ঢাকার
আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক ও তার আশ্রয়দাতাকে
গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
গ্রেফতারদের মধ্যে একজন জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক শিখা। তিনি জেল পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের স্ত্রী। তবে তার আশ্রয়দাতার নাম-পরিচয় এখনো জানায়নি পুলিশ।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের স্ত্রী শিখা ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নিয়ে পলাতক জঙ্গিদের গেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান।
গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
ছিনিয়ে নেওয়া পলাতক দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে। তাদের ধরতে রাজধানীসহ সারাদেশে অভিযান চালায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন
প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান ছাগলকাণ্ড এনবিআর গোয়েন্দা দুদক দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
বেনজীর আহমেদ দুদক পাসপোর্ট তুরস্ক
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান এনবিআর সোনালী ব্যাংক শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মতিউর রহমান এখন গোয়েন্দা জালে। তার বিপুল সম্পদের ফিরিস্তি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা নিজের সন্তানকে তিনি অর্থের জন্য অস্বীকার করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী রোববার তার বিরুদ্ধে তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা প্রাথমকিভাবে গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সত্যতা পেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মতি দেশেই আছেন, তিনি যেন বিদেশে যেতে না পারেন সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন তারা। যদিও এখন পর্যন্ত তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, মতিউর রহমান যাকে তার সন্তান হিসেবে অস্বীকার করেছেন সেই ইফাত এখন দেশে নেই। তিনি দুইদিন আগেই বিদেশে চলে গেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ইফাত তাদের কাছে কোন বড় বিষয় নয়, বিষয় হলো মতিউর রহমান। এনবিআরের এই কর্মকর্তা কীভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হলেন সেটি তদন্তের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনের। কিন্তু মতিউর রহমান যেন বেনজীরের মতো সটকে পড়তে না পারেন বা তিনি যেন তার নামে-বেনামে রাখা সম্পদগুলো বিক্রিবাত্তা করতে না পারেন সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে মতিউর রহমানকে । শুধু দেশে নয়, বিদেশেও মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাধারণত এ ধরনের ঘটনার পরপরই দুর্নীতিবাজরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। আর এ কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশনের আনুষ্ঠানিক তদন্তের আগে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে মতিউরকে। মতিউরের অবস্থান, তার দুই স্ত্রীর অবস্থান এবং তার সন্তানদের অবস্থান সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তথ্য গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে যখনই দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে, সাথে সাথে যেন তাকে আইনের আওতায় আনা যায় সেলক্ষ্যে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র বলছে যে, আগামী রোববার এনবিআরের সদস্য এবং কাস্টমস ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউরের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে পারে দুদক এবং এক্ষেত্রে বেনজীরের মতো মতিউর রহমানের সম্পত্তির অনুসন্ধান করে সেই সম্পত্তিগুলো ক্রোক করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে কমিশন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন আইনজীবী বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার আলোকে তারা তদন্ত শুরু করতে চান এবং একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসলেই মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা তা উদ্ধার করতে চান।
এর আগেও মতিউর রহমানে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছিল, কিন্তু সেসময় তাকে ক্লিনশিট দেওয়া হয়েছিল কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, "অতীতে কি হয়েছিল সেটি এখন মুখ্য ব্যাপার নয় , আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। মতিউর রহমানের ব্যাপারেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।"
তবে, গোয়েন্দা সূত্রগুলো যাই বলুক না কেন, বিপুল বিত্তের অধিকারী এই প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তা আইনের ফাঁক গলে আবারও বেরিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
দুর্নীতি গোয়েন্দা দুদক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ড. মতিউর রহমান
মন্তব্য করুন
এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান কোথায়- এ নিয়ে এখন ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক গোয়ান্দা সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, মতিউর রহমান দেশেই আছেন। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। গতকাল মতিউর রহমানের স্ত্রী ১৪ দিন পর প্রকাশ্যে এসেছেন এবং উপজেলা পরিষদের দুটি সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। তবে সে সমস্ত অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করার আগে বা পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোন কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, আমার আরেকটি মিটিং আছে। আমি সেখানে যাচ্ছি।
বেনজীর আহমেদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল সাতটি। মজার ব্যাপার হল, এই সাতটি পাসপোর্টের কোনটিই সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে করা হয়নি। সবগুলোতেই তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ তার যে পাসপোর্ট করা হয়েছিল সেখানে তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নবায়ন করেছিলেন, যেটি তাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দিয়েছিল, যখন তিনি পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেই সময়। সেই বেনজীর আহমেদের শুধু দেশেই একাধিক পাসপোর্ট নয়, বিদেশেও অন্তত তিনটি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের আজ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১ টায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। আজকের বৈঠকে ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক ড. মতিউর রহমান যোগ দেননি। ছাগল কাণ্ডে আলোচিত বিতর্কিত সমালোচিত এই এনবিআর কর্মকর্তা যেন বৈঠকে উপস্থিত না থাকেন সেজন্য তাকে টেলিফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিচালক পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই ড. মতিউর রহমানের সঙ্গে পরিচালনা পরিষদে বসতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরপরই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে মতিউর রহমান জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সে যেন বৈঠকে উপস্থিত না থাকে।