গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। লিভার সিরোসিস পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ জনিত একটি রোগ, এরফলে লিভার অকার্যকর হয়ে যায়। লিভার সিরোসিস কেন হয় এ নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে যে তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় তা হলো, অতিরিক্ত শর্করা, অতিরিক্ত মদ্যপানেই লিভার সিরোসিস হতে পারে। আর লিভার সিরোসিসের প্রধান চিকিৎসা হলো স্টেম সেল বা লিভার প্রতিস্থাপন করা। আর এই দুটি চিকিৎসাই বাংলাদেশে হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা গতকাল যে Transjugular Intrahepatic Portosystemic Shunt or ‘TIPS’ পদ্ধতিতে লিভারে বা পরিপাকতন্ত্রে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছেন সেটি বিজ্ঞানসম্মত বা আধুনিক নয় বরং এটি হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন।
টিপস
একটি পদ্ধতি যেখানে পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ জনিত অংশে স্টেইন লাগিয়ে সেটিকে আরেকটি অস্থায়ী
নলের মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রকে কার্যকর রাখা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে
যে, ৩৬ শতাংশ মানুষ এর ফলে ঝুঁকিতে পড়ে, তার হৃদযন্ত্র বন্ধ হতে পারে এবং মৃত্যু ঝুঁকিতে
পড়ে। তাছাড়া লিভার সিরোসিসের কোনো চিকিৎসা নয়, বরং এটি রক্তপাত বন্ধের একটি চিকিৎসা
বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা চিকিৎসার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন
এবং যেকোনো মূল্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর একটি অপচেষ্টা বলেই অনেক চিকিৎসক
দাবি করেছেন।
মন্তব্য করুন
নানান জল্পনা-কল্পনা শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আসন বণ্টন এবং বিরোধী দল হিসেবে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতেই আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে যাচ্ছে দলটি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকে দুই দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের মধ্যে আসন বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। মূলত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েই জাপা নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিও জাপা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেছিয়েছেন।
২০১৮ সালেও প্রধান বিরোধীদল ছিল জাতীয় পার্টি। সে সময় বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতা হয়েছিলেন প্রয়াৎ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। তবে, এবার সেই পদটি ধারণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এদিকে দুই দলে বিভক্ত জাপার পুরোদমে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। রওশন এরশাদমুখীরা আগেই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যদিকে জিএম কাদেরও তার দলবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে, পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো সন্দেহ বিরাজ করছে প্রয়াৎ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই দলে। আসন ভাগাগাগি নিয়ে তাদের দলের ভেতরেই চলছে আন্তঃকোন্দল। রংপুর–৩ আসনে এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ নির্বাচন করতে চান। অন্যদিকে আসনটিতেই থাকতে চেয়েছিলেন জিএম কাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত জিএম কাদেরকেই ওই আসনে মনোনয়ন দেয় জাপা।
তথ্যসূত্র বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর আগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ২৮৯ আসনের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। এ নিয়েই জাতীয় পার্টি কিছুটা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। যে কারণে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং কয়েকটি আসনে সমঝোতার জন্য প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সাথে আসন সমঝোতা করবে কি না সে ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল।
জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এর আগেই জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জি এম কাদেরের অমত ছিল। এ নিয়ে শেষ দিকে এসে সরকারের দিক থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ আসে। শেষ পর্যন্ত মোটা দাগে দুটি শর্তে জি এম কাদের নির্বাচনে যেতে সম্মত হন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একটি হলো নির্বাচনে জয়ী হলে দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হবেন। এ ছাড়া তার সিদ্ধান্তে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। এতে কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শেষেই জাতীয় পার্টির ভাগ্যে কি আছে তা বোঝা যাবে, এজন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত। যদি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়, তাহলে এবার সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান নেতা হিসেবে দেখা যাবে জিএম কাদেরকে।
জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ আসন সমঝোতা
মন্তব্য করুন
আদর্শিক জোট ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মূল শরীক আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার
(৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে বিফ্রিং করবেন বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা
সাড়ে ৬ ছয়টার দিকে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় তিন ঘন্টার বৈঠকে আওয়ামী লীগ
এবং ১৪ দলের শরিকদের আসন বণ্টন চূড়ান্ত করার বিষয়ে জোটের প্রধান শেখ হাসিনা সঙ্গে আলোচনা করে। এই আলোচনার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রিফিং করবেন ওবায়দুল কাদের।
জানা যায়, দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাত্র ২টি আসন ফাঁকা রেখে
৩০০ সংসদীয় আসনের ২৯৮ টিতেই এককভাবে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-২
আসনে হাসানুল হক ইনু, এবং নারায়ণগঞ্জের একটি আসন ফাঁকা রেখে বাকি আসনে প্রার্থী ঘোষণা
করেছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়েই এখনো সমঝোতায় পৌছাতে পারেনি ১৪ দল।
অন্যদিকে আদর্শিক
জোট ১৪ দলের শরিকদের পক্ষ থেকে সর্বমোট ২০টি আসন চাওয়া হলেও আওয়ামী লীগ দিতে চায় ৫টি
আসন। এর মধ্যে জাসদ প্রধান হাসানুল হক ইনু ছাড়াও ওয়ার্কাস পার্টির প্রধান রাশেদ খান
মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা, বগুড়ার একটি আসনে ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী এবং অন্য আরেকটি
আসনে জাসদের প্রার্থী দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এই নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে ১৪ দলের শরিকরা।
তাদের প্রত্যাশা অন্তত ২০টি আসন।
অন্যদিকে, আগামীকাল
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গেও আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগ। ওই বৈঠকে দুই দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করার
কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮
সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী
লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আদর্শিক জোট ১৪ দল। ঐ সময় থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে
আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও তারা আসন ভাগাভাগির
মাধ্যমে সমঝোতায় পৌছায়।
সর্বশেষ গত
১৯ জুলাই গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এতে জোটের প্রধান শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন,
১৪ দল জোটগতভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে। আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও
আদর্শিক জোট ১৪ দল ঐকবদ্ধ হয়ে ভোটে অংশ নেবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে টানা ১৭ বছর ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ। আসন্ন নির্বাচনেও হট ফেভারিট দলটি। তিন সহস্রাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে শরিক দলের কয়েকজকে নিয়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের পর্যায়ে দলটি। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক আওয়ামী নেতারা স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করবে। তাদের জন্য ‘ছাড়’ও দিয়েছে শেখ হাসিনার হাতে গড়া দলটি। অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ কয়েকজন প্রার্থী নিয়ে জটলা দেখা দিয়েছে দলটিতে।
তারকারা মনোনয়ন দৌড়ে ভীড় করেছে। এদের কয়েকজন টিকেও গেছে, ধরেছে নৌকার হাল। কিন্তু, রাজনীতি করতে এসে অনেকেই শুরু করেছে বিপরীতমূখী আচরণ। অনেকের ঋণের তথ্য ফাঁস হচ্ছে, এমন অন্য দল থেকে এসে নৌকা প্রতীক নিয়ে সমাবেশও করছেন অস্ত্রধারী পাশে বসিয়ে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাগুরা-১ আসনে নৌকার কাণ্ডারী আলোচিত মুখ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মনোনয়ন জমা এবং হলফনামায় তার বাৎসরিক আয় ৫ কোটি দেখানো হয়েছে। সেখানে ঋণের পরিমান ৩১ কোটি। অন্যদিকে, শেয়ার বাজার এবং বন্ড তার বিনিয়োগ রয়েছে ৪৩ কোটি টাকারও বেশি। অল্প কিছু টাকা হলেও তাকে খেলাপির বাইরে দেওয়া যাচ্ছে না।
নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’খ্যাত চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ঢাকা-১০ আসন থেকে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই নায়ককে চেনেন না বেশিরভাগ ভোটার। অন্যদিকে, আজ (৪ ডিসেম্বর) নিউ মার্কেট এলাকায় পরিচিতি সভায় জানালেন, ‘আসলে এমটি হতে চাননি তিনি‘। জনকল্যাণের উদ্দেশে মনোনয়ন দৌড়ে টিকে এখন সংসদ হতে চান না এই তারকা। তাহলে, কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে আওয়ামী লীগের হাইভোল্টেজ নেতাকে বাদ দিয়ে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলো? এ প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
অন্যদিকে আরেক সমালোচিত মুখ শাহজাহান ওমর। তাকে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির উচ্চ পদ ত্যাগ করে জেল থেকে বের হয়েই নৌকার কাণ্ডারী হয়েছেন ‘আগাছাখ্যাত’ এই হাইব্রিড নেতা। নৌকায় মনোনয়ন চূড়ান্ত এবং প্রার্থীতা বৈধ হবার পরই তিনি অস্ত্রধারী সঙ্গে বসিয়ে সমাবেশ করেছেন। ইতোমধ্যে শোকজও খেয়েছেন। আওয়ামী লীগের মতো একটি আদর্শিক দলে তার মতো নেতা কি করে জায়গা করেছে?- এমন প্রশ্নও তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলে বলছে, সাকিব, ফেরদৌস, শাহজাহানের মতো অল্পে গজিয়ে ওঠা নেতাদের নিয়ে আওয়ামী কি তবে ভুল করেছে? না জানি, দ্বাদশ নির্বাচনে এদের নিয়েই আওয়ামী লীগে জটলা বাধে? এখন দেখা অপেক্ষা পরবর্তী ধাপে কি করবেন এইসব নেতারা। আর তাতে আওয়ামী লীগের কর্তাব্যক্তিরাই বা কেমন মনোভাব পোষণ করবেন?
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নানান নাটকীয়তা শুরু করেছে বিএনপি। একদিকে হরতাল-অবরোধ চলছে, অন্যদিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ নেতাকর্মীদের করা হচ্ছে বহিষ্কার। বিপুল সংখ্যক বহিষ্কৃত নেতাকর্মীর মধ্যে ২৫০ নেতার আবেদন বিবেচনা করছে বিএনপি। দলকে শক্তিশালী করতেই বহিষ্কৃতদের আবারও দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে, শাহজাহান ওমরের মতো যারা বিএনপিকে ত্যাগ করেছে তাদের জন্য কোন ছাড় নেই বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র বলছে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত দুই শতাধিক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা ভুল স্বীকার করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন।
এর আগে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একদফা আন্দোলন করছে, অন্যদিকে তারা দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত এক মাসে দল থেকে প্রায় ২৭৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এর মধ্যে নেতাই বহিষ্কার হয়েছেন ২৭ জন। সে সমস্ত নেতারা আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে না তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ রকম বহিষ্কারাদেশের তালিকায় পড়েছে এখনো পর্যন্ত বিএনপির অন্তত ৩১ জন। এছাড়াও যাদেরকে সন্দেহজনক মনে করা হচ্ছে, যারা আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন এবং সরকারের সঙ্গে নির্বাচন ছাড়াও নানা রকম দেনদরবার করছে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করায় বিগত সময়ে বহিষ্কার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। দল থেকে বহিষ্কার হলেও তাদের অনেকেই বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন মেয়রসহ অন্তত ২৫০ জনের অধিক ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবেদনগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানান বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক সংকট ও দলের দুর্দিনে সরকারের ফাঁদে পা না দেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। যে কারণে, বহিষ্কৃত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে দলে ফিরিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে এসব ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের আশ্বাসও দিয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড। একই সঙ্গে দলের কোণঠাসা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে বিএনপি।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, এতদিন দলের শীর্ষ নেতাকে ভুল বুঝিয়ে যেসব সিনিয়র নেতাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে, সাইড লাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছে, রাগে-ক্ষোভে, দুঃখে যারা এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তাদের টার্গেট করেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, দলের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে থাকা সিন্ডিকেটের মুখোশও এবার উন্মোচিত হয়েছে। এতদিন তাদের দেওয়া তথ্যকে ভুল প্রমাণিত করে এসব অভিজ্ঞ ও ত্যাগীরা দল ছাড়েননি। বিএনপি হাইকমান্ডের জন্য এটা অনেক বড় পুরস্কার। তারা দলকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন। এসব অভিমানী নেতা এখন রাজপথে সক্রিয়। যারা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তাদের ফিরিয়ে আনতেও কাজ করছে দলটির নেতৃস্থানীয়রা। এতো নেতা পুণরায় দলে ফিরিয়ে এনে বিএনপি যুগপৎ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি বহিস্কার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ পুনর্বিবেচনা
মন্তব্য করুন
ঢাকা ১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, আমি
কখনোই এমপি হতে চাইনি।
আমি চেয়েছি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
থেকে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড
মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পরিচিতি ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌকা প্রার্থী ফেরদৌস বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নৌকা মার্কার কোনো বিকল্প নেই। চেষ্টা করেছি— আওয়ামী লীগের নৌকাকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে। তাই সবাইকে একসাথে মিলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার জন্য কাজ করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারই আমাদের বারবার দরকার। না হলে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আর হরতাল-অবরোধের রাজনীতি চাই না। আমরা পরিশুদ্ধ, মার্জিত এবং সুন্দর রাজনীতি দেখতে চাই।
তিনি
আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি যে তিনি
আমাকে বিশ্বাস করে, আস্থা রেখে
নৌকার দায়িত্ব দিয়েছেন। ঢাকা- ১০ আসন সারা
বাংলাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে
অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি আসন। আমি
নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি যে,
প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই আসনের জন্য
মনোনীত করেছেন। আমাদের এখন লক্ষ্য একটাই।
সেটি হলো, আগামী ৭
জানুয়ারি প্রত্যেকটা কেন্দ্রে মানুষকে ভোট দিতে নিয়ে
আসতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত
ছিলেন- নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগের
সভাপতি হানিফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনু মিয়া, ঢাকা
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৮
নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম লিটনসহ
স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নৌকা প্রার্থী ফেরদৌস
মন্তব্য করুন
নানান জল্পনা-কল্পনা শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আসন বণ্টন এবং বিরোধী দল হিসেবে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতেই আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে যাচ্ছে দলটি। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকে দুই দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের মধ্যে আসন বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। মূলত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েই জাপা নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিও জাপা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেছিয়েছেন।
আদর্শিক জোট ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মূল শরীক আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে বিফ্রিং করবেন বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ ছয়টার দিকে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় তিন ঘন্টার বৈঠকে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিকদের আসন বণ্টন চূড়ান্ত করার বিষয়ে জোটের প্রধান শেখ হাসিনা সঙ্গে আলোচনা করে। এই আলোচনার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রিফিং করবেন ওবায়দুল কাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে টানা ১৭ বছর ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ। আসন্ন নির্বাচনেও হট ফেভারিট দলটি। তিন সহস্রাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে শরিক দলের কয়েকজকে নিয়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের পর্যায়ে দলটি। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক আওয়ামী নেতারা স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করবে। তাদের জন্য ‘ছাড়’ও দিয়েছে শেখ হাসিনার হাতে গড়া দলটি। অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ কয়েকজন প্রার্থী নিয়ে জটলা দেখা দিয়েছে দলটিতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নানান নাটকীয়তা শুরু করেছে বিএনপি। একদিকে হরতাল-অবরোধ চলছে, অন্যদিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ নেতাকর্মীদের করা হচ্ছে বহিষ্কার। বিপুল সংখ্যক বহিষ্কৃত নেতাকর্মীর মধ্যে ২৫০ নেতার আবেদন বিবেচনা করছে বিএনপি। দলকে শক্তিশালী করতেই বহিষ্কৃতদের আবারও দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে, শাহজাহান ওমরের মতো যারা বিএনপিকে ত্যাগ করেছে তাদের জন্য কোন ছাড় নেই বলে জানা গেছে। তথ্যসূত্র বলছে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত দুই শতাধিক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা ভুল স্বীকার করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন।
ঢাকা ১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, আমি কখনোই এমপি হতে চাইনি। আমি চেয়েছি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থেকে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পরিচিতি ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।