ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি-জামাত জোট আমলের মক্ষীরানীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

পাপিয়ার ঘটনা নিয়ে গত দুদিন ধরে যথেষ্ট তোলপাড় চলছে। বলা হচ্ছে যে এটা আওয়ামী লীগের অবক্ষয় এবং আওয়ামী লীগের যে আদর্শিক চর্চা কমে গেছে তার একটি বড় প্রমাণ হলো পাপিয়ার এই ঘটনা। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে যে, পাপিয়ার এই ঘটনার অনেকগুলো ইতিবাচক দিক রয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো যারা অপরাধ এবং দুর্বৃত্তায়ন করে তারা যে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় না- পাপিয়া, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূইয়া তার বড় উদাহরণ।

কারণ যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তখনই তাদের আইনের আওতায় এনেছে। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কোনোরকম বাধা প্রদান করেনি। এটি সুশাসন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বড় ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালেও এরকম মাদক, দুর্বৃত্তায়ন, নারীদের টেন্ডারসহ বিভিন্ন অপকর্মে ব্যবহার করার ঘটনা হরহামেশাই ঘটেছিল। সেসময় বিদেশ থেকেও অনেক নায়িকাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাওয়া ভবনের তত্ত্বাবধানে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বাগানবাড়ি ‘খোয়াব ভবনে’ বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। সেখানে রাতভর চলতো উদ্দাম নাচ, মদের উৎসব।

বিএনপি জামাতের আমলে অনেক পাপিয়াই ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এদের মধ্যে রয়েছেন;

অদিতি সেনগুপ্ত

যিনি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ‘গার্লফেন্ড’ ছিলেন। সেসময় তিনি অন্যতম ‘মক্ষীরানী’ ছিলেন বলে একাধিক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। অদিতি সেনগুপ্ত চ্যানেল ওয়ানের কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার করতেন। তার কাছে অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরা আসতো, বিশেষ করে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার সঙ্গেও তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এছাড়া অদিতি সেন গুপ্তর কাছে অনেকে ধর্ণা দিতেন বিভিন্ন কাজ, টেন্ডার, পদোন্নতি পাবার জন্য। আলোচিত এই অদিতি সেন গুপ্ত পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিয়ে করেছিলেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।

বেবি নাজনীন

আলোচিত গায়িকা বেবি নাজনীনও সেই সময়ের আলোচিত মক্ষীরানি ছিলেন। তিনিও পাপিয়ার মতো তৎকালীন শেরাটন হোটেল বুক করে দীর্ঘদিন ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও বিভিন্ন মহলের দহরম-মহরম ছিল। এবং তাঁর কাছে অনেকে বিভিন্ন টেন্ডার, ব্যবসার জন্য তদবির করতেন বলে জানা গেছে।

চিত্রনায়িকা জনা

চিত্রনায়িকা জনাও বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে আলোচিত মক্ষীরানি ছিলেন। তাঁর বাসভবনেও বিএনপির অনেক প্রভাবশালীর মহলের যাতায়াত ছিল এবং তাদেরকে বাগিয়ে তিনি অনেক কাজ বাগাতেন বলে জানা গেছে। 

এছাড়াও এই সময়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের হাওয়া ভবনকে ঘিরে অনেক অপকর্ম হতো বলে বিভিন্ন গোয়ান্দা সূত্রে জানা গেছে। সেই সময় ভারত থেকে অনেক নাম করা শিল্পীদের নিয়ে আসা হতো এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে এয়ারপোর্ট থেকে ভিআইপি প্রোটোকলে সরাসরি গাজীপুরের হাওয়া ভবনে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে তারেক জিয়া এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনরা নানারকম উৎসব এবং রাতভর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পর আবারও বিদেশে ফেরত পাঠানো হতো।

দুটো ঘটনার পার্থক্য হলো, সেই সময় এরা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন তাদেরকে ধরা তো দূরে থাক, ভয়ে তাদের দিকে তাকাতেও পারতো না। আর সাম্প্রতিক সময়ে যখন যারা এসব অপকর্মে জড়াচ্ছে, যখনই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরে আসছে, তখনই নির্মোহভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর এইসব ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উপর কোন রাজনৈতিক চাপ নেই। এবং এটাই হলো সবথেকে বড় পার্থক্য। ফলে এখন এসমস্ত ঘটনা বিক্ষিপ্তভাবে হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন বা রাষ্ট্র কার্পন্য করছে না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তান্ডবে মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী তান্ডবের সময় মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। কোথাও কোথাও ছিলেন নীরব দর্শক। সহিংস তান্ডবের সময়ে এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই ছিলেন নিরাপদ আশ্রয়ে। কেউ কেউ নিজ বাসা বা অফিসে বসে টেলিভিশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে কেউ কেউ অসুস্থতার কথা বলে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে, কেউ ছিলেন হাসপাতালে। পরিস্থিতির অবনতি দেখে কেউ কেউ মন্ত্রীপাড়ার বাসা কিংবা ন্যামভবন থেকে বাইরে বের হননি। রাজধানী, বিভাগীয় শহরসহ সারা দেশেই একই চিত্র পাওয়া গেছে।

হাতে গোনা কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির উপস্থিতি কেবল লক্ষ্য করা গেছে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে। রকম দুটি কার্যালয়ই অরক্ষিত ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তান্ডবের সময়ে যদি এমপি-মন্ত্রীরা নিজ নিজ কর্মিবাহিনী নিয়ে মাঠে থাকতেন তাহলে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করাসহ রক্ষা করা যেত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ স্থাপনাগুলো। এমনকি আওয়ামী লীগের অফিস, প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের বাসাবাড়িতে হামলা হতো না। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দেউলিয়াপনা ফুটে উঠত না। এমপি-মন্ত্রীই নয়, দায়িত্বশীল নেতারাও ছিলেন গা ঢাকা দিয়ে। সংকটের সময়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার বদলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের কর্মিবাহিনী। এমপি-মন্ত্রী দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতাদের কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। 

কোটা আন্দোলন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৬ জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে মারাও যান কয়েকজন। ওই দিন রাজধানীসহ অধিকাংশ এলাকায় এমপিরা খন্ড খন্ড মিছিল করে নিজেদের অবস্থান জানান দেন। কেউ কেউ লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে সেগুলো নিজেদের ফেসবুকেও পোস্ট করেন। জেলা শহরগুলোতেও একই চিত্র চোখে পড়ে। পরদিন ১৭ জুলাই থেকে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়। ওইদিন আরও অনেকেই মারা যান। এরপর থেকেই এমপি-মন্ত্রীরা লাপাত্তা হয়ে যান। তাদের অনেকেই ফোন বন্ধ করে রাখেন। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, মাদারীপুরে এমপি-মন্ত্রীদের দেখা যায়নি। এসব জায়গায় তান্ডব চালায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা চরমভাবে ফুটে ওঠে।

রংপুরে ক্ষয়ক্ষতির এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও দলীয় নেতা-কর্মীদের দুর্বলতাকে দুষেছেন। গত বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আপনারা ফেল করায় তারা এসব করতে সাহস পেয়েছে এবং করেছে। ঘুরে দাঁড়ালেই এসব করতে পারত না। আপনারা বসে ছিলেন কেন? আপনাদের নেতারা বসে ছিল কেন? পকেটে হাত দিয়ে যদি ঘরে থাকেন, তাহলে তারা ঘরে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে।

প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য . মীজানুর রহমান বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে বিগত সংসদ নির্বাচনের সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলেও অনেক জায়গায় সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়েছে। যেখানে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হয়েছেন, সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এমপির সঙ্গে কম আছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হলেও সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দাপট সেখানে বেশি। সে কারণে বর্তমান এমপিদের সঙ্গে তেমন নেতা-কর্মীও নাই। যার কারণে এমপি-মন্ত্রীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের ওয়ার্ড-থানার কমিটি না থাকায় নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। যে কারণে শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ আবুল হোটেল, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাড্ডা, নতুন বাজার, প্রগতি সরণিকুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, মিরপুর ১০ নম্বর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন, মোহাম্মদপুর, শংকর, ধানমন্ডি, জিগাতলা, আসাদগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান, বনানীর সেতু ভবন, জাতীয় দুর্যোগ ভবন, ডেটা সেন্টার, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব করতে পেরেছে নাশকতাকারীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে কর্মীদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। কেউ কেউ এলাকায় গড়ে তুলেছেন এমপি লীগ, আত্মীয় লীগ। পরীক্ষিত দুর্দিনের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে হাইব্রিডদের নিয়ে করেছেন কমিটি। হাইব্রিড নেতারা এমপি-মন্ত্রীদের ওপর ভর করে কেউ কেউ হয়েছেন টাকার কুমির। যে কারণে টাকা বাঁচাতে তারাও মাঠে নামেননি। দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীরা নিজ তাগিদে মাঠে নামলেও তারা স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ভিড়েননি। আর এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন লীগ, প্রটোকল লীগকে মাঠে নামানো যায়নি। আগের দিনে দলের নেতা-এমপি-মন্ত্রীরা ছিলেন যেমন কর্মিবান্ধব, তেমনি কর্মীরাও নেতার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। এখন সেই সংস্কৃতি উঠে যেতে বসেছে। নেতা-কর্মীদের ওপর যখন নির্যাতন করা হয়েছে ওইসব নেতারাও ঢাল হয়ে কর্মীদের বাঁচিয়েছেন। বর্তমানে সেটা নেই। এখন সেলফি সংস্কৃতিতে শেষ হচ্ছে মাঠের রাজনীতি। কিছু সময় মাঠে থেকে ছবি তুলে সেলফি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছেন কেউ কেউ।

মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচনি এলাকার এমপিদের আমরা অভিভাবক হিসেবে মানি। সঠিক দিকনিদের্শনা না পেলে আমরা কী করব। বিগত কয়েক দিনের কোটাবিরোধী আন্দোলনে অনেক এমপি-মন্ত্রীই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। যে কারণে সঠিক নির্দেশনা না পাওয়ায় তেমন প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি। তারা আরও জানিয়েছেন, সংকটের সময়ে যারা দলকে অনিরাপদ রেখে নিজে নিরাপদ থাকতে চায় আগামীতে দলীয় মনোনয়নের সময়ে দলের হাইকমান্ডকে চিন্তাভাবনা করেই মনোনয়ন দেওয়া প্রয়োজন।

(তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৭ জুলাই ২০২৪)


তান্ডব   মাঠ   আওয়ামী লীগ   এমপি   মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির

প্রকাশ: ১২:০৮ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ডাক দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ন্যূনতম একদফা- সরকারের পতনের দাবিতে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির।’

এতে আরও বলা হয়, ‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বৃহত্তর স্বার্থে, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা উপরোক্ত ন্যূনতম একদফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে সকল শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।’

জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। আরও জানানো হয়, শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সকলের স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।

বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সাইবার যুদ্ধে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় কেন?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একটি দৃশ্য ছিলো যেই দৃশ্যে সরকারকে নানাভাবে অপপ্রচারের শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনাগুলোকে বিকৃত করে, অপ-তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকার মাঠের আন্দোলনকে দমন করে মোটামুটি স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। বিশেষ করে সেনা মোতায়নের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষও যে হত্যা, বিভীষিকা এবং তাণ্ডব হয়েছে তা নিয়ে বিস্মৃত এবং হতবাক। তারা এধরনের পরিস্থিতিকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ বলেই মনে করছেন।


এই যুদ্ধে দৃশ্যতই সরকার বিজয়ী হয়েছে এবং সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। সাধারণ মানুষ আর যাই হোক, এই ধরনের ভাঙচুর, বিশেষ করে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবনের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ভাঙচুরকে সমর্থন করেনি। তারা এই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের তথ্যগুলো আমাদের মূল ধারার টেলিভিশন বা সংবাদপত্রে যেভাবে আসছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে তার উল্টোভাবে। কিছুদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যেতে পারেনি। কিন্তু সাইবার যুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী তাদের অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। আর একারণেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল, বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতও হয়েছে। আর এই যুদ্ধে আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এখন যখন ইন্টারনেট খুলে দেয়া হয়েছে, গতকাল থেকে ইউটিউব চালু হয়েছে তখন দেখা গেছে ইন্টারনেট জগত পুরোটা বিএনপি-জামায়াতের। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীরদের দখলে। সেখানে এমন সব আজগুবি, বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে যা কল্পনারও অতীত।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ানো হয়েছে র‌্যাব নাকি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে। র‌্যাব কখনোই হেলিকপ্টারে করে গুলি করেনি। হেলিকপ্টার থেকে টহল দিয়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সেটিকে গুলিবর্ষণ হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশ নির্মমভাবে ছাত্রদের হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ পিটুনি খেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রদের সাথে কোন ধরনের সহিংসতায় না জড়ানোর জন্য এবং রক্তপাত এড়ানোর জন্যই পুলিশ এ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের সহনশীলতার কারণেই এই আন্দোলনের সাথে যখন সন্ত্রাসীরা যুক্ত হন তখন আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিলো। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বীভৎস মিথ্যা এবং বিকৃত ছবি প্রচার করা হয়েছে। বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ করেছে যা আসলে মিথ্যা এবং সেখানে অতীতের বিভিন্ন সন্ত্রাস, সহিংসতার ঘটনাকে জোড়া লাগিয়ে সেটি সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে।


প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিল এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ তথ্য প্রযুক্তিতে নীরব বিপ্লব করেছে। কিন্তু এই সাইবার যুদ্ধে কেন আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী গর্ব করে বলেছিলেন, তার এক লাখ সাইবার যোদ্ধা মাঠে নামানো হয়েছে। সেই যোদ্ধারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন শোচনীয়ভাবে হেরে গেল? রাজনীতির কৌশলে এবং আন্দোলন দমনের ক্ষেত্রে সরকার যতোটা ভালো করেছে ঠিক ততটাই ব্যর্থ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর কারণ কী?

এর কারণ হলো, আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মতুষ্টি, অহংকার এবং তাদের এ ব্যাপারে মনোযোগী না হওয়া। সাইবার এই যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানারকম নেতিবাচক তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর একারণেই তথ্য প্রযুক্তির এই ক্ষেত্রটির দিকে নতুন করে নজর দিতে হবে। অপ-তথ্যে সয়লাব হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য দিয়ে এক ধরনের আবহ সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে এখনই। 


সাইবার যুদ্ধ   আওয়ামী লীগ   কোটা আন্দোলন   তথ্য   ডিজিটাল বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপিসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে: ফখরুল

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজীর স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সকল নির্মম-নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে সরকারের দায়িত্ব হলো-রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, গত কিছুদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত তখন সেই মুহূর্তে সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে নির্দেশ দেয় তাদেরকে নির্মূল করার।’


বিএনপি মহাসচিব এই গণহত্যা, নির্যাতন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে সকল দেশ প্রেমিক মানুষ, রাজনৈতিক দল, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভয়াবহ ফ্যাসীবাদী শাসক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের দূর্বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি   গ্রেপ্তার   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গ্রেপ্তার হচ্ছে তারেকপন্থিরা, বহাল তবিয়তে ফখরুলের লোকজন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

তবে মজার ব্যাপার হলো যে, এই গ্রেপ্তারে তারেকপন্থিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ফখরুলপন্থিরা বহাল তবিয়তে আছে। এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা প্রায় সবাই তারেকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচিত হন। এদেরকে দিয়ে তারেক তার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। বিএনপিতে তারা তারেক জিয়ার একান্ত অনুগত এবং পদলেহি বলেই পরিচিত। 

গ্রেপ্তার অভিযানের প্রথম গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে গত শুক্রবার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) প্রথম গ্রেপ্তার হন রুহুল কবির রিজভী। রিজভীকে বিএনপির সম্ভাব্য মহাসচিব হিসেবে মনে করা হয় এবং তিনি এখন তারেক জিয়ার সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তিদের একজন। তার পরামর্শে এবং নেতৃত্বেই বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হচ্ছিল। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যিনি তারেক জিয়ার আরেকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং অর্থদাতা হিসেবেও পরিচিত। গ্রেপ্তার হয়েছেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। যিনি তারেক জিয়ার আরেকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতা আন্দালিব রহমান পার্থকে তারেক জিয়ার উপদেষ্টা মনে করা হয়। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারেক জিয়া ছাত্রদলের যে নতুন কমিটি করেছেন সেই কমিটিতে যাদেরকে নিয়েছেন তাদের মধ্যে থেকেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অর্থাৎ একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, গ্রেপ্তার অভিযানে তারেক জিয়ার লোকজনকে বেশি টার্গেট করা হয়েছে। অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যারা ঘনিষ্ঠ তাদেরকে আড়ালে দেখা যাচ্ছে। তারা তাদেরকে খুব একটা তৎপর দেখা যাচ্ছে না। যেমন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এমরান সালেহ প্রিন্স এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি। হাবিবুর রহমান বাইরে আছেন। বাইরে আছেন আসাদুজ্জামান খান রিপন। এরকম অনেক ফখরুল ঘনিষ্ঠরা এখন বহাল তবিয়তে আছেন। তারা বিভিন্ন টকশোতেও যাচ্ছেন। 

তবে এর কারণ হিসাবে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে যে, বিএনপি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সহিংসভাবে যুক্ত হবে কি না এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেই মতবিরোধ হয়েছে। তারেক জিয়া অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটি হবে আত্মঘাতী। এ কারণে তারেক জিয়া মির্জা ফখরুলকে পাশ কাটিয়ে তার ঘনিষ্ঠদের এই আন্দোলনে যুক্ত করেন। ছাত্রদল ও যুবদলের ক্যাডারদের মাঠে নামান। আর এ কারণেই ফখরুলপন্থিরা এখন নিরাপদে আছেন। আর তারেক জিয়ার যারা ঘনিষ্ঠ তারা এই ষড়যন্ত্রের অংশ হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠরা এ সময় নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিলেন।

কোটা আন্দোলন   গ্রেপ্তার   তারেক জিয়া   নাশকতা   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন