আওয়ামী
লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিনে আজ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য
দিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে নৌকার টিকিটপ্রত্যাশীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন ফরম কিনতে আসা নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ সময় ফরম কিনতে ও
জমা দিতে দেখা যায় পেশাজীবীদের অনেককেই।
তবে আওয়ামী
লীগের কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থক নিয়ে র্যালী ও মিছিল নিয়ে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
থাকলেও বেশিরভাগ মনোনয়নপ্রত্যাশীই সেটি মানেন নি। এত বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকের
উপস্থিতির কারণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউসহ আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের
অনেক কর্মী-সমর্থক পড়েছেন একই রঙের টুপি (ক্যাপ) বা টি-শার্ট। পিকআপ ভ্যানে সাউন্ড
সিস্টেম বসিয়ে ‘জিতবে এবার নৌকা’ গান বাজিয়েও কার্যালয়ে আসছেন কোনো কোনো
মনোনয়নপ্রত্যাশী। ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে র্যালী তে চলতেও দেখা গেছে অনেক কে। ছিল পিক-আপ
ভ্যানের ওপর লাইভ মিউজিকের ব্যবস্থাও।
নারায়নগঞ্জ-৫
আসনের জন্য মনোনয়ন ফর্ম নিতে আসা আনোয়ার হোসেন বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমার এলাকায়
নৌকার সব কর্মীরা এখন জোট বদ্ধ। একসাথে আমরা সবাই এবার নৌকার জন্যই কাজ করব। জননেত্রী
শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিক, আমরা তার জন্য কাজ করব।
বরিশাল-৩ আসনের
মনোনয়ন প্রত্যাশী সাফায়েত হোসেন সজীব বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, একসময় সংসদে আইনজীবীদের
আধিপত্য ছিল। এখন সব ব্যবসায়ীরা ঢুকে গেছেন। আমি নির্বাচিত হলে এই আসনের যোগ্য প্রতিনিধি
হতে পারবো। আমিই বেস্ট।
গত তিন দিনে
৩ হাজাররেও বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এসব ফরম বিক্রি করে এরই মধ্যে প্রায় ১৬
কোটি টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।
এর আগে ১৫ নভেম্বর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রওশন এরশাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৮ আসন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল হল আওয়ামী লীগের আদর্শিক রাজনৈতিক জোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তাদেরকে নিয়ে এই জোট গঠন করেছিল। এই জোটের তত্ত্বাবধানেই আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ ১৪ দল এবং মহাজোট করেছিল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় তৎকালীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। অবাধ, সুষ্ঠু হচ্ছে না। এই অর্থহীন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যাবে না। এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জাতীয় পার্টির একটি বড় অংশ তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়।এরপর শুরু হয় নাটক। সেই সময় আওয়ামী লীগের পাশে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন তার নাম রওশন এরশাদ। রওশন এরশাদ এরশাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন এবং রওশন এরশাদের অনুসারীরা এরশাদের নির্দেশ অমান্য করে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে শেষপর্যন্ত জাতীয় পার্টির আংশিক হলেও নির্বাচনে থেকেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর রওশন এরশাদ হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
তাহলে কি আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সমঝোতা হয়েই গেল! নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি এরকম ঢিমেতালে আন্দোলন করবে এবং এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সমঝোতা এবং রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিতে পারে আওয়ামী লীগ এবং তখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা এবং বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় উপনীত হতে পারে দেশ। এমন একটি সমঝোতার কথা এখন আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে বিএনপির নেতা শাহজাহান ওমরের নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর এই গুঞ্জন আরও পল্লবিত হয়েছে। যদিও বিএনপি নেতারা এ ধরনের সমঝোতার কথা অস্বীকার করেছেন।