ইনসাইড হেলথ

ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ৩৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৩


Thumbnail ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ৩৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৮ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময় ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ২৯ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ জন ঢাকার ও ১৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ১২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকায় ৬২৫ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী।

চিকিৎসা শেষে ১ হাজার ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫৪৭ জন ঢাকার ও ৪৮২ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।

এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।


ডেঙ্গু   রোগী   হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দেড় যুগ ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত বিএসএমএমইউর ৪৫ চিকিৎসক

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ০৯ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের পরেও দেড় যুগ ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৪৫ চিকিৎসক। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পদায়নে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ থেকে নির্দেশের এক মাস পার হলেও তা কার্যকরে গড়িমসির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের কার্যালয়ের অবস্থান কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব অভিযোগ করেন।

তাদের অভিযোগ, উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের পরেও প্রায় দেড় যুগ ধরে ৪৫ চিকিৎসকের পদোন্নতি হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পদায়নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নির্দেশের (আপিল বিভাগ রিট নং- ১৩৭১/২০২৪) এক মাস পার হলেও তা কার্যকর হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।

জানা গেছে, রিটকারী চিকিৎসকরা ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে মেডিকেল অফিসার হিসাবে নিয়োগ পান। পরে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমডি, এমএস, এফসিপিএস, এমআরসিএস, এমআরসিপি, এমফিলসহ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই তালিকায় বিএসএমএমইউর মেডিসিন, কার্ডিওলজি, রিউমাটোলজি, হেমাটোলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন, নেফ্রোলজি, জেনারেল সার্জারি, কোলোরেক্টাল সার্জারি, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক সার্জারি, কার্ডিয়াক সার্জারি, শিশু সার্জারি, ইএনটি, গাইনি অ্যান্ড অবস, অ্যানেস্থেসিয়া, ল্যাবরেটরি মেডিসিন, প্রোস্থোডন্টিক্সসহ ৫৪টি বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। যারা যোগদানের পর থেকে একই পদে (মেডিকেল অফিসার হিসাবে) রয়েছেন। অল্প কিছু সংখ্যাক কনসাল্টেন্ট হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্তেও এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে পদায়ন অথবা পদোন্নতি কোনটাই দেওয়া হচ্ছে না।

পদোন্নতির দাবিতে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর আন্দোলনে নামেন এসব চিকিৎসকরা। তারা তৎকালীন উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দেন। সবশেষ ২০২১ সালে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করেন। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রতি সুবিচার করেনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করে যোগ্য বিভাগীয় প্রার্থী থাকার পরও বাইরে থেকে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী চিকিৎসকদের।

তারা জানান, এমন পরিস্থিতিতে বঞ্চিত ৪৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদোন্নতির দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। হাইকোর্ট বিভাগ (রিট নং- ৭৬৮৭/২০২২) ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আবেদনকারী চিকিৎসকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন করে ১৯৯৯ সালের বিধি মেনে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়মিত নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি আদেশের সার্টিফায়েড কপি (রায়ের অনুলিপি) প্রকাশ করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি বঞ্চিতরা বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে সেই রায়ের কপিসহ পদায়নের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন। এরপর ৩ মাসের বেশি সময় পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।

গত ৩ জুন ২০২৪ এ মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপীল বিভাগের ফুল বেঞ্চ রিটকারী চিকিৎসকদের সহকারী অধ্যাপক পদে অবিলম্বে পদায়ন করার হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে নির্দেশনাসহ রিট নিষ্পত্তি করে।

তবে এরপরেও চিকিৎসকদের পদায়ন করা হয়নি জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, আপীল বিভাগের রায়ের পরেও কর্তৃপক্ষ পদায়ন না করে টালবাহানা করছেন। আপীল নিষ্পত্তির কার্যাদেশ অনুযায়ী অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিটকারী চিকিৎসকগণকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন করে রায় কার্যকর করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী দ্রুত রায় কার্যকর না করলে তা আদালত অবমাননার সামিল হবে।

তাদের প্রতি অবিচার হয়েছে দাবি করে এসব চিকিৎসক বলেন, বিএসএমএমইউ/১৯/২৭২৪ ও ২০০৮ সালের ২৮তম সিন্ডিকেট বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিএসএমএমইউ দেশের প্রথম ও সবচয়ে বড় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আত্তীকৃত ও স্থায়ীভাবে নিয়োগ তরা মেডিকেল অফিসারদের পদোন্নতির ব্যাপারে ১৯৯৯ সালে (স্বারক নং- সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণীত হলেও পরবর্তীতে ২০০৯ সালের সিন্ডিকেটের (স্বারক নং- বিএসএমএমইউ/২০০৯/৯০১৩) সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও অবাধ দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর যারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করবেন, এ ধরনের চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা ছিল। যেখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরে তাদের স্ব-বেতনে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হতো। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেই আইন কার্যকর হয়নি। আমাদের অনেকেরই চাকরি শেষের দিকে। অনেকের সন্তান এই বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও গ্রহণ করছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।

পদোন্নতি   বিএসএমএমইউ   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

রোগী-ডাক্তার উভয়ের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আমার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রোগী ডাক্তার উভয়ের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার ( জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোগী যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায়, সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার।

তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন, তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই মেশিন, সিটি স্ক্যান নষ্ট-এটা শুনতেও আমার কাছে খারাপ লাগে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমি করব।

বাংলাদেশ থেকে রোগী বিদেশে যাবে না, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশেই চিকিৎসা করেন। সংসদ সদস্যরা যার যার স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে যদি চেকআপ করান, তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত হবে। দেশের চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশ থেকে রোগী বিদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকে রোগী আসবে দেশে চিকিৎসা নিতে। সেই অবস্থা একদিন আমরা করব।


রোগী   ডাক্তার   উভয়   সুরক্ষা   দায়িত্ব   আমার   স্বাস্থ্য   মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমের শুরুতেই ফের থাবা বসাতে শুরু করেছে এডিস মশা। বছর ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। জুলাইয়ের চার দিনে মারা গেছেন চারজন। রাজধানীসহ সারা দেশে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে থেমে থেমে বৃষ্টিতে বাড়ছে এডিস মশার বংশবিস্তারের ঝুঁকি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের তথ্যে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজধানীর প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। জরিপে লার্ভা পাওয়া মোট বাড়ির মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবন। ২১ দশমিক শতাংশ স্বতন্ত্র ভবন, ২১ দশমিক শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সেমিপাকা বাড়ি এবং দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২০ এর বেশি। সেই হিসাবে ওইসব ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চামেলীবাগ, রাজারবাগ, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।

ছাড়া ডিএসসিসির , ৫২, ৫৪, ১৬, , , ১৫, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শাহ আলীবাগ, টোলারবাগ, পাইকপাড়া দক্ষিণ বিশিল এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।

ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বচ্ছ জমাটবাঁধা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। ছাদ, বেলকুনি কিংবা বাসার আশপাশে পানি জমে আছে কি না তা দেখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শিশু এবং বয়স্কদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর আসলে ডেঙ্গু টেস্ট করবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডেঙ্গুজ্বরে রেকর্ড পরিমাণ রোগী আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন হাজার ৭০৫ জন।


মৌসুম   ডেঙ্গু   প্রকোপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। গত দেড় দশকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, উপস্থাপনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য খাতের আরো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   নির্দেশনা   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৩ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। আর এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এ সমাবেশ আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা জানি, ওষুধের নিরাপত্তা কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি আমাদের জন্য বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলায় যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং অভিজ্ঞতাতে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবার এ হুমকিগুলো মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।

উল্লেখ্য, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর।

সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সভায় অংশ নেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   ড. সামান্ত লাল সেন   ভেজাল ঔষধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন