নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলায় এফডিএসআরের প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এন্ড রেসপন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) এফডিএসআরের পক্ষ থেকে হামলার প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় এফডিএসআর।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো আজো চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তাহীন রয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দরপত্রের শিডিউল ফরম পেতে বিলম্ব হওয়ার অজুহাতে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিনের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা অবিলম্বে শিহাবউদ্দিন শাহিনসহ সকল সন্ত্রাসীর গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে “চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে নোয়াখালীর চিকিৎসকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এফডিএসআর।
মন্তব্য করুন
বিষণ্নতা বা
ডিপ্রেশন সাধারণ
কোনো বিষয় নয়। অনেকেই
কঠিন এই মানসিক ব্যাধির
সঙ্গে দিনের পর দিন লড়াই
করেন নিজের অজান্তেই। তারা টেরই পান
না যে ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
দীর্ঘদিন এই ব্যাধি পুষে রাখলে তা
মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
বিষণ্নতার
কারণে প্রতি বছর বিশ্বে আত্মহননে
মারা যাচ্ছে লাখো মানুষ। তাই
সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা
করা জরুরি।
শুধু
যে বড়দের মধ্যেই ডিপ্রেশন দেখা দেয় তা
কিন্তু নয় ছোটরাও এই
ব্যাধির কারণে নানা ভুল কর্মকাণ্ড
করে বসে। চলুন তবে
জেনে নেওয়া যাক ডিপ্রেশনের কোন
লক্ষণগুলো অবহেলা করবেন না-
ক্লান্তি
বিষণ্নতা
একজন ব্যক্তিকে আরও ক্লান্ত ও
অলস করে তোলে। ডায়েট
ও শরীরচর্চা যতই করুক না
কেন সব সময়ই ক্লান্তির
অনুভুতি হতে পারে। কোনো
কারণ ছাড়া ক্লান্তির কিন্তু
অনেক কারণ থাকতে পারে।
তাই এই বিষয় নিয়ে
অবহেলা করবেন না।
নেতিবাচক
কথাবার্তা
হতাশাগ্রস্থ
মানুষের নেতিবাচকতা থেকে সহজে বেরিয়ে
আসতে পারেন না। সবকিছু নিয়েই
তারা হতাশা করেন। যা তাদেরকে আরও
বিষণ্ন করে তোলে। আপনার
মধ্যেও যদি এই লক্ষণ
থাকে তাহলে বুঝবেন অজান্তেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন আপনি।
আগ্রহের
অভাব
বিভিন্ন
কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহী হতে পারেন না
এমন রোগীরা, যদিও বা কাজটি
তার পছন্দের হোক না কেন।
সব কাজেই এদের মধ্যে আগ্রহ
ও উৎসাহ কম দেখা দেয়।
মনোযোগে
অসুবিধা
যারা
ডিপ্রেশনে ভোগেন তারা কোনো কাজে
একাগ্রতার সঙ্গে মন বসাতে পারেন
না। মনে সব সময়ই
নেতিবাচক বিভিন্ন চিন্তা খেলা করে। চাইলেও
তারা এসব দুশ্চিন্তা থেকে
বেরিয়ে বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন
না।
অনিদ্রা
ডিপ্রেশন
গুরুতর আকার ধারণ করলে
রোগী ভোগেন অনিদ্রায়। ঘুমের ধরনে পরিবর্তন আসাও
বিষণ্নতার আরও এক লক্ষণ।
যা স্বাস্ত্যের জন্য বিপজ্জনক।
ক্ষুধা
কমে যাওয়া
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েটে পরিবর্তন আনেন ও কম খেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন। তবে কোনো কারণ ছাড়াই যদি দেখেন আপনার ক্ষুধা কমে গেছে তাহলে তা ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে। ডিপ্রেশনের রোগীরা বিভিন্ন বিষয়ে ভাবতে এতোটাই মগ্ন হন যে দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপে মনোনিবেশ করতে পারেন না।
বিচ্ছিন্নিতা
যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন তাদের মধ্যে একা থাকার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কারও সঙ্গে দেখা করা, গল্প করা কিংবা হাসিখুশি থাকতে তাদের ভালো লাগে না। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে এরা ইতস্তত করেন।
বিষণ্তার
লক্ষণগুলো বেশিরভাগের মধ্যেই একই দেখা দেয়।
তাই আপনার বা প্রিয় কোনো
মানুষের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলে
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডিপ্রেশন বিষণ্নতা মানসিক ব্যাধি আত্মহনন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন। ডেঙ্গুপ্রবণ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি সম্ভাবনাময় ডেঙ্গু টিকার গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।
যুক্তরাষ্ট্রের
ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের সঙ্গে আইসিডিডিআর,বির
পরিচালিত এই যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ধরনের বিরুদ্ধেই উপযোগী এই
টিকা। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘টিভি-০০৫’।
এক বিজ্ঞপ্তিতে
এমন দাবি জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে
এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো ডেঙ্গুপ্রবণ
বাংলাদেশে একটি সম্ভাবনাময় ডেঙ্গু টিকার গবেষণা সম্পন্ন করেছে আইসিডিডিআর,বি এবং যুক্তরাষ্ট্রের
ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা। এটি ডেঙ্গু
ভাইরাসের চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই উপযোগী। গবেষণায় ব্যবহৃত এক ডোজের ডেঙ্গু টিকা টিভি-০০৫
মূল্যায়ন করে দেখা যায় এটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রয়োগের জন্য নিরাপদ
এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম।
গবেষণার তথ্য
তুলে ধরে বলা হয়, আইসিডিডিআর,বি এবং ইউভিএম-এর ভ্যাকসিন টেস্টিং সেন্টার (ভিটিসি)-এর
গবেষকরা ২০১৫ সালে ‘ডেঙ্গু ইন ঢাকা ইনিশিয়েটিভ (ডিডি)’ নামক গবেষণাটি শুরু করে। এই
সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার লক্ষ্য ছিল ডেঙ্গু টিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করা।
২০১৫ থেকে ক্লিনিকাল ট্রায়াল, ল্যাবরেটরি পরীক্ষণ অবকাঠামো এবং প্রারম্ভিকভাবে ডেঙ্গুর
প্রাদুর্ভাব অধ্যয়ন সংশ্লিষ্ট গবেষণার জন্য আইসিডিডিআর,বিতে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি
করা হয়।
দ্যা ল্যানসেট
ইনফেকশাস ডিজিজেস-এ প্রকাশিত এই গবেষণাটি একটি দৈবচয়ন ভিত্তিক এবং ফেজ-২ ক্লিনিক্যাল
ট্রায়াল। এর মাধ্যমে টিভি-০০৫ টেট্রাভালেন্ট লাইভ-অ্যাটেনুয়েটেড ডেঙ্গু টিকার নিরাপত্তা,
ইমিউনোজেনিসিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির সক্ষমতা, এবং তিন বছর পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতার স্থায়িত্বের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
গবেষকরা ২০১৬
সালে থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের (বয়স ১- ৪৯ বছর) ১৯২ জন স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীকে
চারটি ভাগে ভাগ করে ৩:১ অনুপাতে টিভি-০০৫ টিকা বা প্লাসিবো প্রদান করেছেন। পরবর্তী
তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেছেন। টিকা দেওয়ার পর বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে
চারটি ডেঙ্গুর সেরোটাইপের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
আরও বলা হয়, যারা
আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।
যদিও গবেষণাটি কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য ডিজাইন
করা হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত
টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের কোনো ঘটনা শনাক্ত
করা যায়নি। গবেষণালব্ধ এই ফলাফলগুলো ডেঙ্গুপ্রবণ
জনগোষ্ঠীতে ব্যাপকহারে টিভি-০০৫ ডেঙ্গু
টিকা ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে
তোলার পাশাপাশি, তৃতীয় ধাপের কার্যকারিতা ট্রায়াল পরিচালনার জন্য সমর্থন জোগাড়
করতে সহায়তা করবে।
আইসিডিডিআর,বির ড. রাশিদুল
হক বলেন, কার্যকর এই ডেঙ্গু টিকা
বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব গুরুতর হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের
মানুষের অংশগ্রহণে টিভি-০০৫ টিকার
গবেষণা করতে পেরে আমরা
গর্বিত এবং আশা করি
আমাদের কাজ ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে
একটি কার্যকর টিকা প্রাপ্তি ত্বরান্বিত
করবে।
ইউভিএমের
গবেষক কির্কপ্যাট্রিক বলেন, টিভি-০০৫ টিকাটি
হলো একমাত্র একক ডোজের টেট্রাভ্যালেন্ট
ডেঙ্গু টিকা। যা এই টিকার
একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এটি ডেঙ্গুর চারটি
সেরোটাইপের সবকয়টির বিরুদ্ধেই ইমিউন রেসপন্স তৈরি করে, যা
যে কোনো টেট্রাভ্যালেন্ট ডেঙ্গু
ভ্যাকসিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণালব্ধ
ফলাফল বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার
বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য উপকারী হবে
বলে আশা প্রকাশ করেছেন
উভয় গবেষক।
মন্তব্য করুন
করোনোর
চেয়ে ভয়াবহ এক মহামারি নিয়ে সতর্ক
করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সম্ভাব্য পরবর্তী এই মহামারিকে ‘ডিজিস
এক্স’ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এই মহামারি
নিয়ে ভয়াবহ বার্তা দেওয়ায় নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, ডিজিস এক্স
নামে পরবর্তী মহামারিটি করোনার চেয়ে ২০ গুণ শক্তিশালী হতে পারে।
গত মে মাসে
সর্বপ্রথম এই রোগের কথা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের কারণে
এই রোগ ছড়াতে পারে।
এর কারণে করোনোর চেয়ে ভয়াবহ আকারে
মহামারি দেখা দিতে পারে।
আর সবচেয়ে বড় ভয়ের কথা
হলো এই রোগের কোনো
ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কেট বিংগ্যামের সাক্ষাৎকার
নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। কেট বিংগ্যাম বলেন, গত শতকে বিশ্বে
স্প্যানিশ ফ্লু তাণ্ডব চালিয়েছিল।
১৯১৯-২০ সালে ওই
ফ্লু মহামারিতে বিশ্বে ৫ কোটি মানুষের
মৃত্যু হয়েছিল। এই সংখ্যাটি প্রথম
বিশ্বযুদ্ধে নিহত মানুষের দ্বিগুণ।
নতুন ওই মহামারিতে ঠিক
এই পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
তবে
নতুন মহামারি থেকে কীভাবে রক্ষা
পেতে হবে সে পথও
তিনি বলে দিয়েছেন। ব্রিটিশ
এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, গণহারে টিকাদানের প্রস্তুতি নেওয়া লাগবে। এসব টিকা নির্ধারিত
সময়ের মধ্যেই দেওয়া দিতে হবে।
অনেক বিশেষজ্ঞ
মনে করেন, সম্ভাব্য ‘ডিজিস এক্স’ ইবোলা বা করোনার মতো কোনো জীবাণুর সংক্রমণ
হতে পারে। অনেকে আবার দাবি করেন, মানুষই ভয়ংকর কোনো জীবাণু তৈরি করবে, যা মারাত্মক
মহামারি ঘটাবে।
মন্তব্য করুন
চোখ
আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
বর্তমানে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া সাধারণ
একটি সমস্যা। বয়স বেড়ে যাওয়া,
অপুষ্টি, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
দৃষ্টিশক্তি
সচল রাখতে, চোখের কার্যক্ষমতা বা উজ্জ্বলতা বাড়ানোর
জন্য কিছু বিশেষ খাবার
আছে। জেনে নিন, চোখের
সমস্যা দূরীকরণে বা দৃষ্টিশক্তির কার্যকারিতা
বাড়ানোর উপযোগী কিছু খাবার সম্পর্কে।
সবার আগে ডিম
চোখের
জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী।
ডিমে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন, যা
চোখের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিমের
কুসুমে থাকা ভিটামিন এ,
লুটেইন ও জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে।
মাছের
বিকল্প নেই
মাছ
হলো ফার্স্টক্লাস প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত মাছ
খেলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি
মেটে। সেই সঙ্গে মাছে
রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের
ভাণ্ডার। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর
কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই একদম ছোট
বয়স থেকেই সন্তানকে মাছ খাওয়ায় অভ্যস্ত
করে তুলুন।
দুধ
ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে ভুলবেন না
দুধে
রয়েছে ভিটামিন এ-এর ভাণ্ডার।
এই ভিটামিন কিন্তু চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এমনকি চোখের পাওয়ার বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে
পারে এই ভিটামিন। তাই
তো সন্তানকে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ
খাওয়াতেই হবে।
পান করুন আমলকির
জুস
দৃষ্টিশক্তি
বাড়াতে আমলকির জুস খান। বাজার
থেকে টাটকা আমলকি কিনে এনে জুস
করে রোজ ২০ এমএল
করে খান। এতে দৃষ্টিশক্তি
দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। গোলমরিচের
সাথে মধুও খেতে পারেন।
গোলমরিচের গুঁড়ো মধু মিশিয়ে নিয়মিত
খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
খাদ্যতালিকায়
যুক্ত করুন বাদাম
দৃষ্টিশক্তির
মান বাড়াতে বাদাম ও বীজ অত্যন্ত
উপকারী। বাদাম ও বীজে ভিটামিন,
খনিজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা চোখের জন্য
খুবই ভালো। পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, তিলের
বীজ, চিনাবাদাম খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন।
দৃষ্টিশক্তি চোখ প্রোটিন ভিটামিন খাদ্যতালিকা
মন্তব্য করুন
বর্তমানে কমবেশি সবাই মানসিক চাপে ভোগেন। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন নানা কারণেই তৈরি হয় মানসিক চাপ বা স্ট্রেস। আর এই মানসিক চাপ তৈরি করে হতাশা, যা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে একজন হাসিখুশি মানুষকেও। তবে মানসিক চাপ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে সমস্যা প্রকট হয় না।
তবে কীভাবে কাটাবেন মানসিক চাপ? চলুন তাহলে জেনে নিন কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায়:
গান শুনুন: মনকে প্রশান্ত করার খুব দারুণ একটা পদ্ধতি গান শোনা। নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী প্রিয় গান শুনুন। মাঝে মধ্যে আপনিও গুনগুন করে উঠুন। অনেকটাই প্রশান্তি আসবে মনে।
মেডিটেশন: মনকে শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি দারুণ উপায় মেডিটেশন। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে মেডিটেশন করুন। প্রয়োজনে মেডিটেশনের জন্য ব্যবহার করুন মনকে প্রশান্ত করার মতো মেডিটেশন মিউজিক।
প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন: প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বললে নিজেকে খুব হালকা বোধ করবেন। কাছের কোনো মানুষের সঙ্গে আলাপ করুন আপনার সমস্যা নিয়ে কিংবা অনেকদিন খোঁজ না নিতে পারা বন্ধুটিকে ফোন করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিন।
নিজের সঙ্গে পরামর্শ করুন: মানসিক চাপ তৈরি হওয়ার কারণ নিয়ে নিজেই নিজের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কেন এমনটা হয়েছে, কীভাবে সমস্যাটির সমাধান করা যায়- তা নিজেকেই প্রশ্ন করুন। মনে রাখবেন আপনার সমস্যার সমাধান আপনিই সবচেয়ে ভালো করতে পারেন।
মন খুলে হাসুন: হাসি মানসিক চাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। মন খুলে হাসুন। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। আবার মজার সিনেমা দেখেও প্রাণখুলে হাসতে পারেন।
চা পান করুন: চা বা কফি জাতীয় পানীয় স্নায়ুচাপ কমায় এমনকি শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি দেয়। তাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার সময়টাতে চা বা কফি পান করে দেখতেই পারেন।
ঘুমান: বিষণ্ণতার কারণে অনেকেই ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না বা ঘুমান না। তবে এটা ঠিক নয়, ঘুম আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম আপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন