দলের কোন্দল ঠেকাতে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। ৭ই জানুয়ারী
নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগে কোন্দল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিছুতেই এই কোন্দল কমছে
না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন্দল ঠেকানোর জন্য একাধিকবার দলের
নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। কোন্দল ঠেকানোর জন্য এখন আওয়ামী লীগের বিভাগীয় পর্যায়ের
নেতাদেরকে নিয়ে বৈঠক করছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আর এই কোন্দল যেহেতু কমছে
না সে জন্য অবশেষে আওয়ামী লীগ কোন্দল বন্ধের জন্য কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে যদি
কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নেই, সাথে সাথে সেখানে কমিটি বাতিল করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা
হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্মেলন হবে। উপজেলা এবং জেলার জন্য একই রকম নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের বিভাগীয় পর্যায়ের বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আর কোন্দল বরদাস্ত করা হবে
না। কোন্দল দেখলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে। এবং এই শাস্তি ব্যক্তিগত পর্যায় বা বহিষ্কার
পর্যায়ে হবে না।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, কমিটিকে ঘিরেই সব কোন্দল। এমপিদের লোক
যারা উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কমিটিতে আছেন আর অন্যদিকে বিরুদ্ধ পক্ষ যারা আছেন তারাই
পদ পদবী ব্যবহার করে সঙ্কট তৈরি করছে। আর এজন্য আওয়ামী লীগ যেখানেই দেখবে দলের বিভক্তি
বা কোন্দল সেখানেই কমিটি বাতিল করে দিবে। এবং কমিটি বাতিল করে দিলেই কোন্দল কমবে বলে
একাধিক আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে।
আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, কয়েকধাপে
শাস্তি হবে, সর্বনিম্ন শাস্তি হলো কমিটি বাতিল করা অর্থাৎ কমিটি বাতিল করলেই কোন্দলরত
নেতা পদ হারাবেন এবং তিনি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক যে পদেই থাকুক না কেন তাকে ঐ পদ
থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন যে আহ্বায়ক কমিটি হবে সেখানে কোন্দলে জড়িত কাউকে
রাখা হবে না। তৃতীয়ত, যখন জেলা বা উপজেলা সম্মেলন হবে, সেখানে যারা কোন্দলের সঙ্গে
জড়িত ছিল তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে। ফলে একজন যেই হোন না কেন, মন্ত্রী, এমপি
কিংবা প্রভাবশালী নেতা তিনি যদি কোন্দলের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে তিনি দলের নেতৃত্বে
বা কমিটিতে থাকবেন না। এটি তার জন্য বড় ধরনের একটি শাস্তি।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, এর পরও যদি কোন্দল না কমে তাহলে তাকে ভবিষ্যতে
আরও কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। যিনি এমপি তিনি যদি কোন্দল অব্যাহত রাখেন তাহলে আগামী
নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন। যিনি এমপি নন তিনি যদি কোন্দল অব্যাহত রাখেন তাহলে
তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
তবে, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন যে, আওয়ামী লীগের কোন্দল বন্ধে
করতে হবে আলাপ আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে। এবং দলীয় কোন্দলের জন্য কাউকে দল থেকে বহিষ্কার
করা বা দল থেকে বের করে দেওয়ার নীতি আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগ মনে
করে যে ব্যক্তিগত করণেই এই দ্বন্দ্বগুলো হচ্ছে, আদর্শিক কারণে নয়। আর এই দ্বন্দ্বের
প্রধান কারণ হলো দলের পদ পদবী পাওয়া। আওয়ামী লীগ যদি শেষ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের এই বিভক্ত
দূর করতে না পারে তাহলে সামনের দিনগুলোতে তাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর
একারণেই এখন কোন্দলরত কমিটিগুলোর দিকে নজর রাখছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের কোন্দল প্রেসিডিয়াম সদস্য
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
সাইবার যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলন তথ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গ্রেপ্তার তারেক জিয়া নাশকতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।