টেস্ট ক্রিকেটের উত্তেজনা যে হারিয়ে যায়নি সেটি যেনো আবার মনে করিয়ে দিলো ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট। কানপুর টেস্টে রোমাঞ্চকর ড্র করেছে নিউজিল্যান্ড। বলতে গেলে হারতে হারতে ড্র করেছে তারা। ভারতের ছুড়ে দেওয়া ২৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে ১ উইকেট হারিয়ে ৪ রান তুলে দিন শেষ করেছিল কিউইরা। আজ (২৯ নভেম্বর) পঞ্চম শেষ দিনে ভারতের ঘূর্ণি জাদুর বিপক্ষে পুরোটা সময় ব্যাটিং করে তারা। তাতে ৯ উইকেট হারিয়েও শেষ মুহূর্তে করে ড্র। আর সেটা সম্ভব হয় টেল এন্ডারদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সুবাদে। বিশেষ করে অভিষিক্ত রাচিন রীবন্দ্রর ব্যাটে। দুই টেল এন্ডারদের কল্যাণেই মূলত হার এড়াতে পারে নিউজিল্যান্ড।
৯১ বলে ২ চারে অপরাজিত ১৮ রান করে নিউজিল্যান্ডকে রোমাঞ্চকর ড্র উপহার দেন রাচিন। তার সঙ্গে ২৩ বল খেলে ২ রান করে অপরাজিত থেকে দারুণ সঙ্গ দেন টেল এন্ডার আইজাজ প্যাটেল। ৮৯.২ ওভারের মাথায় নবম উইকেট হারানোর পর আরও ৮.৪ ওভার ক্রিজে টিকে থাকেন রাচিন ও আইজাজ। দুর্ভাগ্য ভারতের। শত চেষ্টা করেও শেষ ৫২ বলে আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা।
আজ পঞ্চম দিনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলে উইলিয়ামসন বাহিনী। আউট হন উইলিয়াম সামারভিল (৩৬), টম লাথাম (৫২) ও রস টেলর (২)।
চা বিরতির পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। ১২৬ রানে ফেরেন হেনরি নিকোলস (১), ১২৮ রানে কেন উইলিয়ামসন (২৫), ১৩৮ রানে টম ব্লানডেল। তিনি ৩৮ বল খেলে ২ রান করে যান। এরপর ১৪৭ রানে কাইল জেমিসন ও ১৫৫ রানে টিম সাউদিকে হারিয়ে জয়োৎসব শুরু করে ভারত।
কিন্তু জমাট ব্যাটিং করে তাদের জয়োৎসব থামিয়ে দেন রাচিন ও আইজাজ। টপ ও মিডল অর্ডারের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের আউট করেও শেষ ৫২ বলে ভারতের বোলাররা ফেরাতে পারেননি তাদের দুজনকে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলে দিন শেষ করে ড্র করে রাচিন-আইজাজ।
রোমাঞ্চকর ড্রয়ের ম্যাচে ম্যাচসেরা হন একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা শ্রেয়াস আইয়ার।
মন্তব্য করুন
ওয়ানডে বাংলাদেশ নাজমুল হোসেন শান্ত
মন্তব্য করুন
সেল্তাকে ৩-২
ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে
৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও ৮ মিনিটের এক ঝড়ে ম্যাচের চেহারাই বদলে
দিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের দল।
রবার্ট লেভানডফস্কি
জোড়া গোলে সমতা আনার পর জোয়াও কানসেলো এগিয়ে দিয়েছেন। যার ওপর ভর করে বেশির ভাগ সময়
পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনাই সেল্তাকে হারিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।
অলিম্পিক লুইস
স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে ১৯ মিনিটে সেল্তাকে এগিয়ে দেন জর্গেন লারসেন। প্রথমার্ধে দুই
দল মিলিয়ে হয়েছে এই একটি গোলই। দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল শোধ দেওয়ার বদলে উল্টো আরও একটি
গোল হজম করে বার্সেলোনা। ৭৬ মিনিটে সেল্তাকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন গ্রিক ফরোয়ার্ড
তাসোস ডভিকাস। সেল্তার ডাগআউটে ছিলেন ২০০৩ সালে ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ
জেতানো রাফা বেনিতেজ। ১৯৬৫ সালের পর কোনো কোচ বার্সেলোনায় টানা তিনটি অ্যাওয়ে না জিতলেও
আজ মনে হচ্ছিল সেটি হয়ে যাবে।
কিন্তু ৮১ মিনিট
থেকে শুরু হয় বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তন। জোয়াও ফেলিক্সের অ্যাসিস্ট থেকে
বল জালে জড়ান লেভানডফস্কি। এর চার মিনিট পর পোলিশ স্ট্রাইকার স্কোরলাইন বানিয়ে দেন
২-২। ম্যাচে সমতা আনা গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন ফেলিক্সের স্বদেশি কানসেলো।
ম্যাচের ৮৯
মিনিটে গাভির দারুণ ক্রস কাজে লাগিয়ে পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডারই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন
৩-২ ব্যবধানে। যা শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
মন্তব্য করুন
কিউইদের ২৫৪
রান তাড়ায় চরম ব্যাটিং
বিপর্যয়ের কারণে ৪১.১ ওভারে
১৬৮ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইশ
সৌধির লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত
হয়ে ২৫৫ রানের টার্গেট
তাড়ায় ৮৬ রানে হারল
বাংলাদেশ। তবে এই হারের পরও তামিম ইকবালের মতে,
বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে মাহমুদউল্লাহ খুবই ভালো খেলেছেন।
ম্যাচের পর
তামিম সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমার তো মনে হয় উনি চমৎকার খেলেছেন। আমি ওনার সঙ্গে
ছোট একটা জুটিতে ছিলাম। ওনার ইনটেন্ট খুবই ভালো ছিল। আমার মনে হয়নি উনি ছয়-সাত মাস
বিরতির পর খেলতে নেমেছেন।’
মাহমুদউল্লাহর
ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে ফিল্ডিং প্রসঙ্গও টেনে আনেন তামিম, ‘ওনার ফিল্ডিং খুবই
ভালো হয়েছে। যতবারই বল গেছে, উনি সেরাটাই দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি
খুবই খুবই ভালো খেলেছেন।’
মাহমুদউল্লাহ
যখন ব্যাটিং করতে নামেন, বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৭০। ৩৬তম ওভারে কোল ম্যাকনকির বলে
যখন আউট হয়ে ফেরেন, তখন নামের পাশে ৪ চার ১ ছয়ে গড়া ৪৯ রানের ইনিংস।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রথম দুই ওয়ানডের দলে বিশ্রাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাই ছিল। এই ম্যাচগুলোতে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম চেয়েছেন তিনি। এজন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।