দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে বসেই ব্যক্তিগত চেম্বারের মতো রোগী দেখতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ১২টি জেলায় এবং ৩৯টি উপজেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করতে যাচ্ছি। এ সেবার মাধ্যমে দেশের জনগণ বিকেল ৩টার পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা পাবে। ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং কনসালটেন্ট তাদের নিজ হাসপাতালে বসে রোগী দেখবেন। রোগীর কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে সেগুলোও করা হবে।
উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের চিকিত্সক, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া প্রমুখ।
যেসব হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস শুরু হচ্ছে ঢাকা বিভাগের ১০ জেলায়। হাসপাতালগুলো হলো: মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতাল, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
চট্টগ্রামের আট জেলায় প্রথম ধাপে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ফেনী জেলা সদর হাসপাতাল এবং ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল এবং পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল, নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার মধ্যে জামালপুর জেলা সদর হাসপাতাল এবং সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
খুলনা বিভাগের চার জেলায় এ বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতাল, যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল এবং সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় এ সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতাল, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুরের বদরগঞ্জ এবং গংগাচরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বরিশাল বিভাগের তিন জেলায় এ সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ভোলা জেলা সদর হাসপাতাল এবং চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় এসেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল এবং ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেটের গোপালগঞ্জ এবং বিশ্বনাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ডাক্তার সরকারি হাসপাতাল প্রাইভেট চেম্বার
মন্তব্য করুন
পদোন্নতি বিএসএমএমইউ সুপ্রিম কোর্ট
মন্তব্য করুন
রোগী ও ডাক্তার উভয়ের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোগী যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায়, সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন, তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই মেশিন, সিটি স্ক্যান নষ্ট-এটা শুনতেও আমার কাছে খারাপ লাগে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমি করব।’
বাংলাদেশ থেকে রোগী বিদেশে যাবে না, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশেই চিকিৎসা করেন। সংসদ সদস্যরা যার যার স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে যদি চেকআপ করান, তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত হবে। দেশের চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশ থেকে রোগী বিদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকে রোগী আসবে এ দেশে চিকিৎসা নিতে। সেই অবস্থা একদিন আমরা করব।’
রোগী ডাক্তার উভয় সুরক্ষা দায়িত্ব আমার স্বাস্থ্য মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মৌসুমের শুরুতেই ফের থাবা বসাতে শুরু করেছে এডিস মশা। এ বছর ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। জুলাইয়ের চার দিনে মারা গেছেন চারজন। রাজধানীসহ সারা দেশে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে থেমে থেমে বৃষ্টিতে বাড়ছে এডিস মশার বংশবিস্তারের ঝুঁকি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের তথ্যে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজধানীর প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। জরিপে লার্ভা পাওয়া মোট বাড়ির মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবন। ২১ দশমিক ৬ শতাংশ স্বতন্ত্র ভবন, ২১ দশমিক ৬ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সেমিপাকা বাড়ি এবং ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২০ এর বেশি। সেই হিসাবে ওইসব ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চামেলীবাগ, রাজারবাগ, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।
এ ছাড়া ডিএসসিসির ৪, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শাহ আলীবাগ, টোলারবাগ, পাইকপাড়া ও দক্ষিণ বিশিল এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।
ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বচ্ছ জমাটবাঁধা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। ছাদ, বেলকুনি কিংবা বাসার আশপাশে পানি জমে আছে কি না তা দেখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শিশু এবং বয়স্কদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর আসলে ডেঙ্গু টেস্ট করবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডেঙ্গুজ্বরে রেকর্ড পরিমাণ রোগী আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। গত দেড় দশকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, উপস্থাপনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য খাতের আরো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা চিকিৎসা
মন্তব্য করুন
ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৩ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। আর এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এ সমাবেশ আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা জানি, ওষুধের নিরাপত্তা কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি আমাদের জন্য বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলায় যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং অভিজ্ঞতাতে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবার এ হুমকিগুলো মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।
উল্লেখ্য, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সভায় অংশ নেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামান্ত লাল সেন ভেজাল ঔষধ
মন্তব্য করুন
চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।