ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নাজমুল না সাকিব?

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল নাজমুলকে, সেই সূত্রে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই এলেন। পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে যাওয়ার পেছনে টপ অর্ডারে ব্যাপক মাত্রার অদলবদলের প্রশ্নে নাজমুলের জবাবে ছিল দায় স্বীকারের প্রকাশ, ‘অনেক বেশি হয়ে গেছে। না করলেই ভালো।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছয় মাস পর সেটি টি-টোয়েন্টির সংস্করণের বাংলাদেশ দল যখন আরেকটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন আবারও আলোচনায় ব্যাটিং অর্ডারের অদলবদল প্রসঙ্গ। এবারও কি ব্যাটিংয়ের ওপরের দিকে, বিশেষ করে ৩ নম্বর পজিশনে ওলট-পালট চলবে? এটা স্পষ্ট যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ব্যবস্থা কাজে দেয়নি, নাজমুলও এর প্রবল সমর্থক ছিলেন না। তবু প্রশ্নটা উঠছে ৩ নম্বর পজিশনে গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ও কন্ডিশন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট পার্থক্যের কারণে। অর্থাৎ সাবেক অধিনায়ক সাকিব আর বর্তমান অধিনায়ক নাজমুলের ৩ নম্বরে ব্যাটিং-খতিয়ানই তুলছে প্রশ্নটা।

নাজমুল তার ৩৬ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ১৮টি ম্যাচই খেলেছেন ৩ নম্বরে। এর বেশির ভাগই গত এক বছরের মধ্যে। কিন্তু মার্চে শ্রীলঙ্কা ও চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৬ রানের পরও সিরিজের চার ইনিংসে রান মোটে ৮১। কম রানের পাশাপাশি নাজমুলের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তির আরেক দিক—স্ট্রাইক রেটের দুর্দশা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮১ রান করতে খেলেছেন ৭৮ বল, স্ট্রাইক রেট ১০৩.৮৪। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়, নাজমুলের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেটই দৃষ্টিকটু রকমের কম (১১১.১৬)। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ২০ অধিনায়কের মধ্যে যা ১৯তম।

নাজমুলের আগে অধিনায়ক থাকার সময় সাকিবও তিনে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি রানও এ পজিশনেই—৪২ ইনিংসে ১০৮৫। ক্যারিয়ারের ১২ ফিফটির ৭টিও করেছেন তিনে নেমে। সাকিব তিনে খেলে হাজারের বেশি রান করেছেন ২৯.৩২ গড় আর ১২৩.১৫ স্ট্রাইক রেটে। অবশ্য শুধু স্ট্রাইক রেট বিবেচনা করলে সাকিবের সেরা পজিশন ৪ নম্বর। এখন পর্যন্ত ৪৫ ইনিংসে চারে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইকে ৮৮০ রান তাঁর (৬ নম্বরে নেমে ৬ ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ১৩০)। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে ৪ নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।

তবে মোটের ওপর রানসংখ্যা, গড় ও স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সাকিব তিনেই বেশি সফল। এবারের বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পারফরম্যান্স তো ক্যারিয়ার–গড়ের চেয়েও বেশি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে খেলা ৭ ইনিংসে সাকিবের গড় ৩৫.৫০ (মোট ২১৩ রান), স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৪১। আর যুক্তরাষ্ট্রে খেলা দুই টি-টোয়েন্টিতে ৪২ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান ৮৪।

নির্দিষ্ট কন্ডিশন ও ৩ নম্বরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে সাকিবই যে এগিয়ে, সেটি এসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তবে এসব বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে তিনে ফেরানো মানে আবারও ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদল। সেটার সম্ভাবনা কেমন, বিশেষ করে গত বছর ভারত বিশ্বকাপে তেতো অভিজ্ঞতার পর—এমন প্রশ্নই উঠেছিল দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।

মজার বিষয় হচ্ছে, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো বটেই, অধিনায়ক নাজমুলও এই বিশ্বকাপে আরেকটি ওলট-পালটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হাথুরুর জবাব ছিল সোজাসাপটা, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তিত হবে। এটা ক্রিকেটে স্বাভাবিক ব্যপার। এটা আসলে আপনি কোথায় ব্যাট করছেন এবং কতটা সেরা ব্যাটিং করছেন, তার ওপর নির্ভর করে।’

আর অধিনায়ক নাজমুল, যিনি নিজেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওলট-পালট বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার জায়গায় তিনে সাকিবের খেলার সম্ভাবনায় দিয়েছেন কূটনৈতিক জবাব, ‘এটা নির্ভর করবে কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর।’

যার অর্থ, আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদলের সম্ভাবনা ভালোভাবেই থাকছে।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ   নাজমুল হাসান শান্ত   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা জানাল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পুরো আসর খেলতে না পারলেও টুর্নামেন্টের মাঝ পথে ফেরা মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত কয়েকটি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। আর এবার চেন্নাই সুপার কিংস আসন্ন বিশ্বকাপ উপলক্ষে নিজেদের খেলোয়াড় মুস্তাফিজকে জানালো শুভেচ্ছা।

চেন্নাইয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মুস্তাফিজকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি লিখেছে, জাতীয় দলের হয়ে (বাংলাদেশের জন্য) জ্বলে উঠুক ফিজ।



আইপিএলের এবারের আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে মুস্তাফিজ খেলেছেন ৯ ম্যাচ। আর এই ৯ ম্যাচে তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৪ টি। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য আসরের মাঝপথে আইপিএল ছাড়তে হয়েছে এই পেসারকে।

উল্লেখ্য, আগামী আগামী জুন শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। জুন ভোর সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে পর্বে বাকি ৩ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস, নেপাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে নাজমুল হাসান শান্তর দল।

প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ। নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার শেষ ম্যাচে শনিবার (০১ জুন) ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। 


মুস্তাফিজ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ওয়েম্বলিতে শেষ হাসি হাসবে কারা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল প্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ মাঠে গড়াবে ২০২৩-২৪ মৌসুমের এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টোডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১ টাই মুখোমুখি হবে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ২৭ বছরের ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার অপেক্ষায় থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ইউরোপীয় কাপ। এটি ফুটবলে ইউরোপ তথা বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব প্রতিযোগিতা। ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ইউরোপের শীর্ষ সব ক্লাব অংশগ্রহণ করে থাকে। ফুটবলের এই প্রতিযোগিতাটি ১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবস’ কাপ নামে যাত্রা শুরু করে।

পরে ১৯৯২ সালে এর নাম পরিবর্তন করে ‘উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ’ নামে নামাঙ্কিত করা হয়।শুরুর দিকে শুধুমাত্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলেও পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে এ প্রতিযোগিতায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ছাড়াও ঐ এসোসিয়েশন থেকে পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী মোট চারটি দল অংশগ্রহণ করতে পারে।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৪ বার শিরোপার মুখ দেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়াও এসি মিলান ৭, লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ ৬, বার্সোলোনা ৫, আয়াক্স ৪, ম্যান ইউনাইটেড ও ইন্টার মিলান ৩, চেলসি-নটিংহাম ফরেস্ট-বেনফিকা ও জুভেন্টাস ২ বার করে শিরোপার মুখ দেখেছে।

এবারের ২০২৩-২৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এই ফাইনাল নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ফুটবল প্রেমিদের। সবার মনে একটি প্রশ্নই দানা বাধছে, রিয়াল মাদ্রিদ কি তবে ১৫ তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে নাকি ডর্টমুন্ড ২৭ বছর পর তাদের ফ্যানদের জন্য ইদুনা পার্কে নিয়ে যাবে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই শিরোপা।

আসুন দেখে নেয়া যাক পরিসংখ্যান কি বলছে-

১.            শিরোপা:

এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ১৪ বারের মধ্যে আবার টানা ৫ টি শিরোপা জয়ের অনন্য রেকর্ডটিও করেছে তারা। যা অন্য কোন দলের পক্ষে ভাঙ্গা একপ্রকার অসম্ভব। এছাড়াও দলটি মাত্র ৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হেরেছিল। তাও আবার ১৯৬১-৬২ মৌসুমে বেনফিকা, ১৯৬৩-৬৪ ইন্টার মিলান এবং ১৯৮০-৮১ সালে লিভারপুলের কাছে। এরপরে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ৮ টি ফাইনাল খেলেছে দলটি যার কোনটিতে হারেনি তারা। সে হিসেবেই অনেক ফুটবল ভক্তই বলে থাকে  `Champions League is made for Los Blancos.’

অন্যদিকে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছে মাত্র দুই বার। এর মধ্যে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল দলটি। আর ২০১২-১৩ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে কাছে হারে জার্মানির হলুদ পাখিরা। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তেমন কোন সাফল্য নেই ডর্টমুন্ডের।

২.           হেড টু হেড:

এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এর মধ্যে ৬ ম্যাচ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ আর ৩ ম্যাচ জিতেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। বাকি ৫ ম্যাচ হয়েছে ড্র। এই ম্যাচ গুলোতে আবার গোলের সংখ্যার বিচারেও পিছিয়ে ডর্টমুন্ড। ১৪ ম্যাচে ১৯ গোল করেছে তারা। বিপরীতে রিয়াল গোল করেছে ২৪ টা। সবশেষ এ দুই দলের দেখাইও শেষ হাসি হেসেছিলো গ্যালাক্টিকোরাই। সেবার ৩-২ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছিল তারা।

৩.           সাম্প্রতিক পারফর্মমেন্স:

সাম্প্রতিক পারফর্মমেন্স বিবেচনা করলেও এগিয়ে গ্যালাক্টিকোরাই। এবারের স্প্যানিশ লা লিগাই ২৯ জয় ও ৮ ড্রয়ের বিপরীতে তাদের রয়েছে এক হার। লিগ জিতেছেও তারা। এছাড়া এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ ছন্দে রয়েছে দলটি। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোন ম্যাচ হারেনি দলটি। তাছাড়া গতবারের চ্যাম্পিয়ন এবং এই আসরেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার থাকা পেপ গার্দিওয়ালার ম্যান সিটিকে হারিয়েছে তারা। আর সেমিফাইনালে শেষ মুহূর্তে বায়ার্নকে হারানোর পরতো রিয়ালের আত্মবিশ্বাসকে করেছে দ্বিগুণ।

আরও পড়ুন: ইদুনা পার্কে রয়েসের রাজকীয় বিদায়

অন্যদিকে প্রতিপক্ষ ডর্টমুন্টের এবারের মৌসুম এতোটা ধারাবাহিক না। এই ম্যাচ দাপটের সাথে হারছে তো অন্য ম্যাচ তুলনামুলক দূর্বল দলের সাথেও হোচট খাচ্ছে। বুন্দেসলিগায় ৫ নম্বরে থেকে তারা এবারের মৌসুম শেষ করেছে। তবে, সম্প্রতি এডিন টেরজিচের নেতৃত্বে বেশ ছন্দে রয়েছে দলটি। সবশেষ তারা ম্যাচ হেরেছিলো গত এপ্রিলে আরবি লেইপজিগের কাছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোন ম্যাচ হারেনি দলটি। তাছাড়া এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পিএসজিকে তাদের নিজেদেরই ঘরের মাঠে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। আর এজন্য খানিকটা হলেও আত্মবিশ্বাস পাবে তারা।

এসব ছাড়াও বেলিং হাম, ভিনিসিয়াস জুনিয়ার, রদ্রিগোরা আছে দুর্দান্ত ফর্মের সাথে লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রুসদের মতো অভিজ্ঞদের সামিলে গড়া রিয়াল ব্যাপক আত্মবিশ্বাসী। অন্যদিকে ডর্টমুন্ডের ঘরের ছেলে খ্যাত রয়েস খেলবেন ডর্টমুন্ডের হয়ে নিজের সবশেষ ম্যাচ। এছাড়াও মালেন, হলার, সেনচোরও আছে ফর্মে।

তবে, ফুটবলে পরিসংখ্যান যে কেবল কয়েকটি সংখ্যা তা অতীতে প্রমাণ হয়েছে বহুবার। এখানে মাঠের পারফর্মমেন্সই মুখ্য। তাই ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি বলা বেশ কঠিন যে কারা জিতবে আর কারাই বা হারবে। 


চ্যাম্পিয়নস লীগ   ফাইনাল   ওয়েম্বলি   রিয়াল   ডর্টমুন্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোন চার দল যেতে পারে সেমিফাইনালে জানালেন ফিঞ্চ

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র ২ দিন পরেই মাঠে গড়াবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।

কুড়ি ওভারের এই আসরকে ঘিরে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ। কোন দলের স্কোয়াড কেমন হবে, সেমিফাইনালে যাবে কোন দলগুলো এবং কারা হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, এ নিয়ে চলছে কাটা-ছেঁড়া।

এরই মধ্যে ব্রায়ান লারা, হার্ষা ভোগলে, শহিদ আফ্রিদির মতো তারকারা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টদের বেছে নিয়েছেন। এবার সে তালিকায় যুক্ত হলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি শুধু সেমিফাইনালিস্টের কথাই বলেননি। তাদের বেছে নেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্টের তালিকায় রেখেছেন—অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়া বর্তমান বিশ্বকাপ জয়ী ওয়ানডে দল। এই দলটি তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশ্রণে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। তারা নিশ্চিতভাবেই আমেরিকার মাটিতে তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিততে চাইবে।

ভারত: ভারত সবসময়ই শক্তিশালী দল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে আইসিসির প্রত্যেক ইভেন্টে ভারত শক্ত প্রতিপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অসংখ্য সমর্থক রয়েছে। সে কারণে তাদের নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবেই মনে হবে, যা টুর্নামেন্টে পারফর্ম করতে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করবে ভারতকে।

ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ডের লক্ষ্যই শিরোপা ধরে রাখা। তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং আক্রমণ আর ট্রফি জয়ের ক্ষুধা যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য বড়ই হুমকি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: পাওয়ার-হিটিংয়ের জন্য বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের মাঠ নিজেদের দর্শক। তাদেরকেও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাদের খেলার ধরন এবং নকআউট পর্বে খেলার অভিজ্ঞতা, তাদের বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ করে তুলেছে।


অ্যারন ফিঞ্চ   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নতুন ক্লাবে যোগ দিতে তর সইছে না এমবাপের

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইতোধ্যেই ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) সাথে টানা ৭ বছরের ক্যারিয়ারকে বিদায় বলেছেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে এখনও পরবর্তী ক্লাব সম্পর্কে কিছু জানাননি এই ফরাসী তারকা। যদিও গুঞ্জন রয়েছে, তার স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদেই যাচ্ছেন তিনি।

এমবাপে মুখ ফুটে কিছু না বললেও ‘সিএনএন স্পোর্টস’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই তারকা ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা হবে। নতুন ক্লাবে যোগ দিতে আমার তর সইছে না। আমি আমার দেশ ছেড়েছি (আরেক লিগে খেলতে) প্রথমবারের মতো।’

এমবাপের কথায় ইঙ্গিত, তিনি এমন একটি ক্লাবেই যাচ্ছেন, যারা ট্রফি জিততে পারে। তার কথা, ‘আমি ট্রফি জিততে চাই। যখন আপনি ফুটবল নিয়ে কথা বলবেন, (এটা) ট্রফি জয়, নতুন সতীর্থদের সঙ্গে। এখন আমার পিএসজির সঙ্গে চুক্তি আছে, সবাই জানে সেটা দ্রুতই শেষ হচ্ছে এবং আমরা দেখব কী হয়!’

সম্প্রতি ‘ইউরোপিয়ান প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার’ জেতা এমবাপে দুই বছর আগেই রিয়াল মাদ্রিদে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিলেন। শেষ মুহূর্তে মত বদলে তিনি পিএসজিতে থেকে যান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ আছে কি?

এমবাপে বলেন, ‘শুধু পিএসজিতে থাকাই বড় কথা ছিল না। কাতার বিশ্বকাপ ছিল। অনেক কিছু ছিল (এই সিদ্ধান্তের পেছনে)। এটা বড় এক সিদ্ধান্ত ছিল, কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আমার এটা নিয়ে আক্ষেপ নেই।’

‘অবশ্যই ক্যারিয়ারে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি সেটাই নিয়েছি। তবে আমি পিএসজির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছি। আমি শুধু ভালো জিনিসগুলোই মনে রাখতে চাই। এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। আশা করি কেউই এমন পরিস্থিতিতে পড়বে না।’

অনেকটাই নিশ্চিত হলেও এমবাপে পরিষ্কার করে বলছেন না, তিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে রিয়ালের হয়ে গলা ফাটাবেন কিনা?

এমন প্রশ্নেও কৌশলী উত্তর এমবাপের, ‘না, আমি এই ফাইনালটা ঠিক আপনাদের মতোই দেখব। যখন আপনি ফুটবলকে ভালোবাসবেন, প্রতিটি ম্যাচ দেখবেন। আমি প্রতিটি ম্যাচই দেখি যেগুলো সম্ভব...ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, ইতালি, সব লিগ। তাই অবশ্যই আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও দেখব।’

সামনে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। জার্মানিতে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে দ্রুতই ফ্রান্স স্কোয়াডে যোগ দেবেন এমবাপে। বর্ণময় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইউরোর ট্রফিটাও যোগ করতে চান তিনি।


কিলিয়ান এমবাপ্পে   পিএসজি   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ড প্রাইজ মানি কোপা আমেরিকার, যত পাচ্ছে চ্যাম্পিয়নরা

প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকার আসরের। আগামী ২১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে খেলা। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। টানা ২৮ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের শিরোপা খরা কেটেছে এই কোপা আমেরিকার মধ্য দিয়েই।

আসন্ন এই আসরের জন্য টুর্নামেন্টে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইএসপিএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ ফি এবং পুরস্কারবাবদ রেকর্ড ৭২ মিলিয়ন ডলার খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৮৪ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ৪০০ টাকা।

জনপ্রিয় ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েসাইটটির ঐ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আসন্ন কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৬ মিলিয়ন ডলার বা ১৮৮ কোটি ৬৩ লাখ ৭১ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতি দল পাবে ২ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ মুদ্রায় যা ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪০০ টাকার মতো।

সর্বশেষ ২০২১ সালে ব্রাজিলে বসেছিল কোপার আসর। সেবার মারাকানায় ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করে মেসির আর্জেন্টিনা।

আসরটিতে সব মিলিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয় সাড়ে ১৯ মিলিয়ন ডলার বা ২২৯ কোটি ৯০ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা। আর শিরোপাজয়ী আর্জেন্টাইনরা পেয়েছিল সাড়ে ৬ মিলিয়ন ডলার বা ৭৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা।

এর আগে ২০১৬ সালে আমেরিকায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে প্রাইজমানি ছিল সাড়ে ২১ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭৯ কোটি ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪২৫ টাকা। আর চ্যাম্পিয়ন চিলিকে দেওয়া হয়েছিল সাড়ে ৬ মিলিয়ন বা ৭৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   কোপা আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন