ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি-জামাত জোট আমলের মক্ষীরানীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

পাপিয়ার ঘটনা নিয়ে গত দুদিন ধরে যথেষ্ট তোলপাড় চলছে। বলা হচ্ছে যে এটা আওয়ামী লীগের অবক্ষয় এবং আওয়ামী লীগের যে আদর্শিক চর্চা কমে গেছে তার একটি বড় প্রমাণ হলো পাপিয়ার এই ঘটনা। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে যে, পাপিয়ার এই ঘটনার অনেকগুলো ইতিবাচক দিক রয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো যারা অপরাধ এবং দুর্বৃত্তায়ন করে তারা যে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় না- পাপিয়া, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূইয়া তার বড় উদাহরণ।

কারণ যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তখনই তাদের আইনের আওতায় এনেছে। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কোনোরকম বাধা প্রদান করেনি। এটি সুশাসন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বড় ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালেও এরকম মাদক, দুর্বৃত্তায়ন, নারীদের টেন্ডারসহ বিভিন্ন অপকর্মে ব্যবহার করার ঘটনা হরহামেশাই ঘটেছিল। সেসময় বিদেশ থেকেও অনেক নায়িকাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাওয়া ভবনের তত্ত্বাবধানে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বাগানবাড়ি ‘খোয়াব ভবনে’ বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। সেখানে রাতভর চলতো উদ্দাম নাচ, মদের উৎসব।

বিএনপি জামাতের আমলে অনেক পাপিয়াই ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এদের মধ্যে রয়েছেন;

অদিতি সেনগুপ্ত

যিনি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ‘গার্লফেন্ড’ ছিলেন। সেসময় তিনি অন্যতম ‘মক্ষীরানী’ ছিলেন বলে একাধিক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। অদিতি সেনগুপ্ত চ্যানেল ওয়ানের কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার করতেন। তার কাছে অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরা আসতো, বিশেষ করে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার সঙ্গেও তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এছাড়া অদিতি সেন গুপ্তর কাছে অনেকে ধর্ণা দিতেন বিভিন্ন কাজ, টেন্ডার, পদোন্নতি পাবার জন্য। আলোচিত এই অদিতি সেন গুপ্ত পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিয়ে করেছিলেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।

বেবি নাজনীন

আলোচিত গায়িকা বেবি নাজনীনও সেই সময়ের আলোচিত মক্ষীরানি ছিলেন। তিনিও পাপিয়ার মতো তৎকালীন শেরাটন হোটেল বুক করে দীর্ঘদিন ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও বিভিন্ন মহলের দহরম-মহরম ছিল। এবং তাঁর কাছে অনেকে বিভিন্ন টেন্ডার, ব্যবসার জন্য তদবির করতেন বলে জানা গেছে।

চিত্রনায়িকা জনা

চিত্রনায়িকা জনাও বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে আলোচিত মক্ষীরানি ছিলেন। তাঁর বাসভবনেও বিএনপির অনেক প্রভাবশালীর মহলের যাতায়াত ছিল এবং তাদেরকে বাগিয়ে তিনি অনেক কাজ বাগাতেন বলে জানা গেছে। 

এছাড়াও এই সময়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের হাওয়া ভবনকে ঘিরে অনেক অপকর্ম হতো বলে বিভিন্ন গোয়ান্দা সূত্রে জানা গেছে। সেই সময় ভারত থেকে অনেক নাম করা শিল্পীদের নিয়ে আসা হতো এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে এয়ারপোর্ট থেকে ভিআইপি প্রোটোকলে সরাসরি গাজীপুরের হাওয়া ভবনে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে তারেক জিয়া এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনরা নানারকম উৎসব এবং রাতভর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পর আবারও বিদেশে ফেরত পাঠানো হতো।

দুটো ঘটনার পার্থক্য হলো, সেই সময় এরা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন তাদেরকে ধরা তো দূরে থাক, ভয়ে তাদের দিকে তাকাতেও পারতো না। আর সাম্প্রতিক সময়ে যখন যারা এসব অপকর্মে জড়াচ্ছে, যখনই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরে আসছে, তখনই নির্মোহভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর এইসব ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উপর কোন রাজনৈতিক চাপ নেই। এবং এটাই হলো সবথেকে বড় পার্থক্য। ফলে এখন এসমস্ত ঘটনা বিক্ষিপ্তভাবে হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন বা রাষ্ট্র কার্পন্য করছে না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খন্দকার মোশাররফকে দেখতে বাসায় গেলেন ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার বাসায় যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশানের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা তারা একান্ত আলাপ করেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই দুই নেতা একান্তে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান। এ সময় দুজন পরস্পরের খোঁজ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরপর দুই দফায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন বর্জন: লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি বিএনপির

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে নাটকীয়ভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। বিএনপির এ সিদ্ধান্তে হতবাক স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। 

বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে যে, শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণা ছিল উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি তারা উপেক্ষা করবে। এমনকি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা অনেক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গতকাল বিএনপি উজজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

উপজেলা নির্বাচন এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। এরকম একটি নির্বাচন বিএনপি কেন বর্জন করলো এবং এ বর্জনের ফলে কি লাভ হবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই আলোচনা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় পদ পদবী রয়েছে এমন ৪৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দলীয় পদ পদবী নেই কিন্তু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এরকম আরও ৭৬ জন উপজেলা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এখন তারা কি করবেন এ নিয়ে তারা নিজেরাই একটি বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এবং তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি নমনীয় থাকবে। কিন্তু গতকাল বিএনপির এ সিদ্ধান্ত তাদেরকে হতাশ করেছে। এর ফলে বিএনপির মধ্যে দু’ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছে। 

অনেকেই যারা স্থানীয় পর্যায়ে পদ পদবী গ্রহণ করে আছেন তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কারণ যদি নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ২ শতাধিক বিএনপির নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এখন আবার নতুন করে বিএনপি যদি তাদেরকে বহিষ্কার শুরু করে তাহলে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একারণে অনেকে প্রত্যাহার করতে পারেন। কমিটিতে যাদের পদ পদবী নেই তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র সরকার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেই প্রার্থী হয়েছেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফোন ধরছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। 

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, মূলত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং এ সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচিত হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, উপজেলা নির্বাচন করা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। এবং এ আলোচনা না হওয়ার কারণে এখন দলটি নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচন বর্জন   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রী এবং এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবে না। তাদেরকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই রকম বার্তা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করাতে মাঠে নেমেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকাতেই এমপিরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন। 

আওয়ামী লীগের যারা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে উপজেলায় দাঁড় করানো হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অন্তত এক ডজন বার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী এবং এমপিরা যেন উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই নির্দেশ মানা হয়নি তার জেলাতেই। তিনি নির্দেশ দেয়ার পরও তার জেলায় এমপিরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন। অনেক স্থানে এমপিদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। 

নোয়াখালীতে দুই এমপির ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। হাতিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে আশিক আলী এবং সুবর্ণচরে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের ছেলেকেও প্রাথী ঘোষণা করেছেন এমপি নিজে। 

শুধু তাই নয়, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং সেখানে এমপি সরাসরিভাবে প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছেন। অনেক স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিরা তাদের প্রার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নামছেন। 

মাদারীপুরের সদর উপজেলায় শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান প্রার্থী হয়েছেন এবং শাজাহন খান তার পক্ষে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে। নরসিংদী-২ আসনের ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপের শ্যালক ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শরিফুল হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে কাউকেই দিচ্ছে না। 

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও তার পরিবারের চাপে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেননি বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া। এভাবে নির্বাচনের ব্যাপারে এমপিদের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছে। 

সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে নাটোরে। সেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের এমপি জুনায়েদ আহমেদ পলকের শ্যালক প্রার্থী হয়েছেন। এবং তাকে জিতিয়ে রাখার জন্য একজন প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তবে আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন যে, এটি একটি অমার্জনীয় অপরাধ। 

বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থীতার হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের এমপিদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা-ভাগ্নেসহ নানা রকম আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেই নির্দেশনা অমান্য হচ্ছে।  


আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যেসব কারণে পিছু হটল জামায়াত

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে পিছু হটল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ছিলেন, এরই মধ্যে তাদের প্রার্থী না হতে বারণ করা হয়েছে। জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে আলোচনার পর উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা তৃণমূলে জানিয়ে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে জামায়াত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে নানারকম প্রচার ও গণসংযোগও করছিলেন। বিশেষ করে রোজার মধ্যে এবং ঈদুল ফিতরে তারা ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

দলটির নেতারা বলছেন, মূলত বেশকিছু কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাচ্ছে না জামায়াত। তার মধ্যে মোটাদাগে চারটি কারণের কথা বলছেন নেতারা।

কারণগুলো হচ্ছে…

১। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে ক্ষমতাসীনদের ‘হস্তক্ষেপ’

২। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা ও পরিবেশের প্রতি জনগণের ‘আস্থার সংকট’

৩। গণতন্ত্র না থাকা এবং

৪। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘অবৈধ সরকার’কে বৈধতা না দেওয়া

এদিকে, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের (সোমবার) আগেই সিদ্ধান্ত বদল করায় জামায়াতের তৃণমূলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠপর্যায়ে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গাসহ বেশকিছু উপজেলায় জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন তারা ব্যাপকভাবে গণসংযোগ করছিলেন। এতে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক বার্তা যায়। নির্বাচনে গেলে কী লাভ আর কী ক্ষতি—এটা ভেবে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাকেও সম্মান জানাতে চান তারা।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। এরই মধ্যে সারা দেশে দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ মনোনয়ন জমা দিলে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি-জামায়াতসহ প্রায় ৬৩টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপিও এ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ইসলামী দলগুলোর অন্যতম চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবমিলিয়ে জামায়াতকেও শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো।

এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে শুরুর দিকে কিছুটা নমনীয় ছিল জামায়াত। জয়ের সম্ভাবনা আছে এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাব আছে—এমন উপজেলাগুলোতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলটি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এবং প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটির দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের চলামান রাজনৈতিক ও সার্বিক পরিস্থিতিতে ঈদের আগে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ডাকে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঈদুল ফিতরের পরপরই গত শনিবার উপজেলা নির্বাচন না করার বিষয়ে জেলা ও উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাদের মাধ্যমে তৃণমূলে মৌখিকভাবে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে জামায়াতের নেতারা বলছেন, তারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।

দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অসংখ্য রাজনৈতিক দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করেছে। এ অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘অবৈধ সরকার’কে বৈধতা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তা ছাড়া নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব বিষয়কে বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত।

গতকাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শুধু নয়, বাংলাদেশের কোনো গণতান্ত্রিক দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। কারণ, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তারা একতরফা নির্বাচন বর্জন করেছে। সেই জনরোষ এখনো আছে। সুতরাং যেসব কারণে আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছি, সেসব কারণেই উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছি না। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের প্রতি জামায়াতের দায়বদ্ধতা আছে। দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াত জনমতকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে যেতে পারে না’।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াতের শতাধিক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) হন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ২৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে জামায়াত। দলের নিবন্ধন না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল জামায়াত নেতাদের। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে সেবার কেউ নির্বাচনে অংশ নেননি।


উপজেলা নির্বাচন   জামায়াত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করব: কাদের

প্রকাশ: ০৮:৪৮ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-কে বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে সন্ত্রাসী এ অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী অশুভ শক্তি। এ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। আজকের এ দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি সব অপশক্তিকে, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব। আমাদের লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি তো কোনো দাবিকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বলতে পারি না। মন্ত্রিসভা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা এত বছর পর দাবিটা তুলছেন, কেন তুলছেন এটাও জানার দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।

এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


বিএনপি   মুজিবনগর দিবস   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন