টিভি চ্যানেলকে এসব কথা বলেন শেঠি।

প্রাথমিক সূচি অনুসারে এ বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। তবে ভারত ক্রিকেট বোর্ড টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানে খেলতে রাজি নয়, পুরো টুর্নামেন্ট নিরপেক্ষ ভেন্যুতে স্থানান্তর চায় সংস্থাটি। অপর দিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের দেশে এশিয়া কাপ আয়োজনে অনড়। তবে পাকিস্তানের পাশাপাশি আরেকটি দেশে ম্যাচ আয়োজন পর্যন্ত ছাড় দিতে রাজি আছে পিসিবি। যেটিকে বলা হচ্ছে ‘হাইব্রিড মডেল’। প্রতিবেশী দুই দেশের অনড় অবস্থানে এশিয়া কাপের ভেন্যুর সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে।

অচলাবস্থায় থাকা এশিয়া কাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের স্পোর্টস তাককে সাক্ষাৎকার দেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। এই মুহূর্তে পিসিবির অবস্থান কী প্রশ্নে শেঠি হুমকির সুরে বলেন, ‘ভারত পাকিস্তানে খেলতে না এলে পাকিস্তানও ভারতে খেলতে যাবে না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।’ 

বিসিসিআই পাকিস্তানে দল না পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারত সরকারের অনুমতি না থাকার কথা বলে থাকে। শেঠি বলেন, বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে একই যুক্তি দেবে পিসিবিও, ‘ভারতের সরকার যদি বিসিসিআইকে পাকিস্তানে দল পাঠাতে নিষেধ করে, আমাদের সরকারও ভারতে বিশ্বকাপ খেলার জন্য অনুমতি দেবে না।’

পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ভারত ছাড়া আর কোনো দেশের পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে আপত্তি নেই। এখন ভারতের কারণে হাইব্রিড মডেল চালু হলে একই নিয়ম ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও কার্যকর হতে হবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশে হতে পারে বলে মন্তব্য তাঁর, ‘এশিয়া কাপ হাইব্রিড মডেলে হলে বিশ্বকাপেও কার্যকর হতে হবে। আমাদের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো তখন বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও খেলব। একই মডেল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও চলবে। ব্যাপারটা খুবই সরল। ভারত পাকিস্তানে খেলতে রাজি হলে আমরাও বিশ্বকাপ খেলতে ওদের দেশে যাব।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের গরমকে কারণ দেখিয়ে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আবার ভারত রাজি নয় পাকিস্তানে যেতে। সব পক্ষ এমন অবস্থায় থাকলে এশিয়া কাপই হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন পিসিবি চেয়ারম্যান, ‘পাঁচ দল নিয়ে তো আর এশিয়া কাপ হবে না। কারণ, টুর্নামেন্টের মূল আয়ই তো ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ থেকে আসে। আর বাংলাদেশের নাজমুল সাহেব (বিসিবি প্রেসিডেন্ট) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, পাকিস্তান ছাড়া এশিয়া কাপ হবে না। পাকিস্তান না খেললেও এশিয়া কাপ হবে, এই ভাবনা পুরোপুরি বাদ।’

পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে হলেও এশিয়া কাপ খেলতে চায় জানিয়ে শেঠি বলেন, কয়েক দিন আগে এসিসির কাছে নতুন একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত ছাড়া বাকি চারটি দেশ পাকিস্তানে যাবে। সেখানে প্রতিটি দল একটি করে ম্যাচ খেলার পর চলে যাবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ভারতের ম্যাচসহ টুর্নামেন্টের বাকি অংশ ওই ভেন্যুতে হবে।

দুই ধাপে টুর্নামেন্ট আয়োজনের এই প্রস্তাব এখন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান পিসিবি চেয়ারম্যান, ‘তিন দিন আগে দুবাইয়ে এসিসির এক সিনিয়র ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে আমার। তাঁকে হাইব্রিড মডেল ব্যাখ্যা করার পর তিনি সেটা জয় শাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পরে উনি আমাকে জানালেন, জয় শাহ এই মডেলে কোনো সমস্যা নেই বলেছেন। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে জানিয়েছেন।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আফগানিস্তান সিরিজের ক্যাম্পেও জায়গা হলো না মাহমুদুল্লাহর

প্রকাশ: ০৯:৫৩ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই ক্যাম্পের ২৬ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। এতে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে মাহমুদুল্লাহর। 

প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে আসতে না পারায় প্রথম দিনের প্রস্তুতি পর্ব পরিচালনা করেন সহকারী কোচ নিক পোথাস। পুরোদমে অনুশীলন শুরুর একদিন আগে ৩ জুন দেশে ফিরবেন হাথুরুসিংহে। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় এবং শেষ অনানুষ্ঠানিক টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য ২৬ ক্রিকেটারের মধ্যে পাঁচজন ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি।

এ বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় মাহমুদুল্লাহর বাদ পড়াটা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর জায়গা হারানো সত্ত্বেও বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনায় আছেন মাহমুদুল্লাহ। নাফিস জানিয়েছেন, দেশে থাকা সত্ত্বেও মাহমুদুল্লাহকে প্রস্তুতি ক্যাম্পে ডাকা হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে নাফিস বলেন, ‘না (ডাকা হয়নি তাকে)। যদি ডাকা হতো, তাহলে তাকে এখানে দেখতে পেতেন।’

স্ট্রাইক রোটেশনের ব্যর্থতা ফুটে উঠায় আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না মাহমুদুল্লাহ। বয়সের ছাপ প্রভাব ফেলায় ফিল্ডিংয়েও। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ফিল্ডিংয়ে দারুণ চটপটে ও স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে রান করায় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন মাহমুদুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হওয়া তাওহিদ হৃদয়। এই পজিশনের জন্য ব্যাক আপ হিসেবে আরও আছেন ইয়াসির আলি রাব্বি এবং আফিফ হোসেন। এতে মাহমুদুল্লাহর দলে ফেরাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। 

জানা গেছে, পবিত্র হজ পালনের জন্য ২২ জুন দেশ ছাড়বেন মাহমুদুল্লাহ এবং এ বিষয়ে বিসিবিকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের দিন, অর্থাৎ ৫ জুলাই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ জুন থেকে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট শুরু হবে। অনুশীলন সেশন পুরোদমে শুরু হলে ৪ জুনের আগে একমাত্র টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করবে বিসিবি। বর্তমানে শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই খেলছেন মাহমুদুল্লাহ। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফাইনালে হারার পর যা বললেন হার্দিক

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

পর পর দু’বার আইপিএল জেতার মুখে দাঁড়িয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু শেষ বলে হারতে হল চেন্নাইয়ের কাছে। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক বলেন, “আমি ধোনির জন্য খুশি। যদি হারতেই হয়, তাহলে ধোনির বিরুদ্ধেই হারা ভাল।”

হেরেও খুশি আছেন হার্দিক। কারণ হারতে হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে। হারলেও দলের খেলায় খুশি হার্দিক। তিনি বলেন, আমাদের দল সব জায়গায় ভাল খেলেছে। হৃদয় দিয়ে খেলেছি আমরা। যে ভাবে লড়াই করেছে দল, তাতে আমি গর্বিত। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, জিতলে একসঙ্গে জিতব, হারলে একসঙ্গে হারব। কোনও অজুহাত দেব না এই হারের। চেন্নাই আমাদের থেকে বেশি ভাল খেলেছে, তাই জিতেছে।

হার্দিক আরও বলেন, “সাই সুদর্শনের নাম নিতেই হবে। এই ভাবে খেলা খুব সহজ নয়। আমরা সকলকেই সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দলের সকলের থেকে সেরাটা বার করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিটা ক্রিকেটারের ভাল খেলার কৃতিত্ব তাদের নিজেদের। মোহিত (শর্মা), রশিদ (খান), (মোহাম্মদ) শামিরা যেভাবে নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছে, তা অকল্পনীয়।”

চেন্নাইয়ের এই জয় প্রাপ্য ছিল বলে মনে করেন হার্দিক। তিনি বলেন, “ভাল মানুষের সঙ্গে ভাল জিনিস হয়। ধোনি আমার চেনা সব থেকে ভাল মানুষ। ঈশ্বর ওর প্রতি খুশি। আমাকেও ঈশ্বর অনেক দিয়েছেন, তবে এই রাতটা ধোনির।”

 


আই পি এল   ধোনি   হার্দিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গুজরাটকে হারিয়ে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

শেষ ২ বলে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য দরকার ১০ রান। নাটকীয় এক লড়াইয়ে শেষটায় এসে হতাশায় ডোবার মতো অবস্থা মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। কে জানতো, এরপরও নাটক বাকি আছে!

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালের সাক্ষী হলো। শেষ দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে বৃষ্টি আইনে চেন্নাইকে ৫ উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।

হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সের টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতলো ধোনির দল। তাদের সমান ৫টি শিরোপা কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।

এক ফাইনাল নিয়ে কত নাটক হলো! তার এমন সমাপ্তি, নাটকের চেয়েও যেন নাটকীয়। রোববার ছিল ফাইনালের নির্ধারিত দিন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে টসই করা গেলো না। ফলে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। সেই রিজার্ভ ডেতেও এক ইনিংস যাওয়ার পর বৃষ্টির হানা।

ফলে সোমবারের ম্যাচ সময়ের হিসেবে মঙ্গলবার চলে গেলো। আদতে একটা ফাইনাল শেষ করতে লাগলো তিনদিন! তবে এতটা অপেক্ষার পর হতাশ হতে হয়নি সমর্থকদের। এমন ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য যে মেলে কালেভদ্রে!

বৃষ্টি হতে পারতো চেন্নাইয়ে অভিশাপ, সেটি হয়েছে আশীর্বাদ। অভিশাপ কিভাবে? এই ম্যাচটি যদি পরিত্যক্ত হতো, তবে গ্রুপপর্বে পয়েন্ট বেশি থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হতো গুজরাট টাইটান্স।

কিন্তু বৃষ্টি এসে উল্টো আশীর্বাদ করে দিলো মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। গুজরাট তাদের সামনে ২০ ওভারে ছুড়ে দিয়েছিল ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। ম্যাচ পুরোটা হলে কাজটা কঠিনই হতো।

কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওভার কমে যায়। ফলে ১৫ ওভারে চেন্নাইয়ের সামনে বেঁধে দেওয়া হয় ১৭১ রানের লক্ষ্য। চেন্নাই অবশ্য রান তাড়ায় ভালোভাবেই ছিল। ওপেনার রুতুরাজ গাইকদের ১৬ বলে ২৬, ডেভন কনওয়ের ২৫ বলে ৪৭ আর আজিঙ্কা রাহানের ১৩ বলে ২৭ রানে বেশ ভালো অবস্থানে দাঁড়ায় ধোনির দল।

১২.৩ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ১৪৯। অর্থাৎ শেষ ১৫ বলে চেন্নাইয়ের লাগতো ২২ রান, হাতে ৭ উইকেট। এমন সময়ে এসে জোড়া উইকেট শিকার করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মোহিত শর্মা।

বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা আম্বাতি রাইডুকে (৮ বলে ১৯) আর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) ফেরান এই পেসার। চাপে পড়ে চেন্নাই। ১৪তম ওভারে মোহাম্মদ শামি দেন মাত্র ৮ রান। ফলে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার পড়ে ১৪।

মোহিত প্রথম ৪ বলে মাত্র ৪ রান দিলে ম্যাচ ঝুলে যায় গুজরাটের দিকে। সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজার অসাধ্য সাধন। পঞ্চম বলে লংঅনের ওপর দিয়ে ছক্কা, শেষ বলে মোহিতের লো ফুলটস শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস জাদেজার। ধোনি যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, অনেকটা সময় তিনি মাথা নিচু করে বসেছিলেন ডাগআউটে।

এর আগে সাই সুদর্শনের ৪৭ বলে ৯৬ রানের (৮ চার আর ৬ ছক্কা) বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছিল গুজরাট। এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহা ৩৯ বলে ৫৪, শুভমান গিল ২০ বলে ৩৯ এবং হার্দিক পান্ডিয়া ১২ বলে করেন অপরাজিত ২১ রান।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির চেন্নাইকে ২১৫ রানের বিশাল বড় লক্ষ্য দিলো গুজরাট

প্রকাশ: ১০:৪৪ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

বৃষ্টির শঙ্কা নিয়েই মাঠে গড়ায় ১৬ তম আইপিএলের ফাইনাল। তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার-ছক্কার বৃষ্টি ছোটালেন গুজরাটের ব্যাটাররা। শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করেই ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছে গুজরাট টাইটান্স। মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ আইপিএল জেতার রেকর্ড ছুঁতে ধোনির চেন্নাইকে করতে হবে ২১৫ রান।

আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খেতে পারতো গুজরাট। তুষার দেশপান্ডের বলে স্কয়ার লেগে শুভমান গিলের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন দীপক চাহার। গিল তখন ২ রানে।

একের পর এক তাণ্ডব চালানো ইনিংস খেলে গুজরাট টাইটান্সকে ফাইনালে তোলা শুভমান গিল জীবন পাওয়ার পর হয়ে উঠেন আরও ভয়ংকর। পাওয়ার প্লেতে তিনি আর ঋদ্ধিমান সাহা মিলে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গুজরাটকে। ৬ ওভারে তারা তোলে ৬২ রান।

জীবন পাওয়া গিল হাফসেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ২০ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গুজরাট ওপেনার করেন ৩৯।

দ্বিতীয় উইকেটে সাই সুদর্শনকে নিয়ে ৪২ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান। ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ফেরেন দীপক চাহারের শিকার হয়ে। ৩৯ বলে তার ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার আর ১ ছক্কার মার।

এরপর ৩৩ বলে ফিফটি করেন সুদর্শন। ১৭তম ওভারে তুষার দেশপান্ডেকে ৩ চার আর ১ ছক্কা হাঁকিয়ে একাই ২১ রান তুলে নেন এই ব্যাটার।

সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। শেষ ওভারে পাথিরানাকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের একদম কাছে চলে এসেছিলেন সুদর্শন। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ভাঙে প্রথম সেঞ্চুরির স্বপ্ন।

চেন্নাইয়ের সব বোলারই খরুচে ছিলেন। পেসার মাথিশা পাথিরানা ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দেন ৪৪ রান।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

বৃষ্টি শঙ্কা উড়িয়ে অবশেষে মাঠে গড়াল ১৬ তম আইপিএলের ফাইনাল। আইপিএল ফাইনালটি হওয়ার কথা ছিল রোববার। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেদিন টসই হয়নি।

আজ হাই-ভোল্টেজ ফাইনালে টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হচ্ছে রাত ৮টায়।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন