প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
মাত্র
ক’দিন আগেই শৈত্যপ্রবাহে
জর্জরিত ছিল জনজীবন। হাতের
পাঁচ আঙুলে মাস গুনে শেষ
না করতেই এখন প্রকৃতির বৈরী
আবহাওয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ।
দেশজুড়ে
চলছে দাবদাহ। চলমান তাপপ্রবাহে দেশের তাপমাত্রা চল্লিশ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। অবশ্য এর মধ্যে সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র
তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল
৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি
চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তাছাড়া
রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
ওপর দিয়ে মৃদু থেকে
মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত
থাকতে পারে (ঢাকা পোস্ট, ১৩
এপ্রিল ২০২৩)।
সঙ্গত
কারণেই দাবদাহে জর্জরিত মানুষ জানতে চায় সতর্কতার জায়গাগুলো
সম্বন্ধে। ডিহাইড্রেশন আর হিটস্ট্রোক যে
এই সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি তা
কে না জানে। তারপরও
সেই জানা কথাগুলোই আরেকটু
বিস্তারিতভাবে জানা নিশ্চয়ই প্রয়োজন।
হিটস্ট্রোক
একটি প্রাণঘাতী স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে রোগীর দেহের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট
ছাড়িয়ে যেতে পারে। সাধারণত
ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ সময়
থাকলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা দেয়।
তাছাড়া
অত্যধিক কায়িক পরিশ্রম আর ডিহাইড্রেশনের কারণেও
হিটস্ট্রোক হতে পারে। হিটস্ট্রোকের
লক্ষণগুলোর মধ্যে শরীরের অত্যধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছাড়াও রয়েছে কনফিউশন, কথা জড়িয়ে আসা, বমি বা বমি
ভাব, হার্ট রেট আর শ্বাস-প্রশ্বাস বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি।
বাড়াবাড়ি
রকমের হিটস্ট্রোকে খিঁচুনি হতে পারে, আক্রান্ত ব্যক্তি
অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
খুব দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে হিটস্ট্রোক
রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
হিটস্ট্রোকের
চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে আনা। এর জন্য
শরীরে প্রচুর ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।
কখনো
কখনো শিরায় স্যালাইন দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। তবে
কথায় যেমন আছে, ‘চিকিৎসার চেয়ে
প্রতিরোধ উত্তম’, হিটস্ট্রোক রোগের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই।
হিটস্ট্রোক
থেকে বাঁচতে হলে দীর্ঘ সময়
গরমে থাকা এড়িয়ে চলতে
হবে। উচিত হবে প্রচুর
পানি আর পানীয় গ্রহণ
করা।
ঢিলে
ঢালা, হালকা রঙের পোশাক পরা
আর সম্ভব হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার
করা হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য
কার্যকর। তাছাড়া বাইরে বের হলে সাথে
ছাতা রাখাটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত
হতে পারে।
হিটস্ট্রোক
ছাড়াও এই গরমে অতিরিক্ত
ঘাম থেকে ডিহাইড্রেশন দেখা
দিতে পারে। তাই রোদ এড়িয়ে
চলতে হবে। তাছাড়া শরীরে
যদি বেশি ঘাম ঝরে, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তবে
পানি আর পানীয়র ব্যাপারে
সাবধান। বেশি পানি আর
পানীয় খেতে গিয়ে আবার
না হেপাটাইটিস এ (Hepatitis A) আর হেপাটাইটিস ই
(Hepatitis E) ভাইরাস সংক্রমণ থেকে জন্ডিস কিংবা
ডাইরিয়া-কলেরা দেখা দেয়। কারণ
এই রোগগুলোর তো ছড়ানোর রাস্তা
একটাই আর তা হলো
দূষিত পানি আর দূষিত
খাবার।
পানি
আর পানীয়র উৎসটা যেন ফোটানো, মিনারেল বা
টিউবওয়েল হয় সেটা মাথায়
রাখা জরুরি। ডাবের পানি খাওয়াটা নিরাপদ।
অন্য
ফলের রসেও সমস্যা নেই
যদি সেই রসে মেশানো
পানিটা হয় নিরাপদ। মনে
রাখতে হবে সামান্য কিছু
সচেতনতাই রক্ষা করতে পারে বড়
ধরনের বিপদ থেকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৩ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। তবে এসময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৭৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১১৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৮৫ জন।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪৮৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩৩ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।’
বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সোমবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৪৮ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৭ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৪৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৩ জন।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫৯ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সোমবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।