ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনস্থ গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি ইতোমধ্যেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্বাচন করে ফেলেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিতে পাঠানোর অপেক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচক কমিটির বাছাই করা দলে থাকছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও দীর্ঘ চোট কাটিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামীকাল ১ মের মধ্যে ১৫ জনের দল পাঠাতে হবে আইসিসিতে। তবে এই দলে পরিবর্তন আনা যাবে ২৫ মে পর্যন্ত। আর সেই পরিবর্তন বোর্ডগুলো আনতে পারবে বিনা শর্তে। অর্থাৎ ১৫ জনের দলের কেউ চোটে পড়লে তো বটেই, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো কারণেও দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

বিসিবির নির্বাচক কমিটি সে কারণেই দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনকে দলে রাখার ঝুঁকিটা নিতে চাইছে। সর্বশেষ বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সাইফউদ্দিনকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে ১৫ জনের দলের একজন হয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বিশ্বকাপের বিমানে ওঠাটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

পারফরম্যান্সের সঙ্গে অবশ্যই সাইফউদ্দিনের ফিটনেসেও চোখ থাকবে নির্বাচকদের। হোক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ, এত দিন পর মাঠে ফেরা যেকোনো ক্রিকেটারেরই ফিটনেসে জড়তা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহ যে থাকবেন, সেটা অনেকটা অনুমেয়ই। বিপিএলে ভালো খেলেছেন, সেই ধারা ধরে রেখেছেন ৫০ ওভারের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও। গত মাসে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও খেলেছেন ৩১ বলে ৫৪ রানের একটি ইনিংস। সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে থাকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলেই জানা গেছে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ মে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য ১৭ জনের নাম ঘোষণা করেছিল বিসিবি। যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন বলে সাকিব আল হাসান সেই দলে ছিলেন না, আইপিএলে ছিলেন বলে মোস্তাফিজুর রহমানও না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ওই ১৭ জনের মধ্যে নেই হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার।

যেহেতু ২৫ মের আগে প্রয়োজনে দলে পরিবর্তন আসতে পারে, আইসিসিতে পাঠানো ১৫ খেলোয়াড়ের তালিকা বিসিবি এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা নাও করতে পারে। যত দূর জানা গেছে, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড।

সূত্র জানিয়েছে, ২৫ মের আগে বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে যদি কোনো পরিবর্তন আনাও হয়, খুব জরুরি না হলে নির্বাচকেরা এই ১৯ জনের বাইরে তাকাবেন না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টির সিরিজের পারফরম্যান্স অবশ্যই ভূমিকা রাখবে তাতে। চোটের কারণে সৌম্য প্রথম তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও নির্বাচকদের চোখ আছে তাঁর ওপরও। চোট কাটিয়ে খেলায় ফিরে ভালো কিছু দেখাতে পারলে তাঁরও জোর সম্ভাবনা থাকবে বিশ্বকাপের দলে থাকার।


বাংলাদেশ   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম ম্যাচে যেমন হতে পারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে টাইগাররা।

সিরিজের এই প্রথম টি-২০ ম্যাচটি দু’দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দু’দলের। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরই মধ্যে এই ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র হবে বাংলাদেশের ২১তম প্রতিপক্ষ।

সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে- ২৩ ও ২৫ মে। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সব ম্যাচ। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষে ২৮ মে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ একই ভেন্যুতে চারবার মুখোমুখি হবে দু’দল।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় টেক্সাসের হিউস্টোনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে নাগরিক টিভিতে।

অভিবাসীদের খেলোয়াড়দের নিয়ে মূলত দল সাজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও উইন্ডিজ বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের আধিপত্যই বেশি। এর মধ্যে একজনের নাম স্পটলাইটে রয়েছে। তিনি নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কোরি অ্যান্ডারসন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে বাংলাদেশ। তবে প্রথম টি-২০ ম্যাচের একাদশ কেমন হবে তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। লিটন দাস রান পাননি।

অন্যদিকে ইনজুরির কারণে সৌম্য সরকার জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে খেলার সুযোগ পাননি। তাকে তাই পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। আবার জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে অভিষেক হওয়ায় তানজিদ তামিমও পর্যাপ্ত ম্যাচ পাওয়ার দাবি রাখেন।

যদিও লিটন দাসকে ফর্মে ফেরাতে টিম ম্যানেজমেন্ট সম্ভাব্য সব কিছুই করতে চায়। যে কারণে তাকেও ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। ছন্দে না থাকলেও অধিনায়ক হওয়ায় একাদশে টিকে যাবেন নাজমুল শান্ত। তাসকিন আহমেদ ইনজুরিতে পড়ায় শরিফুল-মুস্তাফিজের সঙ্গে তানজিম সাকিব বা হাসান মাহমুদকে দেখা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে। সিরিজের চার ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষেও একইরকম একাদশ নিয়ে নামতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। দলটির বড় ভরসার জায়গা হবেন ওপেনার মোনাঙ্ক প্যাটেল ও পেস অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন। কানাডার বিপক্ষে ধারাবাহিক রান করেছেন তারা।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য একাদশ:
স্টিভেন টেইলর, মোনাঙ্ক প্যাটেল, আন্দ্রিয়েস গোউস,অ্যারন জোনস, মিলিন্ড কুমার, গজনন্ড সিং, হারমিট সিং, জসদ্বীপ সিং, নসথাস কেনজিগে, সৌরভ নেত্রভালকার, শ্যাডলি ফন শালকউইক।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এলপিএলে ৫৮ লাখ টাকায় দল পেলেন তাসকিন

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেট জীবনের নিজের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলে আছেন। এরই মাঝে নতুন আরেক সুখবর পেলেন তাসকিন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। শ্রীলংকায় লিগটি শুরু হওয়ার আগে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিলাম। যেখানে চড়া মূল্যে দল পেয়েছেন জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ।

আসন্ন এলপিএলে তাসকিনকে দেখা যাবে কলম্বো স্টাইকার্সের জার্সিতে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাকে ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলারে দলে ভিড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রা মানে যা প্রায় ৫৮ লাখ টাকা।

এলপিএলে তাসকিন দল পেলেও অবিক্রিত রয়ে গেছেন বাকি দুই টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। বিরতির আগে ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলারে নিলামে ওঠে মুশফিকের নাম। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

অপরদিকে এলপিএলে এবারের নিলামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাম উঠেছিল লিটনের। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৩০ হাজার ডলার। কিন্তু তার প্রতিও কোনো আগ্রহ ছিল না লিগে অংশ নেয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর।

এর আগে একাধিকবার আইপিএলসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ এসেছিল তাসকিনের। কিন্তু বোর্ডের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় খেলা হয়নি তার। যদিও জিম্বাবুয়ের টি-১০ টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। সেবার বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন এই টাইগার পেসার।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে টাইগাররা।

সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে- ২৩ ও ২৫ মে। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সব ম্যাচ। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষে ২৮ মে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ একই ভেন্যুতে চারবার মুখোমুখি হবে দু’দল।

প্রথম ম্যাচটি দু’দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দু’দলের। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরই মধ্যে এই ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র হবে বাংলাদেশের ২১তম প্রতিপক্ষ।

মূলত অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের আধিপত্যই বেশি। এর মধ্যে একজনের নাম স্পটলাইটে রয়েছে। তিনি নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কোরি অ্যান্ডারসন।

২০১৪ সালে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ২০১৫ সালে তাের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন এ অলরাউন্ডার। পরবর্তীতে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অ্যান্ডারসনের অভিষেক হয়। সাত বছর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪১ বলে ২টি চার ও ১০টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০তে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড তার। পাশাপাশি ৭৫ বা তার বেশি রানের ইনিংসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট।

এছাড়া ডান-হাতি পেসার আলি খানের চেয়ে অন্যরা খুব বেশি পরিচিত নয়। আইপিএল, পিএসএল এবং বিশ্বজুড়ে আরো কয়েকটি টি-২০ লিগ খেলেছেন তিনি। বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন আলি খান। তার মতো আরো কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা বিশ্বের বেশ কিছু জনপ্রিয় টি-২০ লিগে খেলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে বাংলাদেশ। সব ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে হওয়া কিছু ভুল সমাধানের চেষ্টাও করবে দল। যদিও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দল:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানভির ইসলাম, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ।

যুক্তরাষ্ট্র দল: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসার্গ প্যাটেল, নীতিশ কুমার, নশতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেথ্রালভাকার, শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক, স্টিভেন টেলর, শায়ান জাহাঙ্গীর। রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুয়ানয় ড্রাইসডেল, ইয়াসির মোহাম্মদ।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লপের বিদায়ে কী বললেন সালাহ?

প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লিভারপুলের ডাগআউট থেকে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমেই সরে দাঁড়িয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। এরই মধ্যে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট। জানা গেছে, তার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছে অল রেডরা।

এদিকে ক্লপ যুগেই বিশ্ব দরবারে নিজেকে চিনিয়েছেন মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ। অথচ সেই ক্লপের শেষ সময়ে তার টানাপোড়েন! গত মাসের শেষ দিকে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামার আগমুহূর্তে সাইডলাইনে ক্লপের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান সালাহ। সেই তর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

সেই ম্যাচ শেষে সালাহ বলেছিলেন, ‘আজ আমি কথা বললে আগুন লেগে যাবে।’ তবে লিভারপুলের বিদায়ী কোচ ক্লপ জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সব কিছু ঠিক আছে।

মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে ক্লপকে সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালাহ। এবার ক্লপকে শুভ কামনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন মিশরীয় এই ফুটবলার।

ক্লপের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিভারপুল তারকা লিখেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে ঐসব ট্রফি ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা ছিল দারুণ ব্যাপার। ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং আশা করি, আবার দেখা হবে আমাদের।’

গেল মৌসুম শুরুর আগে সৌদি আরবের ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সালাহ। বেতনের অর্থও ছিল চড়া কিন্তু সালাহ থেকে যান লিভারপুলে। আসছে মৌসুমেও লিভারপুলে থাকার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

সালাহ বলেন, ‘আমরা জানি যে, ট্রফি জয় করাকেই গোণায় ধরা হয় এবং পরের মৌসুমে তা সম্ভব করে তুলতে সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করব। আমাদের সমর্থকদের এটা প্রাপ্য এবং আমরা তীব্র লড়াই করে যাব।’


ইয়ুর্গেন ক্লপ   মোহাম্মদ সালাহ   লিভারপুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নরমাল ম্যান বিং দ্যা স্পেশাল ওয়ান

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।

২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।

এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।

কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে। আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।

২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।

আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই

ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’। আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।

ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয় পাবে।’

নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য সকল ট্রফি জেতেন।

একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:

২০১৯-২০

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন,

২০১৯-২০

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন

২০১৯-২০

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

২০২১-২২

এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন

২০২১-২২, ২০২৩-২৪

ইএফএল চ্যাম্পিয়ন

 

সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।


ইয়ুর্গেন ক্লপ   লিভারপুল   ইংলিশ লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন