ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

বিকাশের দুই হুন্ডি ডিলারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় বিকাশের দুই এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)।

বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) রিপোর্ট-এর উপর ভিত্তি করে গত মঙ্গলবার সিআইডি একটি দল নোয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে এই হুন্ডি ডিলারকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের নাম হলো শাহাদাৎ হোসেন ও বলাই চন্দ্র দাস।

বহুদিন থেকেই বিকাশের এই এজেন্ট এলাকায় হুন্ডি ডিলার হিসেবে কাজ করে আসছিল। তবে ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে আরো বেশী পরিমান রেমিটেন্স পাঠাতে শুরু করলে সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় হুন্ডি ব্যবসা আরো জমজমাট হয়ে ওঠে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গ্রেফতারকৃত এই বিকাশ এজেন্ট বিদেশের হুন্ডি ডিলারদের সাথে বহুদিন থেকেই যোগসাজশে কাজ করে আসছিল। সিআইডি সূত্র বলছে, প্রাথমিক জবানবন্দিতে এই এজেন্ট দুবাই, সৌদি আরব, সিংগাপুর, হংকং-এর হুন্ডি ডিলারদের কাজ করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।

মূলত অবৈধ হুন্ডির রমরমার কারণেই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় ডলার হয়ে দেশে প্রবেশ করছিল না। তবে দফায় দফায় সিআইডি এবং বিএফআইইউ’র যৌথ অভিযানের কারণে আবারো রেমিটেন্সের প্রবাহ চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বরাবরই চট্টগ্রাম বিভাগের বৈধ হুন্ডির একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠে ছিল। তবে বরাবর অভিযান চালিয়ে তারা এই সিন্ডিকেটের একাধিক হোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আর সে কারণেই পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে।

এর আগে গত নভেম্বরে হুন্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে বিকাশের কর্মকর্তাসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি এবং পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

সে সময় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) কাজী শাহ নেওয়াজ, ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ ম্যানেজার খোরশেদ আলম, তিন বিকাশ এজেন্ট মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. নিজাম উদ্দিন এবং মো. আজিজুল হক তালুকদারকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

একইভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরেই অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটি অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এই হুন্ডি চক্রের সদস্যরা সে সময় চার মাসে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচার করে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তখন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা, ঢাকার মোহাম্মদপুর এবং খিলগাঁও মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা হয়।

আর আগস্টে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের প্রায় ৩০০ বিকাশ এজেন্টের সিম এই অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগেরও তদন্ত করেছে সিআইডি।  

বিকাশ   হুন্ডি ডিলার   সিআইডি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ১৭ আগস্ট

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ১৭ আগস্ট।

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৭ আগস্ট থেকে বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (৮ জুন ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষাগুলো সাধারণত রোব বা বৃহস্পতিবার শুরু হয়। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এ প্র্যাকটিস হয়ে আসছে। সে হিসেবে ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই তারিখে সাধারণ ৯টি শিক্ষাবোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষাও শুরু হবে।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো। এ সময়সূচিতে বাধা আসে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে। করোনার কারণে আগের পরীক্ষা সূচি এলোমেলো হয়ে যায়। ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ এবং ২০২২ সালের পরীক্ষা শুরু হয় ৬ নভেম্বর। পিছিয়ে যাওয়া এই পরীক্ষা ধীরে ধীরে এগিয়ে আনার পরিকল্পনা হাতে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত হয় ২০২৩ সালের পরীক্ষা জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় নেওয়া হবে। কিন্তু কলেজগুলো সিলেবাস শেষ করতে না পারায় এই পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে এখন আগস্টের মাঝামাঝি নেওয়া হবে বলে জানান বোর্ড কর্মকর্তারা।

২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে।


এইচএসসি   পরীক্ষা   আগস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ঢাকার ৪৭টি খালের মধ্যে টিকে আছে ২৬টি

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

এক সময় ঢাকায় সচল খাল ছিল ৪৭টি। চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ওই খালগুলো। নৌকা, স্টিমার চলতো সেসব নদীখালে। সেসময় নৌপথে মালামাল পরিবহণ ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ ছিল তখন ঢাকা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরে ৫৬টি খালের অস্তিত্ব থাকলেও তার সবই এখন মৃতপ্রায়।

হাজারীবাগ কালুনগর খাল। সিটি কর্পোরেশন নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পর এটির নাম দেয়া হয়েছে ষড়কুঞ্জ খাল। দেখে ড্রেন মনে হলেও এটি কিন্তু আসলে একটি খাল। খালটির দুই পাশে বর্জ্য ফেলার স্থায়ী জায়গা বানিয়ে ফেলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এছড়াও ঘন আগাছা আর তীব্র দুর্গন্ধের কারণে খালটির আশে পাশে দাঁড়িয়ে থাকাটাও রীতিমত অসম্ভব। অথচ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম রাজধানীর খাল উদ্ধার করা এবং ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে  ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি একক অভিভাবক হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে তুলে দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকার  খালগুলোর সীমানা চিহ্নিত করে খালের পাড় থেকে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ, পাড় বাঁধাই ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়।এছাড়া খাল খনন/পুনঃখনন করে খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো, সবুজায়ন ও সাইকেল লেন নির্মাণের উদ্যোগও নেয়া হয়। 

গত বছরের জানুয়ারিতে খাল উদ্ধারে সিটি কর্পোরেশন শক্ত হাতে উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের দৌরাত্বে আবারও বেহাল দশা খালটির। ঢাকার অন্যতম বড় এই খাল বেহাল হওয়ায় বৃষ্টির সময় এই এলাকা তলিয়ে যায় পানির নিচে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শেকেরটেকের শ্যামলী হাউজিং, আদাবর-১০ নম্বর, আদাবর-১৬ নম্বর, আদাবর-১৭ নম্বর এলাকায় খালের ওপর আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এছাড়া ইব্রাহীমপুর, আগারগাঁও, শ্যাওড়াপাড়া, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, কামরাঙ্গীরচর, গোপীবাগ, আব্দুল্লাহপুর, বাউনিয়া, রূপনগর এলাকার খালগুলো রয়েছে মৃতপ্রায় অবস্থায়। ঢাকার অন্যান্য এলাকাতেও খাল গুলোর অবস্থা বেহাল। খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো পরও অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।

রাজধানীর পয়োবর্জ্য ও কঠিন পয়োবর্জ্য প্রবাহের মোট পয়েন্ট যথাক্রমে ৩৬০ টি ও ৪০০ টি। টঙ্গী, বালু, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার সাথে বিভিন্ন এলাকাড় বড় খালগুলো যুক্ত হয়ে থাকলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। 

ঢাকার ৪৭টি খালের মধ্যে এখন টিকে আছে ২৬টি। ঢাকার চারপাশে চারটি নদীকে ঘিরে যে খালগুলো আছে, যেগুলো বিভিন্ন দিকে দখল হয়ে গেছে বা দূষণের কারণে নদীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না, সেগুলো উদ্ধার করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে শুধু ঢাকার চারপাশে নৌ-চলাচল নয়, ঢাকার মধ্য দিয়েও নৌ-চলাচল সম্ভব হবে।





ঢাকার খাল   সিটি কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

বনানীতে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ একজন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail বনানীতে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ একজন গ্রেপ্তার।

রাজধানীর বনানী এলাকার দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ মনির হোসেন (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কড়াইল বস্তি এলাকার মিম ফ্যাশন গ্যালারি নামের একটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বিমানবন্দর ও বনানী এলাকাকেন্দ্রিক অবৈধ বিদেশি মদ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।

ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, মনির দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বিদেশি মদ সরবরাহ করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল। অবশেষে গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য সদস্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চক্রের অন্য সদস্যদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


বনানী   বিদেশি মদ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

মন্ত্রী পরিবারের ‘কবজায়’ ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ২৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর উপকণ্ঠের জনপদ রূপগঞ্জ উপজেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৫টি। এর মধ্যে ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আছে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পরিবার। পরিবারের সবাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। সংসদ সদস্য হয়েও নিজে আছেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে। এমনকি ছেলের শাশুড়িকেও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি বানিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলায় ৪০টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাদরাসা এবং পাঁচটি কলেজ আছে। যার মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ১১টি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। 

গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ব্রাহ্মণখালী এলাকার ‘জনতা উচ্চ বিদ্যালয়’, ত্রিশকাহনীয় এলাকার ‘ছাত্তার জুট মিলস উচ্চ বিদ্যালয়’ ও মর্তুজাবাদ এলাকার ‘মর্তুজাবাদ ফাজিল মাদরাসা’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

মন্ত্রীর স্ত্রী তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী রূপসী এলাকার ‘রূপসী নিউ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ’, বরপা এলাকার ‘হাজী নুরউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়’ ও তারাবো এলাকার ‘তারাবো পৌর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়’-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। 

পরিবারের বড় ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা উপজেলার ভুলতা এলাকার ‘ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, কাঞ্চন এলাকার ‘হাজী রফিজউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ ও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ‘নবকিশলয় হাই স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের’ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ছোট ছেলে গাজী গোলাম আসরিয়া বাপ্পী খাদুন এলাকার ‘হাজী আয়েত আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়’-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ ছাড়া বড় ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার শাশুড়ি খাদিজা মাহতাব রূপসী গন্ধর্বপুরের ‘গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়’-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন।

অভিযোগ আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কবজায় নিয়ে মানহীন শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয় তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের সরিয়ে সেখানে নিয়মবহির্ভূতভাবে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। এতে থমকে গেছে বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন এবং ভেঙে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

নীতিমালা অনুসারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, শিক্ষক নিয়োগ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে।

উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি বিদ্যালয়ের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।

অভিযোগ আছে, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার মানোন্নয়নের চেয়ে নিয়োগ, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ যেসব কাজে আর্থিকভাবে লাভ হওয়ার সুযোগ আছে, সেগুলো নিয়েই বেশি আগ্রহী গাজী পরিবার। নিজ পরিবারের কবজায় ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেখে উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মীয়স্বজন, ঘনিষ্ঠজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রেখেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

শিক্ষার্থীদের একাধিক সচেতন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বলেন, একটি পরিবার এতগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে থাকায় তারা সঠিকভাবে এগুলোর দেখভাল করতে পারছেন না।  নিজেরা যা ভালো মনে করছেন সেভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এক পরিবার থেকে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে থাকা যাবে কি না, জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে আমরা খতিয়ে দেখব।’ 

এ বিষয়ে জানতে গোলাম দস্তগীর গাজীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

প্রেমের হতাশা থেকেই নিজের বুকে গুলি চালান পুলিশ কনস্টেবল রনি

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ২৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর বনানীতে পুলিশ চেকপোস্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে আশরাফুজ্জামান রনি (২২) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি নিজের ইস্যুকৃত পিস্তল দিয়ে নিজেই বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় রনিকে সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কনস্টেবল রনির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তারা মোবাইলে কথা বলতেন। বুধবার রাতেও মোবাইলে অনেক কথা বলেন। সকালে ডিউটিতে আসার আগেও তাদের কথা হয়। 

তিনি বলেন, মোবাইল চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির প্রেমিকার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

কনস্টেবল পিস্তল ব্যবহার করতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চেকপোস্টে যে কনস্টেবলরা ডিউটি করেন, তাদের সুবিধার্থে পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেন বলে ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয়। অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বরে চেকপোস্টে ডিউটি ছিল রনির। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। রনি পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত ছিলেন। 

সকাল সাতটার দিকে গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনস্টেবলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনির পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে, তার পুলিশ আইডি নম্বর- বিপি০১২০২২৯২৬২, রক্তের গ্রুপ ‘এ নেগেটিভ’। 

পুলিশ   চেকপোস্ট   কনস্টেবল   গুলি   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন