ইনসাইড পলিটিক্স

দেখতে ভদ্রলোক হলেও ফখরুলের অন্তরে বিষ: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল দেখতে মনে হয় ভদ্রলোক, আর অন্তরে বিষ। একটা মানুষ এত মিথ্যা কথা বলতে পারে, সেরা মিথ্যাবাদীর নাম মির্জা ফখরুল’।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের দেশ পাকিস্তান নাকি ভালো ছিল। আজ পাকিস্তানের রিজার্ভ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি।’

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির দুটি গুণ—দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। ’

অর্থ পাচারকারী তারেক লন্ডনে আছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক দেশে ফিরবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা। এরা চুরির কথা বলে, ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। ’

'ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন। বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারে চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন জখম হয়ে গেছে!’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তাহলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না। একদিনে একশ রাস্তা হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করেননি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে, ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন। ’

গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রসাশক জন্ম নেয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন,  শেখ হাসিনা চুরি করলে তার নামে হাওয়া ভবন তৈরি হতো। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতেন না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে, ভূমিহীনেরা ভূমি পাচ্ছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু।

মির্জা ফখরুল   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তান যা বলে তারাও (বিএনপি) তাই বলে। কারণ তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় উজ্জীবিত, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা। তারা এমনটাই বলবে এটাই হওয়া সমীচীন।

আজ রবিবার (২৬ মার্চ) ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সোনার বাংলা গড়ার পথে রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এখন অন্যতম অঙ্গীকার।

এর আগে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

একদিকে ইফতার পার্টি, অন্যদিকে মানবতা

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে ইফতার মাহফিল/পার্টি না করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ইফতার মাহফিল/পার্টির বাজেটের অর্থ গরীব-দুস্থ-অসহায় ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে রমজানের প্রথম দিনেই মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছে বিএনপি। 

প্রশ্ন উঠছে রমজানে রোজার মূল তাৎপর্য কি? রোজার মূল তাৎপর্য হল সংযম এবং গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ সময় গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর রোজার একটি অন্যতম সৌন্দর্য। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে কারণে এবার গোটা বিশ্বে নানা রকম টানাপোড়েন চলছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। বাংলাদেশেও করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে প্রভাব পড়েছে। এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা প্রদান যেমন মানবিক তেমনি সময়োপয়োগীও বটে। অর্থাৎ তিনি যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেটি রোজার তাৎপর্য সে তাৎপর্য অনুসারেই করা।

অন্যদিকে বিএনপি ইফতার পার্টিতে যে রাজনীতি করছে সেটা হল এক ধরনের ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা এবং অপচয়। অথচ দলটি এখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছে। বিএনপি দাবি করছে, মানুষের নাকি ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, মানুষ দু বেলা ঠিক মতো খাবার খেতে পারছে না। অথচ বিএনপি রমজানের প্রথম দিনেই মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছে। যা দলটির অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বটে। এভাবে মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন না করে বিএনপি এই অর্থ গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষকে দান করতে পারতো। যাদের সারা দিন রোজা রেখে ভালো ভাবে ইফতার করার সামর্থ্য নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই আসলে রোজার প্রকৃত তাৎপর্য। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে না। আমাদের নেত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরং সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরিব মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেবো।’

ইফতার পার্টি   রাজনীতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সম্পর্ক উন্নয়নে এপ্রিলে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের জন্য একদিকে যেমন নিজেদের দলকে প্রস্তুত করছে অন্যদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দল যেন অংশগ্রহণ করে সেটিও নিশ্চিত করতে চাইছে। তবে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা বা বিএনপিকে ছাড় দিয়ে আগামী নির্বাচনের মাঠে যুক্ত করার কোনো দৃশ্যমান পরিকল্পনা এখনও নেই। বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন হতে পারে না। যা কিছু হবে সংবিধানের আওতায় হবে। 

এদিকে  আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেই নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে সেটি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে। যে কারণে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে দেশটিতে ডেমোক্রেট ক্ষমতায় আসার পর আরও চাপে পড়ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। 

যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে এবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান আমন্ত্রণ পেয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ১১০টি আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ছিল না। এছাড়া র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ২০ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তােই নয়, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস অনেকটা বিএনপির ভাষায় কথা বলছেন। একের পর এক বিষয় নিয়ে তিনি সরকারের সমলোচনা করে যাচ্ছেন। সেজন্য এবার কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিন পর আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ঈদের পর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপ্রিলের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। যদিও তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রধানের আমন্ত্রণে আগামী ১ মে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। কিন্তু এই সফরে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। বিশেষ করে প্রভাবশালী কয়েকজন কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করছেন, আগামী নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতেই হবে। আর সে মিশন নিয়েই আওয়ামী লীগ এখন কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটন   বিশ্বব্যাংক   শেখ হাসিনা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আ’লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে ইফতার মাহফিল/পার্টি না করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। 

একইসঙ্গে ইফতার মাহফিল/পার্টির বাজেটের অর্থ গরিব-দুস্থ-অসহায় ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার (২৫ মার্চ) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃচ্ছ্রতা সাধন করবেন। এই বৈশ্বিক সংকটে গরিব মানুষের জন্য ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী দলের পক্ষ থেকে তুলে দেবেন। ইফতার পার্টি করতে নেত্রী বারণ করেছেন। গণভবনেও কোনও ইফতার পার্টি হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বড় বড় ইফতার পার্টির কোনও প্রয়োজন নেই। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে যারা কষ্টে আছেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। তাদের কাছে ইফতার সামগ্রী পৌঁছাবো। দলীয়ভাবে টাকা খরচ করার কোনও প্রয়োজন নেই, এই টাকা গরিবের মাঝে বিতরণ করুন। এটা নেত্রীর নির্দেশ, আমি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম।

আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৫ শে মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে: শেখ পরশ

প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত, ২৫ মার্চের কালরাত। অষ্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে, ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ঐই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সহযোগিতা করে মানুষ হিসাবে ওরা সমগ্র মানুষ জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে।’

শনিবার (২৫ মার্চ) পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন ও জাতীয় গণহত্যা দিবস। ভয়াল সে কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ‘কালরাত্রি স্মরণ’- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন।  


যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ১৪ দল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ওই সকল হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।’ 

তিনি বলেন, ‘আজকের অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কি ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন। কেন এখোনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা কি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ওই জামাত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানী কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল। সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও কি তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসাবে সরব ছিল?’ 

পরশ বলেন, ‘১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ড- আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তাঁর উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটা উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং একই সাথে শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ও ইতিহাসের অনুরাগী হতে হবে। শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একই সাথে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্মসমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই শহীদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয় নাই, বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একই সাথে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান-ভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনীতি তরুণ প্রজন্ম বেছে নিবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সারা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন বাঙালি জাতিকেই পাকিস্তানী শাসকরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাই বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ইতিহাসের কলঙ্কময় গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়নারা।’ 

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব এই সমস্ত গণহত্যা, নারি ধর্ষণের মত জঘন্যতম ঘটনাকে ধামা চাপা দিয়ে এই দেশটাকে নব্য পাকিস্তানে রূপান্তরিত করেছিল খুনি জিয়া। আমরা যদি ২৫ মার্চ গণহত্যার সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি তাহলে রাজাকার আলবদরদের মানুষ যেভাবে ঘৃণা করে ঠিক সেইভাবে ঘৃণা করবে বিএনপি-জামাতকে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যেকন বার বার প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়? তিনি তো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে টানাটানি করেন না। শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণেই তার প্রাণ নাশের চেষ্টা, যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই বার বার হত্যা চেষ্টা করছে। আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এ ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুনতাসির মামুন বলেন, ‘আজকে আমি যুবলীগের প্রোগ্রামে আসার অন্যতম কারণ সেটা হল সংবাদ পত্রে গত ১ থেকে ২ বছর যুবলীগের নামে কোন নেতিবাচক সংবাদ দেখি নাই। সংগঠনের জন্য ইতিবাচক সংবাদ সবসময় আনন্দদায়ক। পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গণহত্যা হয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিসরে যদি চিন্তা করেন তাহলে বাংলাদেশের গণহত্যার চেয়ে বড় গণহত্যা আর কখনো হয়নি; আর কখনো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি কখনো ভাবি নাই যে, এই বাংলাদেশে মানুষ দুবেলা খেতে পাচ্ছে, দুটো পোশাক গায়ে দিচ্ছে আর এক জোড়া স্যান্ডেল পায়ে দিচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। এটার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার দেখানো পাথেই আজকের বাংলাদেশ।’ 


সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘২৫ মার্চ, ১৯৭১ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। এদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির উপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজকের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু সেদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতির উপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করে নির্বিচারে বাংলার মানুষকে হত্যা করেছিল। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা, তখনতো আপনারা পাকিস্তানি বাহিনীকে হুমকি দেন নাই। তাদের প্রতি কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি।’ 

তিনি বলেন, ‘আসলে আপনারা কি চান, আপনারা চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বিএনপি-জামাতও চায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না।’ 

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে যুবলীগের বন্ধুদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান প্রমুখ। 


যুবলীগ   চেয়ারম্যান   শেখ ফজলে শামস্ পরশ   যুবলীগ   অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন