ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিকে ‘পাকিপ্রেম’ দূরে রাখার পরামর্শ মেননের

প্রকাশ: ০৮:৩৬ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিএনপিকে ‘পাকিপ্রেম’ দূরে রাখার পরামর্শ মেননের

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে বিএনপি, তাই তাদের পাকি প্রেমটা দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

রোববার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি গতকাল (শনিবার) ফ্লোর চেয়েছিলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। কারণ এই হাউসে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা কেবল অসত্যই নয়, তিনি তার বক্তব্যে চালাকির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের বক্তব্যকেও টেনে এনেছিলেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ এই যে, গণমাধ্যমে এসেছে তিনি পাকিস্তানি ক্রিকেট দল নিয়ে কথা বলায় সংসদে হইচই হয়েছে। বরং তিনি (এমপি হারুন) যেটা করতে চেয়েছিলেন, সেটা হচ্ছে পাকিস্তানি পতাকা ওড়ানোর পক্ষে যৌক্তিকতা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন।

শনিবার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হচ্ছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। পাকিস্তান ক্রিকেট টিম বাংলাদেশের সঙ্গে খেলছে। বাংলাদেশ যা-ই খেলুক না কেন, পাকিস্তানের সমর্থকেরা তাদের পতাকা ওড়াচ্ছে। এটাকে কেন্দ্র করে একটা বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটা নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথা বলা হচ্ছে।’

এরকম ঘটনা এখন শুধু নয়, বাংলাদেশ সৃষ্টির পরেও হয়েছিল বলে জানান রাশেদ খান মেনন। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর সফর ঘিরে পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলেও জানান তিনি। 

রাশেদ খান মেনন বলেন, আজকে আবার ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদেন দুর্ভাগ্য আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিএনপি, তাদের পাকিস্তানি প্রেম দেখিয়েই যাচ্ছে। আজকেও বক্তৃতায় পাকিস্তান প্রেম দেখলাম। খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে নিয়ে কথা বলতে চায় না। পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা জানজুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোক প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এটা তিনি পারেন না।

প্রবীণ এই বাম নেতা বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমাদের গৌরবের অধ্যায়কে ধ্বংস করার জন্য যে চক্রান্ত চলছে, এর বিরুদ্ধে আমাদের এক হতে হবে। বিএনপিকে বলবো— এখনও সময় আছে, আপনাদের পাকি প্রেমটা দূরে রাখুন, বাংলাদেশের খেলার মাঠে। খেলা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশে অন্য দেশের পতাকা উড়বে না। তারা উদাহরণ দিয়েছেন— অন্যদেশের খেলার মাঠে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে। হ্যাঁ তোলে, সেখানে কিন্তু বাংলাদেশিরা তোলে। এখানে পাকিস্তানিরা তুললে আমার কোনো কথা ছিল না। এখানে বাংলাদেশের তরুণদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে বর্তমানে যে জঙ্গি উত্থান রয়েছে, তার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা জড়িত রয়েছে কিনা, আমরা জানি না। ক্রিকেট প্রেম এক জিনিস, জাতীয় প্রেম, গৌরব ও পতাকা আরেক জিনিস। খেলার মাঠে তাদের সমর্থন করতে পারি। কিন্তু তার জন্য তরুণরা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে মাঠে যাবে, তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা পরিকল্পিত করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তুরস্কের গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বেশকিছু দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি নিয়ে রাজনীতি সরগরম। বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। মতামতের জন্য সেই আবেদন পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে। তবে আইন মন্ত্রণালয় সেটি নাকচ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তুর্কির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি।

‘বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের বরাতে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরোয়ার্ড করা আপিলকে ‘না’ জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে না।‌ সরকারের আইনগত অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সব কাজ আইনি কাঠামো অনুযায়ী করতে হবে। আইনকে বাইপাস করা, যে কোনো ক্ষেত্রেই একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি করে।

প্রতিবেদনে বলা আরও বলা হয়, ৭৮ বয়সী বেগম জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং উচ্চ লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

প্রতিবেদনে গত শনিবার ভয়েস অব আমেরিকায় প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন নেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে অবশ্যই কারাগারে ফিরে যেতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়ার দল অবশ্য তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে এবং খালেদা জিয়াকে তার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুপারিশ করেছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিদেশে একটি উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। কোভিড মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সরকার তাকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাড়িতে থাকা এবং দেশ ছেড়া যাবে না এই দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।

গণমাধ্যম   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়া কি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন?

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আইন মন্ত্রণালয় যখন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন, তখন ধারণা করা হচ্ছে যে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সব পথ হয়তো বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়নি। এখনও তার বিদেশে যাওয়ার একটি সহজ সুযোগ রয়েছে এবং সেই সহজ সুযোগটি হল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। 

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ ধারায় রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৪৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’ অর্থাৎ, বেগম খালেদা জিয়া যে একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন সেই দন্ড মওকুফ করে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তবে এ ধরনের আবেদন করতে গেলে বেগম খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করতে হবে এবং তার জন্য অনুশোচনা বা দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। বেগম জিয়ার কুশলী এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে এটি অপমানজনক, অসম্মানজনক এবং এটি কোন অবস্থাতেই বেগম খালেদা জিয়া মেনে নেবে না। কিন্তু আইন আইনজ্ঞরা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে সহজ সমাধান। 

ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী বলেছেন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করা হয়ে গেছে। কাজেই এটি এখন তামাদি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটির মাধ্যমে তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করা কোনভাবেই সম্ভব না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর ৫(ক) তে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট কোনো শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা মঞ্জুর করলে উক্ত শর্ত যে প্রকৃতিরই হোক না কেন, তা এই আইন অনুসারে কোনো উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা আরোপিত শর্ত বলে গণ্য হবে এবং তদানুসারে বলবৎযোগ্য হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের আইনে বলা হচ্ছে যে, সবার ওপরে সংবিধান এবং সংবিধানের সাথে যদি কোনো আইন সাংঘর্ষিক হয় সেক্ষেত্রে সংবিধানই প্রাধান্য পাবে। এরকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বা উন্নতি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তাহলে ৪০১ বাধাগ্রস্ত হবে না। 

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১’এর মাধ্যমে যদি তার বিদেশ যেতে হয়, তাহলে তার এখনকার যে বিশেষ বিবেচনায় জামিন প্রদান তা বাতিল করতে হবে। এই বাতিল প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র সরকারের রয়েছে। এটি বেগম খালেদা জিয়ার নেই। খালেদা জিয়া যদি এই জামিন বাতিল করার জন্য আবেদন করেন তাহলেও সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। সরকার তার জামিন বাতিলের আবেদন গ্রহণ করবেন কি করবেন না।

তারপরও কিছু ব্যাপার রয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিতে হবে। সেটি হয়তো বেগম খালেদা জিয়া ব্যবস্থা করতে পারবেন। তিনি যেখানে এখন অবস্থান করছেন সেখানেই বিশেষ কারাগার করে তাকে জামিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত কি হবে না হবে সেটি যেমন অনিশ্চিত, তেমনি এই প্রক্রিয়াগুলো অনেক দীর্ঘ। তার চেয়ে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি এখনই আবেদন করেন এবং রাষ্ট্রপতি যদি বিষয়টিকে মানবিক বিবেচনা করে তার ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করেন, তাহলে তিনি কারাগার কারামুক্ত হবেন দন্ডমুক্ত হবে। তখন তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। তবে এই ধরণের আবেদন করলে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দন্ডে দণ্ডিত হবেন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচনের জন্য অযোগ্য থাকবেন।

খালেদা জিয়া   বিএনপি   রাষ্ট্রপতি   আদালত   সরকার   ফৌজদারি   সংবিধান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। তারা যে কথাগুলো বলছেন, সেটার উদ্দেশ্য একটাই তারা আসলে কাপুরুষ-ভীতু। তারা জানে খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন, তার ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তখন তাদের ধ্বংস হয়ে যাবে। 

খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি সবসময় বলি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই কথা বললে তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) গায়ের মধ্যে আগুন জ্বলে। কারণ তারা তো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারা তো সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাতা খেয়েছিল। বাস্তব কথা বলছি। অনেকের কষ্ট হতে পারে, কিন্তু কথাটা সত্য। 

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। 

সরকার   খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়াকে বিএনপি রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মানববন্ধনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ‘নির্মম ফাঁসির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও বিমানবাহিনীর শহিদ সদস্যদের হত্যাকারী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণের দাবি’ জানানো হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি কয়েকদিন ধরে বলছে, বেগম খালেদা জিয়ার অধিকার লংঘন করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া যতবার অসুস্থ হয়েছেন, যতবার হাসপাতালে গিয়েছেন। বিএনপি বলেছে, তার জীবন সংকটাপন্ন, বিদেশে না নিলে উনি মারা যাবেন। কিন্তু ততবারই উনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। বিদেশ যাওয়াটা আদালতের এখতিয়ারে। আদালতের আদেশ ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারেন না। এই নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু সংগঠন আছে পৃথিবীতে, যারা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে। তারা কাউকে কিল মারলে বিবৃতি দেয়, কাউকে ঘুষি মারলেও বিবৃতি দেয়। কিন্তু তাদের আত্মীয়স্বজন কাউকে মেরে ফেললে কোনো বিবৃতি নাই। ২০১৩-১৪ সালে যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ফিলিস্তিনের শিশুরা যখন ঢিল ছুড়ে তার প্রতিবাদে ইসরায়েলি সৈন্যরা যখন পাখির মতো শিশুদের শিকার করে, তখন কোনো বিবৃতি নাই। আপনাদের অনুরোধ জানাব, আপনারা যদি মানবাধিকার ব্যবসাটা করেন, তাহলে এই দিকগুলোর দিকেও আপনারা তাকাবেন। মায়ের কান্না যখন আপনাদের কানে পৌঁছে না, তখন আপনারা কিসের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সেজন্য নানা ছল-ছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার, তারপরে বলে সুষ্ঠু পথে নির্বাচন হয়নি। আমাদের দেশে অবশ্যই আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোচ্চভাবে নির্বাচন কমিশনকে এটি করার জন্য সহযোগিতা করবে।

‘দয়া করে আমাদের কেউ গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না’, অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে ঘেরাও করে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় নাই। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পরাজয় মেনে নেয়নি। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান, তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এদেশের মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে আবার সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিএনপি আবার অগ্নিসন্ত্রাস হামলার পরিকল্পনা করেছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে, এভাবে আন্দোলন করে হেঁটে, বসে, দৌড়ে কিংবা হামাগুড়ি কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায়নি। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিশ্ব বেনিয়ারা যাতে ফায়দা লুটতে পারে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাই আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, থাকবে। কাউকে আর ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

খালেদা জিয়া   রাজনীতির খবর   বিএনপি   তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগামী এক মাস আওয়ামী লীগের ৫ শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী এক মাস বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অক্টোবর মাসে অনেককিছু ঘটতে পারে। আবার অক্টোবর মাস পার করতে পারলে নির্বাচনের রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এরকম একটি সমীকরণে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অক্টোবর মাসে সবকিছু ঠিকঠাক মতো সামাল দিতে চাইছে। আর এ কারণে গোটা অক্টোবর মাস জুড়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেছেন এবং সেখানে একাধিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে আওয়ামী লীগের জন্য অক্টোবর মাসে ৫টি শঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের যে প্রধান লক্ষ্য, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারীর মধ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা, সেই লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে ৫টি ঘটনায়। আর এই শঙ্কাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. অর্থনৈতিক সংকট: আওয়ামী লীগের জন্য এখন সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে উপস্থিত হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। গত ৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে সেপ্টেম্বরে। রপ্তানি আয়েও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অর্থনীতিতে একটি শঙ্কার কালো মেঘ দানা বেঁধে উঠেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য উদ্বেগের।

পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মুদ্রাস্ফীতি জনজীবনে অস্বস্তি ফেলেছে। এই সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে যে আগামী এক মাস অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যথেষ্ট তৎপর হতে হবে এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল: আওয়ামী লীগ মনে করে যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দলের ভেতরে নানামুখী সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের বেপরোয়া হয়ে ওঠা ও কিছু কিছু স্থানীয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিপদসীমা অতিক্রম করা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধরনের শঙ্কার কারণ।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন যদি দল ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কোন সমস্যাই আওয়ামী লীগকে কাবু করতে পারে না। আর কারণে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা আগামী একমাস আওয়ামী লীগের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

৩. ব্যর্থ মন্ত্রীদের দায়: আওয়ামী লীগের জন্য আগামী এক মাস ব্যর্থ মন্ত্রীদের দায় বহন করা একই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই মন্ত্রীদের ব্যর্থতার কারণেও আওয়ামী লীগের লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হাজার পেরিয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও সংকট দেখা দিচ্ছে। যে সমস্ত মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালনে অক্ষম তাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

৪. বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা: বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার যদি শেষ মুহুর্তে কোনো কিছু হয়ে যায় সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।

যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন তেমন কিছুই হবে না। এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের সময় এই ধরনের শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এবারও কিছুই হবে না।

৫। আন্তর্জাতিক চাপ: এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের জন্য শঙ্কার কারণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অনেকে মনে করছেন যে এই সময়ের মধ্যে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সামাল না দেওয়া যায় তাহলে তারা বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে।

এই ৫ শঙ্কা কাটিয়েই আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে এই মাসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেই সব সংকট কেটে যাবে।


আওয়ামী লীগ   রাজনীতি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন