সম্প্রতি জাতীয় চার নেতার অন্যতম এ এইচ এম কামরুজ্জামানের পুত্র খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। খায়রুজ্জামান লিটনের আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়াটা বহুদিনের প্রত্যাশিত ছিলো এবং এটি তার প্রাপ্য ছিলো বলেই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মনে করেন। জাতীয় চার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তারপর এই জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। কারা প্রকোষ্ঠেই এই জাতীয় চার নেতা মৃত্যুবরণ করেন। জাতির পিতা যাদের উপর নির্ভর করে এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল, যারা জাতির পিতাকে বিভিন্ন সঙ্কটে পরামর্শ দিয়েছিল এবং বিভিন্ন কঠিন সময়ে জাতির পিতার পাশে দাঁড়িয়েছিল সেই চার নেতাকেই খুনি মোশতাক নিঃশেষ করেছিল। মোশতাকের লক্ষ্য ছিল একটি। তা হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যেন চিরতরে বিলুপ্ত করা যায়। আর এজন্যই জাতির পিতার সবচেয়ে বিশ্বস্ত চার নেতাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উৎপাটিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ায়। আর এই ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে সবচেয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন আওয়ামী লীগ বর্তমান সভাপতি, জাতির পিতার জ্যৈষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে আসার পর আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ধারায় তিনি আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন। আর এই সময় এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার পাশে যারা বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে ছিলেন তাদের মধ্যে খায়রুজ্জামান লিটন অন্যতম। জাতীয় চার নেতার পুত্রদের মধ্যে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর পুত্র মো. নাসিম শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার পথচলাটা সুমসৃণ ছিল না। আর সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফ ছিলেন অকুতোভয় এবং শেখ হাসিনার কঠিন সময়ের কাণ্ডারি। জাতির পিতার সহযোদ্ধাদের অন্যতম তাজউদ্দিন আহমেদের পুত্র সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছে কি নেই সেটি এখন একটি প্রশ্ন। তাজউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী এলাকায় তার কন্যা এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন। মো. নাসিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে জাতীয় চার নেতা শূন্য হয়ে যায়। জাতীয় চার নেতার কোন প্রতিনিধি ছিল না। সেখানেই খায়রুজ্জামান লিটন জায়গা করে নেন।
খায়রুজ্জামান লিটন এমন একজন রাজনীতিবিদ যার কোন অভিযোগ নেই। তিনি সবসময় আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্য কাজ করেছেন, দলের সঙ্কটে, দুঃসময়ে পথ দেখিয়েছেন, নেত্রীর প্রতি অবিচল ছিলেন। কখনো নেত্রীর আদর্শ-নীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সে দায়িত্ব পালন করেছে। একজন অভিযোগহীন রাজনীতিবিদ হিসেবে ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি কি পেলেন, কি পেলেন না তার হিসেব করেননি। বরং আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন কাজেই তাকে ব্যবহার করেছেন। জাতীয় চার নেতা হওয়ার অন্যতম এ এইচ এম কামরুজ্জামানের পুত্র হওয়ার পরেও তিনি কোন সময় দলের বড় ধরণের কোন নেতা হতে পারেননি। এ নিয়েও তার কোন ক্ষোভ, দুঃখ কিংবা আক্রোশ ছিল না। অভিযোগহীন এই রাজনীতিবিদ তার প্রাপ্য সম্মানটুকু পেলেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।