ইনসাইড সাইন্স

কি হতে পারে ফেসবুকের বিকল্প?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ০৬ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

‘Sorry, something went wrong. We are working on it and we will get it fixed as soon as possible’ গত সোমবার (০৪ অক্টোবর) সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের লগ ইন পেজে এমন বার্তাই ভেসে ওঠে। বার্তাটি দেখে চমকে ওঠেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। সার্ভার ডাউনের কারণে এদিন রাত সাড়ে ৯টা থেকে তারা ফেসবুকে ঢুকতে পারছিলেন না। ফলে সক্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতটি ছিল দুঃসংবাদের। বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে। যার মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৮০ লাখ।

স্বাভাবিক কারণেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয়টি সাময়িক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। এদিকে ফেসবুকের দেওয়া বার্তাটি জনমনে স্বস্তির জায়গা তৈরি করলেও তারা টেনশন নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন কখন এই দুঃসময়ের অবসান ঘটবে। কখন তারা সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় এই মাধ্যমটিকে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিক টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল ব্যবহার করে বার্তা পাঠাচ্ছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা বিতর্কের পর, এ দুটি অ্যাপই সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হওয়ার পরে এই অ্যাপগুলো প্রচুর ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে টুইটারে তাদের অ্যাপটি ব্যবহার করতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিগন্যাল।

চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ইন্সটাগ্রামের বিকল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহারকারীরা কোন অ্যাপগুলো ব্যাবহার করতে পারেন-

টুইটার

ফেসবুকের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দী টুইটার। এটি ফেসবুকের মতোই আরেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুকের মতো টুইটারে যত ইচ্ছা তত শব্দে স্ট্যাটাস দেয়া যায় না। টুইটারের সর্বোচচ ২৮০ শব্দের স্ট্যাটাস গ্রহণযোগ্য যেটাকে টুইট বলা হয়। টুইট করার জন্য সরাসরি টুইটারের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়। এছাড়া টুইটারের রয়েছে যেকোনো প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের উপযোগী অ্যাপ্লিকেশন। মোবাইল ফোন বা এসএমএসের মাধ্যমেও টুইট লেখার সুযোগ রয়েছে।  টুইটার মূলত একটি মাইক্রো ব্লগিং সাইট। টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইট পড়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। এই কাজটিকে বলা হয় অনুসরণ করা। কোনো সদস্যের টুইট পড়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছে, তাদেরকে বলা হয় অনুসরণকারী।

২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটার সারা বিশ্ব্জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। টুইটার বিশ্বের দ্বিতীয় বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০১০ সালের ৩১শে অক্টোবর নাগাদ টুইটারে ১৭৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৭.৫ কোটিরও বেশি সদস্য ছিলো।

স্ন্যাপচ্যাট

স্ন্যাপচ্যাট হল ছবির মাধ্যমে বার্তা আদান প্রদান এবং মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপলিকেশন। যার প্রতিষ্ঠাতারা হলেন ইভান স্পিজেল, ববি মার্ফি, এবং র্যাগি ব্রাউন। তারা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অবস্থিত স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রাক্তন ছাত্র, এবং এটি স্ন্যাপ ইনকর্পোরেশন দ্বারা উন্নীত, যেটির পুরো নাম স্ন্যাপচ্যাট ইনকর্পোরেশন।

বর্তমানে মূলত অ্যাপটি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে ছবি আদান প্রদান থেকে বাহির হয়ে, দিনে ২৪ ঘণ্টার ঘটা সমন্তিত কালানুক্রমিক কনটেন্ট সমূহের সমাহার "স্টোরিস" নামক নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত করেছে, এছাড়াও "ডিসকভার" নামক একটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে যাতে, বিভিন্ন পন্যের ব্রান্ড সমূহ বিজ্ঞাপন-সমর্থিত সংক্ষিপ্ত আকারের বিনোদনও প্রদর্শন করে থাকে। ২০১৭ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী, স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬৬ মিলিয়ন।

লিংকডইন

লিংকডইন হলো একটি প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের যুক্ত করে। এটা ব্যবহারকারীদের শেখার প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে। যদিও লিংকডইন বর্তমান সময়ের অনেক জনপ্রিয় একটি সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম, তবুও অনেকেই এর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না।

লিংকডইনকে এক কথায় আপনি প্রফেশনালদের জন্য ফেসবুক বলতে পারেন। আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হোন, কিংবা চাকরি খোঁজা ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট, লিংকডইন সবার জন্যই কাজে আসতে পারে। লিংকডইন এ প্রফেশনালরা অন্য প্রফেশনালদের সাথে খুব সহজেই সংযুক্ত হতে পারেন। এছাড়াও যারা পেশাজীবন নতুন নতুন কেবলমাত্র শুরু করেছেন তাদের ক্যারিয়ার গড়তে অনেক সুযোগও থাকছে এখানে।

লিংকড ইন এ কাউকে এড করলে তাকে ‘connection’ বলে, যা অনেকটা ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার মতই। লিংকড ইন এ থাকা প্রাইভেট মেসেজিং কিংবা প্রোফাইলে প্রদত্ত কন্টাক্ট ইনফরমেশন ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

পিন্টারেস্ট

সহজ ভাষায় বলতে গেলে এটি একটি ফটো শেয়ারিং সোশ্যাল সাইট। যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারে আমরা ছবি শেয়ার করি তেমন ভাবেই এখানেও একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে যতো খুশি ছবি ফ্রি-তে শেয়ার করতে পারি। পিন্টারেস্ট মূলত তৈরি করা হয়েছে Image, gif ও ভিডিও শেয়ারিংয়ের জন্য। এটি ছবির ভান্ডার যেখানে হাজার হাজার ছবিতে ভরে রয়েছে।

পিন্টারেস্ট ব্যবহার করা অনেক সহজ যদি আপনার কোন ব্লগ সাইট থাকে তবে এখান থেকে ব্লগ পোস্ট শেয়ার করে অনেক ভিজিটর পেতে পারেন। এছাড়াও পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করে পিন্টারেস্ট থেকে আয় করতে পারেন।

ভাইবার

ভাইবার হল একটি তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরক এবং ভয়েস ওভার আইপি (ভিওআইপি) স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন। তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরন ছাড়াও ব্যবহারকারীরা ছবি, ভিডিও এবং অডিও মিডিয়া বার্তা বিনিময় করতে পারেন। ম্যাক ওএস, এনড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি ওএস, আইওএস, সিরিজ ৪০, সিমবিয়ান, বাডা, উইন্ডোজ ফোন এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজের জন্য ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার পাওয়া যায়।

টেলিগ্রাম

ফেসবুক মেসেঞ্জার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো এটিও একটি মেসেজিং অ্যাপ যা আপনাকে টেক্সট মেসেজিং এর পাশাপাশি ভিডিও কল কিংবা ভয়েস মেসেজিং এর সুবিধাও দিয়ে থাকে। আর এখানে আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয় হলো এটি ২ জিবি সাইজের মধ্যে আপনাকে কোনো ফাইল শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে থাকে যা সত্যি অনন্য। বর্তমানে সর্বশ্রেষ্ঠদের কাতারে থাকা এই টেলিগ্রাম অ্যাপটি আবিষ্কার করেন রাশিয়ার একজন উদ্যোক্তা প্যাভেল ডিউরভ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযান-৩, চেষ্টা জারি ইসরোর

প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। কিন্তু পৃথিবীর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযান-৩। এখনও তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে পারেনি ইসরো। ঘুম থেকে চন্দ্রযান-৩ উঠতে পারবে কি পারবে না তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এরই মধ্য়ে বড় আপডেট দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

এখনও পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের কোনও সংকেত পাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা ল্যান্ডার ও রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ ফের স্থাপন করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, "বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে সবরকম ভাবে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।"

কথা ছিল চাঁদে যখন আবার সূর্য উঠবে তখন তাদের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সেই চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবারের প্রথম চেষ্টায় সফল হয়নি ইসরো। পৃথিবীর ডাকে সাড়া দেয়নি চন্দ্রযান-৩।

চন্দ্রযান-৩ যে উদ্দেশ্য নিয়ে চাঁদে গিয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই সফল। যদি দ্বিতীয়বারের জন্য তাকে সক্রিয় করা যায়, তাহলে আরও তথ্য হাতে আসতে পারে বিজ্ঞানীদের।

মনোহর পার্রীকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ অজয় লেলে জানিয়েছেন, গত এক দিন ধরে সূর্যের আলোয় যে শক্তি ল্যান্ডার এবং রোভারে সঞ্চিত হয়েছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে যন্ত্রপাতিগুলি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু সূর্যের আলোয় সেগুলি কী আচরণ করে, সেটাই এখন দেখার।

চাঁদে রাত কাটলে যাতে আবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় সেই উদ্দেশ্যে ল্যান্ডার বিক্রমকে স্লিপ মোডে পাঠানোর আগে তার রিসিভারটিকে চালু রেখেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কিন্তু চাঁদে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যায় ৷ এই তীব্র শীত চন্দ্রযান-৩ সহ্য করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যদি ল্যান্ডার এবং রোভার 'জেগে' ওঠে, তাহলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠের পরিস্থিতি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করবে। আর সেটা 'বোনাস' পাওয়ারই সামিল বিজ্ঞানীদের কাছে। আর এই মিরাকলের আশাতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে দেশবাসী। ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের বুকে মহাকাশযান অবতরণে চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলে নেয়।


চন্দ্রযান-৩   ইসরো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

এবার চাঁদের পথে জাপানের মহাকাশযান স্লিম

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

তিনবার বিলম্বের পর অবশেষে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো জাপানের মহাকাশযান স্লিম। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে চড়ে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে যাত্রা শুরু করেছে জাপানি মহাকাশযানটি। এর ফলে চন্দ্রজয় করা পঞ্চম দেশ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জাপানের সামনে।

জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম)-কে উন্মুক্ত করেছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত মাসে এক সপ্তাহে তিনবার স্থগিত করা হয়েছিল জাপানি মহাকাশযানের মহাকাশযাত্রা।

জাপানের লক্ষ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডারকে অবতরণ করানো। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাকাশযানটি চাঁদে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পে জাপানের খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রায়)।

চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণের মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই এই চন্দ্রাভিযান শুরু করলো জাপান। ওই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত।

এর আগে, গত বছর চাঁদে অবতরণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল জাপানের। গত নভেম্বরে ওমোতেনাশি ল্যান্ডারের সঙ্গে জাক্সার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভেস্তে যায় চাঁদে অবতরণের চেষ্টা। এছাড়া এপ্রিল মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় বিধ্বস্ত হয় জাপানি স্টার্টআপ ইস্পেসের তৈরি হাকুটো-আর মিশন ১ ল্যান্ডারটি।

বৃহস্পতিবারের এইচ-আইআইএ রকেটটি ল্যান্ডারের পাশাপাশি এক্স-রে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সআরআইএসএম) স্যাটেলাইটও বহন করছে। এটি জাক্সা, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি যৌথ প্রকল্প।

রকেটটি তৈরি তরেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উড্ডয়নও পরিচালনা করেছে তারা। এ নিয়ে ২০০১ সালের পর থেকে ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান। মহাকাশযানটির এবারের চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


জাপান   মহাকাশযান   স্লিম   চন্দ্রজয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার কি মানবসভ্যতার জন্য হুমকি?

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২৬ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

একদিকে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্যদিকে ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও।

ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোর সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই।

অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১ শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।

মূলত সফটওয়্যারজাত বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষ বা বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার সাথে এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন, স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠা মানবচিন্তা ও তার পরিধি কি পরাজিত হয়ে হারিয়ে যাবে তার সৃষ্ট কোনো ঊনমানুষরূপী অতিমানবের কাছে?

চ্যাটজিপিটির মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ঘোষণা এর বাস্তবতা। মাত্র গত মে মাসে সিলিকন ভ্যালিতে কর্মচ্যুত হয়েছেন তিন হাজার ৯০০ লোক।

ফুড ফর দ্য ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে এবং সেদিন বেশি দূরে নয়।

নতুন চ্যাটবট মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, কথা বলছে, শিশুদের খেলার সাথী হচ্ছে, বয়স্কদের প্রমোদ সঙ্গী হচ্ছে। এ সব কিছু একজন ব্যক্তিকে সমাজবিমুখ করে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্ন অবস্থান তৈরি করছে। এখানে সমাজবিজ্ঞান, মানুষ ও বিজ্ঞান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মুখোমুখি হচ্ছে।

তাই মানুষ ভবিষ্যতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী তার সৃষ্টিকে অপার সম্ভবনার পৃথিবীতে স্বাগত জানাবে নাকি আপন সৃষ্ট ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের হাতে সংহারিত হবে তা এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   মানবসভ্যতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত, সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রযানের অবতরণ

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ২৩ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। অবতরণের আগে খাড়াই মোড় ঘুরবে ল্যান্ডারটি। চাঁদ প্রদক্ষিণরত বিক্রম সন্ধ্যায় দিক বদল করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে। তার ভিতরেই আছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় মহাকাশযানের। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে বিক্রমের।

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা মহাকাশযানটির। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অবতরণের দিনে ল্যান্ডার বিক্রম যখন চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে, তখন ল্যান্ডার মডিউলটি পালকের মতো করে চাঁদের মাটির দিকে নামতে শুরু করবে। এর জন্য লাগবে মোট ২০ মিনিট।

আজ ধাপে ধাপে গতি কমানো হবে বিক্রমের। শেষ ২০ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে পালকের মতো করে নেমে আসার কথা বিক্রমের। বিক্রম যদি জোরেও আছড়ে পড়ে, তবুও এটির ক্ষতি হওয়ার কথা নয়, এমটাই বলা হচ্ছে।

২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ অভিযানের সময় সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল ল্যান্ডার।

২০১৯ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার। তবে সেই অভিযান বিফলে যায়নি। এখনও চন্দ্রযান ২-এর অর্বিটার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। সেই অরবিটারের সঙ্গে যোগ স্থাপন করেছে চন্দ্রযান ৩ অভিযানের ল্যান্ডার বিক্রম। এই বিষয়ে ইসরো জানিয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে গতকাল এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, মিশন অপারেশন কম্পলেক্স পুরোপুরি প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়েই চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ল্যান্ডার বিক্রম। আজ বিকাল ৫টা ২০ মিনিট থেকে ISTRAC চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের লাইভ দৃশ্য সম্প্রচার করবে।


ইতিহাস   ভারত   চন্দ্রযান   অবতরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

চাঁদের বুকে রাশিয়ার মহাকাশযান ধ্বংস

প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ২০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail চাঁদের বুকে রাশিয়ার মহাকাশযান ধ্বংস।

চন্দ্রাভিযানে যাওয়া রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে। এরমাধ্যমে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার ৪৭ বছরের প্রথম চন্দ্রাভিযান। রোববার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবতরণপূর্ব অরবিটে প্রবেশে প্রস্তুতির সময় রুশ মহাকাশ যান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকোসমোস জানিয়েছে, শনিবার গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫৭ মিনিটে তারা মহাকাশ যানের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে যখন এটি অবতরণপূর্ব অরবিটে নামানো হয়। সোমবার এটির চাঁদে অবতরণ করার কথা ছিল।

সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মহাকাশযানটি একটি অনির্দেশ্য অরবিটে চলে যায় এবং চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লুনা-২৫ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে একটি আন্তঃবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই লুনা-২৫ মিশনের মাধ্যমে আশার সঞ্চার হয়েছিল— রাশিয়া আবারও চাঁদে অবতরণের লড়াইয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে যোগ দিচ্ছে।

এদিকে এই মহাকাশযানটি ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশে যে আধিপত্য ছিল— সেটিতে একটি দাগ ফেলেছে। রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৫৭ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক-১ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল। এছাড়া সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গাগারিন ১৯৬১ সালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

১৯৭৬ সালে লুনা-২৪ এর পর রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত) চাঁদে আর কোনো অভিযান চালায়নি। ওই সময় দেশটির শাসক ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ।

এদিকে রাশিয়া চন্দ্রাভিযানে এমন সময় ধাক্কা খেল যখন ভারত প্রায় একই সময় সফলভাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের অপেক্ষায় আছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ করার কথা রয়েছে। 

সূত্র: রয়টার্স 


চাঁদ   রাশিয়া   মহাকাশযান   ধ্বংস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন