ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

নথি গায়েব: ৯ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ০৫ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের নথি গায়েবের ঘটনায় আটক মন্ত্রণালয়ের ৯ কর্মচারীকে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি)। তবে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে কি পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি তদন্তকারী সংস্থাটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় । 

গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ নথি (ফাইল) অফিসের স্টিলের ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন ২৮ অক্টোবর দুপুরে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। নথিগুলোর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও দপ্তরের ক্রয় সংক্রান্ত।

পরে এ ঘটনায় স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (উপসচিব) নাদিয়া হায়দার রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর গত রোববার সিআইডির একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে অপরাধ শনাক্ত করণ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রণালয়ের ছয়জন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরো তিন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপর তদন্ত বিভাগ।

সিআইডির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েবের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ফাইল গায়েবের রহস্য উদ্‌ঘাটনে ওই ৯ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো সিআইডি কার্যালয়ে আনা হতে পারে। তবে সিআইডি ওই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

সিআইডির আরেকজন কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের কোনো কোনো কর্মকর্তার দ্বন্দ্বের জের ধরেও ফাইলগুলো সরানো হয়ে থাকতে পারে। একই কারণে গত আগস্টেও একবার ফাইল গায়েব করা হয়েছিল। ঘটনাটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের হওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া মামলা নেওয়া যাচ্ছে না। আর মামলা না হওয়ায় তদন্ত করতেও কিছু অসুবিধা হচ্ছে।

এর আগে জিডির তদন্ত তত্ত্বাবধানকারী সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. ইমাম হোসেন বলেছিলেন, জিডির তদন্তের অবস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। তারা চাইলে মামলা করে আটক ৯ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নথি গায়েবের রহস্যের উদ্‌ঘাটন করবে। আর মন্ত্রণালয় আগ্রহী না হলে সে ক্ষেত্রে সিআইডি মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, সেটা ইন্টারপোল করেছে।

আইজিপি বলেন, ‘আরাভ খানতে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হবে।’

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির গ্রেফতারের বিষয়ে আইজি বলেন, মাহির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। মামলাটি তদন্ত হচ্ছে।

এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।

দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশ বলছে, এ আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে দুবাইয়ে তার শোরুম উদ্বোধন করা হবে- এই ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও দুবাইয়ে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে যাকে খোঁজা হচ্ছিল তিনি দুবাইয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে সোনার দোকান দিতে যাচ্ছেন। কিনেছেন বাড়ি-গাড়ি। দুবাইয়ে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে উদ্বোধন করা হয়েছে আরাভ জুয়েলার্সের। কয়েক দিন আগে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতিমান তারকাদের সম্ভাব্য উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন রবিউল ওরফে আরাভ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা টাওয়ারের ৬৫ তলায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার নম্বর ৬৫১০। আরও ৪-৫টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। পাশাপাশি রয়েছে একটি সুইমিংপুল ও বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়িও।

তার ওই ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই চিনে ফেলেন, তিনি বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। ফেরারি এক আসামি দুবাইয়ে গিয়ে কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তারের নেপথ্যে ‘সনি রাজ কার প্যালেস’-এর জমি

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তারের নেপথ্যে ‘সনি রাজ কার প্যালেস’-এর জমি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী মামলার আসামী রকিব সরকার গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) সকালে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু জানেন না তাঁরা। মাহিয়া মাহি ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে। অন্যদিকে মাহিয়া মাহির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে গত শনিবার (১৮ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। তবে গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছার পর উত্তরার নিজ বাসায় যান। সেখান থেকে বিকেলে তিনি গাজীপুরে যান। কিছু সময় ছিলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সনি রাজ কার প্যালেসেও। রকিব সরকার দেশে ফিরলে ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান স্ত্রী মাহি। পরে শুভেচ্ছা জানানোর ছবি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তবে রকিব সরকারের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই কথা জানান বাসন থানার ওসিও।

গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে মোবাইল ফোনে রকিব সরকার জানান, আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত তিনি জামিন নিতে আদালতে যাবেন। এছাড়া তাঁর শোরুম দখলের চেষ্টা, হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলাও করবেন। 

রকিব সরকারের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ সম্পর্কে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

বিরোধের নেপথ্যে ৩২ শতক জমি: গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ২ নম্বর গেটের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘেঁষে ৩২.৩৪ শতক জমির ওপর ‘সনি রাজ কার প্যালেস’। এই জমির মালিকানা নিয়ে রকিব সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরোধ চলে আসছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে এই জমি রকিব সরকারের দখলে। ২০১২ সালে স্থাপনা নির্মাণ করে তিনি গড়ে তোলেন সনি রাজ কার প্যালেস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ইসমাইল হোসেন চাইছেন এই জমি তাঁর দখলে নিতে। ২০১২ সাল থেকে কয়েক দফা দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। সর্বশেষ গত শুক্রবার ভোরে আবারও চেষ্টা চালান। শনিবার রকিব সরকারের স্ত্রী মাহিয়া মাহি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ইসমাইল হোসেন দাবি করেন, ওই শোরুম তাঁর, দখলও তাঁর।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শোরুমে ‘সনি রাজ কার প্যালেস’ লেখা সাইনবোর্ড। একটি ছাড়া শোরুমের সব শাটার বন্ধ। সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে লোহার পাইপ ও কয়েকটি টিনের বেড়া।

ভেতরে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী মুন্না সরকার (৫৩) বলেন, ইসমাইল হোসেন এসব নিয়ে এই শোরুম দখল করতে এসেছিলেন। নষ্ট করা সাইনবোর্ড গতকাল দুপুরে মেরামত করে আবার টানানো হয়েছে।

জমির মালিকানা বিষয়ে জানতে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রকিব সরকার প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে এই জমি নেননি। এসব নিয়ে অনেক সালিস-দরবার হয়েছে। কিন্তু রকিব সরকার দখল ছাড়ছেন না। সবাই জানে এই জমির প্রকৃত মালিক আমি।’

এ প্রসঙ্গে রকিব সরকার বলেন, ‘রেকর্ডীয় মালিক ফজল বাদ্যকরের কাছ থেকে আমি দুটি দলিলে ইটাহাটা মৌজার এই জমিটি কিনেছি। নামজারির মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখলে আছি। ইসমাইল হোসেনের দলিলে মৌজা উল্লেখ করা হয়েছে ‘আমিরাবাদের চালা’, যা টঙ্গী এলাকায়।’

সৌদি আরব থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করার পর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তাঁর স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া এক ব্যবসায়ী জমি দখলের অভিযোগ এনে মামলা করেন তাঁদের বিরুদ্ধে। দুই মামলায় গত শনিবার সকালে দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নায়িকা মাহিয়া মাহিকে। পরে পুলিশ আদালতে পাঠালে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একই আদালত থেকে জামিন পান মাহি। অবশেষে গত শনিবার গ্রেপ্তারের সোয়া আট ঘণ্টা পর মুক্তি পান মাহিয়া মাহি।


মাহিয়া মাহি   গ্রেপ্তার   নেপথ্য   সনি রাজ কার প্যালেস   জমি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

নির্জন হাওরে মুখ বেঁধে নারীকে ধর্ষণ


Thumbnail

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে নির্জন হাওরে মুখ বেঁধে জোর পূর্বক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম নামে এক হাঁস খামারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

রোববার (১৯ মার্চ) মামলা দায়ের পূর্বক ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার শাহ আলম  উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

তাহিরপুর থানার ওসি সেয়দ ইফতেখার হোসেন ধর্ষককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভিকটিমের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের এক নারী গত ১৭ মার্চ শুক্রবার বিকেলে গবাদীপশুর জন্য গ্রাম সংলগ্ন সংসার হাওরে ঘাঁস কাঁটতে যান। ঘাঁস কাঁটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিঠে থাকা ঘাঁসের বস্তা কেড়ে নিয়ে যায় হাওরে থাকা একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে হাঁস খামারী শাহ আলম (৩০)। এরপর ওই নারী ঘাঁসের বস্তা আনতে খাঁমারীর পেছনে পেছনে গেলে নির্জন হাওরে ওই নারীর মুখ বেঁধে খাঁমারী শাহ আলম জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানোর পর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পরদিন শনিবার মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ার পর ওই মামলায় শাহ আলমকে সংসার হাওরের হাঁস খামার থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ইয়াবা মামলায় তিন রোহিঙ্গার ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

এক লক্ষ ৫০ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় ৩ রোহিঙ্গাকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা আদালত।একই সঙ্গে দন্ডিত আসামীদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
 
রোববার (১৯ মার্চ) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। 

দন্ডিত আসামীরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার সুধাপাড়া গ্রামের মৃত রহমত আলী’র পুত্র মো. ইউনুস, আবু শামা’র পুত্র নুরুল হক এবং মৃত আবুল কালাম’র পুত্র মো. আনোয়ার। দন্ডিত সকল আসামী পলাতক রয়েছে।

আসামীদের ধৃত করা সাপেক্ষে প্রদত্ত সাজা ভোগ শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থায় তাদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করার জন্য বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে রায়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে টেকনাফের নাইট্যং পাড়া ফরেস্ট রেস্ট হাউজের কাছে নাফ নদীতে ২ নম্বর বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে ইঞ্জিন চালিত একটি বোট সহ তিনজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে। পরে আটককৃতদের দেখানো মতে বোটটি তল্লাশি করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় টেকনাফের ২ নম্বর বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মোঃ আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন।

কক্সবাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

স্বাস্থ্যের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০% কমিশন নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

কাজ পাইয়ে দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০% কমিশন নেয়া অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। 

সম্প্রতি সময় এমন অভিযোগ করেছেন ধ্রুব কথাচিত্র নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. আশরাফুল আলম। 

তিনি লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত চেয়েছেন। আবেদনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন) দশ কোটি টাকার স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজের কনসালট্যান্ট ও ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দশ কোটি টাকার স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজের কনসালট্যান্ট ও ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

গত ৫ মার্চ দুদকে এ অভিযোগ জমা দিয়েছেন আশরাফুল। এর আগে স্বাস্থ্য সচিব বরাবর একই অভিযোগ দাখিল করেন তিনি। সেই আবেদনে তারিখ লেখা আছে ২২/০৩/২০২৩। অথচ ওই চিঠিটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার । এক মাস পরের তারিখ দেয়া চিঠি কীভাবে স্বাস্থ্য সচিব আগেই গ্রহণ করলেন- এ বিষয়ে মো. আশরাফুল আলম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচিবের কাছে করা আবেদনে তারিখ ভুল হয়েছে। ২২ মার্চের জায়গায় ২২ ফেব্রুয়ারি হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘বিগত দুই অর্থবছর ধরে বর্তমান লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মিজানুর রহমান আরিফ যোগদানের পর থেকে ১০ শতাংশ হারে কোটি টাকা কমিশন নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজস্ব পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিচ্ছেন। আর এ কমিশনের টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছেন দরপত্র মূল্যায়ন/অন্য কমিটির সভাপতি ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (টিএসডি) এবং দরপত্র মূল্যায়নের জন্য কমিটির সদস্য মো. মোখলেচুর রহমান, সহকারী প্রধান (কাঃ সঃ) ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার। এই দুই কর্মকর্তা বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আমাকে একটি সার্ভিস প্যাকেজের কাজ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে নগদ দশ লাখ টাকা কমিশন নেন। প্রকাশ থাকে যে, ওই দশ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে আমাকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আহ্বানকৃত প্যাকেজ নং-৭ প্রোডাকশন অব এসবিসিসি ম্যাটারিয়াল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইন্টারভেনশন ফর প্রিভেনশন ডায়বেটিসের প্রস্তাব দাখিলের পরামর্শ প্রদান করেন এবং আমাকে ওই কাজ দিয়ে তাদের নেয়া দশ লাখ টাকা সমন্বয় করে দেবেন।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আমি বাধ্য হয়ে তাদের কথায় বিশ্বাস করে যথানিয়মে সব কাগজপত্র, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও আর্থিক সক্ষমতা সংযুক্ত করি। এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) দাখিল করি। আমার এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) যাচাই-বাছাই করে আমাকে রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল প্রদান করেন। আমরা রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজালের চাহিদা মোতাবেক সব তথ্যাদি সংযুক্ত করে টেকনিক্যাল এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল প্রস্তাব দাখিল করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমার কাছ থেকে অগ্রিম নগদ দশ লাখ টাকা কমিশন নেয়ার পরও দরপত্র মূল্যায়ন ক্রয় কমিটির সভাপতি ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং দরপত্র মূল্যায়ন ক্রয় কমিটির সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান আমার টেকনিক্যাল এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল প্রস্তাব বিবেচনা না করে অধিক কমিশন গ্রহণ করে অযোগ্য, অদক্ষ ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে ঊর্ধ্ব রেটে কাজ দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন। আমি টাকা ফেরত চাইলে ওই দুই কর্মকর্তা আমার দশ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব প্যাকেজের কাগজপত্র তদন্ত করলে অনিয়ম ও দুর্নীতির আসল চিত্র সহজেই পাওয়া যাবে।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘দরপত্র মূল্যায়ন/ক্রয় কমিটির সভাপতি ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং দরপত্র মূল্যায়ন ক্রয় কমিটির সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান নগদ ৫০ লাখ টাকা কমিশন নিয়ে প্লে-ডক্টরস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সব ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের জন্য ৪.৫০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান না করে পুনরায় ৫০ লাখ টাকা কমিশন নিয়ে এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে চলছেন। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের কাজের জন্য দরপত্র দলিলে চার কোটি টাকার কাজের অভিজ্ঞতা, আড়াই কোটি টাকার আর্থিক সক্ষমতা এবং এক বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকার টার্নওভার চাওয়া হয়। এস কে শাহিন রহমানের প্লে-ডক্টরস নামক প্রতিষ্ঠানটির দেশের কোথায় চার কোটি টাকার প্রচার কাজসহ আর্থিক সক্ষমতা ও টার্নওভার আছে- এমন ইতিহাস কারো জানা নেই। ওই প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত সব কাগজপত্র ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি করে দাখিল করা হয়।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘প্রকাশ থাকে যে, এস কে শাহিন রহমানের আরেকটি প্রতিষ্ঠান RIAND Bangladesh Limited একই কায়দায় ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি করা কাগজপত্র নিয়ে বিগত তিন বছর ধরে লাখ লাখ টাকা কমিশন দিয়ে লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন দপ্তরে কোটি কোটি টাকার কাজ করে যাচ্ছেন। ওই দুজন কর্মকর্তা ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি করা কাগজসমূহ যাচাই না করে টাকার বিনিময়ে কাজ প্রদান করে যাচ্ছেন। তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রতিষ্ঠান প্লে-ডক্টরস কর্তৃক দাখিলকৃত ভুয়া ও নীলক্ষেত থেকে তৈরিকৃত কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করলেও ওই কর্তকর্তারা কোনো প্রকার কাগজপত্র সরবরাহ করেননি। দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করলে আসল রহস্য উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানটি বিগত তিন বছর ধরে ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি কাগজপত্রের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কমিশন দিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিচ্ছেন।’



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন