ইনসাইড পলিটিক্স

স্থানীয় নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সহিংস বিদ্রোহীদের লাগাম কোথায়?

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail স্থানীয় নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সহিংস বিদ্রোহীদের লাগাম কোথায়?

দেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসা এবং সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মাঠে তেমন সক্রিয় না থাকার কারণে এ নির্বাচনে বৃহৎ দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগই অংশ নিয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত এবং আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে হচ্ছে এ নির্বাচন। ফলে অনেকেই এই নির্বাচনকে বলছেন আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচন। ইউপি নির্বাচনের কারণে দুই দিন আগে যার সঙ্গে রাজপথে একসাথে আন্দোলন করেছিল, আজকে সে তার চরম শত্রু হয়ে গেছে। শত্রুতার মাত্রা এতটাই ছাড়িয়েছে যে, বিরোধী প্রার্থীসহ তার সমর্থকদের প্রাণ নিতেও দ্বিধা নেই তাদের। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের এ নির্বাচনে বিগত দুই ধাপের ইউপি ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিনের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহত হাজার হাজার। এর মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার  চরম মাত্রার সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার মাধ্যমে শেষ হল তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের নির্বাচন যথাক্রমে ২৩ ডিসেম্বর ও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই ধাপেও এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, তৃণমূলের এই ভোট উৎসব অনেকাংশেই আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনি মাঠে নেমেছিল পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ৫০ হাজারের বেশি সদস্য। এছাড়াও নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে ছিলেন। সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কঠোর অবস্থান নিতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল।  এছাড়া নির্বাচন হচ্ছে এমন উপজেলাগুলোকে র‌্যাবের দুটি মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির দুই প্লাটুন মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং এবং উপকূলীয় জেলাগুলোয় দুই প্লাটুন মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে অবস্থান করেছিল। ভোট কেন্দ্রের পাহারায় ছিল পাঁচজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য। এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও শুক্র ও শনিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও ভোলার দৌলতখানে সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু হয়। ভোটের প্রাক্কালে সহিংসতায় মেহেরপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুর, পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, প্রার্থীর বাড়িতে গুলিবর্ষণসহ বেশকিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে। ভোটকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতার আশঙ্কার কথা নির্বাচন কমিশনকে আগেই জানিয়েছিল একটি গোয়েন্দা সংস্থা। তবুও সহিংসতা রোধে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আর অধিকাংশ সহিংসতাগুলো হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেই। বিদ্রোহ দমনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বারবার করে বলেও কোনোভাবেই থামাতে পারছে না। বিদ্রোহ দমনে আওয়ামী লীগ যে ব্যর্থ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মনে করছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা।

আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে হওয়া এসব সহিংসতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমি আগেও বলেছি এটা হলো রোগের উপসর্গ, রোগ নয়। রোগটি হলো অযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া, পদ-পদবি ব্যবহার করে বা অন্যায় করে সুযোগ সুবিধা নিয়ে পয়সা কামানো, প্রশাসনের উপর বিভিন্ন রকমের প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটানো, অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়া। যতদিন এইগুলো চলবে ততদিন পর্যন্ত তাদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা চলবে, হানাহানি চলবে। একজন আরেক জনকে টেনে নিচে নামানোতে ব্যস্ত থাকবে। যেসব জায়গায় এ সমস্ত সহিংসতা হচ্ছে আর যারা করছে, তারা সবাই এসব স্থানে আসার যোগ্য ছিল না। অযোগ্য ব্যক্তিকে যদি আপনি উপরে নিয়ে আসেন, এমনটা হতে বাধ্য বলেই মনে করছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশন, এ দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এ দুই প্রতিষ্ঠানই চলমান ইউপি নির্বাচনে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। ফলে দেখা দিচ্ছে সংঘাত-সহিংসতা। ভোটারদের দায়িত্বও কম নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এ নিয়ে বসতে হবে এবং কঠোর অবস্থান নিতে হবে। শুধু বহিষ্কার করেই এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। সহিংসতায় যারা অংশ নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকেও ভূমিকা রাখতে হবে। ভালো লোককে যেন কোনো ভাবে ফাঁসাতে না পারে এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রাজনৈতিক দল ও নির্বাচকমণ্ডলী তথা ভোটার শ্রেণি উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিচয় দিয়ে আগামী দিনগুলোয় নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর রাখার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিকে বাদ দিয়ে উৎসবমুখর নির্বাচনের রোড ম্যাপ চূড়ান্ত

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে, সকল দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেগুলো এখন রাজনীতিতে প্রধান আলোচনার বিষয়। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সরকার আপাতত বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর নির্বাচনের রোড ম্যাপ চূড়ান্ত করেছে। এই রোড ম্যাপ অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এই রোড ম্যাপের প্রধান লক্ষ্য হলো নির্বাচনে অন্তত ৬০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এই জন্য আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আর এই রোড ম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ যে কৌশল গ্রহণ করেছে তা হলো-

১. সকল রাজনৈতিক দল স্ব স্ব অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ করবে: এবারের নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে নির্বাচন করবে। এই নির্বাচন হবে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ। 

২. প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে: এই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের ভূমিকা থাকবে নিরপেক্ষ এবং প্রশাসন যেন কোনোভাবেই নির্বাচনের ওপর কোনো রকম হস্তক্ষেপ না করে সেটি নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই নির্বাচনের ব্যাপারে যেন কোনো রকম অভিযোগ না ওঠে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। 

৩. ভালো প্রার্থী, উৎসবমুখর নির্বাচন: আওয়ামী লীগ তার প্রাক নির্বাচনী জরিপ গুলোতে দেখেছে যে, যদি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভালো প্রার্থী, আলোচিত প্রার্থী এবং পরিছন্ন ইমেজের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে পারে তাহলে সেক্ষেত্রে ভোটাররা নির্বাচনমুখী হবে। তারা ভোট প্রদানে আগ্রহী হবেন। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এবার প্রার্থী বাছাই চমক থাকবে। এমন সব প্রার্থী দেওয়া হবে যাদেরকে মানুষ পছন্দ করে এবং যাদের কারণে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত হবে।

৪. বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা: যদি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে তাহলেই বিএনপি ফাঁদে পড়বে এমনটি মনে করছে আওয়ামী লীগ। কারণ সেক্ষেত্রে নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের ভিসা নীতির আওতায় আসা উচিত এমনটি মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। ফলে যখনই বিএনপি নির্বাচন বর্জন এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিবে তখনই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করবে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। এর ফলে এই নির্বাচন বর্জনের আন্দোলন খুব বেশি প্রশয় পাবে না। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে বড় ধরনের কোন পরিস্থিতিও তৈরি হবে না বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

৫. আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা: সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের যে রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে তাতে অন্যতম প্রধান ইস্যু হলো আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা। আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনই হবে আগামী নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তবে এই ক্ষেত্রে সরকার এবং আওয়ামী লীগ আশাবাদী। তারা মনে করছে, এধরনের নির্বাচনকে ভারত স্বীকৃতি দেবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেকগুলো দেশ এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে। কারণ যদি ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশের বেশি বা ৬০ শতাংশের কাছাকাছিও থাকে তাহলে সেই নির্বাচনকে বৈধতা দিতে আপত্তি করার কোনো কারণ থাকবে না বলেই তারা মনে করছেন।

আর এরকম একটা পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় তাহলে পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে কোনো আপত্তি বা হতাশা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে এটা মেনে নেবে। কারণ আন্তর্জাতিক ভাবে এটি স্বীকৃত যে, একটি দেশের নির্বাচনে যদি ৫০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি ভোট পড়ে তাহলে সেই নির্বাচনকে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করতে হবে। এরকম একটি রোড ম্যাপ অনুযায়ী বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচন করতে চায় সরকার। কারণ বিএনপি নির্বাচনে এলেই নানামুখী সংকট তৈরি হতে পারে এবং এই সংকটগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এমনকি নির্বাচন বানচালও করে ফেলতে পারে এই সমস্ত পদক্ষেপ।

বিএনপি   নির্বাচনের রোড ম্যাপ   আওয়ামী লীগ   ভিসা নীতি   সরকার   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জা ফখরুল লাখো জনতার সামনে ভাষণ দিচ্ছেন, কই ঠেকাতে পেরেছেন?

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক। তিনি তাপসের উদ্দেশে বলেছেন, ‘কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলবেন। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। কই ঠেকাতে পেরেছেন?’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ) আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আপনার (শেখ হাসিনার) বিনা ভোটের মেয়র বলেন মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবেন না। তাপস, তোমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলো। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, ঠেকাতে পেরেছেন? তাই এসব কথা বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিসফের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়া। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন   শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আব্দুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির সমাবেশ চলছে

প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে এই সমাবেশ শুরু হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজক। সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা এসে ভিড় করেছেন।বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

দুপুর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।তাদের হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এদিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে জড়ো হয়েছেন মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়। 

সমাবেশের জন্য আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। 

মঞ্চের ব্যানারে লেখা হয়েছে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এবং সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির সমাবেশ   নির্বাচন   এক দফা আন্দোলন   সরকার পতন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক জিয়া কি দেশে আসছে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি পোস্ট দিচ্ছে। ‘লিডার আসছে’—এই শিরোনামে পোস্ট বিএনপি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে।

বিএনপির একাধিক নেতাকে এই পোস্টের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো তারা রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, তারেক জিয়ার দেশে আসার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনাটি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আজ সকালে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার লিভারে পানি জমে ছিল, পানি বের করতে হয়েছে এবং তার হিমোগ্লোবিন ৮ এর নিচে। এরকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যদিও গত দুই দিন ধরে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। 

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বা তার কোনো চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলে বিএনপি এক তান্ডবের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই তাণ্ডবের মহাপরিকল্পনার একটি অংশ আছে তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আসা এবং বর্তমান সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। তারেক জিয়া নিজেও এধরনের বার্তা বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে দিয়েছেন। 

মায়ের শেষ পরিণতি হলে বাংলাদেশে আসলে জনগনের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করবে, সাধারণ মানুষ তার এই আসাটাকে ইতিবাচকভাবে নেবে—এমনটি মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাছাড়া এরকম ঘটনা ঘটলে তারেক জিয়া যদি দেশে আসে তাহলে বিমানবন্দরে তাকে আটক করাটাও কঠিন হতে পারে বলে বিএনপির নেতারা হিসেব কষে দেখছেন। এটি তার জন্য দেশে আসার সুবর্ণ সুযোগ বলে তারা মনে করছেন। 

উল্লেখ্য, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়া। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন এই দণ্ডিত আসামী যদি দেশে আসেন তাহলে তাকে অবশ্যই আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, জেলে যেতে হবে। তারপর তার জামিনের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু বিএনপির নেতারা এটি করতে চান না। তারা জানেন যে, যে মামলাগুলো হয়েছে এবং যে রায় দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে বাঁচার পথ নেই বললেই চলে। এরকম পরিস্থিতিতে একটা ঘটনা ঘটিয়ে তারেক জিয়াকে দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেরকম একটি বড় ঘটনা ঘটতে পারে খালেদা জিয়ার জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি। 

তবে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, তারেক জিয়া এখন লন্ডনে যে বিলাসবহুল আরাম-আয়েশ জীবন যাপন করছেন সেখান থেকে তিনি কোনো অবস্থাতেই দেশে ফিরবেন না। তারেক জিয়া শুধু নিজেকেই ভালোবাসেন, তার মা বা দলের জন্য তার কোনো টান আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। কারণ তা যদি থাকতো তাহলে মায়ের এই অবস্থায় তিনি না আসুন, তার স্ত্রী কিংবা তার কন্যাকে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু বেগম জিয়ার এই দীর্ঘ পাঁচ বছরের কঠিন সময়ে তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রী কন্যারা একবারও আসেননি। তাই এবারও তারেক জিয়া দেশে আসছে বলে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে তার স্রেফ একটা প্রতারণা বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তারা নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আর এ কারণেই ‘লিডার আসছে’ বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ ফাদা হচ্ছে।

তারেক জিয়া   বিএনপি   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   এক দফা আন্দোলন   ২১ আগস্ট   গ্রেনেড হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে মেয়র তাপস-ইশরাক

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। 

তাপসকে উলটো প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, ঢাকা শহরে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার আপনি কে?

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শুক্রবারের সমাবেশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় ইশরাক হোসেন এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরই শুধু নয়, এই বাংলাদেশ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আর তিনিও (তাপস) পৈতৃক সম্পত্তির সূত্রে সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসেননি। 

একজন নাগরিক তিনি মহাসচিব হোন কিংবা সাধারণ কোনো মানুষ হোন, তাকে ঢাকা শহরে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার আপনি কেউ-ই না। এটা বলারও আপনার কোনো অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে ২নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। 

মির্জা ফখরুল   মেয়র তাপস   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন