আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার লাইমলাইটে। টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক হয়ে রেকর্ড করা ওবায়দুল কাদের এবার তৃণমূলের হৃদয় জয় করেছেন। তৃণমূলের কাছে আকস্মিকভাবে তিনি একজন পছন্দের ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এর প্রধান কারণ অবশ্য শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে ‘মাই ম্যান’দের উত্থান ঠেকাতে আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। দলীয় পরিচয়ে এবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তারপরেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজের পছন্দের লোকজনকে উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন। নিজের পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা করেই কেউ কেউ ক্ষান্ত হচ্ছেন না। অনেকে তার স্ত্রী, পুত্র, ভাই, ভাতিজা, শ্যালকদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে প্রার্থী করে এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন।
আর এর বিরুদ্ধে এবার সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে আর স্বজনপ্রীতি বরদাস্ত করা হবে না। নিজেদের স্বজনদেরকে যারা প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করে তুলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে অতীতে তৃণমূলের অনেক অভিযোগ ছিল, সমালোচনা ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন কমিটি সম্পন্ন না হওয়া, কমিটিতে অযোগ্য লোকজন এবং অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব- ইত্যাদি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের এক ধরনের দূরত্বের কথা শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পাওয়া যায় কিন্তু সাধারণ সম্পাদক তাদের কথা শোনেন না। এরকম পরিস্থিতি যখন চলছিল, তখন হঠাৎই যেন জ্বলে উঠলেন ওবায়দুল কাদের। স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান, তৃণমূলে তার প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা বলছেন যে, ওবায়দুল কাদের যদি এই অবস্থান ধরে রাখতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত যারা স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে তিনি আরও জনপ্রিয়তা পাবেন এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অমরত্ব লাভ করবেন।
ওবায়দুল কাদের অবশ্য আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ প্রতিপালন করেই এ ধরনের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি যা বলেন, সেটা করাই তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আর এ কারণেই তিনি এখন ‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের স্বজনদের উপদ্রব অনেক ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার মেয়েকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে জিতিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে যে, এমপিরা তাদের সন্তান এবং নিকট আত্মীয়দেরকে বিভিন্ন কমিটিতে বসাচ্ছেন এবং এই কমিটিগুলো শেষ পর্যন্ত পারিবারিক কমিটিতে পরিণত হচ্ছে। মূলত এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্যই এটি করা হচ্ছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ এদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে সোচ্চার হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর এই সোচ্চার হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতির ভূমিকাই প্রধান। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সততা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি ইতোমধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, কারা আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য। আর এই তালিকা অনুযায়ী যদি শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থীতা কিছুটা কমে, তাহলেও সেটা হবে তৃণমূলের একটা বড় বিজয়। এর ফলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বঞ্চিত, পরীক্ষিত এবং দুঃসময়ের কাণ্ডারীরা উজ্জীবিত হবেন। আর এর প্রশংসা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি একা পাবেন না, সাধারণ সম্পাদকও পাবেন।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।