ইনসাইড পলিটিক্স

পৌরসভা-ইউপিসহ শত পদে চলছে ভোট

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০০ পদে সাধারণ ও শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া দুইটি পৌরসভায় মেয়র ও দুইটি জেলা পরিষদে কাউন্সিলর এবং ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এ ছাড়া সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে।

এর মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকা ও রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। পাশাপাশি সাত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে– ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনার চালনার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, গাইবান্ধা পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নওগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নোয়াখালীর কবিরহাটের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টাঙ্গাইলের কালীহাতির ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

যে ১৯ ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে– লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়া; পটুয়াখালীর কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলী; সাতক্ষীরার আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী।

গত ২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে।



উপজেলা নির্বাচন   জেলা পরিষদ   পৌরসভা   ইউনিয়ন পরিষদ   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বৈষম্যে নোবেল পুরস্কার থাকলে সরকার পেত: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কোনো সময় এত বেশি বৈষম্য ছিল না। বৈষম্য তৈরি করার জন্য যদি নোবেল পুরস্কার থাকতো, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সেই নোবেল পুরস্কার পেত।'

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

জিএম কাদের আরও বলেন, ‌'আমি একটা দেশ পেলাম। আমার দেশের প্রজারা বলবেন- আমিই চালাব, আমিই সরকার গঠন করব, আমিই সরকার পরিবর্তন করব। কিন্তু এখন দেখেন, সেই অর্জন, প্রজাদের সেই মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। মালিকানা তাদের হাতে নেই! এটা হলো বাস্তব কথা।' 

এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'এখন জনগণের কথায় যে চলবে, জনগণের কথায় যে সরকার পরিবর্তন হবে—এ রকম কোনো বিষয় ঘটছে না। জনগণের কথা বলারই অধিকার নেই।’ বলতে গেলেই নানা ধরনের সমস্যা। কথা শোনারও কোনো দরকার নেই।'


জিএম কাদের   জাপা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভারত বিরোধীতা সামনে আনছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে, চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ মে। এই নির্বাচন নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে একটা অনিশ্চয়তা চলছে। নির্বাচনের আগে যেমনটি মনে করা হয়েছিল যে, বিজেপির নিরঙ্কুশ বিজয় হবে। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৪০০ আসনের আশা করেছিলেন কিন্তু নির্বাচন যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই সে আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আর এর মধ্যেই বিএনপি এখন তাদের আন্দোলনের কৌশল পাল্টেছে। ভারত বিরোধীতার রাজনীতি আবার নতুন করে শুরু করেছে। 

কিছুদিন আগে অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে যে ভারত বিরোধী রাজনীতির সূচনা হয়েছিল। সে সময় রুহুল কবির রিজভী একটি ভারতীয় শাল গা থেকে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলে ভারত বিরোধী রজনীতির সূত্রপাত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বিএনপি আপাতত প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী রাজনীতি করবে না। রুহুল কবির রিজভীর শাল পোড়ানোর ঘটনাকে একটি ব্যাখ্যাও দেয়া হয়। তখন বলা হয়, এটি তার ব্যক্তিগত অবস্থান, দলীয় অবস্থান নয়। ঐ সময় বিএনপি আবার ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসে। এরপর বিএনপির ডাকা ইফতার পার্টিতে ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের-একরাম চৌধুরীর নোয়াখালীর বিরোধ: যেখান থেকে শুরু

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে নাকি ভারত বিরোধী রাজনীতি করবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন, দ্বিধা এবং বিভ্রান্তি ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ বিভ্রান্তি কেটে গেছে। গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকায় সমাবেশ করা হয়। এ সমাবেশে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতাই ভারত বিরোধীতা করেছেন। তারা দাবি করেছেন, বর্তমান সরকার ভারতের সহযোগীতা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং এ এটি তারা বেশিদিন থাকবে না। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির এই ভারত বিরোধী অবস্থান তাদের সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারার ফসল এবং দলগতভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিক কারণে তারা ভারত বিরোধী অবস্থানে গেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রথমত, ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি সুসম্পর্ক। যেকারণে বিএনপি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সরকারের বিরুদ্ধে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না বলে তারা মনে করে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ভারত যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মনোভাব পাল্টাতে প্রভাব রেখেছে সেটি বিএনপির জন্য একটি বড় আঘাত বলেই তারা মনে করে। আর একারণে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল এখন ভারত বিরোধীতাকে ঘিরে আবর্তিত হতে শুরু করেছে। 

দ্বিতীয়ত, বিএনপি মনে করে যে, ভারতের নির্বাচনে যেই ফলাফলই হোক না কেন, তাতে বাংলাদেশ নীতির কোন পরিবর্তন হবে না। ভারতে কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোট আসুক কিংবা বিজেপির নেতৃত্বের জোট আসুক না কেন উভয় দলই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি চেষ্টা করবে। আর এটি যদি হয় প্রধান দু’টি দলের রাজনৈতিক কৌশল তাহলে বিএনপির জন্য ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর নয়। আর তাই তারা ভারতকে নিশানা করছে এবং ভারতের সমালোচনা করছে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে ভারত বিরোধী আবহ। বাংলাদেশে একটি ভারত বিরোধী আবহাওয়া রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ ভারত বিরোধীতা পছন্দ করে। আর একারণেই রাজনীতিতে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বিএনপি এখন ভারত বিরোধীতাকে পুঁজি করে এগুচ্ছে তাতে ৭৫’ পরবর্তী রাজনীতি আবর্তিত হতো। 

চতুর্থত, এই অঞ্চলে ভারতের একাকিত্ব। ভারত পুরো অঞ্চলে ক্রমশ একলা হয়ে পড়ছে। মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা সব গুলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রই ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে চীনের দিকে ঝুঁকেছে। সেখানে যদি বিএনপি এখন ভারত বিরোধীতার রাজনীতি শুরু করে তাহলে সেটি এ অঞ্চলে চীনের জন্য আশির্বাদ হিসেবে দেখা দেবে এবং চীন বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিবে। বিশ্ব রাজনীতি চীনের প্রভাব এখন অনেক বেশি। 

পঞ্চমত, বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা। বিএনপি মনে করছে যে, ভারত বিরোধীতার রাজনীতি করেই জনগণের কাছে যাওয়া যাবে। জনগণের কাছে সমর্থন আদায় করা যাবে। আর এসমস্ত কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে এখন ভারত বিরোধী রাজনীতির নব যাত্রা শুরু হয়েছে। যেটি গতকালের সমাবেশে স্পষ্ট হলো।


বিএনপি   রুহুল কবির রিজভী   ভারত বিরোধীতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদের-একরাম চৌধুরীর নোয়াখালীর বিরোধ: যেখান থেকে শুরু

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি। অন্যদিকে একরাম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। এই দুইজনের বিরোধ এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অন্যতম আলোচনার বিষয়। এই বিরোধ নতুন নয়, দীর্ঘদিনের পুরনো। ওবায়দুল কাদেরের লেখা ‘কারাগারের লেখা অনুস্মৃতি; যে কথা বলা হয়নি’ গ্রন্থে এই বিরোধের চিত্র তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গ্রন্থের ১২১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার ছোটভাই মির্জা বসুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান হবার পর পরই শত্রুতার ক্ষেত্র তৈরী হতে থাকে। মন্ত্রী না হতে পেরে ফেনীর জয়নাল হাজারী আমার উত্থানকে কখনো সুনজরে দেখেননি। একুশের বইমেলায় তার ‘বাধনের বিচার চাই’ বইটি বাংলা একাডেমীর কোন স্টলে বিক্রির অনুমোদন না পাওয়ায় জয়নাল হাজারী তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার সামান্যতম যোগসূত্র ছিল না। তবু জয়নাল হাজারী আমাকে ভুল বোঝেন এবং আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বিষোদগার করেন। তার সিদ্ধান্তে আমার নির্বাচনী এলাকায় (কোম্পানিগঞ্জ-সদর পূর্বাঞ্চল) ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১১ দিন বাস চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার হাজার হাজার লোক সীমাহীন দুর্ভোগের সম্মুখীন হন। আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেও জয়নাল হাজারীর আক্রোশ থেকে রেহাই পাইনি। ইতোমধ্যে আমার এলাকায় আঞ্চলিকতার হাওয়া তুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামানো হয় একরামুল করিম চৌধুরীকে। ঢাকায় ক্ষমতাবান একটি মহলের ইন্ধনে আমি এলাকায় পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই।

শুনেছি, নোয়াখালীর দুই নেতা ভেতরে ভেতরে একরামকে আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে উৎসাহিত করেন। ফেনী থেকে জয়নাল হাজারীও নাকি তাকে সমর্থন করে উজ্জীবিত করে তোলেন। এরকম পরিস্থিতিতে এক পর্যায়ে নির্বাচন করার ইচ্ছাই পরিত্যাগ করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার ইচ্ছাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। আমার সহকর্মী ও বন্ধু আবুল হাসান চৌধুরী অবশ্য শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাসান চৌধুরী সক্রিয় রাজনীতি থেকেও সরে পড়েন। পয়লা অক্টোবরের পর আমিও কিছুদিন রাজনীতি ছেড়ে পড়াশোনায় ডুবে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার পক্ষে এই সিদ্ধান্তেও অনড় থাকা সম্ভব হয়নি নেত্রীর কারণে। নির্বাচনের পরের দিন হঠাৎ করে একরামের ফোন। অপরপ্রান্ত থেকে আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সে বলল: কাদের ভাই, সরি, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি বললাম: ভুল তোমারও হয়েছে, আমারও হয়েছে। কাজেই এখন আর ওসব কথা বলে লাভ নেই। পরে অবশ্য সাবের চৌধুরী, বীর বাহাদুর, টুটুল ও আলাউদ্দিন নাসিমসহ কয়েক দিন বৈঠকে করার পর একরামের সঙ্গে সমস্যার অবসান ঘটে। বৈঠকে হানিফ ভাই ও বেলায়েত ভাইও সক্রিয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

একপর্যায়ে একরামকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার মতো বিরল ঘটনাও ঘটে যায়। এতে নেত্রীর প্রথমটা আপত্তি থাকলেও পরববর্তী নির্বাচনী এলাকায় আমার ভবিষ্যৎ নিষ্কন্টক হবে মনে করে সম্মতি দেন। এই সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদিও সঠিক হয়নি তবু ভোটের রাজনীতির কথা ভেবে শেখ হাসিনা বীর বাহাদুরসহ আমাদের অনেকের অনুরোধে সায় দেন। বিষয়টি শুধু নোয়াখালী নয়, অন্যান্য জেলার এ ধরনের সংকটও নেত্রী জন্য খুবই বিব্রতকর বিষয় হয়ে পড়ে। এরকম মানুষ বেশ ‘ইমোশনাল’ ও  ‘সেন্টিমেন্টাল’। তবে ‘ডায়নামিক’ও ভালো সংগঠক। উচ্চাভিলাষ, হঠকারিতা ও আবেগ সংযত করতে পারলে ওর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। জেলায় দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি ঐক্যের এক ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। এর ফলে আমাকে কিছু মূল্যও দিতে হয়। কোম্পানীগঞ্জে আমার ছোট ভাই মির্জা দলীয় রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী, তবে কর্তৃত্ববাদী। একরামের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে সে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে থানা আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য মির্জা থিজির ও বাবুলসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনকে (২০০৭) সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগে সংকট ঘনীভূত হয় ওঠে।

নোয়াখালী সদর আসনে একরাম প্রার্থী হওয়ায় দলের একটি অংশ তৎকালীন এলডিপির মেজর (অব.) মান্নানের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়। আমি একরামের পক্ষ নিতে গিয়ে জেলা সদর দফতরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। জেলা নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে আমার নিজস্ব এলাকায় নির্বাচনের ওপর প্রভাব না পড়লেও জোট সরকারের ব্যর্থতার পর বিজয়ের অনিবার্য ফসল ঘরে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে সারাদেশের সারাদেশের মতো বৃহত্তর নোয়াখালীতেও বেশ কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও কোথাও কোথাও প্রার্থী মনোনয়নে ভুল আমাদের বিজয়ের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। শুধু নোয়াখালীর কেন, সারাদেশেই মহাজোট করতে গিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় বেশকিছু এলাকায় আমরা ‘উইনেবল ক্যান্ডিডেট’ দিতে পারিনি। নিরঙ্কুশ বিজয় নব জোয়ারের মুখে ঠেকানো না গেলেও বাঞ্ছিত দুই তৃতীয়াংশ মেজরিটি পাওয়া সাংঘাতিক কঠিন হতো। মহাজোটের মধ্যেও প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া নির্বিবাদে সম্পন্ন করা একরকম অসম্ভবই ছিল। কিছু আসন বাদ দিয়ে দেশের অধিকাংশ আসনে মনোনয়ন পত্রে জমাদানকারীর অতিরিক্ত সংখ্যা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   একরামুল করিম চৌধুরী   বিরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি শুরু

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একইসঙ্গে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে- ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

শনিবার (১১ মে) নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এ সময় সালাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এবারের মা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার। তিনি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।’

বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই পোস্টার লাগানোর মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তরান্বিত করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


বিএনপি   চেয়ারপারসন   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় পর সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডেকেছিল। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আবার গত ২ মে পবিত্র ওমরাহ পালনে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সৌদি আরব যান মির্জা ফখরুল। প্রথমে তারা মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। গত ৫ মে মক্কায় এসে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন তারা।


মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন