বৃহস্পতিবার ( ২ মে ) যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে মো. রফিকুল ইসলামকে সভাপতি, মুখলেসুর রহমানকে সহসভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রাসেল খান বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ১০ বছর পর গঠিত যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রাসেল খান নামের এক সরকারি চাকরিজীবীকে। তিনি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে এক যুগ ধরে কর্মরত। এর আগেও যুবলীগের একই পদে ছিলেন রাসেল খান।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। সে সময় সম্মেলনে সরকারি চাকরিজীবী রাসেল খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় রাসেল খানের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন পদবঞ্চিতরা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
উপজেলা যুবলীগের দুজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চাকরির পাশাপাশি সরাসরি ক্ষমতাসীন দলের দলীয় পদে থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। যুবলীগ নেতা হয়েও তিনি নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারাও অনেকটা অসহায়।
অভিযোগের বিষয়ে রাসেল খান বলেন, আবারও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের দোয়ায় রাজনীতি করে যাচ্ছি।’ সরকারি চাকরির পাশাপাশি রাজনীতি—দুটি কাজ কীভাবে একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি। একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমি শহরে আসছি। এক ঘণ্টার মধ্যে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ এই বলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবী কেউ যদি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চান, তবে সেখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সরকারি দপ্তরের কোনো বিধিনিষেধ আছে কি না, সেটি আমার জানা নেই।’
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি চাকরি করে সরাসরি রাজনীতির কোনো পদপদবিতে থাকা যায় না। তাঁর (রাসেল খান) বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
উপজেলা যুবলীগ সরকারি চাকরি রাসেল
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।