ইনসাইড হেলথ

পটুয়াখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেলেন ২ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

পটুয়াখালীর বাউফলে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। শনিবার উপজেলার কাছিপাড়া আবদুর রশিদ মিয়া ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন, বীর উত্তম মরহুম সামসুল আলম তালুকদারের স্মরণে এই কর্মসূচীর আয়োজন করেন তারই সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক  হাসীব আলম তালুকদার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সমাজসেবক হাসীব আলম তালুকদার দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার তিনি ওই কলেজ মিলনায়তনে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার আয়োজন করেন। বরিশাল শহরের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী কর্মসূচীতে গাইনী, মেডিসিন, হৃদরোগ, দন্ত এবং মা ও শিশু সহ বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ টিম চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।  এ সময় অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক আবু হাসান মিরণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ ফেরদৌস আকাশ প্রমুখ।

বিনামূল্যে চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

রোজায় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রমজান মহান আল্লাহর রহমত এবং তার সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগসংবলিত একটি মাস। এবারও রমজান আসছে গরমের দিনে। এসময় প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে সবাইকে। তাই এসময় খাবারে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ইফতারিতে এমন কিছু খাওয়া যাবে না যাতে, পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি ৯ ঘণ্টা পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।

ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দীর্ঘসময় অভুক্ত থেকে ইফতারিতে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ায় অনেকেই গ্যাস্ট্রিকে ভোগেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকমুক্তভাবে রোজা পালন করা যাবে:

গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ:

১. পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হবে।

২. বুক জ্বালাপোড়া করবে।

৩. খাবারের আগে পরে পেট ব্যথা হতে পারে।

৪. খাবারের সময় বুকে বাঁধ পড়ার মতো অনুভব হবে।

৫. ঢেকুর আসবে।

৬. বমি বমি ভাব থাকবে এবং খাবারের চাহিদা কমে যাবে।

৭. অল্প খাবারেই পেট ভরে গেছে মনে হবে।

রোজায় গ্যাস্ট্রক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী বর্জন করতে হবে:
 
১. অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।

২. ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।

৪. কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম রাখুন।

৫. একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

৬. পায়খানা আটকে রাখবেন না।
 
গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে যা খেতে পারেন:
 
১. ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।

২. তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারি।

৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।

৫. হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।

৬. মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭. ইফতারির আয়োজনে একদিন নুডুলসের (কম তেলে রান্না) সঙ্গে সালাদ, কোনোদিন পায়েস (চিনি কম), কোনোদিন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।

রোজা   গ্যাস্ট্রিক   খাবার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

যক্ষ্মা সম্পর্কে ৫ ভ্রান্ত ধারণা

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

১৮৮২ সালে প্রথম ডা. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার করেন। যার ফলে উন্মোচিত হয় যক্ষ্মার রোগনির্ণয় ও নিরাময়ের পথ। ১৯৯৩ সালে পৃথিবীতে যক্ষ্মা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন। সেই বছর থেকে মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার বাড়াতে ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে এই দিবসটি।

এখনো যক্ষ্মা বিশ্বের অন্যতম ১০টি মৃত্যুজনিতের মধ্যে একটি। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকের কাছে যক্ষ্মা টিবি হিসেবেও পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

যক্ষ্মা একটি ব্যাক্টেরিয়া বাহিত রোগ। মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাক্টেরিয়া শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করে। যার ফলে এই যক্ষা রোগ হয়। করোনাভাইরাসের মতো এই ব্যাক্টেরিয়াও বাতাসে ভেসে বেড়ানো ড্রপলেটের মধ্যে দিয়ে শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। একজনের হাঁচি-কাশি থেকে দ্রুত এটি অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।  তবে যক্ষ্মা রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে

১. যক্ষ্মা শুধু ফুসফুসে দেখা দেয়

যক্ষ্মা রোগ ফুসফুস থেকে শুরু হলেও শরীরের অন্যান্য অংশেও (যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক, লসিকা গ্রন্থি) প্রভাব ফেলতে পারে। ফুসফুসের রাইরে যে যক্ষ্মা হয় তাকে ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মা বলা হয়।

২. যক্ষ্মা একটি জন্মগত রোগ

আসলে যক্ষ্মা কোনো জন্মগত বা জেনেটিক রোগ নয়। যক্ষ্মা জীবনের যেকোনো সময় যে কাউকে সংক্রমিত করতে পারে। এটি মাইকোব্যাকটেরিয়াম যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয় এবং এটি একটি সংক্রমক রোগ।

৩. ধূমপান না করলে যক্ষ্মা হয় না

একজন অধূমপায়ী ব্যক্তিও যক্ষ্মায় আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই ধূমপান করা বা না করার সঙ্গে যক্ষ্মার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে অথবা অন্যান্য কারণ যেমন ডায়াবেটিস, এইডস, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের জন্য রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৪. যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই

আজও অনেকের মনেই এই ভীতি রয়েছে যে একবার যক্ষ্মা হলে নিরাময়ের কোনো উপায় নেই, অর্থাৎ এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। সত্য হলো যক্ষ্মা নিরাময়ের জন্য প্রাথমিক রোগনির্ণয় খুবই জরুরি। যদি একজন রোগী সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান, নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন, তাহলে যক্ষ্মা থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ সম্ভব। চিকিৎসা সম্পন্ন করে স্বাভাবিক জীবনেও ফিরে যাওয়া যায়।

৫. টিকা নিলে কখনো যক্ষ্মা হবে না

জন্মের পরই এখন শিশুদের বিসিজি টিকা (যক্ষ্মার টিকা) দিয়ে দেওয়া হয়। টিকা দেওয়া থাকলে যক্ষ্মা মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা কমে যায়। তবে এটি কিন্তু যক্ষ্মাকে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম নয়। তাই যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতা আবশ্যক।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে’

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ‘বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে’

দেশে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে এখনও কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে। এগুলো দূর করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আলোকে আইনটিকে সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’-শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলোজি অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

 তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান আটটি কারণের ছয়টির সাথেই তামাক জড়িত। তামাকের এই সর্বগ্রাসী ক্ষতি প্রতিরোধে ২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্যের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনে। তারপরও আইনটিতে বেশকিছু দুর্বলতা রয়েছে গেছে। তাই দ্রুত আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবাদিক অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।’

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান। তিনি বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। যতো দ্রুত আইনটি সংশোধন করা হবে ততো বেশি মানুষের জীবন বাাঁচানো সম্ভব হবে। 

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ তামাকবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয়টি দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এগুলো সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো- সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যে কোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা।

এদিকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১৭ জন সাংবাদিককে এনসিডি (নন-কমিউনিকেবল ডিজিস) মিডিয়া ফেলোশিপ আওয়ার্ড ২০২২ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১১ জন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, তিনজন করে অনলাইন ও টিভিতে কর্মরত। বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

এ সময় তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারকে অবশ্যই জনস্বাস্থ্যকে অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে। তা না হলে এসডিজি-গোল পূরণ করা সম্ভব হবে না। এ জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা, ইউনুছুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফজিলাতুন নেসা মালিক, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রাশেদ রাব্বি, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স বাংলাদেশের ম্যানেজার (অ্যাডভোকেসি) আতাউর রহমান মাসুদ প্রমুখ।


বিদ্যমান   তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন   দুর্বলতা   ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

প্রতিটি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দেশের কয়েক শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশের দায়িত্ব পরিচালনায় ছিলেন। এই অল্প সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসহ স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সূচনা করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদেরকে এখন আর কী কী কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের স্বস্তিতে থাকার জন্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন করে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলায় বেড সংখ্যা দ্বিগুন করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসাখাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনী, লিভার-চিৎিসাখাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।’

শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক দোকানে, কল-কারখানায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিশুদের বয়সে শিশুরা খেলাধূলা করবে, আনন্দ করবে। সেখানে শিশুদেরকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা অমানবিক। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সরকার নানারকম প্রচারণা ও উদ্যোগ নিলেও বাল্যবিয়ে অহরহ ঘটছে।

‘বাল্যবিয়ে মানে একজন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেমেয়ের বিয়ে। এই বয়সে বিয়ে হলে তারা যেখানে নিজেরাই শিশু থাকে, সেই শিশুদের মধ্যে আরেক শিশুর জন্ম হয়। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুকি অনেকখানি বেড়ে যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ-সবল বুদ্ধিমান শিশু হতে হবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবার কাজ করছি। এখন শিশুশ্রম ও বাল্য বিয়ে সব জায়গাতেই বন্ধ করতে হবে।’


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   জাহিদ মালেক   মা ও শিশু হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কার নিয়ে নতুন আশা

প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হন লাখ লাখ মানুষ, মৃত্যু হয় হাজার হাজার জনের। প্রাণঘাতী এই রোগটি ঠেকাতে একটি কার্যকর টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের ইউরোপীয় শাখা জ্যানসেন।

সম্প্রতি ইঁদুর ও বানরের ওপর সেই টিকার ট্রায়াল করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেছেন জ্যানেসেনের ইমার্জিং প্যাথোজেন বিভাগের প্রধান নির্বাহী মার্নিক্স ভ্যান লুক।

ভাইরাসজনিত এই রোগটির প্রধান উপসর্গগুলো হলো তীব্র জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশি ও হাড়ের গ্রন্থীতে ব্যথা ও গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে অনুচক্রিকা বা প্ল্যাটিলেট কমে যায় এবং অনেক সময় শরীর থেকে রক্তক্ষরণও ঘটে। ভয়াবহ যন্ত্রণাকর সব উপসর্গের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগটি ‘হাড়ভাঙা জ্বর’ নামেও পরিচিত।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরই প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও বিশ্ব এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোনো স্বীকৃত টিকা নেই। দু’টি টিকা অবশ্য আছে, কিন্তু সেগুলো বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নয়।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, দু’বছর গবেষণার পর জেএনজি-১৮০২ নামের একটি টিকা প্রস্তুত করেছে জ্যানসেন। নতুন এই টিকাটির মূল কাজ হলো, মানুষ বা প্রাণীদেহে প্রবেশ করা ডেঙ্গুভাইরাসের বংশবিস্তার থামিয়ে দেওয়া।

ইঁদুর ও রেসাস জাতের বানরের ওপর সেই টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছেন মার্নিক্স ভ্যান লুক।

‘বিশ্বে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি বানর এবং ইদুঁরের দেহে প্রথমে ভাইরাসটি এবং পরে আমাদের টিকা প্রয়োগ করেছি। আমাদের সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।’

ডেঙ্গুর সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপারটি হলো— এই রোগের চারটি ভাইরাসের কোনো একটিতে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে সেই অবস্থাতেই অন্য কোনো একটি ধরনে তিনি ফের আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় এ রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

এ পর্যন্ত দুটি টিকা আবিষ্কার হয়েছে ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য। তার একটি হলো ডেংভাক্সিয়া। অল্প কয়েকটি দেশে এই টিকা পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গুর মাত্র একটি ধরনের ওপর কার্যকর এই টিকাটি।

দ্বিতীয়টির নাম কোডেঙ্গা। গত বছর ডিসেম্বরে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনুমোদন পেয়েছে এই টিকাটি। শিগগিরই ব্রিটেন ও ইন্দোনেশিয়াও এই টিকার অনুমোদন দেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, বানর এবং ইঁদুরের দেহে প্রয়োগের পর এবার মানবদেহে এই টিকাটির ট্রায়াল পরিচালনা করতে চান তারা। তবে সেজন্য আগে এই টিকার প্রয়োগের পর মানবদেহে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা— খতিয়ে দেখছে জ্যানসেন।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন