নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে আদি মানুষের পায়ের ছাপের জীবাশ্ম পেয়েছিলেন গবেষকরা। হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কের একটি শুকনো লেকের তলদেশে এই পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। ২০০৯ সালে এক পার্ক ম্যানেজার প্রথম এটি দেখতে পান।
সেটি নিয়ে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রায় ২৩ হাজার বছর আগের এই পায়ের ছাপ, যা উত্তর আমেরিকায় মানুষের উপস্থিতির নিদর্শন।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার জার্নাল ‘সায়েন্সে’ প্রকাশ করা হয় একটি গবেষণা প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে নিউ মেক্সিকোর শুকিয়ে যাওয়া লেকের তলদেশ থেকে প্রাচীন মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়ার কথা বলেন গবেষকরা।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই পদচিহ্নের জীবাশ্মের বয়স যাচাই করেন। আনুমানিক ২২ হাজার ৮০০ থেকে ২১ হাজার ১৩০ বছর আগের এই জীবাশ্ম। গবেষকরা ধারণা করছেন, এসব পায়ের ছাপ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের। সর্বশেষ তুষার যুগে এরা বাস করত।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীর ধারণা, এশিয়াকে আলাস্কার সঙ্গে যুক্ত করেছিল স্থলভূমির এক বিস্তীর্ণ অংশ। এর মাধ্যমেই প্রাচীন অভিবাসন হয়েছিল। পরে এই স্থলভূমি সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে পাথরের তৈরি সরঞ্জাম, জীবাশ্মের হাড় এবং জেনেটিক বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রায় ১৩ থেকে ২৬ হাজার বছর আগে উত্তর আমেরিকায় মানুষের আগমন হয়েছিল।
তবে উত্তর আমেরিকায় ঠিক কোন সময় মানুষের উপস্থিতি ছিল, তার প্রমাণ দেয় সর্বশেষ এই গবেষণা। গবেষকরা বলছেন, সাংস্কৃতিক নিদর্শন, উদ্ধার করা হাড় বা অন্যান্য প্রচলিত জীবাশ্মের তুলনায় পদচিহ্নগুলো আরও অনস্বীকার্য এবং প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেয়। এটি সময় ও অবস্থানের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন