নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলায় এফডিএসআরের প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এন্ড রেসপন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) এফডিএসআরের পক্ষ থেকে হামলার প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় এফডিএসআর।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো আজো চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তাহীন রয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দরপত্রের শিডিউল ফরম পেতে বিলম্ব হওয়ার অজুহাতে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিনের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা অবিলম্বে শিহাবউদ্দিন শাহিনসহ সকল সন্ত্রাসীর গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে “চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে নোয়াখালীর চিকিৎসকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এফডিএসআর।
মন্তব্য করুন
টানা ১৬ দিন মৃত্যুহীন থাকার পর দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। সবশেষ ১১ জানুয়ারি দেশে কোভিডে ১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। তারপর থেকে আর মৃত্যুহীন দিন পার করছিল বাংলাদেশ।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এক রোগীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তাকে নিয়ে দেশে মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪২ জন বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, মৃত পুরুষ রোগী সিলেটের বাসিন্দা ছিলেন। তার বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তিনি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০ রোগী শনাক্ত হয়। তাতে দিনে শনাক্তের হার হয়েছে ০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা আগের দিন ০ দশমিক ৮৫ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৬ জন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৫ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ২২৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৭ জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। বাকি তিনজনের একজন পাবনার এবং ২ জন ঢাকার বাসিন্দা। দেশের বাকি ৬১ জেলায় আর কারও সংক্রমণের খবর নমুনা পরীক্ষায় আসেনি। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে কোনো নমুনাই পরীক্ষা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৮ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি ২ লাখ।
মন্তব্য করুন
‘চিকিৎসক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছে। এতে করে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুসহ বিভিন্ন রোগবালাই কমে এসেছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে দেশের ৪ বিভাগের ১৩ জেলায় ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে তিন ধাপে ৭টি বিভাগের ৩৯টি জেলার ১৩৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইভিশন সেন্টার উদ্বোধন হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব এলাকার মানুষ উন্নত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসেছেন। এর ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৫ কোটির বেশি) মানুষের উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসা সম্ভব।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় ১৩ লাখ মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চক্ষু সেবার মানোন্নয়নে কাজ চলমান রয়েছে। প্রতি বছর সরকারিভাবে আড়াই লাখ মানুষের ছানি অপসারণের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো. তোফাজ্জল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের জনবলের অভাব রয়েছে। কোন রোগের জন্য কতজন স্পেশালিস্ট প্রয়োজন, সেটি আমরা নির্ণয় করছি। আমরা আপনাদের জনবল সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান করবো।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইউরোলোজিক্যাল সার্জন্স আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের হেলথ সার্ভিসে অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক সমস্যা আছে যা খোলামেলাভাবে বলার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করছি। কোভিডে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আমরা জনবলের নতুন অরগানোগ্রাম করছি। আমাদের হেলথ মিনিস্ট্রিতে জনবল আছে তিন লাখ। নতুন অরগানোগ্রাম বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ জনবল লাগবে। যদিও সরকার রাতারাতি এগুলো দিতে পারবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর নতুন ৫টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন করে কোভিডকালে ১২ হাজার ডাক্তার, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ হয়েছে। ডিজিটাল হেলথ রেকর্ডিং প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা ৩৪ কোটি টিকা দিয়েছি, বাংলাদেশের স্থান বিশ্বে ৫ম। সাউথ-ইস্ট এশিয়ায় প্রথম। এজন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু ট্রান্সপ্ল্যান্ট খুবই কম। নতুন নতুন হাসপাতালগুলোতে ইউরোলজি থাকার কথা। সরকারি সব হাসপাতালে ইউরোলজি ডিপার্টমেন্ট যেন হয়, সেটি আমরা করবো। অনুষ্ঠানে প্রমোশন, পোস্টিংয়ের কথা এসেছে। যেহেতু এখানে আলোচনা হয়েছে, আমরা বিষয়টি দেখবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক হোটেল সোনারগাঁও
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা মার্চ মাস থেকে নিজ কর্মস্থলে রোগী দেখতে পারবেন। তিনি বলেন, যেখানে যে ডাক্তার কর্মরত আছেন সেই প্রতিষ্ঠানেই তারা যাতে প্র্যাকটিস করার সুবিধা পান, যাতে বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে বা চেম্বারে গিয়ে তাদের প্র্যাকটিস করতে না হয়। এই সুবিধা আমরা করে দিতে চাইছি। সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।