তথ্য
ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। কেউ
নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব নয়।
সোমবার
(২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী
বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ যানবাহনে আগুন দিয়েছে বিএনপি। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছেন না। জনগণ,
এমনকি বিএনপি সমর্থকদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। অবরোধ হরতালের নামে বিএনপি মূলত গাড়ি
পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
‘একটি স্কুলে আগুন দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক
দলের কর্মসূচি নয়, এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এরা দেশ ও সমাজের শত্রুতে
রূপান্তর হয়েছে। এরই মধ্যে যাদের ধরা হয়েছে, তারা বলেছে গাড়িতে আগুন দিলে দলের মধ্যে
পদোন্নতি হয়। আগুন দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে পাঠানো হয়। যোগাযোগ থাকলে তা লন্ডনেও পাঠানো
হয়’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী
বলেন, যে দলে গাড়িতে আগুন দিলে, মানুষ পুড়িয়ে মারলে পদোন্নতি হয়, যে দলের নেতারা গাড়ি
পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন, তারা সবাই দুষ্কৃতকারী। আমরা এ আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল
করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি
আরও বলেন, ‘এ দেশে ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনের পর যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আগুন
সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। এটিই হবে আমাদের প্রধান কাজ। নির্বাচনের আগেও তাদের
নির্মূল করাই আমাদের প্রধান কাজ। কারণ তারা দেশ-জাতি ও সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
নেতারাও সবাই দুষ্কৃতকারীতে রূপান্তরিত হয়েছে।’
বিএনপিকে
নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে
আসুক, সেটা আমরা চাই। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা।
নির্বাচন বর্জন যে কেউ করতে পারেন, প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই।
টেকনোক্র্যাটমন্ত্রীরা
পদত্যাগ করেছেন। এরকম টেকনোক্র্যাটের বাইরে কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের সম্ভাবনা আছে কি
না? প্রশ্নে তিনি জানান, প্রথমত নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। যেহেতু
তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, গতবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন, তারা পদত্যাগ করেছিলেন,
এবারও যারা টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি যারা সরকারের সংসদ
সদস্য, তাদের মন্ত্রী হিসেবে থাকতে কোনো বাধা নেই।
নির্বাচন তথ্যমন্ত্রী বিএনপি আগুন দায়িত্ব সরকার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
সাইবার যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলন তথ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গ্রেপ্তার তারেক জিয়া নাশকতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।