ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ ওভারে চেন্নাইকে ডোবালেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ ৬ বলে ১৭ রানের টার্গেট। উইকেটে তখন স্টয়নিসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। অন্যদিকে, ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম চেন্নাই চেন্নাই স্লোগানে প্রকম্পিত। দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ মুস্তাফিজের সামনে। টাইগার এই পেসারের প্রথম বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে এক লহমায় সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিলেন স্টয়নিস। পরের দুই বলে দুটি চারে ম্যাচ তখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। তিন নম্বর ডেলিভারিটিতে আবার হলো নো বল। ফ্রি হিটে ফের ৪ মেরে লখনৌকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন স্টয়নিস। 

দিন তিনেক আগে নিজেদের মাটিতে প্রথম দেখায় চেন্নাইকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল লখনৌ। এবার চিপকে প্রতিশোধের ম্যাচে অধিয়াক রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর শিবাম দুবের ব্যাটে হাতে শুরুটা দারুণ করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত গায়কোয়াড় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং দুবে করেছেন ৬৬ রান।

ঘরের মাঠে চেন্নাই বরাবরই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। আজকের আগে তাদের চার জয়ের তিনটিই এসেছে চিপকের এই ভেন্যুতে। তবে ওপেনিংয়ে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান রাহানে। যদিও সেই ধাক্কা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গী বানিয়ে সামলাতে থাকেন গায়কোয়াড়। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি, বিদায়ের আগে মাত্র ১১ রান (১০ বল) করেন।

মিচেল-গায়কোয়াড় এবং এরপর নামা রবীন্দ্র জাদেজা-গায়কোয়াড়ের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হলেও, সেখানে বড় অবদান ছিল চেন্নাই অধিনায়কের। জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৬ রানে (১৯ বল)। গায়কোয়াড় রান এবং একপ্রান্ত আগলে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় উইকেট পতনে সেভাবে সমস্যা হচ্ছিল না। এরপর শিবাম দুবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। গায়কোয়াড়ের চেয়েও এই তরুণ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন।

অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন ৫৬ বলে। একইসঙ্গে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও সেঞ্চুরির নজির গড়েন গায়কোয়াড়। এদিন রুতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসে পেয়েছেন কেবল ১ বল, ইনিংসের চূড়ান্ত বলটিকে তিনি পরিণত করেন চারের বাউন্ডারিতে। লখনৌর হয়ে ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর।

চেন্নাইয়র ঘরের মাঠে ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করা, তার ওপর চিপকের মাটিতে বেশ সফল স্বাগতিক দলের দুই পেসার পাথিরানা ও মুস্তাফিজ। জয়টা বেশ কঠিনই ছিল লখনৌয়ের জন্য। এমন সমীকরণে লখনৌয়ের শুরুটা ছিল হতাশার। 

কুইন্টন ডি'কক ফিরে যান কোনও রান না করেই। অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

কিন্তু কোনও লড়াই-ই কাজে আসত না যদি না শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে চেন্নাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন স্টয়নিস। শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেটে মুস্তাফিজের ৩ বলেই চেন্নাইয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মুস্তাফিজকে। ফিজের মতো শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিন চার হজম করেছেন মাথিশা পাথিরানাও। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:৪৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দাপট দেখিয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের দৃঢ়তায় ১২৫ রানের লক্ষ্য ২৮ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিমের। লিটনের সাথে ইনিংসের শুরুর সুযোগ পান তিনি। তবে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ৫ রানের সময় ব্যক্তিগত একরানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দেন তামিম। অর্ধশতক তুলে নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের অভিষেকটাও।

যদিও তামিমের অর্ধশতক এসেছে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিংয়ে। ৫০ পৌঁছাতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৩৬ বল। অর্ধশতক করার পথে দুই ছক্কা ও ছয়টি চার মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৬৭ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার ও ‍দুইটি ছক্কার মার। অপরদিকে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ১৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে এই রান করেন।

লিটন দাসের মতো এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ২৪ বলে মাত্র ২১ রান করে জঙ্গির বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। শুরুতে স্লো স্ট্রাইকিংয়ে ব্যাটিং করায় দুইবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার কারণে ডিএল মেথডে হারের শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি থামার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

এর আগে, চট্টগ্রামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও চার মেরেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ওভারে ৮ রান তোলা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তার দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দিয়েছিলেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রানও।

তবে এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড কিছুক্ষণের মধ্যে দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলার পথে দুইটি ছক্কা ও দুইটি চার মারেন মাসাকাদজা।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী পান দুই উইকেট। তবে ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। দু’জনেই চার ওভারে দিয়েছেন ৩৭ রান করে। তবে থেকেছেন উইকেটশূন্য।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেই হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সিকান্দার রাজার দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। তবে তিন ওভার পেরোতেই চট্টগ্রামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরতে শুরু হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আবারও শুরু হয় খেলা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়ায় ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তবে থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানির আঘাতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। পরে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমানে তাদের ব্যাটেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রেইগ আরভিন ও জয়লর্ড গাম্বি। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ মাহেদী।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন মাহেদী। দুই বলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে উইকেটে আসেন ব্রায়ান বেননেট। শুরুর ধাক্কা সামলে তার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন গাম্বি।

তবে গাম্বির বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের সেই জুটি। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দী হন গাম্বি। আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা দেখালেও রানআউটের শিকার হন বেননেট। রিয়াদের দ্রুতগতির থ্রোতে তাকে আউট করেন জাকের আলী। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তারা তিনজনই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন ক্লাইভ মাদানদে। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এ দুজনে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো লক্ষ্যে নিয়ে যান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

৪৩ রান করে মাদানদে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যা তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মাসাকাদজা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেছেন।

এই দুজনের ব্যাট ভর করে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী হাসান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন