ইনসাইড পলিটিক্স

কালক্ষেপণ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উস্কে দেয়া হচ্ছে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail কালক্ষেপণ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উসকে দেয়া হচ্ছে?

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা হাফপাসের দাবিতে আন্দোলন করছে। অথচ এখন পর্যন্ত এ বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এই আন্দোলনের মধ্যেই গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুজনের মৃত্যু ঘটেছে ঢাকায়। একজন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী, অন্যজন গণমাধ্যমকর্মী। এই দুই জনের মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের আন্দোলন আবার নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিআরটিএ পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করছে। এসব বৈঠকে মনে হচ্ছে, অনেকটাই দায়সারা এবং এক ধরনের গা বাঁচানোর কৌশল। কোন বৈঠকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংকট সমাধানে আন্তরিক দেখা যাচ্ছে না। বরং সমস্যাকে জিয়িয়ে রেখে শিক্ষার্থীদের যেন সরকারের প্রতিপক্ষ করার এক প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। কারা এটি করছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। 

শিক্ষার্থীরা এর আগেও ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলনের স্থায়িত্ব ছিল ৯ দিন। এই আন্দোলনে পুরো ঢাকা শহর অচল হয়ে গিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি মানার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে। কারণ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পুরোপুরিভাবে খোলেনি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ পরীক্ষা নিয়ে এক ধরনের ব্যস্ত। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে যেকোনো সময় আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে পারে এবং ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে বলে জানা গেছে। তাহলে কি সরকারের ভেতর থেকেও কেউ কেউ চেষ্টা করছে যে, এই আন্দোলন জিয়িয়ে থাকুক? 

বিআরটিএর চেয়ারম্যান পরিবহন মালিকদের সাথে বৈঠকের পর বলেছেন যে, কত স্কুল আছে এবং কত শিক্ষার্থী বাসে পরিবহন করে ইত্যাদির তালিকা দরকার। এ ধরনের অবাস্তব এবং উদ্ভট চিন্তা ভাবনা একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মাথায় কিভাবে আসে সেই প্রশ্ন উঠেছে সরকারের মধ্যেই। কারণ এটি একটি নীতিগত প্রশ্ন। কত শিক্ষার্থী আছে বা কত শিক্ষার্থী বাসে পরিবহন করে সেটি মূল বিষয় নয়। তিনি কালক্ষেপণের জন্য নাকি শিক্ষার্থীদেরকে তাঁতিয়ে দেওয়ার জন্য এ ধরনের বক্তব্য রাখছেন সেটি একটি বিষয় বটে। পরিবহন মালিকদের বক্তব্য বেশ উদ্বেগজনক। তারা বলেছেন যে, আশিভাগ পরিবহন মালিক নাকি গরিব। গরিবই যদি হবেন তাহলে তারা পরিবহন মালিক হলেন কিভাবে? পুরো বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের তালবাহানা দেখা যাচ্ছে। 

যেহেতু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছেন, সেখানে সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর একটি ভূমিকা থাকা উচিত ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর কোন ভূমিকা আমাদের চোখে পড়েনি। বরং তিনি বিষয়টি একধরনের এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়েছেন। এ ধরনের কৌশল খুবই আত্মঘাতী হতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল মনে করছেন। ২০১৮ সালে যখন আন্দোলন করা হয়, তখন শিক্ষার্থীদেরকে যে সমস্ত আশ্বাসগুলো দেয়া হয়েছিল তার খুব কমই বাস্তবায়ন হয়েছে। কাজেই এখন নতুন করে আশ্বাস দিয়ে সবকিছু সমাধান হবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তাছাড়া একটি নাজুক সময় শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন এবং এর পরিণাম যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর তাই দ্রুত স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদেরকে ঘরে নিতে হবে এবং এই আন্দোলনটির একটি ইতিবাচক সমাধান করতে হবে। কিন্তু সেই করার ক্ষেত্রে সরকারের একটি মহলের চরম গাফিলতির লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আব্দুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির সমাবেশ চলছে

প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে এই সমাবেশ শুরু হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজক। সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা এসে ভিড় করেছেন।বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

দুপুর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।তাদের হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এদিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে জড়ো হয়েছেন মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়। 

সমাবেশের জন্য আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। 

মঞ্চের ব্যানারে লেখা হয়েছে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এবং সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির সমাবেশ   নির্বাচন   এক দফা আন্দোলন   সরকার পতন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক জিয়া কি দেশে আসছে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি পোস্ট দিচ্ছে। ‘লিডার আসছে’—এই শিরোনামে পোস্ট বিএনপি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে।

বিএনপির একাধিক নেতাকে এই পোস্টের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো তারা রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, তারেক জিয়ার দেশে আসার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনাটি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আজ সকালে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার লিভারে পানি জমে ছিল, পানি বের করতে হয়েছে এবং তার হিমোগ্লোবিন ৮ এর নিচে। এরকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যদিও গত দুই দিন ধরে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। 

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বা তার কোনো চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলে বিএনপি এক তান্ডবের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই তাণ্ডবের মহাপরিকল্পনার একটি অংশ আছে তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আসা এবং বর্তমান সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। তারেক জিয়া নিজেও এধরনের বার্তা বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে দিয়েছেন। 

মায়ের শেষ পরিণতি হলে বাংলাদেশে আসলে জনগনের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করবে, সাধারণ মানুষ তার এই আসাটাকে ইতিবাচকভাবে নেবে—এমনটি মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাছাড়া এরকম ঘটনা ঘটলে তারেক জিয়া যদি দেশে আসে তাহলে বিমানবন্দরে তাকে আটক করাটাও কঠিন হতে পারে বলে বিএনপির নেতারা হিসেব কষে দেখছেন। এটি তার জন্য দেশে আসার সুবর্ণ সুযোগ বলে তারা মনে করছেন। 

উল্লেখ্য, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়া। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন এই দণ্ডিত আসামী যদি দেশে আসেন তাহলে তাকে অবশ্যই আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, জেলে যেতে হবে। তারপর তার জামিনের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু বিএনপির নেতারা এটি করতে চান না। তারা জানেন যে, যে মামলাগুলো হয়েছে এবং যে রায় দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে বাঁচার পথ নেই বললেই চলে। এরকম পরিস্থিতিতে একটা ঘটনা ঘটিয়ে তারেক জিয়াকে দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেরকম একটি বড় ঘটনা ঘটতে পারে খালেদা জিয়ার জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি। 

তবে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, তারেক জিয়া এখন লন্ডনে যে বিলাসবহুল আরাম-আয়েশ জীবন যাপন করছেন সেখান থেকে তিনি কোনো অবস্থাতেই দেশে ফিরবেন না। তারেক জিয়া শুধু নিজেকেই ভালোবাসেন, তার মা বা দলের জন্য তার কোনো টান আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। কারণ তা যদি থাকতো তাহলে মায়ের এই অবস্থায় তিনি না আসুন, তার স্ত্রী কিংবা তার কন্যাকে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু বেগম জিয়ার এই দীর্ঘ পাঁচ বছরের কঠিন সময়ে তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রী কন্যারা একবারও আসেননি। তাই এবারও তারেক জিয়া দেশে আসছে বলে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে তার স্রেফ একটা প্রতারণা বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তারা নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আর এ কারণেই ‘লিডার আসছে’ বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ ফাদা হচ্ছে।

তারেক জিয়া   বিএনপি   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   এক দফা আন্দোলন   ২১ আগস্ট   গ্রেনেড হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে মেয়র তাপস-ইশরাক

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। 

তাপসকে উলটো প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, ঢাকা শহরে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার আপনি কে?

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শুক্রবারের সমাবেশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় ইশরাক হোসেন এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরই শুধু নয়, এই বাংলাদেশ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আর তিনিও (তাপস) পৈতৃক সম্পত্তির সূত্রে সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসেননি। 

একজন নাগরিক তিনি মহাসচিব হোন কিংবা সাধারণ কোনো মানুষ হোন, তাকে ঢাকা শহরে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার আপনি কেউ-ই না। এটা বলারও আপনার কোনো অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে ২নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। 

মির্জা ফখরুল   মেয়র তাপস   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শারীরিক অবস্থার অবনতি, ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি ঘটেছে। আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাকে আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার লিভারে এবং হার্টে পানি জমছে। সেখোন থেকে তার পানি বের করতে হচ্ছে। পানি বের করার ফলে তিনি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কারণ শরীরের হিমোগ্লোবিন পরিমাণও কম। ৮ এর নিচে তার হিমোগ্লোবিন রয়েছে। 

চিকিৎসকরা বলছে, তার (খালেদা জিয়া) অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণেই তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কখনও কিছুটা উন্নতি, আবার কখনও খারাপ হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ অবস্থায় ফের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্তের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল তার মেডিকেল বোর্ড। তখন থেকে প্রায় দুই বছরে পরিপাকতন্ত্রে কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে তার।

সিসিইউ   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইট যোগে সন্ধ্যা ৬টায় তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২ মার্চ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পর তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। বিশ্বখ্যাত ভারতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী ঢাকায় এসে তাকে দেখার পর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি হয়। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে ১৫ মে সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর থেকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সিঙ্গাপুর যান ওবায়দুল কাদের।


ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন