ইনসাইড হেলথ

‘ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি টাকা দিয়ে ওষুধ লেখায়, এটা অপরাধ’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চিকিৎসকদের রেফারেল ফি’র চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক।

অনৈতিক উপার্জনের জন্য মরণের পর জবাবদিহি করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের তিনটি গুণ অর্জন করতে হবে, তাহলো: আদর্শ, সততা ও রোগীর প্রতি দায়িত্ববোধ। আমাদের মরতে হবে। এসব কথা মাথায় রাখতে হবে। মন থেকে রেফারেল ফি’র চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে।

আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চক্ষুবিদ্যায় ২০ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা নবীন বিশেষজ্ঞদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ডাক্তারদের মাস শেষে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের ওষুধ লেখায়, এটা অপরাধ।

তিনি বলেন, ‘আমার ৪০ বছরে অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, আমি কোনো চশমার দোকান, কোনো ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে পয়সা নেইনি। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি।’

নিজকে গঠন করতে পারলে রেফারেল ফি’র প্রয়োজন পড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষতা অর্জন করতে পারলে রোগীরাই খুঁজে বের করবে। এজন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

বাংলাদেশে রেফারেল পদ্ধতি কমিশন নির্ভর হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, হাসপাতালের সামনে ফার্মেসি, সেখানে হাসপাতালের বিভিন্ন স্টাফ জড়িত। ডাক্তার, আয়া ও নার্সসহ অনেকেই জড়িত। ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও ডাক্তাররাও রেফারেল ফি’র সাথে জড়িত। কিন্তু সারা জীবনেও আমি এগুলো করিনি। এটা কেন দরকার হবে? রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের সম্পর্কটা বিশ্বাসের হলে এগুলো দরকার পড়বে না।

চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে রেফারেল ফি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে লেন্সের ব্যবসা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিদেশি লেন্সের কথা বলে সন্ধ্যায় এসব পয়সা ভাগ করা হতো।

অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোগীর একটু মাথা ব্যথা হলেই সিটি স্কান, এমআরই দেওয়া হয়। অপ্রয়োজনীয় অনেক সার্জারি হয়। আর এতে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। এমনকি মৃত্যুও হয়। 

ইনস্টিটিউটের পরিচালক থাকাকালীন রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার স্বার্থে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেন বলেও জানান অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।


ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনামূল্যেই মিলছে ব্যয়বহুল ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যে কোনো ক্যান্সারই শরীরের জন্য অনেক মারাত্মক একটি রোগ। সেগুলোর মধ্যে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার বা গলায় ক্যান্সারও অন্যতম। এটি হচ্ছে— এক ধরনের টিউমার জাতীয় রোগ।

এই ক্যান্সার গলার কোষ থেকে শুরু হয়ে থাকে। আর মারাত্মক এ রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে মদ ও ধূমপান করার কারণে। এই ক্যান্সারে আক্রান্তদের অনেকেই একটা সময় তাদের ভয়েস বক্স হারিয়ে ফেলেন।

এতদিন ভয়ংকর এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিদেশের হাসপাতালগুলোই ছিল চিকিৎসার পরিচিত গন্তব্য। তবে আশার কথা হল, বর্তমানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একদমই বিনামূল্যে মিলছে এই রোগের চিকিৎসা।

বেশিরভাগ ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে। ছোট টিউমার যা লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়েনি তা হল সবচেয়ে কম গুরুতর ধরনের ক্যান্সার। যেখানে, একবার টিউমারগুলি লিম্ফ নোডগুলিতে পৌঁছালে, ক্যান্সার একটি উন্নত পর্যায়ে চলে যায়। ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ণয়ের পর্যায়ের পাশাপাশি টিউমারের আকারের উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে ডাক্তার রেডিয়েশন থেরাপি বা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।

ভারতে এই রোগের অস্ত্রোপচারসহ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে খরচ পরে যায় ১৫ লাখ রূপি। যার ব্যয় বহন করা অনেকের ক্ষেত্রেই প্রায় অসম্ভব। ভারত ছাড়া এই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীদের আরেক গন্তব্য সিঙ্গাপুর। কিন্তু সেখানে খরচাটা আরও বেশি। সফল অস্ত্রোপচার শেষে নিরাময় পেতে রোগীদের ব্যয় করতে হয় ৩০ লাখ টাকারও বেশি।

বাংলাদেশে এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনবযাপন করছেন। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়া একজন বলেন, আমার ক্যান্সার এখন নির্মূল হয়ে গেছে। কেমোথেরপি বা অন্যান্য থেরাপিরও প্রয়োজন পড়ে নাই। তবে গলায় হাত দিয়ে কথা বলতে হয় এজন্য কিছুটা অসুবিধা হয়।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা রোগীদের জন্য স্বস্তিকর তো বটেই, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও নতুন একটি মাত্রা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  


ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার   জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

সরকারি তিন মেডিকেল কলেজে নতুন পরিচালক নিয়োগ

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের

দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের 

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার উপ-সচিব কমল কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমানকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. তরন মন্ডলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মাগুরা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের প্রজ্ঞাপন জারির পর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৬ষ্ঠ কর্মদিবস থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


সরকারি   মেডিকেল   কলেজ   পরিচালক   নিয়োগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্বের ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি মহামারি রোগ হিসেবে চিহ্নিত এবং এই রোগ সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন যেমন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছর এই দিবসটির স্লোগান হচ্ছে— ‘Know your risk, Know your response.’ বাংলায় ভাবানুবাদ করা হয়েছে, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।’ এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সম্প্রতিক তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয় এবং দুই জন নতুন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হয়!

১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসেবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় কোটি ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। 


আইডিএফ ডায়াবেটিস এটলাস ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, ২০২১ সালে ৫৩.৭ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪.৩ কোটিতে এবং ২০৪৫ সালে ৭৮.৩ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ১২ লাখেরও বেশি শিশু ও কিশোর (০-১৯ বছর) টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে বিশ্বের ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে ৯৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ডায়াবেটিসের কারণে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৯ শতাংশ।

ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে : কায়িক পরিশ্রম না করা, মোটা বা স্থূলকায় হয়ে যাওয়া, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় (সফট ড্রিংকস) পান করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকা, ধূমপান করা ও তামাক (জর্দা, গুল, খৈনী, সাদাপাতা) খাওয়া, গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা, যাদের বাবা-মা অথবা রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাজেই ডায়াবেটিস সম্বন্ধে তাদের অধিকতর সতর্ক থাকা দরকার।


ডায়াবেটিস   মহামারি রোগ   বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে কোন শাক খেলে?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় শীতকালে শাক-সবজি একটু বেশি পাওয়া যায়।  শীতকালীন শাক–সবজির মধ্যে পালংশাক অন্যতম। সহজলভ্য এই  শাকে রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। আসুন জেনে নিন পালংশাকের গুণের কথা: 

১. পালংশাক চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই শাকের উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. ভিটামিন 'ডি' বাদে পালংশাকে বাকি সব ভিটামিনই রয়েছে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন 'ই' এবং ভিটামিন 'সি'র উৎস পালংশাক। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। এ ছাড়া পালংশাকে উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে।

৩. পালংশাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি মানুষের ত্বক  থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। এই শাক ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৪. পালংশাকে আছে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।  এ ছাড়া পালংশাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে এই শাকের জুড়ি মেলা ভার।  

৬. পালংশাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষ সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই শাক খেতে পারেন। 


মস্তিষ্ক   কর্মক্ষমতা   পালন শাক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস : সঠিক সময়ে চিকিৎসা কমাবে ঝুঁকি

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

মস্তিষ্কে হঠাৎ রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হওয়াকেই স্ট্রোক বলে। রোগটির মূল কারণ মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বেই তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে।

অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপও ৫০ ভাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ধূমপান, নিয়মিত মদ্যপান, কায়িক পরিশ্রম না করা, ফাস্টফুড বা জাংক ফুড গ্রহণও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস-২০২৩। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘টুগেদার উই আর, গ্রেটার দেন স্ট্রোক’ অর্থাৎ ‘আমাদের ঐক্য স্ট্রোকের চেয়েও প্রবল’।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসার্জারি বিভাগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া নিউরোসার্জারি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানী, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।

নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞরা গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এর লক্ষণ বুঝতে না পারার কারণে রোগীকে হাসপাতালে নিতে বিলম্ব করেন। অথচ স্ট্রোকের রোগীর জন্য প্রথম চার ঘণ্টা গোল্ডেন আওয়ার বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিতে পারলে, শুধু ওষুধ দিয়েই রোগী একদিন পরেই সুস্থ শরীরে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ সময় চিকিৎসকের কাছে আনতে দেরি হয় বলে ক্ষতি বেশি হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্ট্রোক দিবস প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর উদযাপিত হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালী ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো উচ্চরক্তচাপ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক।


স্ট্রোক   চিকিৎসা   ঝুঁকি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন