সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।
আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।
সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।
ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!
খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।
গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।
৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।
সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।
২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।
সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’
ফুটবল বিশ্বকাপ আমেরিকান সামোয়া অস্ট্রেলিয়া
মন্তব্য করুন
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে বায়ার্ন মিউনিখের ঘর থেকে সমতা নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জমজমাট উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে ড্রতে। যার জন্য সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগেই হবে চূড়ান্ত সমাধান।
এমন পরিস্থিতিতে বার্নাব্যুতেই স্বাগতিক রিয়ালকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। তিনি বলেন, ‘ফলাফল ফলাফলই। রিয়াল মাদ্রিদ এমনটা আগেও করেছে, দুই অর্ধে তারা দুটি চান্স পেয়েছে এবং দুটিতেই গোল। আমরা প্রথম কোনো প্রতিপক্ষ নই যে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি এখন ফিফটি-ফিফটি লড়াই। জয়ের জন্য বার্নাব্যু কঠিন জায়গা, তবে হ্যাঁ আমি আশা করি আমরা সেখানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।’
অন্যদিকে, বেলিংহ্যামের চোট এবং এই ম্যাচের ফর্ম নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। তবে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ থাকলেও প্রথম লেগের ফল নিয়ে তিনিও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তার কণ্ঠে মুগ্ধতা ঝরেছে জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের জন্যও। সেই সাথে এদিন রিয়ালকে জোড়া গোলে সমতায় ফেরানো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও এই সতীর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আর এই ব্রাজিলিয়ানের এক গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন ক্রুস। যা নিয়ে ভিনি বলেন, ‘এটি টনির পক্ষ থেকে উপহার, সে গোলটি দেওয়া আমার জন্য সহজ করে দিয়েছিল। এবার বার্নাব্যুতে ম্যাজিক দেখানোর পালা।’
রিয়াল-বায়ার্ন ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে জ্যুড বেলিংহ্যামকে তুলে নেন কোচ আনচেলত্তি। তাকে নিয়ে অস্বস্তি এবং ক্রুসকে নিয়ে রিয়াল ম্যানেজার জানান, ‘বেলিংহ্যাম ক্লান্ত ছিল, সে কারণে সে আর বেশিক্ষণ খেলতে পারছিল না। বেঞ্চেও আমাদের যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় আছে। তবে আশা করি সে (বেলিংহ্যাম) নিজের সেরা ফর্মে ফিরবে। আমার মনে হয় তার ইনজুরির সমস্যা রয়েছে, যা তার খেলায়ও প্রভাব ফেলেছে। টনি ক্রুস…তার জন্য কোনো শব্দ যথেষ্ট নয়। সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, টাইমিং এবং পাস অসাধারণ। অবশ্য তার পাস সবার জন্য নয়, কিন্তু ভিনির মুভমেন্ট খুবই স্মার্ট–অসাধারণ।’
প্রথম লেগের ফল নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন এই ইতালিয়ান কোচ, ‘প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণশীল হতে হতো, তবে আমরা যেমনটা চাইনি তার বাইরে ঘটে গেছে। সে কারণে এ ধরনের জায়গায় আপনাকে ভুগতেই হবে, যা বিশ্বের সবাই জানে। আমি মনে করি এটা ভালো ফলাফল এবং সেকেন্ড লেগের জন্য আমাদের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এটি এখনও সম্পূর্ণ খোলা (নিজেদের পক্ষে ফল নেওয়ার জন্য)।’
তবে এই ড্র মানতে পারছেন না বায়ার্নের মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। তরুণ এই জার্মান তারকা বলেন, ‘ভালো খেলার পরও এই ফলাফল কিছুটা তিক্ত অনুভূতির। রিয়াল মাদ্রিদ যেকোনো পরিস্থিতি কেটে ওঠার সামর্থ্য আছে, যেখানে আপনি মনে করবেন যে প্রতিপক্ষ কিছুই করতে পারবে না। তবে আমরা মাথা উঁচুতে রাখছি এবং বার্নাব্যুতে নতুন লক্ষ্যে নামব।’
মিউনিখে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। আগামী বুধবার (৮ মে) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হবে দুই দলের ফিরতি লেগ। শেষ পর্যন্ত দুই অভিজাত দলের মধ্য থেকে কারা ফাইনালের টিকিট কাটবে, সেটি নিশ্চিত হবে রিয়ালের ঘরের মাঠে।
টমাস টুখেল বায়ার্ন মিউনিখ রিয়াল মাদ্রিদ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি পেসার, কাটার মাস্তার মুস্তাফিজুর রহমান। ক্যারিয়ারের শুরুতেই আগুন ঝরানো সব বোলিংয়ে নজর কেড়েছিলেন পুরো বিশ্বের। শুধু তাই নয়, আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুমটিও কেটেছিল সেই ২০১৬ সালে। যা মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারের প্রথম আইপিএল ছিল।
সেবার মুস্তাফিজ আইপিএলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান। তাকে সেবার দলে ভিড়িয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অরেঞ্জ আর্মি হয়ে সেবার মুস্তাফিজ যা করেছেন, সেটা যেকোন পেসারের জন্যই স্বপ্নের। ঠিক তেমন না হলেও এবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইতোমধ্যেই মুস্তাফিজ বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত আইপিএলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই পেসার।
তবে উইকেটের হিসাবে চলতি মৌসুমকে নিজের সেরা মৌসুম বানানোর সুযোগ এখন মুস্তাফিজের সামনে। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন ফিজ। অর্থাৎ ১৭ উইকেট ছুঁতে এবার তার প্রয়োজন মাত্র ৩ উইকেট, ছাড়িয়ে যেতে প্রয়োজন ৪টি। কাজটা মোস্তাফিজের জন্য কঠিন। কারণ, আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল অধ্যায় শেষ হচ্ছে।
চেন্নাই সুপার কিংসের এই পেসারকে ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য আজকের ম্যাচটি এবারের মৌসুমে মুস্তাফিজের জন্য শেষ ম্যাচ। আজকের ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরতে হবে ফিজকে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৩-৪ উইকেট নেওয়া বেশ কঠিনই। তবে খেলাটা চেন্নাইয়ে হওয়ায় কিছুটা আশা দেখতে পারেন মোস্তাফিজ–ভক্তরা। এবারের মৌসুমে ৫ ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। সর্বশেষ ম্যাচেও উইকেট নিয়েছেন ২টি।
তবে চেন্নাইয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই ২০০–এর বেশি রান হয়েছে। শিশিরের কারণে পরে বোলিং করা দলের বোলারদের কার্যকারিতা কমে যায় অনেকটা। মুস্তাফিজের চেন্নাই সর্বশেষ দুই ম্যাচেই পরে বোলিং করেছে।
সে যা–ই হোক, এবারের মৌসুমে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং, ‘মুস্তাফিজ অসাধারণ করছে, ওর বোলিংয়ের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয় এমন জায়গাতেও। এখানের (চেন্নাই) উইকেটে অনেক গতি ছিল, শিশির তো আছেই। ও যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, তা দুর্দান্ত। আমরা জানি, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দায়িত্ব সবার আগে। কিন্তু আমাদের দলে ও দারুণ এক সংযোজন ছিল।’
মুস্তাফিজ আজ উইকেট না পেলে এটি হবে উইকেটের হিসাবে যৌথভাবে তার দ্বিতীয় সেরা মৌসুম। এর আগে ২০২১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এবারের মৌসুমের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। শেষটাও কি এমন রাঙিয়ে দিতে পারবেন?
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
আগমী মাসে
শুরু হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করতে শুরু করেছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।
ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা দিয়েছে, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। এবার
বিশ্বকাপের জন্য মিচেল মার্শের নেতৃত্বে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আস্ট্রোলিয়াও।
১৫ সদস্যের
অস্ট্রোলিয়া দলে জায়গা পায়নি অস্ট্রোলিয়ান অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। দলে জায়গা
পাননি চলমান আইপিএলে ব্যাটিং তান্ডব দেখিয়ে আসা আলোচিত অজি ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার
ম্যাকগার্কও। অনেক সাবেক ক্রিকেটারই তরুণ এই ওপেনারকে বিশ্বকাপ দলে রাখার কথা
বলেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-২০ না খেলা এই ব্যাটারকে দলে রাখেনি
ক্রিকেট অস্ট্রোলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, যারা ঘোষিত দলে সুযোগ পায়নি তাদের ওপরও নজর রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড়, যারা প্রাথমিক দলে সুযোগ পায়নি, তাদের ওপর নজর রাখা হবে।আমরা যদি দলে পরিবর্তন আনতে চাই, আইসিসির নিয়ম মেনে সেটি করার সুযোগ আছে।’
বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড
ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা, জস হ্যাজেলউড, জশ ইংলিশ, অ্যাশটন অ্যাগার, ক্যামেরন গ্রিন, নাথান এলিস।
টি-২০ বিশ্বকাপ অস্ট্রোলিয়া দল ঘোষণা ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাশমতউল্লাহ শহিদির নেতৃত্বে গেলেও এবার টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে রশিদ
খানের নেতৃত্বে খেলবে আফগানরা। অধিনায়ক না থাকার পাশাপাশি দলেও যায়গা পাননি হাশমতউল্লাহ।
২০২২ বিশ্বকাপের দল থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আনেনি আফগানরা। তবে
নতুন কয়েকটি নাম যোগ করেছে তারা। যেখানে আছেন করিম জানাত, মোহাম্মদ ইসাক ও নুর আহমাদ।
নতুনদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন নানগাল খারোটি। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে
জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার।
আফগান স্কোয়াড
রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক)
ইবরাহিম জাদরান
আজমতউল্লাহ ওমরজাই
মোহাম্মদ ইসাক
মোহাম্মদ নবি
গুলবাদিন নায়িব
করিম জানাত
রশিদ খান (অধিনায়ক)
নানগাল খারোটি
মুজিব উর রহমান
নুর আহমাদ
নাবিন উল হক
ফজল হক ফারুকি ও
ফরিদ আহমেদ মালিক
রিজার্ভ
সেদিক আতাল, হযরতউল্লাহ জাজাই ও সালিম শাফি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আফগানিস্তান ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে টমাস টুখেলের শিষ্যরা। এর মিনিট চারেক পর লিডও পেয়ে যায় তারা। যদিও ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। আর তাতে ড্রয়ে শেষ হল রিয়াল-বায়ার্নের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
মঙ্গলবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় স্বাগতিক বায়ার্নের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বায়ার্নের হয়ে একটি গোল করেছেন লেরয় সানে। স্পটকিক থেকে অন্য গোলটি করেছেন হ্যারি কেইন।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই রিয়ালের রক্ষণ কাঁপায় বায়ার্ন মিউনিখ। কিক অফের পরেই আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেইনের পা ঘুরে বল পেয়ে লিরয় সানে গোলের জন্য শট নিলেও তা ফিরে আসে আন্দ্রি লুনিনের গায়ে লেগে।
এরপর রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে টমাস টুখেলের দল। হ্যারি কেইন, জামাল মুসিয়ালারা সুযোগ তৈরি করলেও তা গোলের মুখ দেখছিল না।
রিয়ালও ধীরে সুস্থে খেলার চেষ্টা করে। প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪তম মিনিট অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা স্তব্ধ করে এগিয়েও যায় লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। টনি ক্রুসের থ্রু পাস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বল পেয় যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বায়ার্নের বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারকে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য ম্যাচে ফিরে আসে বায়ার্ন। এবার আর ভুল করেননি সানে। বাম দিকে বল পেয়ে খানিকটা জায়গা বদল করে বক্সের ওপর থেকে বা পায়ের শটে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
এর মিনিট চারে পরেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয় স্বাগতিকরা। বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালাকে ফাউল করে বসেন লুকাস ভাস্কেস। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন হ্যারি কেইন।
স্বাগতিকরা জয়ের আশায় থাকলেও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় রিয়াল। সাফল্যও পায় দলটি। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে বক্সের ভেতরে রদ্রিগোকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকেও নয়ারকে পরাস্ত করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাতে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্রয়ের স্বস্তি নিরেই ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে রিয়াল।
এ ড্রয়ের ম্যাচের নিষ্পত্তির জন্য এখন সবার চোখ থাকবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। যেখানে আগামী ৮ মে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে রিয়াল ও বায়ার্ন।
মন্তব্য করুন
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে টমাস টুখেলের শিষ্যরা। এর মিনিট চারেক পর লিডও পেয়ে যায় তারা। যদিও ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। আর তাতে ড্রয়ে শেষ হল রিয়াল-বায়ার্নের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।