নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, এ নির্বাচন কমিশনের
অধীনে দেশে যত ভোট হবে, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরই হবে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ
করতে পারবেন। তাদের ইচ্ছে মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরীর জেলা শিল্পকলা
একাডেমিতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং
এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব
কথা বলেন তিনি।
ইসি রাশেদা বলেন, নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ কথা আমরা সবাই
বলেছি। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একা করা সম্ভব নয়। নির্বাচনকে
সফল করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা ও কর্মীদের একসঙ্গে এক ধারায় নিয়ে যাওয়াটা এখন নির্বাচন
কমিশনের প্রধান কাজ। যাতে কাজগুলো তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন। সমন্বয় ছাড়া কখনো কোনো
কিছু করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে, আমরা
আর তার নিচে নামতে দিতে চাই না, বরং ওপরে উঠতে চাই। আসছে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করাই
আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচন একসঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত
হবে। কিন্তু সেটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নির্বাচন দেশের ও দেশ গঠনের জন্য জরুরি বিষয়।
একটা অবাধ সুন্দর সুষ্ঠু উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন
কমিশন। এদিন সভায় রাজশাহী জেলার সব বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন ইসি রাশেদা সুলতানা
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
সাইবার যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলন তথ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গ্রেপ্তার তারেক জিয়া নাশকতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।