ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের ব্যর্থতা: কারণ কি শুধুই পারফরম্যান্স নাকি ভাগ্যের নির্মম পরিহাস?

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ১১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর শুরুর পূর্বের কিছু পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে যেন সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। একের পর এক সিরিজ হার আর ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে নিয়মিতভাবে নেটিজেনদের দুয়ো ধ্বনীও শুনতে হয়েছিল টাইগারদের।

তবে সে সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের মিশন শুরুর ম্যাচেই সব সমালোচনার জবাব দিয়েছে টাইগাররা। শ্রীলংকাকে দুই উইকেটে হারিয়ে বৈশ্বিক এই আসরে শুভসূচনা করেছে তারা। কিন্তু আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যেন ভাগ্য সাথে ছিল না টাইগারদের।

সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে শুরুতে আগুন বোলিংয়ের মাধ্যমে প্রোটিয়াদের অল্পেই আটকে দিয়েছিল টাইগাররা।

পরে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের প্রায় শেষের দিকে গিয়ে যেন এক প্রকার চাপে পড়েছিল টাইগাররা। তবুও মাহমুদুল্লাহর দায়িত্বশীলতা ও হৃদয়ের ভরসাবান ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু শেষ মুহুর্তে বাঁধ সাধে বিতর্কিত আম্পায়ারিং। যদিও আইসিসির আইন অনুযায়ী সেটিকে ভুল বলা যায় না। তবুও সেটির কারণেই হয়ত ম্যাচটিতে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এমন পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবখানেই, সেটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি হারার দোষ আসলে কার? এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ চাইলে যেমন নিজেদের দোষ ধরতে পারে, ঠিক তেমনি একই সাথে দোষ ধরা যেতে পারে আম্পায়ারিংয়েরও।

কি ঘটেছিল সেই ম্যাচে? মূলত বিতর্ক শুরু হয় বাংলাদেশের রান তাড়ার ১৭তম ওভারে। ওটনেইল বার্টম্যানের বলে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে ফাইন লেগ বাউন্ডারির দিকে চলে যায় চার রানের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকা এলবিডব্লিউয়ের জন্য আপিল করে এবং অন-ফিল্ড আম্পায়ার আপিল মঞ্জুর করেন। তবে, রিভিউ করার পর সিদ্ধান্তটি ভুল প্রমাণিত হয় এবং আউট বাতিল হয়। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার প্রথমে আউট দিয়েছিলেন বলে বলটি ডেড বলে গণ্য হয় এবং বাংলাদেশ চার রান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ঠিক সেই চার রানের ব্যবধানেই হেরে যায়।

আর খুব কাছে যেয়ে হারা ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকা ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় নিজেদের দোষ দেখছেন। তবে নিজেদের দোষের পাশাপাশি আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রতিভাবান এই ব্যাটারের বিশ্বাস আম্পায়রিং তার দলকে জয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।

‘সত্যি বলতে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটি আমাদের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে, আম্পায়ার এটি আউট দিয়েছিলেন, তবে এটি আমাদের জন্য খুব কঠিন ছিল। সেই চার রান ম্যাচের চিত্র বদলে দিতে পারতো।’ হৃদয় ম্যাচের পর সাংবাদিকদের বলেন।

হৃদয় আরও কিছু আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন, যার মধ্যে তার দাবি বেশ কয়েকটি ওয়াইড বলও ছিল। ‘আইন আমার হাতে নয়। সেই সময়ে সেই চার রান সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়াররা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং তারা মানুষ, তাই ভুল করতে পারেন। তারা কয়েকটি ওয়াইডও দেয়নি যা ওয়াইড ছিল। এমন একটি ভেন্যুতে যেখানে কম রান হয়, সেখানে এক বা দুই রান একটি বড় বিষয়। আমি মনে করি সেই চার রান বা দুই ওয়াইড খুব কাছাকাছি ছিল এবং আমি নিজেও আম্পায়ারের কল দ্বারা আউট হয়েছি এবং এখানে আমার বিশ্বাস উন্নতির সুযোগ রয়েছে।’

হৃদয় নিজেই ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন, এরপর কাগিসো রাবাদার একটি ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ আউট হন। রিপ্লেতে দেখা গেছে বলটি মাত্র লেগ স্টাম্পে লেগে যাচ্ছে, যার ফলে আম্পায়ারের কল অনুযায়ী আউট দেওয়া হয়।

শুধু হৃদয় নয়, এই বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে দেশের সাধারণ ক্রিকেটভক্তদের পাশাপাশি সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত আছেন ভারতের সাবেক ব্যাটার ওয়াসিম জাফর।  নিজের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে ভারতের সাবেক এই ব্যাটার বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহকে ভুলভাবে লেগ বিফোর উইকেট আউট দেয়া হয়েছে। লেগ বাই হয়ে বলটা চার হয়েছিল। ডিআরএসে সিদ্ধান্ত বদলে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ চার রান পায়নি কারণ একবার যখন ব্যাটার আউট দেয়া হয় তখন বল ডেড হয়। যদি এটা ভুলভাবেও হয়। এবং সাউথ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতেছে। বাংলাদেশের জন্য খারাপ লাগছে।’

বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে বাংলাদেশের শেষ মুহুর্তে গিয়ে হারের বিষয়টি নতুন নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০২১ সালে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল- ইত্যাদি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে ভুল বাউন্ডারি, উইকেট না দেওয়া, ওয়াইড না দেওয়ার মতো বিভিন্ন বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এই তালিকায় এবার যুক্ত হল চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচও।

আর এত কিছুর পর এখন ক্রীড়া ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, বাংলাদেশের বারবার জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরে আসার কারণ কী? শুধুই পারফরম্যান্স নাকি ভাগ্যের নির্মম পরিহাস? তবে সবশেষে সংকীর্ণ এই হার এবং বিতর্কিত আম্পায়ারিং সিদ্ধান্তগুলি বাংলাদেশ এবং তাদের ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তবে বাংলাদেশ চাইবে এই বিতর্ক যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যেতে।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্যারিস অলিম্পিকে নতুন সব সংযোজন

প্রকাশ: ০৯:১০ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার শহরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-খ্যাত অলিম্পিক গেমস ২০২৪ এর। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্যারিসের সিন নদীতে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ও বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় এই মেগা ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আর এর মধ্য দিয়েই পর্দা উঠে এই মহাযজ্ঞের ৩৩তম আসরের।

তবে বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়ে গেছে ফুটবলসহ বেশ কিছু ইভেন্ট। এবার প্যারিসে নজর থাকবে আরও কিছু খেলায় যা প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অলিম্পিকে।

কিছু কিছু খেলায় আবার ফরম্যাটে পরিবর্তন করা হয়েছে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে পুল সবখানেই নতুনত্বের ছোঁয়া। টোকিওতে শুরু হওয়া কিছু গেমস থাকছে এবারও। সেই নতুন খেলাগুলো দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

★ ব্রেকিং

এবারের গেমসে অভিষেক হতে চলেছে ‘ব্রেকিং’য়ের! কী এই ব্রেকিং! এটা হচ্ছে চিরাচরিত ব্রেক ড্যান্স যা নাচের একটা নতুন পদ্ধতি বলা যেতে পারে তার ‘শর্ট ফর্ম’। এতে চার ধরনের মুভমেন্ট থাকে—টপ-রক, ডাউন-রক, পাওয়ার মুভ ও ফ্রিজ।

ব্রেকড্যান্সিং ২০১৮ সালের যুব অলিম্পিক গেমসে এর অভিষেক হয়েছিল। তবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে থাকছে না ব্রেকিং।

ব্রেকিংকে বি-গার্লস ও বি-বয়েজের জন্য আলাদা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ডিজের বাজানো তাৎক্ষণিক ট্র্যাকের সঙ্গে ১৬ জন বি-গার্লস ও ১৬ জন বি-বয়েজ আলাদা করে একে অন্যের মুখোমুখি হবেন। এ খেলার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বার্ষিক প্রতিযোগিতা রেড বুল বিসি ওয়ান, যা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে।

★ কায়াক ক্রস

ক্যানোই স্লালোমের ছাতার তলায় এই নতুন বিভাগটি এবার থাকবে প্যারিসে। চারজন অ্যাথলেট পানিতে লড়াই করবেন একে অপরের বিপক্ষে। মাথার উপর মানুষরাই তৈরি করবেন রাম্প। এবারেই ক্যানোয়িংয়ে শুধুমাত্র ঘড়ির বিপক্ষে নয় প্রতিযোগীরা লড়বেন একে অন্যের বিপক্ষেও।

★ ‘লাকি লুজার’

প্যারিস গেমসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের নিয়মে আসছে বড় পরিবর্তন। ২০০ মিটার থেকে ১৫০০ মিটার দৌড় এমনকি হার্ডলসেও থাকছে নতুন  নিয়ম। যার নাম ‘লাকি লুজার’। হিটে একবার হারের পরেও ভালো পারফরম্যান্স থাকলে আবার জুটতে পারে সুযোগ!

সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে একটি রপেসঁ হিটের ব্যবস্থা থাকছে। অনেকটা কুস্তিতে থাকা রপেসঁর মতো, যেখানে জিতলে ‘লাকি লুজাররা’ সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবেন।

প্রথমবার হতে যাওয়া আর্টিস্টিক সুইমিং কম্পিটিশনে থাকছে পুরুষরা। মেয়েদের বক্সিংয়ে থাকছে নতুন একটি বিভাগ। অন্যদিকে পুরুষ বক্সিংয়ে আবার কমেছে একটি বিভাগ। শুটিংয়ে এবার মিক্সড টিম ট্র্যাপ ইভেন্টের পরিবর্তে থাকছে মিক্সড টিম স্কিট ইভেন্ট।

★ অন্যান্য

স্কেট বোর্ডিং, সার্ফিং, ক্লাইম্বিং ও ৩*৩ বাস্কেটবলের অভিষেক হয়েছিল টোকিও অলিম্পিক গেমসে। তাহিতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের সার্ফিং প্রতিযোগিতা। প্যাসিফিক সাগরে এটি একটি সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ। বাকি তিনটি ইভেন্টে অভিষেক যদিও হয়েছিল টোকিওতে তবুও এবারের গেমসে থাকছে সেগুলো। ৩*৩ বাস্কেটবলে এবারে আবার প্রতিযোগী সংখ্যা গতবারের ৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮।


অলিম্পিক গেমস   ফুটবল   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাহিত্য ও প্রেমের নগরীতে অলিম্পিকের ইতিহাস

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

উৎসব, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের নগরী ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। এ শহরের সৌন্দর্য ও আলো আরো বাড়িয়ে দিলেন বিশ্বের সেরা সব অ্যাথলিট। ফরাসি রাজধানীর বুক চিরে চলা ঐতিহ্যবহুল সিন নদীও যেন নতুন যৌবন পেল বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের হাজারো তারকাকে অতিথি হিসেবে বরণ করতে পেরে।

সিন নদীতে বর্ণিল নৌকা ও বার্জে চড়ে ব্যতিক্রমী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অংশ হলেন প্যারিস অলিম্পিকে আগত অ্যাথলিট ও কর্মকর্তারা। নজরকাড়া নৌ প্যারেডের মধ্য দিয়েই গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হয় প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ প্রথম স্টেডিয়ামের বাইরে হলো অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ইতিহাস গড়া উদ্বোধনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠল ৩৩তম প্যারিস অলিম্পিক গেমসের।

ফুটবল, রাগবি, আর্চারিসহ বেশকিছু খেলা আগেই শুরু হয়ে গেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজ, স্পেনের রাজা কিং ফিলিপ, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল সানি, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট টমাস বাখসহ বিশ্বের বহু রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিক, ক্রীড়া প্রশাসকদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা প্যারিস অলিম্পিকের। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত এ ক্রীড়াযজ্ঞে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২০৬টি দেশের ১০ হাজার ৫০০ অ্যাথলিট। তার মধ্যে ৬ হাজার ৮০০ অ্যাথলিট গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখা মিলল ফরাসি ফুটবল কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের। মূল অলিম্পিক স্টেডিয়াম স্তাদ দে ফ্রান্স থেকে তিনি অলিম্পিক মশাল নিয়ে দৌড়ে পৌঁছে দেন অন্যদের হাতে। চলতে থাকে মশাল দৌড়।

একই সময় শুরু হয় অ্যাথলিটদের নৌ প্যারেড। অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিসের কন্টিনজেন্ট দিয়ে শুরু, এরপর শরণার্থী দল। তারপর বর্ণানুক্রমিকভাবে একে একে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কন্টিনজেন্ট আসতে থাকে বার্জে করে। তারই মাঝে মাঝে ছিল আমেরিকান পপস্টার লেডি গাগা, ফরাসি-মালিয়ান পপস্টার আয়া নাকামুরাসহ বিশ্বের খ্যাতিমান সব তারকার পারফরম্যান্স। ছিল ব্রেক ড্যান্স, অপেরা সংগীত। এসব পারফরম্যান্সে উঠে আসে ফ্রান্স ও অলিম্পিক গেমসের ইতিহাস-ঐতিহ্য। অলিম্পিক গেমসকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখা ব্যক্তিদেরও স্মরণ করা হয়।

ফরাসিরা গত কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের প্রস্তুতি সেরেছে। যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এক অপ্রীতিকর ঘটনা প্যারিসের স্বপ্নের আকাশে জড়ো করে কালো মেঘের ঘনঘটা। প্যারিসে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে (টিজিভি) অগ্নিসংযোগসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রেল নেটওয়ার্কে কয়েকবার হামলা চালানো হয়। এতে আটলান্টিক অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ হামলায় প্রায় আট লাখ যাত্রী ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। হামলার পর বেশ কয়েকটি রুটে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত রেল ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে অন্তত পুরো সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ বলছে, টিজিভি নেটওয়ার্ক অচল করে দিতেই বড় ধরনের এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ফলে অনেকগুলো লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওইসব লাইনের ট্রেনগুলোকে অন্য পথ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের আক্রমণের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয়া গেছে বলে সেখানকার লাইনগুলো অক্ষত আছে।

এ ধরনের ঘটনার পর সংগত কারণেই অলিম্পিক ঘিরে উৎকণ্ঠা বাড়ছিল। তখনই আয়োজক দেশ ফ্রান্সের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইওসি প্রধান টমাস বাখ। ফ্রান্সের জনপ্রিয় ও ব্যস্ততম এ রেল নেটওয়ার্কে হামলা হলেও বাখ দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে পূর্ণ আস্থাই রাখছেন।

গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিবিসিকে টমাস বাখ বলেন, ‘কোনো উদ্বেগ নেই, ফরাসি কর্তৃপক্ষের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফরাসি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছে বিশ্বের আরো ১৮০টি গোয়েন্দা বাহিনী। তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখার যথেষ্ট কারণ আছে।’

১৮৯৬ সালে আধুনিক অলিম্পিকের যাত্রা। প্রথম আসরের আয়োজক ছিল গ্রিক রাজধানী এথেন্স। ১৯০০ সালে পরের আসর বসে প্যারিসে। ১০০ বছর পর আবারো অলিম্পিকের আয়োজক প্যারিস। তৃতীয় আয়োজনে নানা দিক থেকেই ইতিহাস গড়েছে প্যারিস। পুরুষ ও নারী অ্যাথলিটের সংখ্যায় সমতা আনার কঠিন কাজটিও করেছে তারা। এবারের অলিম্পিকে ৫ হাজার ২৫০ জন পুরুষ ও সমানসংখ্যক নারী অ্যাথলিট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্যারিস অলিম্পিকে ৩২টি ক্রীড়ার মোট ৩২৯টি ইভেন্টে ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাথলিট লড়ছেন। বাংলাদেশ থেকে পাঁচজন অ্যাথলিট প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তারা হলেন আর্চারিতে সাগর ইসলাম, স্প্রিন্টে ইমরানুর রহমান, শুটিংয়ে রবিউল ইসলাম, সাঁতারে সোনিয়া আক্তার ও সামিউল ইসলাম রাফি। গতকাল সিন নদীতে ব্যতিক্রমী মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন আর্চার সাগর ইসলাম।


অলিম্পিক গেমস   ফুটবল   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পর্দা উঠলো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর

প্রকাশ: ১২:৫৮ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ছবি, কবিতা, সংস্কৃতি ও আইফেল টাওয়ারের দেশ ফ্রান্স। দেশটির রাজধানী প্যারিসকে বলা হয় ‘প্রেমের শহর’। আর এই প্রেমের শহরেই এবার পর্দা উঠলো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক গেমস-২০২৪ এর।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্যারিসের সিন নদীতে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ও বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় এই মেগা ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। আর এর মধ্য দিয়েই পর্দা উঠে এই মহাযজ্ঞের ৩৩তম আসরের।

অলিম্পিকের উদ্বোধন আজ হলেও ফুটবল ও রাগবি সেভেন শুরু হয়ে গেছে দুই দিন আগেই। সেই সঙ্গে গতকাল শুরু হয়েছে আর্চারি আর হ্যান্ডবলও।

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর এবারের আসরে উড়বে ২০৬টি দেশের পতাকা। ৩২টি খেলার ৩২৯টি ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবেন ১০ হাজার ৫০০ জন অ্যাথলেট।

উল্লেখ্য, ১৯০৪ আর ১৯২৪ সালে প্যারিস ছিলো অলিম্পিকের শহর। পুরো ১০০ বছর পর আবারও সেই ভালোবাসার শহরেই ফিরলো অলিম্পিক।


অলিম্পিক গেমস   ফুটবল   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রূদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ১২:৪০ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নারী এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে পাকিস্তানকে তিন উইকেটে হারায় লঙ্কান মেয়েরা।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাঙ্গিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কাকে ১৪১ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে এক বল এবং তিন উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় লঙ্কান মেয়েরা।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় লঙ্কানরা। গুল ফিরোজা আর মুনিবা আলীর ওপেনিং জুটিতেই আসে ৬১ রান। ২৪ বলে ২৫ রান করে ফিরোজা আউট হলে ৩৪ বলে ৩৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মুনিবা আলি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিদ্রা আমিন। ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন নিদা দার। এরপর পাক শিবিরে হাল ধরেন আলিয়া রিয়াজ এবং ফাতিমা সানা।

শেষ পর্যন্ত আলিয়া রিয়াজের ১৫ বলে ১৬ রান এবং ফাতিমা সানার ১৭ বলের অপরাজিত ২৩ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পাকিস্তানের মেয়েরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন উদেশিকা প্রবোধনী এবং কাভিশা দিলহারি।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লঙ্কানরা। ইনিংসের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন বিষ্মি গুণারত্নে। ১৩ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হর্ষিতা সামারাবিক্রমা। তবে কাভিশা দিলহারিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন চামারি আতাপাত্তু। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দিলহারি। ১৭ রান করে এই ব্যাটার আউট হলে, ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন নিলাক্ষী ডি সিলভা।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৩ বলে ফিফটি ‍তুলে নেন চামারি আতাপাত্তু। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অনুশকা সঞ্জীবনী। তবে ১৭তম ওভারে লঙ্কান অধিনায়ককে বোল্ড করে পাকিস্তানকে খেলা ফেরান সাদিয়া ইকবাল। ৪৮ বলে ৬৩ রান করেন আতাপাত্তু। ৩ বলে ৩ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন হাসিনি পেরেরা।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শেষ ১২ বলে লঙ্কানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। ১৯তম ওভারে দুটি বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান সুগন্ধিকা কুমারী। শেষ পর্যন্ত সুগন্ধিকা কুমারীর ৯ বলে ১০ রান এবং অনুশকা সঞ্জীবনীর ২২ বলের অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে এক বল এবং তিন উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় লঙ্কান মেয়েরা।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন সাদিয়া ইকবাল। এ ছাড়াও একটি করে উইকেট নেন নিদা দার এবং ওমাইমা সোহাইল।


পাকিস্তান   শ্রীলঙ্কা   নারী এশিয়া কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ভারত

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নারী এশিয়া কাপের ৯ আসরের ৭টির শিরোপা ভারতের ঘরে। এতে করেই বুঝা যায় আসরটিতে ভারতের মেয়েদের দাপট কতটা। এবারও নিজেদের দাপট দেখিয়ে ৮ম শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে গেল ভারতের মেয়েরা। শিরোপা থেকে তারা এখন এক ম্যাচ দূরে। প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েদের ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে প্রথম ফাইনালিস্ট হিসেবে নাম লিখিয়েছে ভারত। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে আগামীকাল শনিবার (২৭ জুলাই) পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ভারত ৫৪ বল ও ১০ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে। ভারতের হয়ে শেফালি ভার্মা ২৬ ও স্মৃতি মান্দানা ৫৫ রানের অপরাজিত থাকেন। এ নিয়ে ভারতের মেয়েরা টানা ৯ আসরে ফাইনাল খেলার রেকর্ড গড়লো।

বাংলাদেশের দেয়া মামুলি টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্দানা। টাইগ্রেস বোলারদের তুলোধুনো করে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে জমা করে ৪৬ রান। যেখানে ২৮ রান ছিল স্মৃতি মান্দানার ও ১৭ রান ছিল শেফালি ভার্মার। নাহিদা আক্তারের করা ১১তম ওভারের শেষ ৩ বলে তিনটি চার মেরে ভারতের ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মান্দানা। শেষ পর্যন্ত স্মৃতি ৩৯ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৫৫ রানে এবং শেফালি ২৮ বলে ২ চারে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে  ইনিংসের তৃতীয় বলে ভারতীয় পেসার রেণুকাকে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ ওপেনার দিলারা আক্তার। পরের বলে আবারও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিলারা। ওয়ান ডাউনে নেমে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও দুই বাউন্ডারিতেই শেষ ইশমা তানজিমের ঝলক। তৃতীয় ওভারে রেণুকার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। পঞ্চম ওভারে আরেক ওপেনার মুর্শিদাকেও ফেরান রেণুকা।

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ রুমানা আহমেদ এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তবে উইকেট বাঁচাতে গিয়ে রানের গতি একেবারেই কমিয়ে দেন তারা। কিন্তু উইকেট বাঁচাতে ব্যর্থ হন তারা। ১১ বল খেলে মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন রুমানা। তখন টাইগ্রেসদের দলীয় রান ৩০। রাবেয়া করেন ৭ বলে ১, রিতু মনি ৬ বলে ৫ রান করে দ্রুত বিদায় নিলে ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৪ রান। এক প্রান্তে আগলে দাঁড়িয়ে থাকলেও নিগার ব্যাট ছিল নিশ্চুপ।

শেষদিকে নিগার এবং স্বর্ণা আক্তার ৩৬ রানের জুটি না গড়লে স্কোরকার্ডের অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারত। ১৮ বলে ১৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন স্বর্ণা। ৫১ বল ব্যাটিং করে কেবল ২ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন নিগার। তাতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে রেণুকা ও রাধা ৩টি করে এবং পূজা ও দিপ্তী একটি করে উইকেট লাভ করেন।


বাংলাদেশ   ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন