তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি আমাদের সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বহুবার সরকারকে টেনে নামাতে চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, তারাই দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।’
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া মৌসুমী আবাসিক এলাকায় আরসিসি ড্রেইনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত আওয়ামী লীগের পতন দ্রুত’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ সব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সাথে বিএনপি এবং বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যূষে বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়ার সাথে বহুবার কথা বলেছিলেন। সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেওয়া না দেওয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।’
সাংবাদিকরা এ সময় সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছে বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করে। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সুপ্রীম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা ইতিপূর্বে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার ঢাকা বারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনে জয়লাভের কোনো আশা নেই বুঝেই তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, এরপর নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য ব্যালট ছিনতাই ও নির্বাচনী প্যান্ডেলসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর করে।’
‘২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি -এ জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন’ বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।
এর আগে আরসিসি ড্রেইনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মত জলাবদ্ধতা আর হবে না।
শহরের পরিচ্ছন্নতা ও নর্দমা সচল রাখা নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পৌনে এক কোটি মানুষ মিলে শহর ময়লা করলে সিটি কর্পোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষেও তা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। আর পলিথিন ও বাসাবাড়ির ময়লা না ফেললে ড্রেইন সচল থাকবে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী।
তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক এ নেতা বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরবেন। বহিষ্কারের কারণ হিসেবে জানা যায়, শওকত মাহমুদকে নিয়ে বহুদিন ধরেই বিএনপির উচ্চ পর্যায়ে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল। তার কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছিল। এর আগে তাকে দু’দফা শোকজ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানী বনানীর এক হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিএনপির সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ কারণেই শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন- বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন করছে। জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটিও সরকারের পতন চায়। সেক্ষেত্রে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নিশ্চয়ই বিএনপি বা সমমনা দলগুলোর একটি অংশ। তবে শওকত মাহমুদকে কেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো? তবে কি এটি বিএনপির নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের কৌশল? আবার কেউ বলছেন, ইনসাফ কায়েম কমিটি যদি বিএনপি বা সমমনা দলগুলোর অংশ না হয়, তবে কারা এরা?
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির নেপথ্যে থেকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা নিজেদেরকে আমেরিকান সিআইএ-তে কর্মরত বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। যারা আয়োজক তাদের মতে, ১৯১৩ সালে তারা এই কমিটি গঠন করেছেন। নৈশভোজ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন করে তারা এই কমিটি পুনরুজ্জীবিত করলেন। ল্যাংলে-তে কাজ করেন বলে যিনি পরিচয় দেন, অর্থাৎ আমেরিকাতে সিআইএ হেডকোয়ার্টারে তিনি কাজ করেন, নাম মাসুদ করিম। অনেক দিন থেকেই এই অঞ্চলে তাকে দেখা যায়, কখনও ব্যাংককে কখনও কাডমান্ডুতে, কখনও কলোম্বতে এবং দুবাইয়ে এসব জায়গায়- তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান, তার এলাকা সিলেটে। আমাদের দেশের প্রথিতযশা অ্যাক্টিভিস্ট যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি বৈঠকে মিলিত হন। যাদের সঙ্গে তিনি (মাসুদ করিম) বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যক্তি, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় উপস্থাপক- তারা তাকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। ফলে তাকে জড়িয়ে একটা রহস্য, একটা ধোঁয়াশা ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে আছে।
সূত্র জানায়, তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখিও হয়েছে। তারা বিভিন্ন বিরোধী নেতা-নেত্রীদের কাছে ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) কাজ করেন’- এই বলে গল্প দেয় যে, তাদেরকে নাকি মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি কাজ দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার হটানোর। যা পুরোপুরি বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত। আশ্চর্য হলেও সত্য এই যে, সিআইএ’র নাম বিক্রি করে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা- আমলাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, নৈশভোজ আয়োজনের বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ড বা সিনিয়র পর্যায়ের কোনো নেতাকে জানানো হয়নি। যে কারণে এই অনুষ্ঠানের ওপর দলটির বিভিন্ন পর্যায় থেকে তীক্ষ্ণ নজর ছিল। শওকত মাহমুদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে দলের পক্ষ থেকে ফোন করে অনুষ্ঠানে না যেতে বলা হয়। যারা নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন, পরে তারা অংশ নেননি। এলডিপির কর্ণেল অলি আহমেদ অনুষ্ঠানে গিয়েও অংশগ্রহণ না করে ফিরে আসেন। এমনকি আমন্ত্রিত অতিথিদের নজরদারি করতে সেখানে দুই সাবেক ছাত্রনেতাকে পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে একজন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ করেন। আর অন্যজন সরাসরি লাইভে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে দেখান।
বিএনপির সূত্রমতে, সোমবার (২০ মার্চ) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অনুষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানে নেতারা বলেন, গত বছরের এপ্রিলে পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ ডেকে সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন শওকত মাহমুদ। সেই পটভূমিতে তখন ওই সমাবেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক ছিল না। এর আগে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বরও হাইকমান্ডকে না জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি মিছিল বের করে মুক্তাঙ্গনে গিয়ে অবস্থান নেন। দুই কর্মসূচির নেতৃত্বেই ছিলেন শওকত মাহমুদ। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ‘সরকার পরিবর্তন আন্দোলন’-এর সঙ্গে যুক্ত থাকা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাকে দুবার শোকজ করা হলেও এসব থেকে তিনি বের হতে পারেননি। ফলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, যেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে বিজয়ী হলে রাজপথে আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে শওকত মাহমুদ তার প্রস্তাবনায় অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবনায় জাতীয় সরকার গঠনের পর সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। দলের পদে থেকে ভিন্ন ব্যানারে শীর্ষ নেতার সিদ্ধান্তকে অমান্য করেছেন তিনি। জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে যে অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে একাধিক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন, যাদের শওকত মাহমুদের আগের দুই বিতর্কিত কর্মসূচিতেও দেখা গেছে। আগে ক্ষমা করা হলেও এখন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দলে ভিন্ন মেসেজ যেতে পারে। পরে স্থায়ী কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলেও কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও দুজন যুগ্ম মহাসচিব জানান, বনানীর হোটেলে সুধী সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২৬ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অঙ্গ সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতাকে ফোকাস করা। কিন্তু তারা দলের হাইকমান্ডকে বিষয়টি আগেই জানিয়ে দেন এবং সেখানে অংশ নেবেন না বলেও নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এই আয়োজনটার টাকা কোত্থেকে এসেছে?- এটা নিয়েও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। প্রায় ১২ লক্ষ্য টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই টাকা কোত্থেকে এসেছে সেটাতো কেউ বলেন নাই। তবে এইটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা হয়তো সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির ওই নেতারা জানান, তাদের অনুষ্ঠানে অর্থের উৎস নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির কাছে তথ্য রয়েছে, এর পেছনে একটি শক্তি কাজ করছে। এর আগেও নানা তৎপরতায় তাদের নাম এসেছে। এখন আবারও নতুন করে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। বিএনপির নেতৃত্ব ও আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করাই হলো তাদের মূল উদ্দেশ্য। এর সঙ্গে বিএনপির কিছু নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও কিছু পেশাজীবী নেতা জড়িত আছেন। যারা ফেব্রুয়ারিতেও থাইল্যান্ডে গোপন বৈঠক করেছেন বলেও তথ্য আছে।
এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কার্যত বিএনপি অস্বীকার করলেও বিএনপিকে কেন্দ্র করেই জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি ফোকাস হতে চেয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে। যদিও বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এ ঘটনাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। হতে পারে এটি বিএনপির নতুন কোনো ষড়যন্ত্র। আবার এ-ও হতে পারে, যেহেতু জামায়াতের সাথে বিএনপির একটা সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে, তাই বিএনপির নেতাদের সামনে রেখে নতুন একটা পরিকল্পনা করছে জামায়াত। তবে ইনসাফ কায়েম কিমিটির পেছনে বিএনপি না জামায়াত ইন্দন দিচ্ছে- সেটাই দেখার বিষয়।
জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নৈশভোজ শওকত মাহমুদ বিএনপি জামায়াত সিআইএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মাহমুদুর রহমান মান্না অলি আহমদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে সকল মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। এটি শুধু পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময়ে হয়েছিলো। এখন গণমুখী উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের নামে মুষ্টিমেয় মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ এই উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে না। দেশকে যদি দেহ ধরা হয় তাহলে বর্তমানে উন্নয়নের নামে রক্তশূন্য দেশে গয়না পরানো হচ্ছে। অথচ, দেশের জীবনীশক্তি শুষে খাওয়া হচ্ছে। সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রচুর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় এর প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। সাধারণ মানুষ বর্তমান উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে না। প্রতিদিন দেশের মানুষ দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হচ্ছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওর্য়াল্ড ব্যাংকের তথ্য মতে দেশের ১শ’ টাকা আয় হলে ধনী শ্রেনির আয় হয় ২৮ টাকা। আর সর্ব শতকরা ৫ ভাগ নিম্ন শ্রেণির আয় হয় মাত্র ২৩ পয়সা। উন্নয়নের নামে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এটাকে আমরা উন্নয়ন বলতে পারি না।’
বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিলো পল্লীবন্ধুর। উন্নততর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিলো তার । কল্যাণমূখী উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন তিনি। কাঠামোগত ও সংস্কারগত উন্নয়ন করেছেন। সারাদেশে কাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন যা এখনো মানুষের চোখে পড়ে। যমুনা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম মেগা প্রকল্প। যেটি বঙ্গবন্ধু ব্রীজ নামে পরিচিত। উত্তরবঙ্গের মানুষের অনেক বড় উন্নয়ন হয়েছে এই সেতুর কারণে। পল্লীবন্ধু যমুনা সেতু তৈরী করতে পারেননি কিন্তু সব কিছু প্রস্তুত করতে পেরেছেন। ওর্য়াল্ড ব্যাংক থেকে শুরু করে সবাই যমুনা সেতুকে অসম্ভব বলেছিলেন। পদত্যাগের কারণে পল্লীবন্ধু যমুনা সেতু তৈরী করতে পারেননি। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো এই পরিকল্পনা এবং স্টিমেট অনুযায়ী যমুনা সেতু তৈরী করেছে। যেদিন উদ্বোধনের কথা, সেদিনই উদ্বোধন হয়েছে। এটি ছাড়া দেশে আর কোন মেগা প্রকল্প ষ্টিমেট অনুযায়ী হয়নি।’
সবাই বলেন, ‘পল্লীবন্ধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, আসলে তিনি ছিলেন প্রকৃত নায়ক। আজীবন যুবক ছিলেন, মৃত্যুর আগে অসুস্থ্যতার আগ পর্যন্ত যুবক ছিলেন। কোন ক্ষেত্রেই পরাজিত হননি তিনি। তিনি বাংলাদেশের জন্য গর্বের। ৩২ বছর ক্ষমতা রাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন পল্লীবন্ধু। তাই প্রতিপক্ষরা তাকে নানান অপবাদ দিয়েও সফল হয়নি। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষতায় ছিলেন পল্লীবন্ধু। মৃত্যুর পর চারটি জানাজায় মানুষের লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিলেন। পল্লীবন্ধু গণমুখী উন্নয়ন ও সংস্কারের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা তা বাস্তবায়ন করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমরা দ্রুতই দ্বিতীয় পল্লীবন্ধু পদক বিতরণ করবো।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যারা সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে এসেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া আমি সবাইকে ঘৃণা করি। এরশাদ সাহেবকে শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি শুধু এই কারণে, তিনি জেলে থেকেও ৫টি করে আসনে এমপি হয়েছেন দুই বার। আবার তাঁর ছেড়ে দেয়া আসনে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো তারাও বিজয়ী হয়েছে। পল্লীবন্ধু অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। অত্যন্ত সুন্দর মানুষ ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বঙ্গবন্ধুর পরেই আমি পল্লীবন্ধুকে ভালোবেসেছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা জানেন না দেশের মানুষ কত ভালোবাসে জাতীয় পার্টিকে। তারা চায় জাতীয় পার্টি যেন রাজপথে নেমে আসে। তিনি বলেন, বটগাছের নীচে দূর্বা ঘাসও জন্মে না। তাই রাজপথে নেমে জাতীয় পার্টিকে গায়ে রোদ লাগাতে হবে। রাজপথে নামলে জাতীয় পার্টির বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ ছিলেন এক দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। রাজনৈতিক দর্শন ছিলো তাঁর। ৪৬০টি উপজেলা ও ৬৪টি জেলা সৃষ্টি করে প্রশানকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলেন পল্লীবন্ধু। জীবন ও মৃত্যুর মাঝে এরশাদ সাহেব অসংখ্য র্কীতি গড়েছেন। সাভারে স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ থেকে বড় বড় উন্নয়ন কর্মকান্ড পল্লীবন্ধুর হাত ধরেই হয়েছে। মেয়েদের জন্য প্রথম পলিটেকনিক কলেজ তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে তিনি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উপজেলা সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামকে শহরে পরিনত করেছিলেন তিনি।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাঝে চরিত্রগত কোন তফাৎ নেই। ক্ষমতায় গেলে তারা দুর্নীতি, দুঃশাসন, টেন্ডারবাজী ও দলবাজী করে। ৩৩ বছরে দল দুটি এখনো এক মত হতে পারেনি কেমন করে একটি জাতীয় নির্বাচন হবে। হাসপালের বাথ রুম থেকে বারান্দায় রোগী আছে কিন্তু ডাক্তার ও অষুধ নেই। বড় বড় মেগা প্রকল্প, টানেল বা পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র দরকার নেই। আমাদের দরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বিশেষায়িত হাসপাতাল যেখানে ৫০ জন ডাক্তার থাকবেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মাটি ও মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। পল্লীবন্ধু সব সময় গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করেছেন। কিন্তু এতদিনেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। দেশের সকল উন্নয়নের সাথে পল্লীবন্ধুর ছোঁয়া জড়িয়ে আছে।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে লুটপাটের রাজনীতি কায়েম করেছে। কম বাজেটে গণমানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে পল্লীবন্ধু যে দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেছেন সেই রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কি হয়েছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। এখন কী হচ্ছে তা দেশের মানুষ দেখছেন। পল্লীবন্ধুকে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে দেয়া হয়নি। রাজনীতির মাঠে তাঁর পায়ে শেকল পড়ানো ছিলো। তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক শক্তিই জাতীয় পার্টির বন্ধু নয়। জাতীয় পার্টির বন্ধু দেশের সাধারণ মানুষ।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, সেনা সদস্য থেকে রাজনীতির মাঠে যে সাফল্য দেখিয়েছেন পল্লীবন্ধ তা ইহিতাসে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশকে অন্ধকার থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন। ইসলামী মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়বো। তিনি বলেন, দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই। দেশের মানুষ উন্নয়নের আগে পেটের জন্য ভাত চায়। পেটে ভাত না থাকলে কোন উন্নয়ন দরকার নেই।
পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর ৯৪ তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন - কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি,জেপির মহাসচিব শেখ সহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির কো - চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন - প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ আহমেদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এসএম ফয়সাল চিশতী, সুনীল শুভরায়, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, নাজমা আকতার প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বিরোধীদল উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এরশাদ জন্মবার্ষিকী
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক এ নেতা বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরবেন। বহিষ্কারের কারণ হিসেবে জানা যায়, শওকত মাহমুদকে নিয়ে বহুদিন ধরেই বিএনপির উচ্চ পর্যায়ে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল। তার কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছিল। এর আগে তাকে দু’দফা শোকজ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানী বনানীর এক হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিএনপির সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ কারণেই শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপিকে একটি অবৈধ দল দাবি করে দলের মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘অবৈধ ব্যক্তির হাতে গড়া অবৈধ দল হল বিএনপি। আর এই অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব মির্জা ফখরুল। কেন বলছি। বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে, সেখানে কোথায় আছে ফখরুল ১২ বছর ধরে মহাসচিব। তাহলে তার বৈধতা হারায় নাই। সে যে পদত্যাগ দাবি করে তার নিজেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। কারণ সে তো অবৈধ। সে তো বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবৈধ।’
ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শওকত মাহমুদ ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির সদস্য সচিব।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে সকল মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। এটি শুধু পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময়ে হয়েছিলো। এখন গণমুখী উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের নামে মুষ্টিমেয় মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ এই উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে না। দেশকে যদি দেহ ধরা হয় তাহলে বর্তমানে উন্নয়নের নামে রক্তশূন্য দেশে গয়না পরানো হচ্ছে। অথচ, দেশের জীবনীশক্তি শুষে খাওয়া হচ্ছে। সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রচুর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় এর প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। সাধারণ মানুষ বর্তমান উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে না। প্রতিদিন দেশের মানুষ দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হচ্ছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওর্য়াল্ড ব্যাংকের তথ্য মতে দেশের ১শ’ টাকা আয় হলে ধনী শ্রেনির আয় হয় ২৮ টাকা। আর সর্ব শতকরা ৫ ভাগ নিম্ন শ্রেণির আয় হয় মাত্র ২৩ পয়সা। উন্নয়নের নামে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এটাকে আমরা উন্নয়ন বলতে পারি না।’