দেশে
ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১৫ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। ওমিক্রনের বিস্তার রোধে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা, রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা জোরদার,
জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৬ নভেম্বর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অমিক্রনকে ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক ধরন বলে ঘোষণা
করে। গতকাল একে বিশ্বের জন্য অতি উচ্চ ঝুঁকির বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি। এরপর থেকেই
করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে বেশ গুরুত্বর সাথেই দেখছে সরকার।
গতকাল
সোমবার (২৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত
এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
আজ
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সভা
ডেকেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতি, টিকাদানের অগ্রগতি
ও ওমিক্রনের কারণে উদ্ভূত সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে সভায় আলোচনা হবে।
ওমিক্রনের
কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে
বলে গণমাধ্যমে খবর বের হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনার নতুন এ ধরনের অস্তিত্ব
সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। যদিও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশসহ ১২টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে উচ্চ ঝুঁকির দেশের তালিকা
তৈরি করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এসব দেশ থেকে ভারতে যাওয়া নাগরিকদের নয়াদিল্লীর আইজিআই
বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে
যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে,
সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
সভায়
চারটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ভ্রমণ বিষয়ে। ইতিমধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ
শনাক্ত হয়েছে, এমন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা। দেশে ঢুকছেন, এমন বাংলাদেশি
কোনো নাগরিকের গত ১৪ দিনের ওই সব দেশ ভ্রমণের ইতিহাস থাকলে তাঁকে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ)
রাখা।
এ
ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবির
বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানে না। তবে
বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান কিছুটা অপরিপক্ব বলেই মনে হয়। কারণ, মহামারি নিয়ে
আমরা অনেক ভালো কাজ করেছি। নতুন ধরন নিয়েও আমরা সজাগ ও সতর্ক।’
প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে সভা
সরকারের
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরীন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সরকার
বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সভায় মূলত প্রস্তুতি জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা
হয়েছে। কী কী প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমরা তা জানি, গত দুই বছরে আমাদের সেই অভিজ্ঞতা
হয়েছে।’
সভা
হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে। সভায় উপস্থিত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, সভায় চারটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব
দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ভ্রমণ বিষয়ে। ইতিমধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, এমন দেশের
সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা। দেশে ঢুকছেন, এমন বাংলাদেশি কোনো নাগরিকের গত ১৪ দিনের
ওই সব দেশ ভ্রমণের ইতিহাস থাকলে তাঁকে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা।
দ্বিতীয়ত,
যেসব আন্তর্জাতিক বন্দর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে, সেসব জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা
স্ক্রিনিং ব্যবস্থা জোরদার করা। পাশাপাশি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিন ও রোগ শনাক্ত
হওয়া ব্যক্তিকে আইসোলেশনের (বিচ্ছিন্নকরণ) ব্যবস্থা করা। তৃতীয়ত, জনস্বাস্থ্য উদ্যোগগুলো
শক্তিশালী করা। চতুর্থত, মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করা।
১৫
দফা নির্দেশনা
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম গতকাল বলেন, দেশের ৬৪ জেলার সিভিল
সার্জনদের কাছে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
ওই
নির্দেশনা গণমাধ্যমকে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার শুরুতে বলা হয়েছে,
দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসেতো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা কর্তৃক সময়-সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশে থেকে আসা যাত্রীদের আন্তর্জাতিক
বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
আক্রান্ত
দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এ
ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন করা এবং শনাক্ত ব্যক্তিকে
আইসোলেশনে রাখা নিয়ে আরও দুটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সব
ধরনের জনসমাবেশ নিরুৎসাহিত করার জন্য চার ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মসজিদসহ সব
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তিনটি পৃথক
নির্দেশনা আছে।
সেবা
প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবাদাতাসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীকে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, অফিসে প্রবেশের সময় এবং অফিসে অবস্থানকালে সবার মুখে মাস্ক
থাকা দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। মানুষকে সচেতন করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার
ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত
রাখার কথাও ওই নির্দেশনায় আছে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, টিকার জন্য এ পর্যন্ত ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৫৩ জন নিবন্ধন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং পূর্ণ দুই ডোজ পেয়েছে ৫৩ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
পদোন্নতি বিএসএমএমইউ সুপ্রিম কোর্ট
মন্তব্য করুন
রোগী ও ডাক্তার উভয়ের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোগী যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায়, সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন, তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই মেশিন, সিটি স্ক্যান নষ্ট-এটা শুনতেও আমার কাছে খারাপ লাগে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমি করব।’
বাংলাদেশ থেকে রোগী বিদেশে যাবে না, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশেই চিকিৎসা করেন। সংসদ সদস্যরা যার যার স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে যদি চেকআপ করান, তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত হবে। দেশের চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশ থেকে রোগী বিদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকে রোগী আসবে এ দেশে চিকিৎসা নিতে। সেই অবস্থা একদিন আমরা করব।’
রোগী ডাক্তার উভয় সুরক্ষা দায়িত্ব আমার স্বাস্থ্য মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মৌসুমের শুরুতেই ফের থাবা বসাতে শুরু করেছে এডিস মশা। এ বছর ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। জুলাইয়ের চার দিনে মারা গেছেন চারজন। রাজধানীসহ সারা দেশে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে থেমে থেমে বৃষ্টিতে বাড়ছে এডিস মশার বংশবিস্তারের ঝুঁকি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের তথ্যে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজধানীর প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। জরিপে লার্ভা পাওয়া মোট বাড়ির মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবন। ২১ দশমিক ৬ শতাংশ স্বতন্ত্র ভবন, ২১ দশমিক ৬ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সেমিপাকা বাড়ি এবং ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২০ এর বেশি। সেই হিসাবে ওইসব ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চামেলীবাগ, রাজারবাগ, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।
এ ছাড়া ডিএসসিসির ৪, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শাহ আলীবাগ, টোলারবাগ, পাইকপাড়া ও দক্ষিণ বিশিল এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।
ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বচ্ছ জমাটবাঁধা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। ছাদ, বেলকুনি কিংবা বাসার আশপাশে পানি জমে আছে কি না তা দেখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শিশু এবং বয়স্কদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর আসলে ডেঙ্গু টেস্ট করবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডেঙ্গুজ্বরে রেকর্ড পরিমাণ রোগী আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। গত দেড় দশকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, উপস্থাপনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য খাতের আরো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা চিকিৎসা
মন্তব্য করুন
ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৩ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। আর এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এ সমাবেশ আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা জানি, ওষুধের নিরাপত্তা কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি আমাদের জন্য বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলায় যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং অভিজ্ঞতাতে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবার এ হুমকিগুলো মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।
উল্লেখ্য, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সভায় অংশ নেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামান্ত লাল সেন ভেজাল ঔষধ
মন্তব্য করুন
চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।